- Joined
- Jan 27, 2024
- Threads
- 20
- Comments
- 52
- Reactions
- 222
- Thread Author
- #1
জাহান্নাম থেকে শুধুমাত্র যেসব পাপীরাই শাস্তি ভোগ করে নাযাত পাবে যারা তাওহিদের উপর ছিল এবং সালাত আদায় করতো
আর জাহান্নামে থাকবে সা’দান বৃক্ষের কাঁটার মত অনেক কাঁটাযুক্ত লৌহদণ্ড…পাপ কাজের জন্য কাঁটার আংটাগুলো ছোবল দিতে থাকবে। তাদের কেউ কেউ মু’মিন (যারা সাময়িক জাহান্নামী) তারা রক্ষা পাবে, আর কেউ তো শাস্তি ভোগ করে নাযাত পাবে। এরপর আল্লাহ বান্দাদের মধ্যে ফায়সালা হতে অবসর হলে স্বীয় রহমাতে কিছু সংখ্যক জাহান্নামীদের (জাহান্নাম হতে) বের করতে দেয়ার ইচ্ছা করবেন তখন ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দিবেন যারা কালিমায় বিশ্বাসী ও শির্ক করেনি যাদের উপর আল্লাহ তা’আলা রহম করতে চাইবেন যে, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসো। আর যাদের উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করতে চেয়েছেন তারা ঐ সকল লোক যারা ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলত। অতঃপর ফেরেশতাগণ তাদের সনাক্ত করবেন। তারা সাজদাহ চিহ্নের সাহায্যে তাদের চিনবেন। কারণ, অগ্নি মানুষের দেহের সবকিছু জ্বালিয়ে ফেললেও সাজদার স্থান অক্ষত থাকবে। আল্লাহ তা’আলা সাজদার চিহ্ন নষ্ট করা হারাম (নিষিদ্ধ) করে দিয়েছেন। মোটকথা, ফেরেশতাগণ এদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবে এমন অবস্থায় যে, তাদের দেহ আগুনে দগ্ধ। তাদের উপর ‘মাউল-হায়াত’ (সঞ্জীবনী পানি) ঢেলে দেয়া হবে। তখন তারা এতে এমনভাবে সতেজ হয়ে উঠবে যেমনভাবে শস্য অঙ্কুর পানিসিক্ত উর্বর জমিতে সতেজ হয়ে উঠে। তারপর আল্লাহ তা’আলা বান্দাদের বিচার সমাপ্ত করবেন। শেষে এক ব্যক্তি থেকে যাবে (জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে, বুখারী ৮০৬) । তার মুখমণ্ডল হবে জাহান্নামের দিকে। এই হবে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী। … (সংক্ষিপ্ত)
[ মুসলিম ১৮২, হা.এ. ৩৪০; বুখারী ৮০৬, ৭৪৩৭ ]
কল্যাণকর কাজ ব্যতীতই জান্নাতে যাওয়ার হাদিসের পর্যালোচনা:
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিঁনি (আল্লাহ) জাহান্নাম থেকে একমুষ্টি ভরে এমন কতগুলো কওমকে বের করবেন যারা জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে। … জান্নাতে তারা যখন প্রবেশ করবে, তখন অন্যান্য জান্নাতবাসীরা বলবেন, এরা হলেন রহমান কর্তৃক আযাতকৃত যাদেরকে আল্লাহ্ কোন নেক ‘আমাল কিংবা কল্যাণকর কাজ ব্যতীতই জান্নাতে দাখিল করেছেন। [ সহিহ বুখারী: ৭৪৩৯ ]তিঁনি (আল্লাহ) জাহান্নাম থেকে এক মুঠো তুলে আনবেন, ফলে এমন একদল লোক মুক্তি পাবে যারা কখনো কোন সৎকর্ম করেনি এবং আগুনে জ্বলে লাল হয়ে গেছে। [মুসলিম ১৮৩, হা.এ. ৩৪৩]
এক. এখানে সৎকর্ম বা কল্যাণকর কাজ বা সৎ আমল বলতে “ইমান গ্রহণ করার সৎকর্ম” ছাড়া অন্য সৎকর্ম বা সৎ আমলকে বুঝানো হয়েছে। কারণ, তারা ঈমানদার হওয়ার জন্যই জান্নাতে যেতে পারবে। আর ইমানের মধ্যেই সালাত আদায় করা অন্তর্ভুক্ত এবং সালাত ত্যাগ করা কুফরি।
রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হল, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা। [মুসলিম ৮৪, ৮৩, হা.এ. ১৫০, ১৫১, ১৫২]
অন্য বর্ণনায়, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করলাম, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, সময় মত সালাত আদায় করা। [মুসলিম ৮৫, হা.এ. ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৫৭ ; বুখারী ৫২৭; নাসায়ী ৬১০]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঈমানদার ছাড়া কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। [মুসলিম ৫৪, হা.এ. ৯৮; সহিহ বুখারী ৬৬০৬, ৪২০৪]
আর নবী (ﷺ) বলেছেন,“ কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা। ” [ সহীহ, জামে' আত-তিরমিজি ২৬১৮ ]
দুই. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীরা “কল্যাণকর কাজ ব্যতীতই জান্নাতে যাওয়া’র হাদিসটি” জানা সত্ত্বেও সালাত ত্যাগ করা কুফুরি এ বিষয়ে একমত ছিলেন।
আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক আল-উকাইলী (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,“ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবী « নামায ব্যাতিত অন্য কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফুরী কাজ » বলে মনে করতেন না। ” [ সহীহঃ জামে' আত-তিরমিজি ২৬২২ ]