এই অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ লিস্ট:
- সকাল-সন্ধ্যার জিকিরের ফযীলত
- সূর্য উদিত হওয়ার সময় দুআ
- সকালের জিকির সমূহ
- বিকালের জিকিরসমূহ
- সকাল-সন্ধ্যার জিকিরসমূহ
- অস্তগামী চাঁদের অনিষ্ট থেকে বাঁচার দুআ
- তাসবীহ
- সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দুআ)
- আয়াতুল কুরসী
- সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস
- একশতবার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী
- বিদ্বেষ-মুক্ত থাকার জন্য দুআ
- সকাল-সন্ধ্যার দুআ
- নাফস ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে পানাহ চাওয়া
- ক্ষমা, সুস্থতা এবং সর্বদিকের বিপদাপদ থেকে আশ্রয় চাওয়া
- বিশেষ তাহলীল
- সাপ-বিচ্ছু থেকে আত্মরক্ষার দুআ
- সন্ধ্যায় উপনীত হলে করণীয়
- উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমলের দুআ
- দুনিয়াতে ও আখিরাতে নিরাপত্তা চাওয়া
- দয়াময় আল্লাহ্র কাছে অতি প্রিয় দুটি কালেমা
সকাল-সন্ধ্যার জিকিরসমূহ
প্রতিদিন ১০০ বার বলবে -أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি
অনুবাদঃ আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা করছি।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৬৩০৭, মুসলিমঃ ২৭০২
১০ বার দরুদ পাঠ করবে -
اَللَّھُمَّ صَلِّ عَلَی مُحَمَّدٍ وَّعَلَی آلِ مُحَمَّدٍ کَمَا صَلَّیْتَ عَلَی اِبْرَاھِیْمَ وَعَلَی آلِ اِبْرَاھِیْمَ اِنَّكَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ، اَللَّھُمَّ بَارِكْ عَلَی مُحَمَّدٍ وَّعَلَی آلِ مُحَمَّدٍ کَمَا بَارَکْتَ عَلَی اِبْرَاھِیْمَ وَعَلَی آلِ اِبْرَاھِیْمَ اِنَّكَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা আলী মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা 'হামীদুম্ মাজীদ।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্ আপনি মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর পরিজনের উপর সালাত প্রেরণ করুন যেমন আপনি সালাত প্রদান করেছেন ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিজনের উপর, নিশ্চয় আপনি মহাপ্রশংসিত মহাসম্মানিত। এবং আপনি বরকত প্রদান করুন মুহাম্মাদের উপরে এবং মুহাম্মাদের পরিজনের উপরে যেমন আপনি বরকত প্রদান করেছেন ইবরাহীমের উপরে এবং ইবরাহীমের পরিজনের উপরে। নিশ্চয় আপনি মহাপ্রশংসিত মহা সম্মানিত।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : “যে ব্যক্তি সকালে দশ বার ও সন্ধ্যায় দশ বার আমার উপর দুরুদ পড়বে, সে কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত লাভ করবে।” [১] আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ্ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, ১০টি পাপ মোচন করে দিবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন। [২]
রেফারেন্স: তাবারানী, সহীহ তারগীব ১/২৭৩
৩ বার বলবে -
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হিল লাযী লা- ইয়াদুর্রু মা‘আসমিহী শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা- ফিস সামা-ই, ওয়াহুআস সামীউল ‘আলীম।
অনুবাদঃ আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
উসমান (রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোনো বান্দা সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে এই দুআটি পাঠ করে তবে সে দিনে ও ঐ রাতে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।”
রেফারেন্স: সহীহ। আবু দাউদঃ ৫০৮৮
৭ বার বলবে -
حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَاّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণঃ হাসবিয়াল্লা-হু, লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল ‘আরশিল 'আযীম
অনুবাদঃ আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করেছি, তিনি মহান আরশের প্রভু।
আবু দারদা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ বার এ আয়াতটি পাঠ করবে আল্লাহ্ তার দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মিটিয়ে দেবেন।”
রেফারেন্স: সহিহ মাওকুফ (শু'আইব ও আরনাঊত্ব)। আবু দাউদঃ ৫০৮১
সকাল-সন্ধ্যার দুআ : ১ বার -
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِيْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ
উচ্চারণঃ ইয়া- 'হাইউ ইয়া ক্বাইউমু, বিরা'হমাতিকা আসতাগীছু, আসলি'হ লী শা’নী- কুল্লাহু, ওয়া লা- তাকিলনী ইলা- নাফ্সী তারফাতা ‘আইন।
অনুবাদঃ হে চিরঞ্জীব, হে মহারক্ষক ও অমুখাপেক্ষী তত্ত্বাবধায়ক, আপনার রহমতের ওসীলা দিয়ে উদ্ধার কামনা করি। আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন। আর আমাকে একটি মুহূর্তের জন্যও, চোখের পলকের জন্যও আমার নিজের দায়িত্বে ছেড়ে দিবেন না।
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফাতেমা (রাঃ)-কে বলেন, “আমি ওসীয়ত করছি যে, তুমি সকালে ও সন্ধ্যায় এ কথা বলবে।”
রেফারেন্স: হাসান। সিলসিলাতুল সহীহাঃ ২২৭
৩ বার বলবে -
رَضِيْتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِيْنًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا
উচ্চারণঃ রাদ্বীতু বিল্লা-হি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলা-মি দীনান, ওয়া বিমু'হাম্মাদিন নাবিয়্যান
অনুবাদঃ আমি সন্তুষ্ট-পরিতৃপ্ত আল্লাহ্কে প্রভু হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবী হিসেবে গ্রহণ করে।
রেফারেন্স: সহিহ লি গাইরিহি (শুয়াইব আল-আরনাঊত)। তাখরিজুল মুসনাদঃ ২৩১১২
সকালে ১ বার বলবে -
اَللَّهُمَّ إِنِّي قَدْ تَصَدَّقْتُ بِعِرْضِي عَلَى عِبَادِكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী ক্বাদ তাসাদ্দাক্বতু বি’ইরদ্বী- ‘আলা- ‘ইবাদিক।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্, আমি আমার মর্যাদা-সম্মান আপনার বান্দাগণের জন্য দান করে দিলাম।
তাবেয়ী আব্দুর রাহমান ইবনু আজলান অথবা সাহাবী আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: “তোমরা কি আবু দামদামের মতো হতে পার?” সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন: “আবু দামদাম কে?” তিনি বলেন: “তোমাদের পূর্বের যুগের একজন মানুষ। তিনি প্রতিদিন সকালে এ বাক্যটি বলতেন।” অন্য বর্ণনায়: “তিনি বলতেন, আমাকে যে গালি দেয় আমি আমার সম্মান তাকে দান করলাম।”
রেফারেন্স: সহিহ মাকতু। আবু দাউদঃ ৪৮৮৬
Last edited: