এই অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ লিস্ট:
- সকাল-সন্ধ্যার জিকিরের ফযীলত
- সূর্য উদিত হওয়ার সময় দুআ
- সকালের জিকির সমূহ
- বিকালের জিকিরসমূহ
- সকাল-সন্ধ্যার জিকিরসমূহ
- অস্তগামী চাঁদের অনিষ্ট থেকে বাঁচার দুআ
- তাসবীহ
- সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দুআ)
- আয়াতুল কুরসী
- সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস
- একশতবার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী
- বিদ্বেষ-মুক্ত থাকার জন্য দুআ
- সকাল-সন্ধ্যার দুআ
- নাফস ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে পানাহ চাওয়া
- ক্ষমা, সুস্থতা এবং সর্বদিকের বিপদাপদ থেকে আশ্রয় চাওয়া
- বিশেষ তাহলীল
- সাপ-বিচ্ছু থেকে আত্মরক্ষার দুআ
- সন্ধ্যায় উপনীত হলে করণীয়
- উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমলের দুআ
- দুনিয়াতে ও আখিরাতে নিরাপত্তা চাওয়া
- দয়াময় আল্লাহ্র কাছে অতি প্রিয় দুটি কালেমা
সকালের জিকির সমূহ
أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهُ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوْءِ الْكِبَرِ، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ
উচ্চারণঃ আসবাহ্না ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লা-হি, ওয়ালহাম্দু লিল্লা-হি, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। রব্বি আস্আলুকা খাইরা মা ফী হা-যাল ইয়াউমি ওয়া খাইরা মা বা‘দাহু, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা ফী হা-যাল ইয়াউমি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু। রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূইল-কিবারি। রব্বি আ‘উযু বিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্না-রি ওয়া আযাবিন্ ফিল ক্বাবর
অনুবাদঃ আমরা আল্লাহ্র জন্য সকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়েছে, আল্লাহ্র জন্য। সমুদয় প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে রব্ব! এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু কল্যাণ আছে আমি আপনার নিকট তা প্রার্থনা করি। আর এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু অকল্যাণ আছে, তা থেকে আমি আপনার আশ্রয় চাই। হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা ও খারাপ বার্ধক্য থেকে। হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামে আযাব হওয়া থেকে এবং কবরে আযাব হওয়া থেকে।
اَللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমরা আপনার জন্য সকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা আমরা জীবিত থাকি, আপনার দ্বারাই আমরা মারা যাব; আর আপনার দিকেই উত্থিত হব।
أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، اَللَّهُـمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَهُ، وَنَصْرَهُ، وَنُورَهُ، وَبَرَكَتَهُ، وَهُدَاهُ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ
উচ্চারণঃ আসবা'হ্না ওয়া আসবা'হাল-মূলকু লিল্লা-হি রব্বিল ‘আলামীন। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খাইরা হাযাল ইয়াওমি ফাত'হাহু ওয়া নাসরাহু ওয়া নুরাহু ওয়া বারাকাতাহু ওয়া হুদা-হু। ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা ফীহি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু
অনুবাদঃ আমরা সকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়েছে সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র জন্য। হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে কামনা করি এই দিনের কল্যাণ: বিজয়, সাহায্য, নূর, বরকত ও হেদায়াত। আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই এ দিনের এবং এ দিনের পরের অকল্যাণ থেকে।
أَصْبَحْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ، وَعَلَى كَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ، وَعَلَى دِينِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَعَلَى مِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ، حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
উচ্চারণঃ আসবা'হনা ‘আলা ফিত্বরাতিল ইসলামি ওয়া 'আলা কালিমাতিল ইখলাসি ওয়া 'আলা দ্বীনি নাবিয়্যিনা মু'হাম্মাদিন (ﷺ) ওয়া 'আলা মিল্লাতি আবীনা ইবরা-হীমা 'হানীফাম মুসলিমাও ওয়ামা কা-না মিনাল মুশরিকীন
অনুবাদঃ আমরা সকালে উপনীত হয়েছি ইসলামের ফিত্বরাতের উপর, নিষ্ঠাপূর্ণ বাণী (তাওহীদ) এর উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর দ্বীনের উপর, আর আমাদের পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর মিল্লাতের উপর-যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম এবং যিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
সকালে ৪ বার -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ، وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ، وَمَلَائِكَتِكَ، وَجَمِيعَ خَلْقِكَ، أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসবা'হ্তু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু 'হামালাতা ‘আরশিকা ওয়া মালা-ইকাতিকা ওয়া জামী‘আ খালক্বিকা, আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়া'হ্দাকা লা শারীকা লাকা, ওয়া আন্না মু'হাম্মাদান 'আব্দুকা ওয়া রাসূলুকা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি সকালে উপনীত হয়েছি। আপনাকে আমি সাক্ষী রাখছি, আরও সাক্ষী রাখছি আপনার ‘আরশ বহনকারীদেরকে, আপনার ফেরেশতাগণকে ও আপনার সকল সৃষ্টিকে, (এর উপর) যে- নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ্, একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোন হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই; আর মুহাম্মাদ (ﷺ) আপনার বান্দা ও রাসূল।
اَللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা মা আসবা'হা বী মিন নি‘মাতিন আউ বিআ'হাদিন মিন খালক্বিকা ফামিনকা ওয়া'হ্দাকা লা- শারীকা লাকা, ফালাকাল 'হাম্দু ওয়ালাকাশ্ শুক্রু
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! যে নেয়ামত আমার সাথে সকালে উপনীত হয়েছে, অথবা আপনার সৃষ্টির অন্য কারও সাথে; এসব নেয়ামত কেবলমাত্র আপনার নিকট থেকেই; আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য।
৩ বার বলবে -
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَى نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণঃ সুব’হা-নাল্লা-হি ওয়াবি’হামদিহী, ‘আদাদা খাল্ক্বিহী, ওয়ারিদ্বা- নাফ্সিহী, ওয়া ঝিনাতা ‘আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমাতিহী।
অনুবাদঃ পবিত্রতা আল্লাহ্র এবং প্রশংসা তাঁরই, তাঁর সৃষ্টির সমসংখ্যক, তাঁর নিজের সন্তুষ্টি পরিমাণে, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণে এবং তাঁর বাণীসমূহ লেখার কালি পরিমাণ (অগণিত অসংখ্য)
উম্মুল মুমিনীন জুআইরিয়্যা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফজরের সালাতের পরে তাকে তার সালাতের স্থানে জিকির-রত অবস্থায় দেখে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি অনেক বেলা হলে দুপুরের আগে ফিরে এসে দেখেন তিনি তখনও সে অবস্থায় তাসবিহ তাহলীলে রত রয়েছেন। তিনি বলেন: “তুমি কি আমার যাওয়ার সময় থেকে এ পর্যন্ত এভাবেই জিকিরে রত রয়েছ?” তিনি বললেন: “হ্যা।” তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন: “আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে চারটি বাক্য তিন বার করে বলেছি (উপরের বাক্যগুলো)। তুমি সকাল থেকে এ পর্যন্ত যত কিছু বলেছো সবকিছু একত্রে যে সাওয়াব হবে, এ বাক্যগুলোর সাওয়াব একই পরিমাণ হবে।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ২৭২৬
Last edited: