- Joined
- Jan 12, 2023
- Threads
- 808
- Comments
- 1,054
- Solutions
- 19
- Reactions
- 11,025
- Thread Author
- #1
এ ধরনের শিরককারীর পরিণতি হলো-
(১) এ ব্যক্তি কাফির ও মুশরিক হয়ে যায়। এ ধরনের শিরককারীর জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যায় এবং স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হয়ে যায়। তার সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যায়, তার রক্ত ও সম্পদ হালাল হয়ে যায়।
(২) এ ব্যক্তির জন্য মহান আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন,
“নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।” [সূরা ৫; আল-মায়িদাহ ৭২]
(৩) এ ধরনের শিরককারী তাওবাবিহীন মারা গেলে মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
(৪) এ ব্যক্তির সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শিরক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে; বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদাত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও।” [সূরা ৩৯; আয-যুমার ৬৫-৬৬]
ওযূ করার পর কেউ প্রস্রাব করলে যেমন ওযূ ভেঙে যায়, ঠিক তেমনিভাবে ঈমান আনার পর শিরক করলে তার তাওহীদ ভেঙে যায়, এবং সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর যদি তারা র্শিক করত, তবে তারা যা আমল করছিল তা অবশ্যই বরবাদ হয়ে যেত।” [সূরা ৬; আল-আন'আম ৮৮]
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
অর্থাৎ, (বর্ণনাকারী বলেন,) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কথা বললেন, আর আমি একটি বললাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে তাঁর সমকক্ষ হিসেবে আহ্বান করা অবস্থায় মারা যায়, সে জাহান্নামে যাবে।” আর আমি বললাম, যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে কাউকে সমকক্ষ হিসেবে আহ্বান না করা অবস্থায় মারা যায়, সে জান্নাতে যাবে। [সহীহ বুখারী: ৪৪৯৭; সহীহ মুসলিম: ৯২]
(৫) এ ধরনের শিরককারীর রক্ত ও সম্পদ বৈধ হয়ে যায়, তার বিরুদ্ধে জিহাদ ওয়াজিব হয়ে যায়। আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই”- এ কথার সাক্ষ্য না দেয়া পর্যন্ত এবং আমার প্রতি ও আমি যা নিয়ে এসেছি তার প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। এগুলো মেনে নিলে তারা তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করবে- তবে শরীআতসম্মত কারণ ছাড়া। আর তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।” [সহীহ মুসলিম: ২১]
এ ধরনের শিরক অনেক রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট দু'আ করা, গাইরুল্লাহর নিকট বিপদ-আপদে সাহায্য চাওয়া, পরিত্রাণ চাওয়া, গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ করা, মান্নত করা, সিজদা করা, রুকু করা প্রভৃতি।
(১) এ ব্যক্তি কাফির ও মুশরিক হয়ে যায়। এ ধরনের শিরককারীর জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যায় এবং স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হয়ে যায়। তার সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যায়, তার রক্ত ও সম্পদ হালাল হয়ে যায়।
(২) এ ব্যক্তির জন্য মহান আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْويهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّلِمِينَ مِنْ أَنْصَارِ
“নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।” [সূরা ৫; আল-মায়িদাহ ৭২]
(৩) এ ধরনের শিরককারী তাওবাবিহীন মারা গেলে মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান।" [সূরা ৪; আন-নিসা ৪৮](৪) এ ব্যক্তির সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَبِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَسِرِينَ (۳) بَلِ اللَّهَ فَاعْبُدُ وَكُنْ مِّنَ الشَّكِرِينَ
“আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শিরক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে; বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদাত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও।” [সূরা ৩৯; আয-যুমার ৬৫-৬৬]
ওযূ করার পর কেউ প্রস্রাব করলে যেমন ওযূ ভেঙে যায়, ঠিক তেমনিভাবে ঈমান আনার পর শিরক করলে তার তাওহীদ ভেঙে যায়, এবং সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَوْ اشْرَكُوا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“আর যদি তারা র্শিক করত, তবে তারা যা আমল করছিল তা অবশ্যই বরবাদ হয়ে যেত।” [সূরা ৬; আল-আন'আম ৮৮]
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَةً وَقُلْتُ أُخْرَى، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ مَاتَ وَهْوَ يَدْعُو مِنْ دُوْنِ اللَّهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ وَقُلْتُ أَنَا: مَنْ مَاتَ وَهُوَ لَا يَدْعُوْ لِلَّهِ نِدًّا دَخَلَ الْجَنَّةَ.
অর্থাৎ, (বর্ণনাকারী বলেন,) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কথা বললেন, আর আমি একটি বললাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে তাঁর সমকক্ষ হিসেবে আহ্বান করা অবস্থায় মারা যায়, সে জাহান্নামে যাবে।” আর আমি বললাম, যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে কাউকে সমকক্ষ হিসেবে আহ্বান না করা অবস্থায় মারা যায়, সে জান্নাতে যাবে। [সহীহ বুখারী: ৪৪৯৭; সহীহ মুসলিম: ৯২]
(৫) এ ধরনের শিরককারীর রক্ত ও সম্পদ বৈধ হয়ে যায়, তার বিরুদ্ধে জিহাদ ওয়াজিব হয়ে যায়। আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَيُؤْمِنُوا بِي وَبِمَا جِئْتُ بِهِ فَإِذَا فَعَلُوا ذُلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقَّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللهِ»
“আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই”- এ কথার সাক্ষ্য না দেয়া পর্যন্ত এবং আমার প্রতি ও আমি যা নিয়ে এসেছি তার প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। এগুলো মেনে নিলে তারা তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করবে- তবে শরীআতসম্মত কারণ ছাড়া। আর তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।” [সহীহ মুসলিম: ২১]
এ ধরনের শিরক অনেক রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট দু'আ করা, গাইরুল্লাহর নিকট বিপদ-আপদে সাহায্য চাওয়া, পরিত্রাণ চাওয়া, গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ করা, মান্নত করা, সিজদা করা, রুকু করা প্রভৃতি।