শাসক সিরিজ - ১০ (বেশ্যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা সরকারের হুকুম)

  • Thread Author
বেশ্যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা সরকারের হুকুম।

প্রশ্নঃ কিছু মুসলিম দেশে যেনার প্রাদুর্ভাব খুব প্রকট, সরকারই তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং তাদের ভাতা দিয়ে থাকে। অথচ রাসূল ﷺ যেনার মূল্য নেওয়া থেকে নিষেধ করেছেন, যা আমরা সবাই জানি। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি এবং দিকনির্দেশনা কি?

উপস্থাপকঃ অর্থাৎ সরকারকে কি এজন্য কাফের বলা যাবে?

শায়খঃ আহ্, এইসব (অধুনা) আইনের এটাই তো প্রথম শরীয়ত বিরোধী কাজ নয়। নিঃসন্দেহে এটা এক ধরনের কুফরী কাজ, তবে তা বিশ্বাসগতও হতে পারে আবার এমনি কার্যগত হতে পারে। তো যেসব শাসক এটাকে বিধিবদ্ধ করবে এই বিশ্বাসে: "এটা বৈধ ও জায়েয", তাহলে এই কুফরী তাকে মিল্লাত থেকে বের করে দেবে। আবার যারা সাধারণ চুরি, ব্যাংকের মতো লিপিবদ্ধ চুরি করে মানুষের সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ করে, তারা যদি এগুলোর হারাম হওয়াকে অস্বীকার করতঃ বৈধতা দেয়, তাহলে তারা কাফের মুরতাদ।

কিন্তু কেউ শরীয়ত বিরোধী বলে স্বীকারও করছে আবার এইসব পাপ কাজে জড়িয়েও যাচ্ছে, তাহলে তার বিষয়টা চোর, গিবতকারী, চোগলখোর প্রভৃতির মতো; অর্থাৎ এই সবগুলোই পাপকাজ, কিন্তু ইসলাম থেকে কাউকে খারিজ করে দেবে না যতক্ষণ সে ইসলামের হুকুমের বিশ্বাস রাখে। কিন্তু এই ইসলামী হুকুমের বিশ্বাস না রাখলেই সে কাফের হয়ে যাবে।


ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী রহিমাহুল্লাহ।
সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর।

গৃহীত,
জামি'উ তুরাসিল আলবানী ফীল আকীদাতি ওয়াল মানহাজ, ৪/২৬১।
 
Back
Top