সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

উসূলুল হাদিস রাবী পরিচিতি - ৩

Joynal Bin Tofajjal

Student Of Knowledge

Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
Threads
344
Comments
479
Reactions
4,880
Credits
3,328
জাবের আল-জু‘ফী (রহিঃ)
ভূমিকা :

যে সকল সমালোচিত রাবী প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে ‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী’ অন্যতম। তার বর্ণিত একাধিক বর্ণনা হাদীছের গ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়েছে। আমাদের ধারাবাহিক আলোচনার প্রেক্ষিতে আজকে আমরা জাবের ইবনে জু‘ফীকে বাছাই করেছি। আসুন, তার সম্পর্কে যৎসামান্য তথ্য রিজাল শাস্ত্র হতে অধ্যয়ন করি।

নাম : জাবের।[1]

পিতার নাম : ইয়াযীদ।[2]

উপাধী : আল-জু‘ফী, আল-কূফী।[3]

উপনাম : আবু মুহাম্মাদ, আবু ইয়াযীদ, আবু আব্দুল্লাহ।[4]

তার কিছু উস্তাদের নাম : আতা, শা‘বী, কাসেম, আবুত তুফাইল (রহিঃ) প্রমুখ। [5]

ছাত্রগণ : সুফিয়ান ছাওরী, সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা, শু‘বা ড় প্রমুখ।[6]


ইমামদের মন্তব্য :


(১) ইমাম আবু হানীফা (রহিঃ) (মৃ. ১৫০ হি.) বলেছেন,

مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَفْضَلَ مِنْ عَطَاءٍ، وَلَا أَكْذَبَ مِنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيّ​

‘আমি আতার চেয়ে উত্তম কাউকে দেখিনি এবং জাবের জু‘ফীর চেয়ে মিথ্যুক কাউকে দেখিনি’।[7]

(২) ইমাম বুখারী (রহিঃ) (মৃ. ২৫৬ হি.) লিখেছেন,

جابر بن يزيد الجعفي : تركه يحيى بن سعيد، وعبد الرحمن بن مهدي، قال أبو نعيم : مات سنة ثمان وعشرين ومائة : يروي عن القاسم، وعطاء، والشعبي قال علي : أراه “أبو يزيد”، قال بندار : سمعت يحيى بن سعيد يقول : تركنا جابرا قبل أن يقدم علينا الثوري​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ এবং আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী তাকে বর্জন করেছেন। আবু নু‘আঈম বলেছেন, তিনি ১২৮ হিজরীতে মারা গেছেন। তিনি ক্বাসেম, আতা, শা‘বী হতে বর্ণনা করেছেন। আবু সাঈদ হাদ্দাদ বলেছেন, আলী বলেছেন, আমি তাকে মনে করি যে, তিনি হলেন আবু ইয়াযীদ। বুনদার বলেছেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ছাওরী আসার পূর্বে আমরা জাবেরকে পরিত্যাগ করেছিলাম’।[8]

(৩) ইমাম মুসলিম (রহিঃ) (মৃ. ২৬১ হি.) বলেছেন,

‘আবু মুহাম্মাদ এবং তাকে আবু যায়েদও বলা হয়, জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী হলেন মাতরূকুল হাদীছ। তিনি ক্বাসেম, আতা ও মুহাম্মাদ ইবনে আলী হতে বর্ণনা করেছেন’।[9]

(৪) ইমাম তিরমিযী (রহিঃ) (মৃ. ২৭৯ হি.) বলেছেন,

وَجَابِرُ بْنُ يَزِيدَ الجُعْفِيُّ ضَعَّفُوهُ، تَرَكَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ​

‘মুহাদ্দিছগণ তাকে যঈফ বলেছেন। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ ও আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী তাকে বর্জন করেছেন’।[10]

(১৩) ইবনে আবী আসেম (রহিঃ) (মৃ. ২৮৭ হি.) লিখেছেন,

وإسناده ضعيف من أجل جابر وهو ابن يزيد الجعفي وهو ضعيف​

‘এর সনদটি যঈফ জাবেরের কারণে। আর তিনি হলেন ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী। তিনি যঈফ রাবী’।[11] ‘তানযীহুশ শারী‘আহ’ গ্রন্থে তাকে যঈফ বলা হয়েছে।[12]

(৫) ইমাম নাসাঈ (রহিঃ) (মৃ. ৩০৩ হি.) বলেছেন,

جَابر بن يزِيد الْجعْفِيّ مَتْرُوك كُوفِي​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী হলেন মাতরূক, কূফী’।[13]

(৬) ইবনে আবী হাতেম (রহিঃ) (মৃ. ৩২৭ হি.) জাবের আল-জু‘ফী সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশংসা এবং সমালোচনামূলক বাক্য উদ্ধৃত করেছেন।[14] ইবনে হিব্বান তাকে সমালোচিত রাবীদের গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।[15] ইবনে আদী তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, যেখানে কেউ কেউ তাকে মহামিথ্যুক পর্যন্ত বলেছেন।[16]

(৭) হাফেয যাহাবী (রহিঃ) (মৃ. ৭৪৮ হি.) লিখেছেন,تَرَكه الحُفَّاظ ‘হাদীছের হাফেযগণ তাকে বর্জন করেছেন’।[17] তিনি তাকে শী‘আদের বড় আলেম হিসাবেও উল্লেখ করেছেন।[18]

(৮) ইমাম মুগলতাঈ (রহিঃ) (মৃ. ৭৬২ হি.) তাকে যঈফ বলেছেন।[19]

(৯) ইবনে কাছীর (রহিঃ) (মৃ. ৭৭৪ হি.) বলেছেন, ضَعَّفُوهُ ‘মুহাদ্দিছগণ তাকে দুর্বল বলেছেন’।[20]

(১০) যায়নুদ্দীন ইরাকী (রহিঃ) (মৃ. ৮০৬ হি.) বলেছেন, وَجَابِرُ بْنُ يَزِيدَ ضَعِيفٌ جِدًّا ‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ খুবই দুর্বল’।[21]

(১১) হায়ছামী (রহিঃ) (মৃ. ৮০৭ হি.) বলেছেন,

وَفِيهِ جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعفِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَقَدْ وَثَّقَهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ​

‘এতে জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী রয়েছেন। তিনি যঈফ। শু‘বাহ ও সুফিয়ান তাকে ছিক্বাহ বলেছেন’।[22]

(১২) ইমাম বূছীরী (রহিঃ) (মৃ. ৮৪০ হি.) একটি বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেন,

هَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ؟ لِضَعْفِ جَابِرِ بْنِ يَزِيدَ الْجُعْفِيِّ وَفَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ​

‘এই সনদটি জাবের ইবনে ইয়াযীদ জু‘ফী এবং ফারকাদ আস-সাবাখীর জন্য যঈফ’।[23] তিনি মিছবাহুয যুজাজাহ গ্রন্থে একটি রেওয়ায়াত সম্পর্কে বলেন,

هَذَا إِسْنَاد ضَعِيف جَابر هُوَ ابْن يزِيد الْجعْفِيّ مُتَّهم​

‘এই সনদটি যঈফ। জাবের, তিনি হলেন ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী। তাকে মিথ্যার দোষে অভিযুক্ত করা হয়েছে’।[24]

(১৩) ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহিঃ) (মৃ. ৮৫২ হি.) বলেছেন,

وَفِي إِسْنَادِهِ جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعْفِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ​

‘এ সনদে জাবের ইবনে ইয়াযীদ জু‘ফী আছেন। আর তিনি যঈফ’।[25] তিনি অন্যত্র বলেছেন,

جابر ابن يزيد ابن الحارث الجعفي أبو عبد الله الكوفي ضعيف رافضي من الخامسة مات سنة سبع وعشرين ومائة وقيل سنة اثنتين وثلاثين –​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ ইবনুল হারিছ আল-জু‘ফী আবু আব্দুল্লাহ আল-কূফী হলেন যঈফ রাবী। তিনি রাফেযী ছিলেন। পঞ্চম স্তরভুক্ত। তিনি ১২৭ হিজরীতে মারা গিছেন। কেউ বলেছেন, তিনি ১৩২ হিজরীতে মারা গেছেন’।[26]

(১৪) উবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহিঃ) (মৃ. ১৪১৪ হি.) বলেছেন,

وفي سنده جابر بن يزيد الجعفي وهو ضعيف جداً​

‘এই সনদে জাবের ইবনে ইয়াযীদ জু‘ফী আছেন। তিনি খুবই দুর্বল’।[27]

(১৫) শায়েখ আলবানী (রহিঃ) (মৃ. ১৪২০ হি.) বলেছেন,

وجابر هو ابن يزيد الجعفى وهو متروك​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী পরিত্যক্ত রাবী’।[28]

(১১) মুছত্বফা আদাবী (রহিঃ) বলেছেন,

فيه جابر بن يزيد الجعفي وهو كذاب​

‘এতে জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী আছেন। আর তিনি হলেন কাযযাব বা মিথ্যুক’।[29]

(১২) হুসাইন সালিম আসাদ (রহিঃ) এক স্থানে বলেছেন,

إسناده ضعيف لضعف جابر وهو : ابن يزيد الجعفي​

‘এর সনদটি যঈফ জাবেরের দুর্বলতার কারণে। আর তিনি হলেন ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী’।[30]

তার বর্ণিত কয়েকটি হাদীছ :

হাদীছ-১ :

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : مَنْ أَذَّنَ سَبْعَ سِنِينَ مُحْتَسِبًا كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ​

‘যে ব্যক্তি সাত বছর নেকীর আশায় আযান দিবে, তাকে জাহান্নাম হতে মুক্তিনামা লিখে দেওয়া হবে’।[31]

হাদীছ-২ :

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ​

‘যার ইমাম রয়েছে, তার জন্য ইমামের ক্বিরাআতই যথেষ্ট’।[32]

হাদীছ-৩ :

عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ يَزِيدَ الْجُعْفِيِّ، عَنْ ذِي قَرَابَةٍ، لِجُوَيْرِيَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ : لَا تَتَوَضَّأْ بِفَضْلِ وَضُوئِي​

‘নবী করীম (ছাঃ)-এর স্ত্রী জুয়াইরিয়া (রা) বলেছেন, আমার ওযূর অবশিষ্টাংশ দ্বারা ওযূ করবে না’।[33]

উপসংহার :

জাবের জু‘ফী বর্ণিত হাদীছ সাধারণত অগ্রহণযোগ্য। তবে যদি কোনো শাহেদ বা মুতাবা‘আত পাওয়া যায়, তাহলে সেটার উপর ভিত্তি করে গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। নতুবা তার একক বর্ণনা বাতিল হিসাবে গণ্য হবে। যেমনটা উপরের তিনটি বর্ণনার ক্ষেত্রে হয়েছে। যদিও ২ নং হাদীছের পক্ষে কিছু বর্ণনা রয়েছে; কিন্তু বিভিন্ন দোষে দোষী হওয়ার কারণে সেগুলোর দ্বারা জাবেরের ঐ বর্ণনাকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। এ ব্যপারে (ইমামের পিছে ফাতেহা) বিস্তারিত আলোচনা দেখুন আল্লামা আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহিঃ)-এর ‘তাহকীকুল কালাম’, ইরশাদুল হক্ব আসারী রচিত ‘তাওযীহুল কালাম’ এবং যুবায়ের আলী যাঈ (রহিঃ) প্রণীত ‘আল-কাওয়াকিবুদ দুর্রিয়াহ’ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, মক্কার বায়তুল্লাহর মুদাররিস ভারতীয় আলেম ওয়াছিউল্লাহ আব্বাস (রহিঃ) শায়েখ আলবানীর নির্দেশে শায়েখ আব্দুর রহমান মুবারকপুরীর ‘তাহকীকুল কালাম’ গ্রন্থটি উর্দূ হতে আরবীতে অনুবাদ করেছেন। এতে মুহতারাম অনুবাদক একটি চমৎকার ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ টীকা সংযোজন করেছেন। এ ছাড়াও তাওযীহুল কালাম ও আল-কাওয়াকিবুদ দুর্রিয়া গ্রন্থদ্বয় বাংলায় অনূদিত হয়েছে। তন্মধ্যে আল-কাওয়াকিবুদ দুর্রিয়া গ্রন্থটি নিবরাস প্রকাশনী হতে প্রকাশিতব্য।



[১] ইমাম বুখারী, আত-তারীখুল কাবীর, রাবী নং ২২২৩।
[2]. প্রাগুক্ত।
[3]. প্রাগুক্ত।
[4]. মুসলিম, আল-কুনা ওয়াল আসমা, রাবী নং ২৯১৮; আল-কামিল ফী যু‘আফাইর রিজাল, রাবী নং ৩২৬।
[5]. ইবনু হিব্বান, আল-মাজরূহীন, রাবী নং ১৭৩; ইবনুল জাওযী, আয-যু‘আফা ওয়াল মাতরূকূন, রাবী নং ৬৩০; আল-কাশিফ, রাবী নং ৭৩৯।
[6]. আল-মাজরূহীন, রাবী নং ১৭৩।
[7]. তিরমিযী, আল-ই‘লালুল কাবীর, পৃঃ ৩৮৮।
[8]. আয-যু‘আফাউছ ছাগীর, রাবী নং ৫০।
[9]. আল-কুনা ওয়াল আসমা, রাবী নং ২৯১৮।
[10]. তিরমিযী, হা/২০৬।
[11]. আস-সুন্নাহ, হা/১০০।
[12]. তানযীহুশ শারী‘আহ, ২/৩৮৩।
[13]. আয-যু‘আফাউল মাতরূকীন, রাবী নং ৯৮।
[14]. আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, রাবী নং ২০৪৩।
[15]. আল-মাজরূহীন, রাবী নং ১৭৩।
[16]. আল-কামিল, রাবী নং ৩২৬।
[17]. আল-কাশিফ, রাবী নং ৭৩৯।
[18]. প্রাগুক্ত।
[19]. শরহে ইবনে মাজাহ, পৃঃ ১৫৩৪।
[20]. ইবনে কাছীর, ৩/৪৭।
[21]. তরহুত তাসরীব, ২/৩৪০।
[22]. মাজমাঊয যাওয়ায়েদ, হা/১৭৪২।
[23]. ইতহাফুল খায়রাতিল মাহরাহ, হা/৪৭৭৩।
[24]. মিছবাহুয যুজাজাহ, হা/৩১৩।
[25]. আল-ক্বওলুল মুসাদ্দাদ, পৃঃ ৩৪।
[26]. আত-তাক্বরীব, রাবী নং ৮৭৮।
[27]. মিরআতুল মাফাতীহ, ২/৩৭১।
[28]. আল-ইরওয়া, হা/১১৪৯।
[29]. আল-মুনতাখাব মিন মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ, হা/১০৪৮ -এর টীকা দ্রষ্টব্য।
[30]. দারেমী, হা/৩১০৬।
[31]. তিরমিযী, হা/২০৬; সিলসিলা যঈফাহ, হা/৮৫০।
[32]. ইবনু মাজাহ, হা/৮৫০।
[33]. মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/৩৭৭।
 
Last edited:
COMMENTS ARE BELOW

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
Threads
782
Comments
920
Reactions
8,673
Credits
4,102
জাবের আল-জু‘ফী (রহিঃ)
ভূমিকা :

যে সকল সমালোচিত রাবী প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে ‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী’ অন্যতম। তার বর্ণিত একাধিক বর্ণনা হাদীছের গ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়েছে। আমাদের ধারাবাহিক আলোচনার প্রেক্ষিতে আজকে আমরা জাবের ইবনে জু‘ফীকে বাছাই করেছি। আসুন, তার সম্পর্কে যৎসামান্য তথ্য রিজাল শাস্ত্র হতে অধ্যয়ন করি।

নাম : জাবের।[1]

পিতার নাম : ইয়াযীদ।[2]

উপাধী : আল-জু‘ফী, আল-কূফী।[3]

উপনাম : আবু মুহাম্মাদ, আবু ইয়াযীদ, আবু আব্দুল্লাহ।[4]

তার কিছু উস্তাদের নাম : আতা, শা‘বী, কাসেম, আবুত তুফাইল (রহিঃ) প্রমুখ। [5]

ছাত্রগণ : সুফিয়ান ছাওরী, সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা, শু‘বা ড় প্রমুখ।[6]


ইমামদের মন্তব্য :


(১) ইমাম আবু হানীফা (রহিঃ) (মৃ. ১৫০ হি.) বলেছেন,

مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَفْضَلَ مِنْ عَطَاءٍ، وَلَا أَكْذَبَ مِنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيّ​

‘আমি আতার চেয়ে উত্তম কাউকে দেখিনি এবং জাবের জু‘ফীর চেয়ে মিথ্যুক কাউকে দেখিনি’।[7]

(২) ইমাম বুখারী (রহিঃ) (মৃ. ২৫৬ হি.) লিখেছেন,

جابر بن يزيد الجعفي : تركه يحيى بن سعيد، وعبد الرحمن بن مهدي، قال أبو نعيم : مات سنة ثمان وعشرين ومائة : يروي عن القاسم، وعطاء، والشعبي قال علي : أراه “أبو يزيد”، قال بندار : سمعت يحيى بن سعيد يقول : تركنا جابرا قبل أن يقدم علينا الثوري​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ এবং আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী তাকে বর্জন করেছেন। আবু নু‘আঈম বলেছেন, তিনি ১২৮ হিজরীতে মারা গেছেন। তিনি ক্বাসেম, আতা, শা‘বী হতে বর্ণনা করেছেন। আবু সাঈদ হাদ্দাদ বলেছেন, আলী বলেছেন, আমি তাকে মনে করি যে, তিনি হলেন আবু ইয়াযীদ। বুনদার বলেছেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ছাওরী আসার পূর্বে আমরা জাবেরকে পরিত্যাগ করেছিলাম’।[8]

(৩) ইমাম মুসলিম (রহিঃ) (মৃ. ২৬১ হি.) বলেছেন,

‘আবু মুহাম্মাদ এবং তাকে আবু যায়েদও বলা হয়, জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী হলেন মাতরূকুল হাদীছ। তিনি ক্বাসেম, আতা ও মুহাম্মাদ ইবনে আলী হতে বর্ণনা করেছেন’।[9]

(৪) ইমাম তিরমিযী (রহিঃ) (মৃ. ২৭৯ হি.) বলেছেন,

وَجَابِرُ بْنُ يَزِيدَ الجُعْفِيُّ ضَعَّفُوهُ، تَرَكَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ​

‘মুহাদ্দিছগণ তাকে যঈফ বলেছেন। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ ও আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী তাকে বর্জন করেছেন’।[10]

(১৩) ইবনে আবী আসেম (রহিঃ) (মৃ. ২৮৭ হি.) লিখেছেন,

وإسناده ضعيف من أجل جابر وهو ابن يزيد الجعفي وهو ضعيف​

‘এর সনদটি যঈফ জাবেরের কারণে। আর তিনি হলেন ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী। তিনি যঈফ রাবী’।[11] ‘তানযীহুশ শারী‘আহ’ গ্রন্থে তাকে যঈফ বলা হয়েছে।[12]

(৫) ইমাম নাসাঈ (রহিঃ) (মৃ. ৩০৩ হি.) বলেছেন,

جَابر بن يزِيد الْجعْفِيّ مَتْرُوك كُوفِي​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী হলেন মাতরূক, কূফী’।[13]

(৬) ইবনে আবী হাতেম (রহিঃ) (মৃ. ৩২৭ হি.) জাবের আল-জু‘ফী সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশংসা এবং সমালোচনামূলক বাক্য উদ্ধৃত করেছেন।[14] ইবনে হিব্বান তাকে সমালোচিত রাবীদের গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।[15] ইবনে আদী তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, যেখানে কেউ কেউ তাকে মহামিথ্যুক পর্যন্ত বলেছেন।[16]

(৭) হাফেয যাহাবী (রহিঃ) (মৃ. ৭৪৮ হি.) লিখেছেন,تَرَكه الحُفَّاظ ‘হাদীছের হাফেযগণ তাকে বর্জন করেছেন’।[17] তিনি তাকে শী‘আদের বড় আলেম হিসাবেও উল্লেখ করেছেন।[18]

(৮) ইমাম মুগলতাঈ (রহিঃ) (মৃ. ৭৬২ হি.) তাকে যঈফ বলেছেন।[19]

(৯) ইবনে কাছীর (রহিঃ) (মৃ. ৭৭৪ হি.) বলেছেন, ضَعَّفُوهُ ‘মুহাদ্দিছগণ তাকে দুর্বল বলেছেন’।[20]

(১০) যায়নুদ্দীন ইরাকী (রহিঃ) (মৃ. ৮০৬ হি.) বলেছেন, وَجَابِرُ بْنُ يَزِيدَ ضَعِيفٌ جِدًّا ‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ খুবই দুর্বল’।[21]

(১১) হায়ছামী (রহিঃ) (মৃ. ৮০৭ হি.) বলেছেন,

وَفِيهِ جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعفِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَقَدْ وَثَّقَهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ​

‘এতে জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী রয়েছেন। তিনি যঈফ। শু‘বাহ ও সুফিয়ান তাকে ছিক্বাহ বলেছেন’।[22]

(১২) ইমাম বূছীরী (রহিঃ) (মৃ. ৮৪০ হি.) একটি বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেন,

هَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ؟ لِضَعْفِ جَابِرِ بْنِ يَزِيدَ الْجُعْفِيِّ وَفَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ​

‘এই সনদটি জাবের ইবনে ইয়াযীদ জু‘ফী এবং ফারকাদ আস-সাবাখীর জন্য যঈফ’।[23] তিনি মিছবাহুয যুজাজাহ গ্রন্থে একটি রেওয়ায়াত সম্পর্কে বলেন,

هَذَا إِسْنَاد ضَعِيف جَابر هُوَ ابْن يزِيد الْجعْفِيّ مُتَّهم​

‘এই সনদটি যঈফ। জাবের, তিনি হলেন ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী। তাকে মিথ্যার দোষে অভিযুক্ত করা হয়েছে’।[24]

(১৩) ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহিঃ) (মৃ. ৮৫২ হি.) বলেছেন,

وَفِي إِسْنَادِهِ جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعْفِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ​

‘এ সনদে জাবের ইবনে ইয়াযীদ জু‘ফী আছেন। আর তিনি যঈফ’।[25] তিনি অন্যত্র বলেছেন,

جابر ابن يزيد ابن الحارث الجعفي أبو عبد الله الكوفي ضعيف رافضي من الخامسة مات سنة سبع وعشرين ومائة وقيل سنة اثنتين وثلاثين –​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ ইবনুল হারিছ আল-জু‘ফী আবু আব্দুল্লাহ আল-কূফী হলেন যঈফ রাবী। তিনি রাফেযী ছিলেন। পঞ্চম স্তরভুক্ত। তিনি ১২৭ হিজরীতে মারা গিছেন। কেউ বলেছেন, তিনি ১৩২ হিজরীতে মারা গেছেন’।[26]

(১৪) উবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহিঃ) (মৃ. ১৪১৪ হি.) বলেছেন,

وفي سنده جابر بن يزيد الجعفي وهو ضعيف جداً​

‘এই সনদে জাবের ইবনে ইয়াযীদ জু‘ফী আছেন। তিনি খুবই দুর্বল’।[27]

(১৫) শায়েখ আলবানী (রহিঃ) (মৃ. ১৪২০ হি.) বলেছেন,

وجابر هو ابن يزيد الجعفى وهو متروك​

‘জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী পরিত্যক্ত রাবী’।[28]

(১১) মুছত্বফা আদাবী (রহিঃ) বলেছেন,

فيه جابر بن يزيد الجعفي وهو كذاب​

‘এতে জাবের ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী আছেন। আর তিনি হলেন কাযযাব বা মিথ্যুক’।[29]

(১২) হুসাইন সালিম আসাদ (রহিঃ) এক স্থানে বলেছেন,

إسناده ضعيف لضعف جابر وهو : ابن يزيد الجعفي​

‘এর সনদটি যঈফ জাবেরের দুর্বলতার কারণে। আর তিনি হলেন ইবনে ইয়াযীদ আল-জু‘ফী’।[30]

তার বর্ণিত কয়েকটি হাদীছ :



حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : مَنْ أَذَّنَ سَبْعَ سِنِينَ مُحْتَسِبًا كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ​

‘যে ব্যক্তি সাত বছর নেকীর আশায় আযান দিবে, তাকে জাহান্নাম হতে মুক্তিনামা লিখে দেওয়া হবে’।[31]



حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ​

‘যার ইমাম রয়েছে, তার জন্য ইমামের ক্বিরাআতই যথেষ্ট’।[32]



عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ يَزِيدَ الْجُعْفِيِّ، عَنْ ذِي قَرَابَةٍ، لِجُوَيْرِيَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ : لَا تَتَوَضَّأْ بِفَضْلِ وَضُوئِي​

‘নবী করীম (ছাঃ)-এর স্ত্রী জুয়াইরিয়া (রা) বলেছেন, আমার ওযূর অবশিষ্টাংশ দ্বারা ওযূ করবে না’।[33]

উপসংহার :

জাবের জু‘ফী বর্ণিত হাদীছ সাধারণত অগ্রহণযোগ্য। তবে যদি কোনো শাহেদ বা মুতাবা‘আত পাওয়া যায়, তাহলে সেটার উপর ভিত্তি করে গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। নতুবা তার একক বর্ণনা বাতিল হিসাবে গণ্য হবে। যেমনটা উপরের তিনটি বর্ণনার ক্ষেত্রে হয়েছে। যদিও ২ নং হাদীছের পক্ষে কিছু বর্ণনা রয়েছে; কিন্তু বিভিন্ন দোষে দোষী হওয়ার কারণে সেগুলোর দ্বারা জাবেরের ঐ বর্ণনাকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। এ ব্যপারে (ইমামের পিছে ফাতেহা) বিস্তারিত আলোচনা দেখুন আল্লামা আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহিঃ)-এর ‘তাহকীকুল কালাম’, ইরশাদুল হক্ব আসারী রচিত ‘তাওযীহুল কালাম’ এবং যুবায়ের আলী যাঈ (রহিঃ) প্রণীত ‘আল-কাওয়াকিবুদ দুর্রিয়াহ’ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, মক্কার বায়তুল্লাহর মুদাররিস ভারতীয় আলেম ওয়াছিউল্লাহ আব্বাস (রহিঃ) শায়েখ আলবানীর নির্দেশে শায়েখ আব্দুর রহমান মুবারকপুরীর ‘তাহকীকুল কালাম’ গ্রন্থটি উর্দূ হতে আরবীতে অনুবাদ করেছেন। এতে মুহতারাম অনুবাদক একটি চমৎকার ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ টীকা সংযোজন করেছেন। এ ছাড়াও তাওযীহুল কালাম ও আল-কাওয়াকিবুদ দুর্রিয়া গ্রন্থদ্বয় বাংলায় অনূদিত হয়েছে। তন্মধ্যে আল-কাওয়াকিবুদ দুর্রিয়া গ্রন্থটি নিবরাস প্রকাশনী হতে প্রকাশিতব্য।



[১] ইমাম বুখারী, আত-তারীখুল কাবীর, রাবী নং ২২২৩।
[2]. প্রাগুক্ত।
[3]. প্রাগুক্ত।
[4]. মুসলিম, আল-কুনা ওয়াল আসমা, রাবী নং ২৯১৮; আল-কামিল ফী যু‘আফাইর রিজাল, রাবী নং ৩২৬।
[5]. ইবনু হিব্বান, আল-মাজরূহীন, রাবী নং ১৭৩; ইবনুল জাওযী, আয-যু‘আফা ওয়াল মাতরূকূন, রাবী নং ৬৩০; আল-কাশিফ, রাবী নং ৭৩৯।
[6]. আল-মাজরূহীন, রাবী নং ১৭৩।
[7]. তিরমিযী, আল-ই‘লালুল কাবীর, পৃঃ ৩৮৮।
[8]. আয-যু‘আফাউছ ছাগীর, রাবী নং ৫০।
[9]. আল-কুনা ওয়াল আসমা, রাবী নং ২৯১৮।
[10]. তিরমিযী, হা/২০৬।
[11]. আস-সুন্নাহ, হা/১০০।
[12]. তানযীহুশ শারী‘আহ, ২/৩৮৩।
[13]. আয-যু‘আফাউল মাতরূকীন, রাবী নং ৯৮।
[14]. আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, রাবী নং ২০৪৩।
[15]. আল-মাজরূহীন, রাবী নং ১৭৩।
[16]. আল-কামিল, রাবী নং ৩২৬।
[17]. আল-কাশিফ, রাবী নং ৭৩৯।
[18]. প্রাগুক্ত।
[19]. শরহে ইবনে মাজাহ, পৃঃ ১৫৩৪।
[20]. ইবনে কাছীর, ৩/৪৭।
[21]. তরহুত তাসরীব, ২/৩৪০।
[22]. মাজমাঊয যাওয়ায়েদ, হা/১৭৪২।
[23]. ইতহাফুল খায়রাতিল মাহরাহ, হা/৪৭৭৩।
[24]. মিছবাহুয যুজাজাহ, হা/৩১৩।
[25]. আল-ক্বওলুল মুসাদ্দাদ, পৃঃ ৩৪।
[26]. আত-তাক্বরীব, রাবী নং ৮৭৮।
[27]. মিরআতুল মাফাতীহ, ২/৩৭১।
[28]. আল-ইরওয়া, হা/১১৪৯।
[29]. আল-মুনতাখাব মিন মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ, হা/১০৪৮ -এর টীকা দ্রষ্টব্য।
[30]. দারেমী, হা/৩১০৬।
[31]. তিরমিযী, হা/২০৬; সিলসিলা যঈফাহ, হা/৮৫০।
[32]. ইবনু মাজাহ, হা/৮৫০।
[33]. মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/৩৭৭।
জাযাকাল্লাহু খাইরান💗
আরো পর্ব পাবো আশা করি।
 
Top