বিতর নামাযে কুনূত পড়া সুন্নত, ওয়াজেব নয়। কারণ, যে সকল সাহাবাবৃন্দ বিতর নামাযের হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাঁরা তাতে কুনূতের কথা উল্লেখ করেননি। বলা বাহুল্য, যদি মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তা প্রত্যহ করতেন, তাহলে তাঁরা সকলেই সে কথা বর্ণনা করতেন। তবে হ্যাঁ, একা উবাই বিন কা’ব বর্ণনা করেছেন যে, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বিতরে কুনূত পড়তেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, তিনি কখনো কখনো তা পড়তেন। আর এ থেকেই প্রমাণ হয় যে, তা ওয়াজেব নয়।[1] যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর কেবলমাত্র সে কাজ করা, তা ওয়াজেব হওয়ার দলীল হতে পারে না। যেমন হাসান (রাঃ)-কে তাঁর সে দুআ শিক্ষা দেওয়াও, তা ওয়াজেব হওয়ার দলীল নয়।
সুতরাং উত্তম হল প্রত্যহ (প্রত্যেক রাত্রে) বিতরে কুনূত না পড়া।[2] আর ইমাম সাহেবেরও উচিৎ, কখনো কখনো তা বর্জন করা। যাতে সাধারণ লোক বিতরে কুনূত পড়াকে ওয়াজেব মনে করে না বসে।
সুতরাং উত্তম হল প্রত্যহ (প্রত্যেক রাত্রে) বিতরে কুনূত না পড়া।[2] আর ইমাম সাহেবেরও উচিৎ, কখনো কখনো তা বর্জন করা। যাতে সাধারণ লোক বিতরে কুনূত পড়াকে ওয়াজেব মনে করে না বসে।
[1] (সিফাতু স্বলাতিন নাবী, আলবানী ১৭৯পৃঃ টীকা নং ৭)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/২৭)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী