১. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে ধর্মের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন। (তিরমিজি, হা. ২৬৪৫; ইবনে মাজাহ, হা. ২২০; সহীহ)
২. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক জ্ঞানের খোঁজে কোন পথে চলবে, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের পথ সহজ করে দিবেন। (তিরমিজি, হা. ২৬৪৬; ইবনে মাজাহ, হা. ২২৩; সহীহ)
৩. আবূ উমামাহ্ আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দু’জন লোকের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আলোচনা করা হল। তাদের একজন আবিদ (সাধক) এবং অন্যজন ‘আলিম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সাধারণ ব্যক্তির উপর আমার যতখানি মর্যাদা, ঠিক তেমনি একজন ‘আলিমের মর্যাদা একজন ‘আবিদের উপর। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্, তাঁর ফেরেশতাগণ এবং আসমান-যামীনের অধিবাসীরা, এমনকি গর্তের পিঁপড়া এবং পানির মাছ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য দু’আ করে যে মানুষকে কল্যাণকর জ্ঞান শিক্ষা দেয়। (তিরমিজি, হা. ২৬৮৬; মিশকাত, হা. ২১৩; সহীহ)
৪. কাইস ইবনু কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মাদীনা হতে দামিশকে (অবস্থানরত) আবু দারদা (রাঃ)-এর নিকট এলো। তিনি প্রশ্ন করলেন, ভাই! তুমি কি প্রয়োজনে এসেছো? সে বলল, একটি হাদীসের জন্য এসেছি। আমি জানতে পারলাম যে, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সেই হাদীস বর্ণনা করছেন। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন, তুমি অন্য কোন প্রয়োজনে আসনি? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসনি? সে বলল, না; সে আরো বলল, আমি শুধুমাত্র সেই হাদীসটির খোঁজেই এসেছি। এবার তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ‘ইল্ম লাভের উদ্দেশ্যে যে লোক পথ চলে আল্লাহ তা‘আলা এর মাধ্যমে তাকে জান্নাতের পথে পৌঁছে দেন এবং ফেরেশতাগণ ইল্ম অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। অতঃপর আসমান-যমীনের সকল প্রাণী (আল্লাহ তা‘আলার নিকট) আলিমদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানির জগতের মাছসমূহও। সমস্ত নক্ষত্ররাজির উপর পূর্ণিমার চাঁদের যে প্রাধান্য, ঠিক তেমনি (মূর্খ) ‘আবিদগণের উপর আলিমদের মর্যাদা বিদ্যমান। অবশ্যই আলিমগণ নাবীদের ওয়ারিস। আর নাবীগণ উত্তরাধিকার হিসেবে কোন দীনার বা দিরহাম রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গেছেন মীরাস হিসেবে ‘ইল্ম। সুতরাং যে ব্যক্তি ইল্ম লাভ করেছে, সে পূর্ণ অংশ লাভ করেছে।(তিরমিজি, হা. ২৬৮২; ইবনে মাজাহ, হা. ২২৩)
৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের পার্থিব বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করলো, আল্লাহ্ কিয়ামাতের দিন তার পারলৌকিক বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করবেন। কোন ব্যক্তি অপর মুসলিমের দোষ গোপন রাখলে, আল্লাহ্ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কষ্ট-কাঠিন্য সহজ করে দেয়, আল্লাহ্ দুনিয়া ও আখিরাতে তার কষ্ট সহজ করে দিবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য-সহযোগিতায় রত থাকে, আল্লাহ্ ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তায় রত থাকেন। কোন ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোন পথ অবলম্বন করলে, আল্লাহ্ এই উসীলায় তার জন্য জান্নাতের একটি পথ সুগম করে দেন। যখন কোন লোকসমষ্টি আল্লাহ্র ঘরসমূহের মধ্যকার কোন ঘরে সমবেত হয়ে আল্লাহ্র কিতাব তিলাওয়াত করে এবং পরস্পর তা শিক্ষা করে, তখন মালায়িকাহ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়, দয়া ও অনুগ্রহ তাদের আবৃত করে নেয় এবং আল্লাহ্ তাঁর নিকটে অবস্থানকারীদের (মালায়িকাহ্র) সাথে তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন। (পৃথিবীতে) যার সৎকর্ম কম হবে (আখিরাতে) তার বংশমর্যাদা কোন উপকারে আসবে না।(আবু দাউদ, হা. ১৪৫৫; ইবনে মাজাহ, হা. ২২৫)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে ধর্মের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন। (তিরমিজি, হা. ২৬৪৫; ইবনে মাজাহ, হা. ২২০; সহীহ)
২. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক জ্ঞানের খোঁজে কোন পথে চলবে, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের পথ সহজ করে দিবেন। (তিরমিজি, হা. ২৬৪৬; ইবনে মাজাহ, হা. ২২৩; সহীহ)
৩. আবূ উমামাহ্ আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দু’জন লোকের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আলোচনা করা হল। তাদের একজন আবিদ (সাধক) এবং অন্যজন ‘আলিম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সাধারণ ব্যক্তির উপর আমার যতখানি মর্যাদা, ঠিক তেমনি একজন ‘আলিমের মর্যাদা একজন ‘আবিদের উপর। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্, তাঁর ফেরেশতাগণ এবং আসমান-যামীনের অধিবাসীরা, এমনকি গর্তের পিঁপড়া এবং পানির মাছ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য দু’আ করে যে মানুষকে কল্যাণকর জ্ঞান শিক্ষা দেয়। (তিরমিজি, হা. ২৬৮৬; মিশকাত, হা. ২১৩; সহীহ)
৪. কাইস ইবনু কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মাদীনা হতে দামিশকে (অবস্থানরত) আবু দারদা (রাঃ)-এর নিকট এলো। তিনি প্রশ্ন করলেন, ভাই! তুমি কি প্রয়োজনে এসেছো? সে বলল, একটি হাদীসের জন্য এসেছি। আমি জানতে পারলাম যে, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সেই হাদীস বর্ণনা করছেন। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন, তুমি অন্য কোন প্রয়োজনে আসনি? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসনি? সে বলল, না; সে আরো বলল, আমি শুধুমাত্র সেই হাদীসটির খোঁজেই এসেছি। এবার তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ‘ইল্ম লাভের উদ্দেশ্যে যে লোক পথ চলে আল্লাহ তা‘আলা এর মাধ্যমে তাকে জান্নাতের পথে পৌঁছে দেন এবং ফেরেশতাগণ ইল্ম অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। অতঃপর আসমান-যমীনের সকল প্রাণী (আল্লাহ তা‘আলার নিকট) আলিমদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানির জগতের মাছসমূহও। সমস্ত নক্ষত্ররাজির উপর পূর্ণিমার চাঁদের যে প্রাধান্য, ঠিক তেমনি (মূর্খ) ‘আবিদগণের উপর আলিমদের মর্যাদা বিদ্যমান। অবশ্যই আলিমগণ নাবীদের ওয়ারিস। আর নাবীগণ উত্তরাধিকার হিসেবে কোন দীনার বা দিরহাম রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গেছেন মীরাস হিসেবে ‘ইল্ম। সুতরাং যে ব্যক্তি ইল্ম লাভ করেছে, সে পূর্ণ অংশ লাভ করেছে।(তিরমিজি, হা. ২৬৮২; ইবনে মাজাহ, হা. ২২৩)
৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের পার্থিব বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করলো, আল্লাহ্ কিয়ামাতের দিন তার পারলৌকিক বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করবেন। কোন ব্যক্তি অপর মুসলিমের দোষ গোপন রাখলে, আল্লাহ্ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কষ্ট-কাঠিন্য সহজ করে দেয়, আল্লাহ্ দুনিয়া ও আখিরাতে তার কষ্ট সহজ করে দিবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য-সহযোগিতায় রত থাকে, আল্লাহ্ ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তায় রত থাকেন। কোন ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোন পথ অবলম্বন করলে, আল্লাহ্ এই উসীলায় তার জন্য জান্নাতের একটি পথ সুগম করে দেন। যখন কোন লোকসমষ্টি আল্লাহ্র ঘরসমূহের মধ্যকার কোন ঘরে সমবেত হয়ে আল্লাহ্র কিতাব তিলাওয়াত করে এবং পরস্পর তা শিক্ষা করে, তখন মালায়িকাহ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়, দয়া ও অনুগ্রহ তাদের আবৃত করে নেয় এবং আল্লাহ্ তাঁর নিকটে অবস্থানকারীদের (মালায়িকাহ্র) সাথে তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন। (পৃথিবীতে) যার সৎকর্ম কম হবে (আখিরাতে) তার বংশমর্যাদা কোন উপকারে আসবে না।(আবু দাউদ, হা. ১৪৫৫; ইবনে মাজাহ, হা. ২২৫)
Last edited: