সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

মোটিভেশন ত্বলিবুল ইলম বা দ্বীন শিক্ষার্থীদের জন্য উপদেশ

A

Anonymous User

Guest

শায়খ সালিহ আল-লুহাইদান رحمه الله বলেন,

"দ্বীন শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার উপদেশঃ

(১) তোমরা শুধুমাত্র আল্লাহ তাআ'লাকে রাজি-খুশি করার উদ্দেশ্যে দ্বীন শিক্ষা কর এবং,

(২) তোমরা অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী আমল করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা কর এবং,

(৩) যাদের দ্বীনের জ্ঞান নাই তাদের প্রতি তোমরা বিনয়ী হও।

(৪) তোমরা তোমাদের উস্তাদ বা শিক্ষক যাদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করছো, তাদের প্রতি তোমাদের আচার-ব্যবহারকে সুন্দর কর। তোমরা তাদেরকে সম্মান কর, তারা তোমাদেরকে দ্বীনের জ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছে এ কারণে তাদেরকে মর্যাদা দিও।

(৫) যদি কোন জাহেল (দ্বীনের জ্ঞান নাই এমন ব্যক্তির) সাথে তোমাদের সাক্ষাত হয়, তাহলে তার চেয়ে তোমার জ্ঞান বেশি হওয়ার কারণে নিজেকে নিয়ে আত্মতৃপ্তি বোধ কর না। কেননা আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তাকে তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বানাতেন। তুমি যদি কোন ব্যক্তিকে দেখ যে এমন কোন নিয়ামত থেকে বঞ্চিত যা তুমি উপভোগ করছো, তাহলে সেই নিয়ামতের জন্য তুমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর।

(৬) দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত যারা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ এমন লোকদেরকে দ্বীন শিখানোর কাজে উৎসাহী এবং উদ্যমী হওয়া।

(৭) যে ব্যক্তিকে দেখে তোমার মনে হয় যে তাকে উপদেশ দেওয়া উচিত, যথাসম্ভব তাকে উপদেশ দাও যাতে করে সে দ্বীন শিখতে পারে। দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত এই কাজকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটা মাধ্যম বলে মনে করা।

(৮) আমি তোমাদেরকে আরও উপদেশ দিচ্ছি, দ্বীন শিক্ষার্থীরা যেন (ইসলামী) শরীআ'তের জ্ঞান অর্জনে নিজেকে উৎসর্গ করে। শরীআ'তের যাবতীয় জ্ঞানের মাঝে সবচেয়ে উত্তম জ্ঞান হচ্ছে, আল্লাহর কালাম (অর্থাৎ ক্বুরআনের জ্ঞান) এবং তার উদ্দেশ্য জানা, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর কালাম (অর্থাৎ হাদীস বা সুন্নাহর জ্ঞান) এবং তার উদ্দেশ্য জানা। এমনিভাবে তাদের যাবতীয় ইবাদতের হুকুম (বিধান বা নিয়ম-নীতি) সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা উচিত।

(৯) এই সমস্ত কিছুর পূর্বে দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। কেননা এই তাওহীদ হচ্ছে বান্দার উপর আল্লাহর হক্ক বা অধিকার।

(১০) সমস্ত দ্বীন শিক্ষার্থীদেরকে আমি উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা শায়খুল ইসলাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহি'মাহুল্লাহ রচিত "কিতাব আত-তাওহীদ" গ্রন্থটি বারবার অধ্যায়ন কর। এই গ্রন্থের ব্যাখ্যা "ফাতহুল মাজীদ" বা এমন অন্য ব্যাখাগ্রন্থ বেশি বেশি করে পড়। তোমরা কখনো এই কথা বলো না, "আমি কিতাব আত-তাওহীদ পড়ে শেষ করেছি"।

তোমাদের জন্য এই কিতাব অনেক বেশি পরিমাণে পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এই কিতাবে শুধুমাত্র আল্লাহর কিতাব (অর্থাৎ ক্বুরআনের) আয়াত রয়েছে, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর হাদীস রয়েছে, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর সাহাবাদের কোন ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ রয়েছে (আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হন) অথবা আইম্মায়ে সালাফ (অর্থাৎ পূর্ববর্তী সৎকর্মশীল ইমামদের) বাণী রয়েছে, যারা দ্বীন (ইসলামের) বিজয়ের জন্য, আল্লাহর কিতাব এবং আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর হাদীসের সঠিক অর্থ জানার জন্য কঠোর চেষ্টা ও মেহনত করেছেন।"


Advice to the Student of Knowledge | Shaykh Saleh al Luhaydaan رحمه الله
 
Last edited by a moderator:
COMMENTS ARE BELOW

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
790
Comments
928
Reactions
8,747
Credits
4,132
শায়খ সালিহ আল-লুহাইদান رحمه الله বলেন,

"দ্বীন শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার উপদেশঃ

(১) তোমরা শুধুমাত্র আল্লাহ তাআ'লাকে রাজি-খুশি করার উদ্দেশ্যে দ্বীন শিক্ষা কর এবং,

(২) তোমরা অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী আমল করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা কর এবং,

(৩) যাদের দ্বীনের জ্ঞান নাই তাদের প্রতি তোমরা বিনয়ী হও।

(৪) তোমরা তোমাদের উস্তাদ বা শিক্ষক যাদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করছো, তাদের প্রতি তোমাদের আচার-ব্যবহারকে সুন্দর কর। তোমরা তাদেরকে সম্মান কর, তারা তোমাদেরকে দ্বীনের জ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছে এ কারণে তাদেরকে মর্যাদা দিও।

(৫) যদি কোন জাহেল (দ্বীনের জ্ঞান নাই এমন ব্যক্তির) সাথে তোমাদের সাক্ষাত হয়, তাহলে তার চেয়ে তোমার জ্ঞান বেশি হওয়ার কারণে নিজেকে নিয়ে আত্মতৃপ্তি বোধ কর না। কেননা আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তাকে তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বানাতেন। তুমি যদি কোন ব্যক্তিকে দেখ যে এমন কোন নিয়ামত থেকে বঞ্চিত যা তুমি উপভোগ করছো, তাহলে সেই নিয়ামতের জন্য তুমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর।

(৬) দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত যারা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ এমন লোকদেরকে দ্বীন শিখানোর কাজে উৎসাহী এবং উদ্যমী হওয়া।

(৭) যে ব্যক্তিকে দেখে তোমার মনে হয় যে তাকে উপদেশ দেওয়া উচিত, যথাসম্ভব তাকে উপদেশ দাও যাতে করে সে দ্বীন শিখতে পারে। দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত এই কাজকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটা মাধ্যম বলে মনে করা।

(৮) আমি তোমাদেরকে আরও উপদেশ দিচ্ছি, দ্বীন শিক্ষার্থীরা যেন (ইসলামী) শরীআ'তের জ্ঞান অর্জনে নিজেকে উৎসর্গ করে। শরীআ'তের যাবতীয় জ্ঞানের মাঝে সবচেয়ে উত্তম জ্ঞান হচ্ছে, আল্লাহর কালাম (অর্থাৎ ক্বুরআনের জ্ঞান) এবং তার উদ্দেশ্য জানা, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর কালাম (অর্থাৎ হাদীস বা সুন্নাহর জ্ঞান) এবং তার উদ্দেশ্য জানা। এমনিভাবে তাদের যাবতীয় ইবাদতের হুকুম (বিধান বা নিয়ম-নীতি) সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা উচিত।

(৯) এই সমস্ত কিছুর পূর্বে দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। কেননা এই তাওহীদ হচ্ছে বান্দার উপর আল্লাহর হক্ক বা অধিকার।

(১০) সমস্ত দ্বীন শিক্ষার্থীদেরকে আমি উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা শায়খুল ইসলাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহি'মাহুল্লাহ রচিত "কিতাব আত-তাওহীদ" গ্রন্থটি বারবার অধ্যায়ন কর। এই গ্রন্থের ব্যাখ্যা "ফাতহুল মাজীদ" বা এমন অন্য ব্যাখাগ্রন্থ বেশি বেশি করে পড়। তোমরা কখনো এই কথা বলো না, "আমি কিতাব আত-তাওহীদ পড়ে শেষ করেছি"।

তোমাদের জন্য এই কিতাব অনেক বেশি পরিমাণে পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এই কিতাবে শুধুমাত্র আল্লাহর কিতাব (অর্থাৎ ক্বুরআনের) আয়াত রয়েছে, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর হাদীস রয়েছে, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর সাহাবাদের কোন ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ রয়েছে (আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হন) অথবা আইম্মায়ে সালাফ (অর্থাৎ পূর্ববর্তী সৎকর্মশীল ইমামদের) বাণী রয়েছে, যারা দ্বীন (ইসলামের) বিজয়ের জন্য, আল্লাহর কিতাব এবং আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর হাদীসের সঠিক অর্থ জানার জন্য কঠোর চেষ্টা ও মেহনত করেছেন।"
এত সুন্দর নসীহা মূলক পোস্টের সোর্সটা উল্লেখ করলে ভালো হতো। ধন্যবাদ
 
A

Anonymous User

Guest

এত সুন্দর নসীহা মূলক পোস্টের সোর্সটা উল্লেখ করলে ভালো হতো। ধন্যবাদ
শুকরিয়া ভাই। তবে যেখান থেকে সংগ্রহ করেছি সেখানে সংগ্রহীত বলা ছিল কেবল। তাই দিতে সক্ষম হইনি। শায়েখ এর লেকচার এর সোর্স পেলে দিয়ে দিব ইন শা আল্লাহ। বারাকাল্লাহু ফিক।
 

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
790
Comments
928
Reactions
8,747
Credits
4,132
শায়খ সালিহ আল-লুহাইদান رحمه الله বলেন,

"দ্বীন শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার উপদেশঃ

(১) তোমরা শুধুমাত্র আল্লাহ তাআ'লাকে রাজি-খুশি করার উদ্দেশ্যে দ্বীন শিক্ষা কর এবং,

(২) তোমরা অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী আমল করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা কর এবং,

(৩) যাদের দ্বীনের জ্ঞান নাই তাদের প্রতি তোমরা বিনয়ী হও।

(৪) তোমরা তোমাদের উস্তাদ বা শিক্ষক যাদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করছো, তাদের প্রতি তোমাদের আচার-ব্যবহারকে সুন্দর কর। তোমরা তাদেরকে সম্মান কর, তারা তোমাদেরকে দ্বীনের জ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছে এ কারণে তাদেরকে মর্যাদা দিও।

(৫) যদি কোন জাহেল (দ্বীনের জ্ঞান নাই এমন ব্যক্তির) সাথে তোমাদের সাক্ষাত হয়, তাহলে তার চেয়ে তোমার জ্ঞান বেশি হওয়ার কারণে নিজেকে নিয়ে আত্মতৃপ্তি বোধ কর না। কেননা আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তাকে তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বানাতেন। তুমি যদি কোন ব্যক্তিকে দেখ যে এমন কোন নিয়ামত থেকে বঞ্চিত যা তুমি উপভোগ করছো, তাহলে সেই নিয়ামতের জন্য তুমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর।

(৬) দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত যারা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ এমন লোকদেরকে দ্বীন শিখানোর কাজে উৎসাহী এবং উদ্যমী হওয়া।

(৭) যে ব্যক্তিকে দেখে তোমার মনে হয় যে তাকে উপদেশ দেওয়া উচিত, যথাসম্ভব তাকে উপদেশ দাও যাতে করে সে দ্বীন শিখতে পারে। দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত এই কাজকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটা মাধ্যম বলে মনে করা।

(৮) আমি তোমাদেরকে আরও উপদেশ দিচ্ছি, দ্বীন শিক্ষার্থীরা যেন (ইসলামী) শরীআ'তের জ্ঞান অর্জনে নিজেকে উৎসর্গ করে। শরীআ'তের যাবতীয় জ্ঞানের মাঝে সবচেয়ে উত্তম জ্ঞান হচ্ছে, আল্লাহর কালাম (অর্থাৎ ক্বুরআনের জ্ঞান) এবং তার উদ্দেশ্য জানা, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর কালাম (অর্থাৎ হাদীস বা সুন্নাহর জ্ঞান) এবং তার উদ্দেশ্য জানা। এমনিভাবে তাদের যাবতীয় ইবাদতের হুকুম (বিধান বা নিয়ম-নীতি) সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা উচিত।

(৯) এই সমস্ত কিছুর পূর্বে দ্বীন শিক্ষার্থীদের উচিত তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। কেননা এই তাওহীদ হচ্ছে বান্দার উপর আল্লাহর হক্ক বা অধিকার।

(১০) সমস্ত দ্বীন শিক্ষার্থীদেরকে আমি উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা শায়খুল ইসলাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহি'মাহুল্লাহ রচিত "কিতাব আত-তাওহীদ" গ্রন্থটি বারবার অধ্যায়ন কর। এই গ্রন্থের ব্যাখ্যা "ফাতহুল মাজীদ" বা এমন অন্য ব্যাখাগ্রন্থ বেশি বেশি করে পড়। তোমরা কখনো এই কথা বলো না, "আমি কিতাব আত-তাওহীদ পড়ে শেষ করেছি"।

তোমাদের জন্য এই কিতাব অনেক বেশি পরিমাণে পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এই কিতাবে শুধুমাত্র আল্লাহর কিতাব (অর্থাৎ ক্বুরআনের) আয়াত রয়েছে, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর হাদীস রয়েছে, আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর সাহাবাদের কোন ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ রয়েছে (আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হন) অথবা আইম্মায়ে সালাফ (অর্থাৎ পূর্ববর্তী সৎকর্মশীল ইমামদের) বাণী রয়েছে, যারা দ্বীন (ইসলামের) বিজয়ের জন্য, আল্লাহর কিতাব এবং আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর হাদীসের সঠিক অর্থ জানার জন্য কঠোর চেষ্টা ও মেহনত করেছেন।"


Advice to the Student of Knowledge | Shaykh Saleh al Luhaydaan رحمه الله
ধন্যবাদ
 
Top