প্রশ্নোত্তর তারাবীহ ও তাহাজ্জুদের সালাতে মুসহাফ দেখে তিলাওয়াত করা সম্পর্কে শায়েখ বিন বায এর ফতোয়া

Joined
Jun 16, 2023
Threads
57
Comments
83
Reactions
906
কুরআন দেখে তিলাওয়াত এর ব্যাপারে শায়েখ বিন বায এর ফতোয়া কী?

তারাবী ও তাহাজ্জুদের সালাতে কুরআনের মুসহাফ দেখে তিলাওয়াত এর ব্যাপারে শায়েখ আব্দুল আযিয বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) এর ফতোয়া:

প্রশ্ন:
আমাদের এক বোন জিজ্ঞাসা করেছেন: আমার এই তিলাওয়াতের পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার মতামত কী? আমি নামাজের মাধ্যমে পূর্ণ কুরআন খতম করি। উদাহরণস্বরূপ: আমি কুরআন হাতে নিয়ে পড়ি, এভাবেই দুই মাসে খতম সম্পন্ন করি। আমার এই পদ্ধতি কি সঠিক? আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।

أختنا تقول: ما رأيكم في طريقتي التالية: أنا أختم القرآن عن طريق الصلاة، فمثلًا آخذ القرآن في يدي وأقرأ، وبهذه الطريقة أختم القرآن في شهرين، هل طريقتي صحيحة؟ جزاكم الله خيرًا.

শায়েখ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) এর উত্তর:

আমার মতে এ পদ্ধতি পরিত্যাগ করা উচিত। কারণ কিছু উলামাদের দৃষ্টিতে সালাতে কুরআনের মুসহাফ হাতে নিয়ে পড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। সুতরাং আপনার এটি করা উচিত নয়। বরং ফরয সালাতে স্মৃতিশক্তি থেকে যা স্মরণ করতে সহজ হয় তা পড়াই উত্তম। কুরআনের মুসহাফ হাতে নিয়ে পড়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে কিরআতের জন্য ক্বলবের একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। তাই সালাতে সহজ সুরাগুলো পাঠ করুন। যোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের সালাতে "মুফাসসাল" সুরাসমূহের মধ্যবর্তী অংশগুলো পড়তে পারেন। যেমন, যোহরে দীর্ঘ সুরা (হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়া, ইকরা বিসমি রব্বিকা, ওয়াসসামায়ি যাতিল বুরুজ, সাব্বিহিসামা রব্বিকাল আ‘লা, ওয়াল ফজর ইত্যাদি) পাঠ করা যেতে পারে।

যোহরের নামাজে দীর্ঘ সুরা, মাগরিবে সংক্ষিপ্ত সুরা পড়াই উত্তম। তবে মাঝেমাঝে মাগরিবে দীর্ঘ সুরা পড়াও উত্তম, কেননা রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কখনো দীর্ঘ, কখনো সংক্ষিপ্ত করতেন। ফজরের সালাতে আরও দীর্ঘ সূরা (আম্মা ইয়াতাসাআলুন, হাল আতা আলাল ইনসান, আল-মুজাম্মিল, আল-মুদ্দাসসির, কাফ, ইক্তারাবাতিস সাআহ/সূরা ক্বামর ইত্যাদি) পড়া উচিত। রাসুল (সা.) ফজরে ৬০ থেকে ১০০ আয়াত পর্যন্ত দীর্ঘ সুরা পাঠ করতেন। সুতরাং সালাতে স্মৃতিশক্তি থেকে পড়ার চেষ্টা করুন এবং "মুফাসসাল" (সুরা কাফ থেকে শেষ পর্যন্ত) অংশ মুখস্থ করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা করুন।

কুরআনের মুসহাফ হাতে নিয়ে নামাজ পড়ার ব্যাপারে আমার পরামর্শ হলো যে রমজানের তারাবিহ ও তাহাজ্জুদে দীর্ঘ কিরাত পাঠের ক্ষেত্রে এটি জায়েজ। আয়েশা (রা.)- তার আজাদকৃত গোলামকে দিয়ে মুসহাফ দেখে সালাতের ইমামতি করাতেন। তাই তারাবিহ তে কুরআন দেখে পড়ায় কোনো সমস্যা নেই। তবে ফর‍য সালাতসমূহের ক্ষেত্রে আমি আপনাকে এবং অন্যান্যদেরকে অসিয়ত করছি যে আল্লাহ আপনাদের জন্য কুরআন হতে যা আয়ত্ত করতে সহজ করে দিয়েছেন তা থেকে আপনারা মুখস্থ তিলাওয়াত করুন।

সবাইকে মুফাসসাল সুরাসমূহ (ক্বাফ থেকে শেষ পর্যন্ত) অন্তত মুখস্থ করতে অসিয়ত করছি। এটি নামাজের কিরাআতের জন্য সহায়ক। আর যারা এর চেয়ে বেশি করতে পারেন অথবা পুরো কুরআন মুখস্থ করতে পারেন তাহলে তা সর্বোত্তম । এটা অনেক বড় নেয়ামত।

الجواب:

الذي أرى ترك ذلك؛ لأن بعض أهل العلم يرى أن القراءة من المصحف تبطل الصلاة، فلا ينبغي لك ذلك، بل ينبغي أن تقرئي ما تيسر عن ظهر قلب في الفرائض، ولا تقرئي من المصحف؛ لأن هذا أخشع للقلب وأجمع للقلب على القراءة، فاقرئي ما تيسر في صلاتك؛ في الظهر، والعصر، والمغرب والعشاء، أوسط المفصل، ويكون الظهر أطول مثل: هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ، اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ، وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْبُرُوجِ ، سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَالْفَجْرِ .. وما أشبه ذلك.

ويكون الظهر أطول، والمغرب يكون أقصر في الغالب، وإذا طولت في المغرب بعض الأحيان فهو أفضل أيضًا؛ لأن الرسول عليه الصلاة والسلام طول فيها بعض الأحيان، وقصر عليه الصلاة والسلام، وفي الفجر يكون أطول من ذلك، مثل قراءة: عم يتساءلون وهل أتى على الإنسان، والمزمل، والمدثر، ق، اقتربت الساعة في الفجر، لأن: الرسول كان يطول فيها عليه الصلاة والسلام، وكان يقرأ فيها بالستين إلى المائة من الآيات، وتقرئين عن ظهر قلب، وعليك أن تجتهدي في حفظ المفصل حتى تستعيني بذلك على القراءة، والمفصل أوله (ق) فأوصيك أن تجتهدي في حفظ المفصل، من (ق) إلى آخر القرآن، حتى تقرئي بهذا في صلاتك.

وأما المصحف فالذي أوصيك به ترك ذلك إلا في التراويح وقيام رمضان، إذا طولت فلا بأس، أن تقرئي من المصحف، كانت عائشة رضي الله عنها يصلي بها مولاها من المصحف في رمضان، فلا بأس بذلك، أما الفرائض فأوصيك وأوصي غيرك أن تكون القراءة عن ظهر قلب، مما يسر الله من القرآن.

وأوصي الجميع بحفظ المفصل من (ق) إلى آخره، أوصي الرجال والنساء والشباب والفتيات، أوصي الجميع بحفظ المفصل على الأقل؛ لأنه يعين على القراءة في الصلاة، ومن تيسر له حفظ أكثر من ذلك، أو حفظ القرآن كله، فهذا خير إلى خير ونعمة عظيمة. نعم.

ফতোয়া লিংক: حكم القراءة من المصحف في الصلاة والمداومة على ذلك

বঙ্গানুবাদ: সাফিন চৌধুরী
জয়েন করুন টেলিগ্রাম: ideology of salaf
 
Last edited:
১.রুকু সংশ্লিষ্ট সূরা গুলোকে কী এইভাবে পড়া যায় যে প্রথম রাকাতে প্রথম রুকু পড়লাম এবং পরবর্তী রাকাআত পরের রুকু পড়ে সূরা শেষ করলাম।
২.যেসব সূরার রুকু দুই এর অধিক সেসব সুরার মাঝ থেকে কোনো এক রুকু দিয়ে নামাজ শুরু করা যাবে। যাবে যেমন: সূরা বাকারার ১৫ তম রুকু।
৩.দুই সূরা বিশিষ্ট সূরা গুলোর ক্ষেত্রে প্রথম রূকু বাদ দিয়ে শেষ বা দ্বিতীয় রুকু দিয়ে নামাজ শুরু করা যাবে?
 
১.রুকু সংশ্লিষ্ট সূরা গুলোকে কী এইভাবে পড়া যায় যে প্রথম রাকাতে প্রথম রুকু পড়লাম এবং পরবর্তী রাকাআত পরের রুকু পড়ে সূরা শেষ করলাম।
২.যেসব সূরার রুকু দুই এর অধিক সেসব সুরার মাঝ থেকে কোনো এক রুকু দিয়ে নামাজ শুরু করা যাবে। যাবে যেমন: সূরা বাকারার ১৫ তম রুকু।
৩.দুই সূরা বিশিষ্ট সূরা গুলোর ক্ষেত্রে প্রথম রূকু বাদ দিয়ে শেষ বা দ্বিতীয় রুকু দিয়ে নামাজ শুরু করা যাবে?
ভাই সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ (সাইয়্যিদ সালিম) ৩য় খন্ডে বিস্তারিত দেখে নিন। এখানে আপলোড আছে।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top