সালাত তারাবীহ পড়িয়ে হাদিয়া দাবী করা জায়েয হবে কি

Joined
Feb 23, 2023
Threads
367
Comments
419
Reactions
2,146
ইমামতি বা কুরআন শিক্ষাদান সহ যেকোন বৈধ কাজের জন্য কাউকে নিয়োগ করা হ’লে, তার কাজের বিনিময়ে সম্মানজনক হাদিয়ার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে।
রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রূযীর ব্যবস্থা করে থাকি’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৮৮; মিশকত হা/৩৭৪৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬০২৩)। তবে এসব দ্বীনী খেদমতের উদ্দেশ্য যেন কেবল অর্থোপার্জন না হয়। উদ্দেশ্য হ’তে হবে দ্বীনের খেদমত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি। অতএব হাদিয়া নিয়ে বাক-বিতন্ডা করা, মনকষাকষি করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

এক হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি এমন মুওয়াযযিন নিয়োগ দাও, যে পারিশ্রমিক নিবে না’ (নাসাঈ হা/৬৭২; তিরমিযী হা/২০৯)। এর দ্বারা বিনিময় গ্রহণকে অপসন্দনীয় বলা হয়েছে। কিন্তু হাদিয়া গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়নি। যা উপরের হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (আবুদাঊদ হা/৩৫৮৮)। অতএব কর্তৃপক্ষ নিজেদের বিবেচনা মতে সম্মানজনক হাদিয়া প্রদান করবেন।

উল্লেখ্য, এরূপ দ্বীনী কাজে বিনিময় গ্রহণ করা কুরআনকে স্বল্প মূল্যে বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত বিষয় নয়। ইহূদী-নাছারা ধর্মনেতারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজেরা কিতাব লিখে বলত, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ (বাক্বারাহ ৭৯)। এর দ্বারা তারা মানুষকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করত এবং তার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করত। যার বিরুদ্ধে আল্লাহ উক্ত আয়াতের শেষাংশে তাচ্ছিল্যভরে একে ‘স্বল্পমূল্যে বিক্রয়’ বলে অভিহিত করেছেন (কুরতুবী, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ৭৯ আয়াত)।

আত তাহরীক
 
Similar threads Most view View more
Back
Top