• আসসালামু আলাইকুম, খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

সালাত তারাবীহর নামায বা কিয়ামে রামাযান

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,263
Credits
6,307
কিয়ামে রামাযান বা রমাযানের কিয়ামকে স্বালাতুত তারাবীহ বা তারাবীহর নামায বলা হয়। ‘তারাবীহ’ মানে হল আরাম করা। যেহেতু সলফে সালেহীনগণ ৪ রাকআত নামায পড়ে বিরতির সাথে বসে একটু আরাম নিতেন, তাই তার নামও হয়েছে তারাবীহর নামায। আর ঐ আরাম নেওয়ার দলীল হল মা আয়েশার হাদীস; যাতে তিনি বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ৪ রাকআত নামায পড়তেন। সুতরাং তুমি সেই নামাযের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করো না। (অর্থাৎ অত্যন্ত সুন্দর ও দীর্ঘ হত।) অতঃপর তিনি ৪ রাকআত নামায পড়তেন। সুতরাং তুমি সেই নামাযের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করো না। অতঃপর তিনি ৩ রাকআত (বিত্র) নামায পড়তেন।’[1]

উক্ত হাদীসের মানে হল, তিনি প্রথম ৪ রাকআত নামাযকে এক সময়ে একটানা পড়েছেন। অর্থাৎ, তিনি ২ রাকআত নামায পড়ার পর সাথে সাথেই আবার ২ রাকআত নামায পড়তেন। অতঃপর বসে বিরতি নিতেন। অতঃপর তিনি উঠে পুনরায় ২ রাকআত নামায পড়ার পর সাথে সাথে আবার ২ রাকআত পড়তেন। অতঃপর আবার বসে একটু জিড়িয়ে নিতেন এবং সবশেষে ৩ রাকআত বিত্র পড়তেন। এখান থেকেই সলফগণ ১১ রাকআত নামাযের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন এবং তাই তাঁরা প্রথমে ২ সালামে ৪ রাকআত নামায পড়ে একটু আরাম নেন। অতঃপর আবার ২ সালামে ৪ রাকআত নামায পড়ে পরিশেষে ৩ রাকআত বিত্র পড়েন।[2]


[1] (বুখারী ১১৪৭, মুসলিম ৭৩৮নং)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/১৩, ৬৫, ৬৭)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 

Share this page