জানাযার নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার ব্যাপারটি যদিও মতবিরোধ পূর্ণ। তবে সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত হল, জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। কারণ:
১) প্রখ্যাত সাহাবী উবাদা বিন সামেত রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
"যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না তার নামায হবে না।"[1]
আর জানাযার সালাত একটি সালাত। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও (জানাযার) সালাত পড়বেন না।"[2] আল্লাহ তায়ালা এখানে জানাযার সালাতকেও সালাত বলে উল্লেখ করেছেন।
২) ইমাম বুখারী রহ. জানাযার নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার বৈধতার ব্যাপারে একটি অনুচ্ছেদ আলাদাভাবে উল্লেখ করে তার নিচে একাধিক হাদীস উল্লেখ করেছেন। যেমন,
“তালহা বিন ওবায়দুল্লাহ বিন আউফ বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রা. এর পেছনে জানাযার সালাত পড়লাম। তিনি ফাতিহাতুল কিতাব তথা সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন। অত:পর বললেন, “এটাই আল্লাহর নবীর আদর্শ।” [3]
আর জানাযার সালাতে ৩য় তাকবীরের পর মৃত ও জীবিত ব্যক্তিদের জন্য হাদীসে বর্ণিত নিম্নোক্ত দুয়াটি পাঠ করতে হয়। দুয়াটি হল,
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাফির লি হায়্যিনা ও মায়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গাইবিনা ওয়া সাগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসানা ও আল্লাহুম্মা মান আহইয়াতাহু মিন্না ফা আহ্ইহী আলাল ইমান ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আ’লাল ইসলাম। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তুযিল্লানা বাদাহু।
অর্থ: হে আল্লাহ তুমি আমাদের জীবিত- মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড়, পুরুষ-মহিলা সকলকে ক্ষমা করে দাও।
হে আল্লাহ, আমাদের মধ্যে যাদেরকে জীবিত রেখেছ তাদেরকে ঈমানের উপর অটুট রাখ। আর যাকে মৃত্যু দিয়েছ তাকে ঈমানের উপর মৃত্যু দাও।
হে আল্লাহ, আমাদেরকে এই মৃত্যুর প্রতিদান থেকে বঞ্চিত কর না। আর তার চলে যাওয়ার পর আমাদেরকে বিপথগামী কর না।" [4]
[1] বুখারী ও মুসলিম
[2] সূরা তাওবা: ৩৪
[3] সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা।
[4] আবু দাউদ: অনুচ্ছেদ: মৃতের জন্য দুয়া করা। অনুচ্ছেদ নং ৬০
১) প্রখ্যাত সাহাবী উবাদা বিন সামেত রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
« لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ »
"যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না তার নামায হবে না।"[1]
আর জানাযার সালাত একটি সালাত। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِّنْهُم مَّاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
"আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও (জানাযার) সালাত পড়বেন না।"[2] আল্লাহ তায়ালা এখানে জানাযার সালাতকেও সালাত বলে উল্লেখ করেছেন।
২) ইমাম বুখারী রহ. জানাযার নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার বৈধতার ব্যাপারে একটি অনুচ্ছেদ আলাদাভাবে উল্লেখ করে তার নিচে একাধিক হাদীস উল্লেখ করেছেন। যেমন,
عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - عَلَى جَنَازَةٍ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ قَالَ لِيَعْلَمُوا أَنَّهَا سُنَّةٌ
“তালহা বিন ওবায়দুল্লাহ বিন আউফ বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রা. এর পেছনে জানাযার সালাত পড়লাম। তিনি ফাতিহাতুল কিতাব তথা সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন। অত:পর বললেন, “এটাই আল্লাহর নবীর আদর্শ।” [3]
আর জানাযার সালাতে ৩য় তাকবীরের পর মৃত ও জীবিত ব্যক্তিদের জন্য হাদীসে বর্ণিত নিম্নোক্ত দুয়াটি পাঠ করতে হয়। দুয়াটি হল,
اللَّهُمَّ اغفِرْلحَيِّنا ومَيّتِنا، وشاهِدِنا وغائِبِنا، وصَغيرِنا وكبيرِنا، وذَكرِنا وأُنْثانا، اللَّهُمَّ من أحيَيتَهُ منَّا فأحيهِ علَى الإسلامِ، ومن تَوَفَّيتَهُ منَّا فَتَوَفَّهُ علَى الإيمانِ، اللَّهُمَّ لا تَحرِمنا أجرَهُ ولا تُضِلَّنا بعدَهُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাফির লি হায়্যিনা ও মায়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গাইবিনা ওয়া সাগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসানা ও আল্লাহুম্মা মান আহইয়াতাহু মিন্না ফা আহ্ইহী আলাল ইমান ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আ’লাল ইসলাম। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তুযিল্লানা বাদাহু।
অর্থ: হে আল্লাহ তুমি আমাদের জীবিত- মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড়, পুরুষ-মহিলা সকলকে ক্ষমা করে দাও।
হে আল্লাহ, আমাদের মধ্যে যাদেরকে জীবিত রেখেছ তাদেরকে ঈমানের উপর অটুট রাখ। আর যাকে মৃত্যু দিয়েছ তাকে ঈমানের উপর মৃত্যু দাও।
হে আল্লাহ, আমাদেরকে এই মৃত্যুর প্রতিদান থেকে বঞ্চিত কর না। আর তার চলে যাওয়ার পর আমাদেরকে বিপথগামী কর না।" [4]
- শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
[1] বুখারী ও মুসলিম
[2] সূরা তাওবা: ৩৪
[3] সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা।
[4] আবু দাউদ: অনুচ্ছেদ: মৃতের জন্য দুয়া করা। অনুচ্ছেদ নং ৬০