‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর ইসলামের দৃষ্টিতে মধ্যমপন্থার মূল্যায়ন কেমন?

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,445
Credits
2,602
উত্তর : চরমপন্থা ও শৈথিল্যের মধ্যবর্তী অবস্থাকে মধ্যপন্থা বলে। আর মধ্যপন্থার মূল হচ্ছে সোজা পথে চলা (মির‘আতুল মাফাতীহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৭৬)।
এর আরবী প্রতিশব্দ হল القصد والوسط।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُوْنُوْا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ عَلَيْكُمْ شَهِيْدًا​

‘এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যমপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির জন্য সাক্ষী স্বরূপ হও এবং রাসূলও যেন তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরূপ হন’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৪৩)।

হাদীসে এসেছে, আবু সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন নূহ (আলাইহিস সালাম)-কে ডেকে বলা হবে, তুমি কি (তাওহীদের) দাওয়াত পৌঁছেছিলে? তিনি বলবেন, হ্যাঁ, আমি দাওয়াত দিয়েছি। তখন তাঁর সম্প্রদায়কে ডেকে জিজ্ঞেস করা হবে, নূহ (আলাইহিস সালাম) কি তোমাদেরকে দাওয়াত দিয়েছেন? তখন তারা বলবে, আমাদের নিকট কোন সতর্ককারী বা ভীতি প্রদর্শনকারী আসেনি। কিংবা তারা বলবে, আমাদের নিকট কেউ আসেনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তখন নূহ (আলাইহিস সালাম)-কে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমার স্বপক্ষে কে সাক্ষী দিবে? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর উম্মত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এটাই আল্লাহর বাণী وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا অর্থাৎ অনুরূপভাবে আমরা তোমাদেরকে মধ্যপন্থী জাতি করেছি’-এর তাৎপর্য। রাবী বলেন, الوسط অর্থ العدل ন্যায়পরায়ণতা বা সর্বোত্তম পন্থা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তখন উম্মতে মুহাম্মাদীকে ডাকা হবে এবং তারা হবে নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর নবুওয়াতের ও দাওয়াতের সাক্ষী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অতঃপর আমি তোমাদের সত্যায়ন করব’ (সহীহ বুখারী, হা/৭৩৪৯, হা/৪৪৮৭)।

ইবনু জারীর ত্বাবারী (২২৪-৩১০ হি./৮৩৯-৯২৩ খ্রি.) বলেন, ‘আমি মনে করি الوسط বলতে এখানে এমন স্থানকে বুঝানো হয়েছে, যার দু’টি দিক রয়েছে। অর্থাৎ মধ্যবর্তী স্থান। যেমন ঘরের মধ্যস্থল। আমি আরো মনে করি যে, আল্লাহ তাদেরকে মধ্যবর্তী জাতি বলে বিশেষিত করেছেন এজন্য যে, তারা দ্বীনের মধ্যে মধ্যপন্থী। তারা খ্রিষ্টানদের ন্যায় দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করে না। যেমনভাবে তারা বৈরাগ্যবাদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে। তেমনি তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) -কে আল্লাহর পুত্র বলে বাড়াবাড়ি করে। আবার উম্মতে মুহাম্মাদী দ্বীনের মধ্যে সংকোচনও করে না, যেভাবে ইহুদীরা করেছিল। আর তারা আল্লাহর কিতাবকে পরিবর্তন করেছিল এবং তাদের নবীদের হত্যা করেছিল, আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং তাঁর সাথে কুফরী করেছিল। তাই উম্মতে মুহাম্মাদী মধ্যবর্তী ও মধ্যপন্থী জাতি। এজন্য আল্লাহ তাদেরকে এই গুণে গুণান্বিত করেছেন। কেননা আল্লাহর নিকট মধ্যবর্তী কর্ম পসন্দনীয়’ (জা‘মিঊল বায়ান ফী তা’বীলিল কুরআন, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৪২)।



সূত্র: আল-ইখলাছ।​
 
Last edited:
COMMENTS ARE BELOW

Share this page