প্রশ্নোত্তর মরণোত্তর দেহ দান বা চক্ষু দান করা কী ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ আছে?

Joined
Feb 23, 2023
Threads
347
Comments
399
Reactions
1,899
দান সহীহ হবার জন্য শর্ত হল, দানকারী দানকৃত বস্তুর প্রকৃত মালিক হতে হবে। যেহেতু মানুষ তার দেহের প্রকৃত মালিক নয়,তাই মানুষ চাইলেই তার দেহ দান করে যেতে পারবে না।

সুতরাং মরণোত্তর দেহ বা চক্ষু অথবা অন্য কোন অঙ্গ দান করা জায়েজ নাই। তেমনি গবেষণা বা নিজের মহত্ত্ব প্রকাশে কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান বা মেডিকেলে দান করাও একে বারেই জায়েয নাই। আর এ ক্ষেত্রে অন্যদের জন্যও তা সংগ্রহ ও ব্যবহার করা জায়েজ নাই।

তবে কিছু ফুকাহে কেরাম কিছু শর্তের ভিত্তিতে এসব ব্যক্তিদের দানকৃত অঙ্গ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
শর্ত হল:

১. দাতার জীবদ্দশায় অনুমতির পাশাপাশি মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশদেরও অনুমতি থাকতে হবে।

২. তার যে অঙ্গ নেয়া হবে তা জীবিত ব্যক্তির শরীরে স্থাপন করলে জীবিত ব্যক্তি তার থেকে উপকৃত হওয়ার ব্যপারে প্রবল ধারণা থাকতে হবে।

৩. বিজ্ঞ ডাক্তারের এ কথা বলা যে, এতে জীবিত রুগীর যথাযথ কাজ হবে।

সুতরাং কোন জীবিত ব্যক্তির জীবন রক্ষার্থে অনন্যপায় হলেই দ্বিতীয় মতের উপর আমল করা যেতে পারে। (সংগৃহিত)

তবে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও কাটা-ছেড়া করার জন্য মরনোত্তর দেহ দান করা হারাম। কেউ মৃত্যুর আগে এর ওসিউত করে গেলেও তা আমল করা যাবে না। কেননা, হাদীসেে এসেছে:
كَسرُ عَظمِ الميِّتِ كَكَسرِهِ حيًّا
“মৃতের হাড় ভাঙ্গা জীবতের হাড় ভাঙ্গার মতই।” (সুনান আব্দু দাউদ, সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী তা সহীহ) অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় মানুষে হাড় ভাঙ্গা যেমন হারাম মৃত্যুর পরও তা হারাম।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে সম্মানযোগ্য করে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং মানুষ জীবিত অবস্থায় যেমন সম্মানযোগ্য মৃত্যুর পরও সম্মানযোগ্য। জীবিত অবস্থায় যেমন তার শরীরের ক্ষয়-ক্ষতি করা যাবে না মৃত্যুর পরও করা যাবে না।

তবে কোন কোন আলেম বলেছেন, কোন মুরতাদ বা হারবী বা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত কাফেরের মৃত দেহ ডাক্তারী পরীক্ষার স্বার্থে কাটা-ছেড়া করা জায়েয আছে। কেননা, এদের কোন সম্মান নেই।
আল্লাহু আলাম।



উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।​
 
Last edited by a moderator:
Similar threads Most view View more
Back
Top