সংশয় নিরসন ইলম প্রচারের প্রতিবন্ধকতায় আল্টিমেট ভ্যাকসিন

Joined
Nov 17, 2023
Threads
407
Comments
522
Solutions
1
Reactions
12,785
আব্দুল্লাহ আর আব্দুর রহমান দুই প্রতিবেশী। একদা আব্দুর রহমান জানতে পারলো যে, আব্দুল্লাহ বিভিন্ন বিষয়ের ইসলামী অনলাইন কোর্সের লিংক শেয়ার করে থাকে এবং সকলকে শেয়ার করতে উৎসাহিত করে। তাই আব্দুর রহমান একদিন আব্দুল্লাহ এর সাথে সাক্ষাৎ করলো।

আব্দুর রহমান:- আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন ভাইজান?

আব্দুল্লাহ:- ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লহ। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

আব্দুর রহমান:- আলহামদুলিল্লাহ। আমিও ভালো আছি। আমি একটি কারণে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলাম। আমি শুনতে পেয়েছি যে, আপনি ইসলামী অনলাইন কোর্সের লিংক শেয়ার করে থাকেন এবং সকলকে শেয়ার করতে উৎসাহিত করেন এই সংবাদ কি সঠিক?

আব্দুল্লাহ:- জি ভাই। এটা একদম সঠিক। কি কোন সমস্যা আছে কি আপনার এই বিষয়টি নিয়ে?

আব্দুর রহমান:- হ্যাঁ। আমার মতে আপনি হারাম কার্যে জরিয়ে যাচ্ছেন। আপনি যখন সেই কোর্স গুলোতে যোগদান করেন তখন তারা আপনাকে এগুলো অনলাইনে শেয়ার না করার জন্য শর্ত আরোপ করেন। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে:-
وَعَن عَمْرو بن عَوْف الْمُزَنِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الصُّلْحُ جَائِزٌ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا صُلْحًا حَرَّمَ حَلَالًا أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا وَالْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ إِلَّا شَرْطًا حَرَّمَ حَلَالًا أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَأَبُو دَاوُدَ وَانْتَهَتْ رِوَايَته عِنْد قَوْله «شروطهم»
"আমর ইবনু ’আওফ আল্ মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের পরস্পর আপোস-মীমাংসাকে ইসলাম অনুমোদন করে। কিন্তু যে মীমাংসা হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে, তা জায়িয নয়। মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করতে হবে। কিন্তু যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা জায়িয হবে না। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও আবূ দাঊদ; আবূ দাঊদ বর্ণনা করেন ’শর্তসমূহ’ পর্যন্ত)।
(তিরমিযী ১৩৫২, আবূ দাঊদ ৩৫৯৪, ইবনু মাজাহ ২৩৫৩, ইরওয়া ১৪২০, সহীহ আল জামি‘ ৩৮৬২, মিশকাত ২৯২৩)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শর্ত পূরণ করতে আদেশ দিয়েছেন এবং তা ভাঙতে নিষেধ করেছেন অথচ আপনি শর্ত দিয়ে তা ভেঙে ফেলছেন।

আব্দুল্লাহ:- জি ভাই। আপনার বর্ণিত হাদিসের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করুন। সেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটিও বলেছেন যে, إِلَّا شَرْطًا حَرَّمَ حَلَالًا أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا অর্থাৎ:-কিন্তু যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা জায়িয হবে না। আপনি আরও একটি হাদীসের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করুন। হাদীসটি হলো:- وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ، بْنُ عُرْوَةَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَتْ عَلَىَّ بَرِيرَةُ فَقَالَتْ إِنَّ أَهْلِي كَاتَبُونِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي تِسْعِ سِنِينَ فِي كُلِّ سَنَةٍ أُوقِيَّةٌ ‏.‏ فَأَعِينِينِي ‏.‏ فَقُلْتُ لَهَا إِنْ شَاءَ أَهْلُكِ أَنْ أَعُدَّهَا لَهُمْ عَدَّةً وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكِ وَيَكُونَ الْوَلاَءُ لِي فَعَلْتُ ‏.‏ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لأَهْلِهَا فَأَبَوْا إِلاَّ أَنْ يَكُونَ الْوَلاَءُ لَهُمْ فَأَتَتْنِي فَذَكَرَتْ ذَلِكَ قَالَتْ فَانْتَهَرْتُهَا فَقَالَتْ لاَهَا اللَّهِ إِذَا قَالَتْ ‏.‏ فَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَنِي فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا وَاشْتَرِطِي لَهُمُ الْوَلاَءَ فَإِنَّ الْوَلاَءَ لِمَنْ أَعْتَقَ ‏"‏ ‏.‏ فَفَعَلْتُ - قَالَتْ - ثُمَّ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشِيَّةً فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ أَقْوَامٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ كِتَابُ اللَّهِ أَحَقُّ وَشَرْطُ اللَّهِ أَوْثَقُ مَا بَالُ رِجَالٍ مِنْكُمْ يَقُولُ أَحَدُهُمْ أَعْتِقْ فُلاَنًا وَالْوَلاَءُ لِي إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ‏"‏ ‏.‏
"আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু ’আলা আল-হামদানী (রহঃ) ..... ’আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন বারীরা (রাযিঃ) আমার কাছে এল। এরপর সে বলল, আমার মনিব আমাকে প্রতি বছর একটি করে নয় বছরে নয়টি উকীয়্যাহ্ (চল্লিশ দিরহামে এক উকীয়াহ্) আদায় করার শর্তে আমাকে মুক্তি দানের ব্যাপারে লিখিত চুক্তি করেছে। আপনি আমাকে সাহায্য করুন। আমি [আয়িশাহ (রাযিঃ)] তাকে বললাম, তোমার মনিব যদি এ শর্তে রাজী হয় যে তোমার মুক্তিপণ এক সঙ্গে আদায় করে দিলে তোমার ’ওয়ালা’ আমি পাব তাহলে আমি তোমাকে মুক্তির ব্যাপারে সাহায্য করতে চাই। তখন বারীরাহ (রাযিঃ) এ বিষয়টি তার মুনিবের কাছে উঠালে তাদের জন্য ’ওয়ালা’ ব্যতিরেকে তারা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। এরপর সে আমার [আয়িশাহ্ (রাযিঃ)] এর কাছে এসে তাদের কথা বলল। তিনি বলেন, আমি তাকে ধমক দিয়ে বললামঃ তাহলে আল্লাহর কসম! আমি রাজী নই। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টি শুনলেন এবং আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম।
এরপর তিনি বললেনঃ হে ’আয়িশাহ! তুমি তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও এবং তাদের জন্য ওয়ালা’র শর্ত করে দাও। তবে নিশ্চয়ই ওয়ালা সে পাবে যে মুক্তি দান করে। আমি (আয়িশাহ) তাই করলাম। রাবী বলেনঃ এরপর সন্ধ্যা বেলা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিলেন। তিনি আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা ও তার মহিমা ঘোষণা করলেন। এরপর বললেনঃ লোকের অবস্থা কেমন অবস্থায় পৌছেছে যে, তারা এমন সব শর্ত দেয় যা আল্লাহর কিতাবে নেই। স্মরণ রাখ, যে শর্ত আল্লাহর কিতাবে নেই, তা বাতিল বলে গণ্য, যদিও একশতবার শর্তারোপ করা হয়। আল্লাহর কিতাবের শর্তই যথার্থ সঠিক, আল্লাহর শর্তই সর্বাধিক সুদৃঢ়। তোমাদের মধ্যে কতক লোকের কী হয়েছে যে, তারা অপরকে বলে অমুককে মুক্ত করে দাও আর ’ওয়ালা গ্রহণ করব আমরা? অথচ ওয়ালা তো আসলে তারই পাওনা যে মুক্ত করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৬৩৭, ইসলামিক সেন্টার ৩৬৩৭ হাদীস একাডেমী ৩৬৭১)

উপরোক্ত দুইটি হাদীস প্রমাণ করে যে, হারাম শর্ত মেনে নেওয়া বৈধ নয় বরং তা ভেঙে ফেলতে হবে। কেউ যদি হারাম শর্ত মেনে নিয়ে কোন কিছু গ্রহণ করে তাহলেও সেই ব্যক্তি এটি মান্য করতে বাধ্য নন যেমন আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা করেছেন। আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা তাদের জন্য ওয়ালার শর্ত করার পরও তিনি তা মান্য করেননি কারণ এটি একটি হারাম শর্ত এবং এইসব হারাম শর্তাবলীর কোন গুরুত্ব ইসলামে নেই।

আব্দুর রহমান:- কিভাবে এখানে শর্ত দেওয়া হারাম হলো একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

আব্দুল্লাহ:- জি ভাই। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً
"আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও।" ( বুখারী ৩৪৬১)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন ইলম প্রচার করার জন্য। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ পালন করা সাধারণত ওয়াজিব হয়ে থাকে। যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জ্ঞান কে সীমাবদ্ধ করেননি। তিনি বলেছেন আমার পক্ষ হতে মানুষের কাছে একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও সেখানে আপনাকে কে শর্ত আরোপ করে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞানগুলোকে সীমাবদ্ধ করার অধিকার দিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন তা আপনি বিভিন্ন কোর্স, বই ইত্যাদি থেকে মুখস্থ করে প্রচার করতে পরেন আবার লিংক শেয়ার করে স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে ইত্যাদি যে কোন ভাবে প্রচার করতে পারবেন। মুখস্থ করে প্রচার করলে তখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষেধ করেনা কিন্তু লিংক শেয়ার করে স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে প্রচার করলে তখন আসে যত নিষেধাজ্ঞা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইলম প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন তখন আপনি বিনা দ্বিধায় যেকোনো মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন। এবং যেকোন মাধ্যমে ইলম শিক্ষা করতে পারবেন। এই বিষয়ে সাহাবী ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে হাসান সনদে প্রমাণিত যে,
حدثنا طاهر بن خالد بن نزار الأيلي ، حدثني أبي ، عن إبراهيم بن طهمان ، عن خالد الحذاء ، عن عكرمة ، عن ابن عباس قال : « خذ الحكمة ممن سمعتها ، فإن الرجل ينطق بالحكمة ، وليس من أهلها ، فتكون كالرمية خرجت من غير رام »
(/390رواه الخرائطي في ( مساوئ الأخلاق ) : 378)
"যেখান থেকে জ্ঞান বা প্রজ্ঞা শোনো, তা গ্রহণ করো। কারণ অনেক সময় একজন ব্যক্তি জ্ঞানপূর্ণ কথা বলে থাকে, যদিও সে জ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারে। এমনটা সেই তীরের মতো যা তীরন্দাজ ব্যতীত অন্য কারও হাত থেকে নিক্ষেপ হয়েছে"। (মাসায়েলে আখলাক:৩৭৮/৩৯০। হাফেজ যুবায়ের আলী যাঈ রহিমাহুল্লাহ তার তাহকীক ও তাখরিজ কৃত উর্দু মিশকাতের ২১৬ নং হাদীসের অধিনে নিয়ে এসেছেন এবং এটাকে হাসান হাদীস বলেছেন)। ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু বলছেন যেখান থেকে জ্ঞান বা প্রজ্ঞা শোনো, তা গ্রহণ করো সেখানে আজকালকার পশ্চিমা আইনের পাল্লায় পড়ে জ্ঞান কে বেঁধে রেখে তাকে সীমাবদ্ধ করার অধিকার দিল কে?

সুতরাং ইসলামী দ্বীনি জ্ঞানের প্রচার প্রসারের বিপরীতে শর্ত আরোপ করে তার প্রচার প্রসারে বাঁধা প্রদান করা হারাম। আর এরূপ হারাম শর্তাবলীর কোন গ্রহনযোগ্যতা ইসলামে নেই। তাই একজন মুসলিম যেখানেই জ্ঞান দেখবে সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়ে লুটে-পুটে খেয়ে নিবে এটাই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম থেকে প্রমাণিত।
আব্দুর রহমান:- ঠিক আছে ভাই। আপনার কথা ঠিক যে ,মুখস্থ করে প্রচার করলে তখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষেধ করেনা কিন্তু লিংক শেয়ার করে স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে প্রচার করলে তখন তারা নিষেধ করে কারণ, এগুলোর পিছনে তাদের অনেক অর্থের খরচ হয়। যদি তারা এগুলোর অনুমোদন দেয় তাহলে তাদেরকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:-
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى أَنْ ‏ "‏ لاَ ضَرَرَ وَلاَ ضِرَارَ ‏"‏ ‏.‏
"উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন যে, ক্ষতি করাও যাবে না, ক্ষতি সহাও যাবে না।" (ইবনে মাযাহ ২৩৪০,আহমাদ ২২২৭২, সহীহাহ ২৫০, ইরওয়া ৮৯৬, গায়াতুল মারাম ৬৮)।

আপনার এরূপ কর্মকাণ্ডতে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। এটা কি গুনাহের কাজ নয়?

আব্দুল্লাহ:- আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। আমাকে পূর্বে বলুন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার কারণে কোন মুসলিমের কি লোকসান গুনতে হয়?

আব্দুর রহমান:- কখনোও নয়। হয় সেই ব্যক্তি শহীদ হবে না হয় গাজী হবে লোকসান হওয়ার কোন সুযোগই নেই।

আব্দুল্লাহ:- ওওও আচ্ছা! জিহাদ করার জন্য নিজের জীবনের ক্ষতি হয় না!, নিজের ব্যবসা-চাকরি, কাজ-কারবার এর কোন ক্ষতি হয়! মানুষের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা জিহাদে ব্যয় করে লোকসান হয় না!

আব্দুর রহমান:- আআআ...। ঠিক আছে ভাই আপনার কথা ঠিক। কিন্তু তাদের এইসব ক্ষতির চেয়ে উপকার ১ কোটি গুণ বা অগণিত বেশি। তারা হয় শহীদ না হয় গাজী। তাই তো এগুলো ক্ষতির মধ্যে আসে না।

আব্দুল্লাহ:- আপনি ঠিক কথাই বলেছেন। কত লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে ব্যয় করে যেমন কোন ক্ষতি হয় না ঠিক এভাবেই ইলম প্রচার করে কখনও কোন ক্ষতি হয় না। ইলম প্রচার করাও একটি জিহাদ সুতরাং এখানে ক্ষতির অজুহাত দেখানো একদম অগ্রহণযোগ্য বিষয়।
আব্দুর রহমান:- আচ্ছা ভাইজান। এটা কি চুরির মধ্যে পরবেনা?

আব্দুল্লাহ:- প্রথম কথা ইলম কোন সম্পদ নয় যে চুরির মধ্যে পরবে। দ্বিতীয়ত:- একটু সময়ের জন্য মেনে নিচ্ছি যে,ইলম হলো সম্পদ। তার পরেও তা চুরি বলে গণ্য হবে না। নিম্ন বর্ণিত উদাহরণটির প্রতি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন:-
" কোন ব্যক্তি তার জমি-জায়গা সকলের জন্য উন্মুক্ত ওয়ারিশ করে দিল। একজন ব্যক্তি এসে জমির উপরের আগাছা অনেক কষ্ট করে পরিষ্কার করলো তাতে বিজ বুনলো পানি দিল পরিচর্যা করলো এবং এটাকে সুরক্ষিত রাখতে কাটা তারের বেড়া দিল। এখন অন্য একজন ব্যক্তি যদি সেই কাঁটা তারের বেড়া ডিঙিয়ে জমিতে এসে কিছু খাদ্য খায় তাহলে কি সে অন্যায় কাজ করলো?

আব্দুর রহমান:- না। অন্যায় কেন হতে যাবে। যে ব্যাক্তি ডিঙিয়ে খাবার খেলো সেই ব্যক্তিও তো সেই জমির ওয়ারিশ তার কোন গুনাহ হবে না। আর যে এর প্রকৃত মালিক সেই ব্যক্তি তো সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তাই তা থেকে খাওয়া হলে গুনাহ হবে না।আর যে ব্যক্তি এতো পরিশ্রম করলো এর বদলায় এই পরিশ্রমী ব্যক্তি অনেক সওয়াবের অধিকারী হবেন।

আব্দুল্লাহ:- ঠিক এভাবেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য দ্বীনি জ্ঞানকে ওয়ারিশ হিসেবে উন্মুক্ত করে বিদায় নিয়েছেন। তার সেই জ্ঞান কেউ বিভিন্ন পাসওয়ার্ডের বেড়া মলাটের বেড়া দিয়ে যদি সংরক্ষিত করার পর কোন ব্যক্তি যদি সেই পাসওয়ার্ডের বেড়া মলাটের বেড়া ডিঙিয়ে তা গ্রহণ করে তাহলে কি তার গুনাহ হতে পারে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:-
إِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا إِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ ‏"‏ ‏.‏
"নিশ্চয়ই নবীগণ দ্বীনার ও দিরহাম (নগদ অর্থ) ওয়ারিসী স্বত্ব হিসাবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা ওয়ারিসী স্বত্বরূপে রেখে গেছেন ইলম (জ্ঞান)। যে ব্যাক্তি তা গ্রহণ করলো, সে যেন একটি পূর্ণ অংশ লাভ করলো। ( ইবনে মাযাহ ২২৩, তিরমিজি ২৬৮২)। আর স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً
"আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও।" ( বুখারী ৩৪৬১)। অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্বেই অনুমতি দিয়ে বিদায় নিয়েছেন ইলম শিক্ষা করার ও প্রচার করার তাই কোন ব্যক্তির এই বিষয়টিতে অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়ার কোন গুরুত্ব নেই।এছাড়াও সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে যে,যেখান থেকে জ্ঞান বা প্রজ্ঞা শোনো, তা গ্রহণ করো। পূর্বে এই হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে কিভাবে ইলম অর্জন করা প্রচার করা চুরি হতে পারে?

আব্দুর রহমান:- ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।আমীন।

আব্দুল্লাহ:- আল্লাহ তাআলা আপনাকেও সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন।
 
প্রিয় ভাই, কপিরাইটের বিষয়টি নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে ইখতিলাফ আছে।

বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ফুকাহা, বিশেষ করে যাঁরা বিষয়টি গভীরভাবে বুঝেন; বলা যায় সবাই একমত যে, বহু কারণে কপিরাইট আইন বাধ্যতামূলক এবং এটি মানা ফরজ।

প্রথমত এবং মৌলিক কারণ হলো আমাদের এই যুগে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি, এবং এর যথার্থ মূল্য না দেওয়া হলে সমাজে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান যুগের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় কপিরাইট আইন জ্ঞানের প্রসারকে কোনোভাবে বাঁধা দেয় না; বরং এটি জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করে, কারণ এটি জ্ঞানচর্চাকারীদের তাদের সময় ও পরিশ্রমের ন্যায্য প্রতিদান পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অতীতে আলিমগণ ও লেখকদেরকে শাসকরা অথবা মসজিদ-মাদরাসাভিত্তিক ওয়াকফ ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন, যার ফলে তারা পরিবার ও জীবিকার চিন্তা ছাড়াই জ্ঞানচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারতেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই। উলামাগণ বলেন, “যে ব্যক্তি তার যুগ সম্পর্কে অজ্ঞ, সে প্রকৃত আলিম নয়।”


তৃতীয়ত, এটি একটি প্রচলিত আইন। শরিয়তের স্পষ্ট বিরোধিতা না করলে মুসলিমদের জন্য সে আইন মানা দ্বীনের দিক থেকে আবশ্যক।

চতুর্থত, হালাল-হারামের ব্যাপারে মুসলমানদের উচিত জ্ঞানী আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করা। এবং আলেমগণ একবাক্যে বলেছেন, কপিরাইট একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। আমাদের সময়ের অনেক প্রখ্যাত আলেম যেমন শায়খ আল-বুতি, শায়খ যুহায়লি, শায়খ তাকি উসমানী, শায়খ সুনবুহলি এবং অন্যান্য বড় ফিকহি কাউন্সিলসমূহ একমত যে, কপিরাইট আইন অমান্য করা গুনাহের কাজ।

পঞ্চমত, যারা জানেন, ভালো মানের ইসলামিক বইপত্র, মিডিয়া ও কনটেন্ট তৈরি করতে কত খরচ হয় তারা বুঝবেন যে, এসব প্রকল্প কতটা পরিশ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল। সুতরাং, আমরা যেহেতু মুসলমান হিসেবে সচেতন, আমাদের উচিত সবাইকে; এমনকি আত্মীয়-স্বজনদেরও উৎসাহ দেওয়া যেন তারা এই সব কন্টেন্ট কিনে। আমরা তো ১০ হাজার টাকায় নাইকি জুতা কিনি, কত টাকা দিয়ে জিন্স কিনি… কিন্তু যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ক্ষেত্রে জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এমন কোনো কিছুর জন্য যুক্তিসঙ্গত কোনো মূল্য দিতে চাই না।

আর আপনি কমেন্ট বক্সে শাইখ মতিউর রহমান মাদানির একটি ভিডিও দিয়েছেন যেখানে বইয়ের কপিরাইট বিষয়ে শাইখকে স্পষ্ট করা হয়নি।

এছাড়াও শাইখ নিজেই দাওয়াহ সেন্টারে চাকরি করেন অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে দার্স দিচ্ছেন মাগনা না। এমন কি যে অনুষ্ঠানে শাইখ উক্ত জবাব দিয়েছেন সেটার জন্যেও শাইখকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।

আপনার যদি সময় থাকে এবং ইংরেজি বুঝেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন -
Copyright Infringement and Islamic Morality: A Critical Assessment of Online Sharing and Piracy

মা'আস-সালাম।
 
প্রিয় ভাই, কপিরাইটের বিষয়টি নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে ইখতিলাফ আছে।

বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ফুকাহা, বিশেষ করে যাঁরা বিষয়টি গভীরভাবে বুঝেন; বলা যায় সবাই একমত যে, বহু কারণে কপিরাইট আইন বাধ্যতামূলক এবং এটি মানা ফরজ।

প্রথমত এবং মৌলিক কারণ হলো আমাদের এই যুগে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি, এবং এর যথার্থ মূল্য না দেওয়া হলে সমাজে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান যুগের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় কপিরাইট আইন জ্ঞানের প্রসারকে কোনোভাবে বাঁধা দেয় না; বরং এটি জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করে, কারণ এটি জ্ঞানচর্চাকারীদের তাদের সময় ও পরিশ্রমের ন্যায্য প্রতিদান পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অতীতে আলিমগণ ও লেখকদেরকে শাসকরা অথবা মসজিদ-মাদরাসাভিত্তিক ওয়াকফ ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন, যার ফলে তারা পরিবার ও জীবিকার চিন্তা ছাড়াই জ্ঞানচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারতেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই। উলামাগণ বলেন, “যে ব্যক্তি তার যুগ সম্পর্কে অজ্ঞ, সে প্রকৃত আলিম নয়।”


তৃতীয়ত, এটি একটি প্রচলিত আইন। শরিয়তের স্পষ্ট বিরোধিতা না করলে মুসলিমদের জন্য সে আইন মানা দ্বীনের দিক থেকে আবশ্যক।

চতুর্থত, হালাল-হারামের ব্যাপারে মুসলমানদের উচিত জ্ঞানী আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করা। এবং আলেমগণ একবাক্যে বলেছেন, কপিরাইট একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। আমাদের সময়ের অনেক প্রখ্যাত আলেম যেমন শায়খ আল-বুতি, শায়খ যুহায়লি, শায়খ তাকি উসমানী, শায়খ সুনবুহলি এবং অন্যান্য বড় ফিকহি কাউন্সিলসমূহ একমত যে, কপিরাইট আইন অমান্য করা গুনাহের কাজ।

পঞ্চমত, যারা জানেন, ভালো মানের ইসলামিক বইপত্র, মিডিয়া ও কনটেন্ট তৈরি করতে কত খরচ হয় তারা বুঝবেন যে, এসব প্রকল্প কতটা পরিশ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল। সুতরাং, আমরা যেহেতু মুসলমান হিসেবে সচেতন, আমাদের উচিত সবাইকে; এমনকি আত্মীয়-স্বজনদেরও উৎসাহ দেওয়া যেন তারা এই সব কন্টেন্ট কিনে। আমরা তো ১০ হাজার টাকায় নাইকি জুতা কিনি, কত টাকা দিয়ে জিন্স কিনি… কিন্তু যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ক্ষেত্রে জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এমন কোনো কিছুর জন্য যুক্তিসঙ্গত কোনো মূল্য দিতে চাই না।

আর আপনি কমেন্ট বক্সে শাইখ মতিউর রহমান মাদানির একটি ভিডিও দিয়েছেন যেখানে বইয়ের কপিরাইট বিষয়ে শাইখকে স্পষ্ট করা হয়নি।

এছাড়াও শাইখ নিজেই দাওয়াহ সেন্টারে চাকরি করেন অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে দার্স দিচ্ছেন মাগনা না। এমন কি যে অনুষ্ঠানে শাইখ উক্ত জবাব দিয়েছেন সেটার জন্যেও শাইখকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।

আপনার যদি সময় থাকে এবং ইংরেজি বুঝেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন -
***

মা'আস-সালাম।
প্রিয় ভাই, কপিরাইটের বিষয়টি নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে ইখতিলাফ আছে।

বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ফুকাহা, বিশেষ করে যাঁরা বিষয়টি গভীরভাবে বুঝেন; বলা যায় সবাই একমত যে, বহু কারণে কপিরাইট আইন বাধ্যতামূলক এবং এটি মানা ফরজ।

প্রথমত এবং মৌলিক কারণ হলো আমাদের এই যুগে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি, এবং এর যথার্থ মূল্য না দেওয়া হলে সমাজে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান যুগের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় কপিরাইট আইন জ্ঞানের প্রসারকে কোনোভাবে বাঁধা দেয় না; বরং এটি জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করে, কারণ এটি জ্ঞানচর্চাকারীদের তাদের সময় ও পরিশ্রমের ন্যায্য প্রতিদান পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অতীতে আলিমগণ ও লেখকদেরকে শাসকরা অথবা মসজিদ-মাদরাসাভিত্তিক ওয়াকফ ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন, যার ফলে তারা পরিবার ও জীবিকার চিন্তা ছাড়াই জ্ঞানচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারতেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই। উলামাগণ বলেন, “যে ব্যক্তি তার যুগ সম্পর্কে অজ্ঞ, সে প্রকৃত আলিম নয়।”


তৃতীয়ত, এটি একটি প্রচলিত আইন। শরিয়তের স্পষ্ট বিরোধিতা না করলে মুসলিমদের জন্য সে আইন মানা দ্বীনের দিক থেকে আবশ্যক।

চতুর্থত, হালাল-হারামের ব্যাপারে মুসলমানদের উচিত জ্ঞানী আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করা। এবং আলেমগণ একবাক্যে বলেছেন, কপিরাইট একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। আমাদের সময়ের অনেক প্রখ্যাত আলেম যেমন শায়খ আল-বুতি, শায়খ যুহায়লি, শায়খ তাকি উসমানী, শায়খ সুনবুহলি এবং অন্যান্য বড় ফিকহি কাউন্সিলসমূহ একমত যে, কপিরাইট আইন অমান্য করা গুনাহের কাজ।

পঞ্চমত, যারা জানেন, ভালো মানের ইসলামিক বইপত্র, মিডিয়া ও কনটেন্ট তৈরি করতে কত খরচ হয় তারা বুঝবেন যে, এসব প্রকল্প কতটা পরিশ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল। সুতরাং, আমরা যেহেতু মুসলমান হিসেবে সচেতন, আমাদের উচিত সবাইকে; এমনকি আত্মীয়-স্বজনদেরও উৎসাহ দেওয়া যেন তারা এই সব কন্টেন্ট কিনে। আমরা তো ১০ হাজার টাকায় নাইকি জুতা কিনি, কত টাকা দিয়ে জিন্স কিনি… কিন্তু যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ক্ষেত্রে জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এমন কোনো কিছুর জন্য যুক্তিসঙ্গত কোনো মূল্য দিতে চাই না।

আর আপনি কমেন্ট বক্সে শাইখ মতিউর রহমান মাদানির একটি ভিডিও দিয়েছেন যেখানে বইয়ের কপিরাইট বিষয়ে শাইখকে স্পষ্ট করা হয়নি।

এছাড়াও শাইখ নিজেই দাওয়াহ সেন্টারে চাকরি করেন অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে দার্স দিচ্ছেন মাগনা না। এমন কি যে অনুষ্ঠানে শাইখ উক্ত জবাব দিয়েছেন সেটার জন্যেও শাইখকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।

আপনার যদি সময় থাকে এবং ইংরেজি বুঝেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন -
***

মা'আস-সালাম।

প্রিয় ভাই, কপিরাইটের বিষয়টি নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে ইখতিলাফ আছে।

বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ফুকাহা, বিশেষ করে যাঁরা বিষয়টি গভীরভাবে বুঝেন; বলা যায় সবাই একমত যে, বহু কারণে কপিরাইট আইন বাধ্যতামূলক এবং এটি মানা ফরজ।

প্রথমত এবং মৌলিক কারণ হলো আমাদের এই যুগে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি, এবং এর যথার্থ মূল্য না দেওয়া হলে সমাজে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান যুগের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় কপিরাইট আইন জ্ঞানের প্রসারকে কোনোভাবে বাঁধা দেয় না; বরং এটি জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করে, কারণ এটি জ্ঞানচর্চাকারীদের তাদের সময় ও পরিশ্রমের ন্যায্য প্রতিদান পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অতীতে আলিমগণ ও লেখকদেরকে শাসকরা অথবা মসজিদ-মাদরাসাভিত্তিক ওয়াকফ ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন, যার ফলে তারা পরিবার ও জীবিকার চিন্তা ছাড়াই জ্ঞানচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারতেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই। উলামাগণ বলেন, “যে ব্যক্তি তার যুগ সম্পর্কে অজ্ঞ, সে প্রকৃত আলিম নয়।”


তৃতীয়ত, এটি একটি প্রচলিত আইন। শরিয়তের স্পষ্ট বিরোধিতা না করলে মুসলিমদের জন্য সে আইন মানা দ্বীনের দিক থেকে আবশ্যক।

চতুর্থত, হালাল-হারামের ব্যাপারে মুসলমানদের উচিত জ্ঞানী আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করা। এবং আলেমগণ একবাক্যে বলেছেন, কপিরাইট একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। আমাদের সময়ের অনেক প্রখ্যাত আলেম যেমন শায়খ আল-বুতি, শায়খ যুহায়লি, শায়খ তাকি উসমানী, শায়খ সুনবুহলি এবং অন্যান্য বড় ফিকহি কাউন্সিলসমূহ একমত যে, কপিরাইট আইন অমান্য করা গুনাহের কাজ।

পঞ্চমত, যারা জানেন, ভালো মানের ইসলামিক বইপত্র, মিডিয়া ও কনটেন্ট তৈরি করতে কত খরচ হয় তারা বুঝবেন যে, এসব প্রকল্প কতটা পরিশ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল। সুতরাং, আমরা যেহেতু মুসলমান হিসেবে সচেতন, আমাদের উচিত সবাইকে; এমনকি আত্মীয়-স্বজনদেরও উৎসাহ দেওয়া যেন তারা এই সব কন্টেন্ট কিনে। আমরা তো ১০ হাজার টাকায় নাইকি জুতা কিনি, কত টাকা দিয়ে জিন্স কিনি… কিন্তু যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ক্ষেত্রে জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এমন কোনো কিছুর জন্য যুক্তিসঙ্গত কোনো মূল্য দিতে চাই না।

আর আপনি কমেন্ট বক্সে শাইখ মতিউর রহমান মাদানির একটি ভিডিও দিয়েছেন যেখানে বইয়ের কপিরাইট বিষয়ে শাইখকে স্পষ্ট করা হয়নি।

এছাড়াও শাইখ নিজেই দাওয়াহ সেন্টারে চাকরি করেন অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে দার্স দিচ্ছেন মাগনা না। এমন কি যে অনুষ্ঠানে শাইখ উক্ত জবাব দিয়েছেন সেটার জন্যেও শাইখকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।

আপনার যদি সময় থাকে এবং ইংরেজি বুঝেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন -
***

মা'আস-সালাম।
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় ভাই।আপনি নিজেই শিকার করছেন যে মতোবিরোধ আছে। তাহলে ইলমের উপর কপিরাইট এর দলীল না দিয়ে আলেমদের কথার কোন গুরুত্ব নেই। কারণ এই বিষয়টি নিয়ে আলেমদের ইজমা হয়নি। আর আপনি যেই পোস্ট শেয়ার করেছেন সেখানে শুধু এই দলিল গুলো দেওয়া যে অন্যের সম্পদের ক্ষতিসাধন করা যাবেনা, চুরি করা যাবেনা ইত্যাদি। কিন্তু ইলম কি কারো ব্যক্তিগত সম্পদ?। ব্যক্তিগত সম্পদ আমি কাউকে না দিলে না বললে কি গুনাহ হবে? আর ইলমী বিষয় যেহেতু আপনার মতে ব্যক্তিগত সম্পদ তাহলে কি ব্যক্তিগত সম্পদের প্রচার না করলে গোপন করলে গুনাহ হবে? আর সর্বোপরি, আমি দলিল দিয়ে প্রমাণ করেছি ইলম মূলত নবী রাসুলদের সম্পদ। তার মৃত্যুর পর সকলেই সেই সম্পদ থেকে উপকৃত হতে পারবে কারণ অনুমতি ছাড়াই। কারণ যেই ব্যক্তি ইলমের মালিক ছিলেন অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজেই এর অনুমতি দিয়েছেন। তাই আপনার উচিত আমার দলিল গুলেোর খন্ডন করা। তাই দলিল না দিয়ে কোন আলেমের শুধু দলিল ছাড়া বক্তব্যের কোন মূল্যে নেই। আর আমি এটাও প্রমাণিত করেছি যে, ইলম ব্যক্তিগত সম্পদ নয় বরং এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছেড়ে যাওয়া উন্মুক্ত সম্পদ। আপনি আমাকে প্রমাণিত করে দিন যে ইলম হলো ব্যক্তিগত সম্পদ এবং এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছেড়ে যাওয়া উন্মুক্ত সম্পদ নয় তাহলে আমি আপনার কথা মেনে নেব। আর শাইখ মতিউর রহমান মাদানীর কথা স্পষ্ট কিন্তু আপনার মানতে কষ্ট হচ্ছে। অনলাইনে চুরি করে ইলম শিক্ষা করা আর আপনার উল্লেখিত বিষয় একই। আসলে, এখানে মূল বিষয় হলো আপনি এমন কোন প্রদক্ষেপ নিতে পারবেনকি যার কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ অমান্য হয় এবং দ্বীন ইলম শিক্ষা করার পথে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। বর্তমান সময়ের যে কপিরাইট আইন তা প্রচলিত হারাম আইন যা ইসলাম বিরোধী শর্তের সাথে। যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ কে অমান্য করে ইলম কে সিমিত করে। আর আমার পোষ্টে এই বিষয়টি নিয়ে দলিল দেওয়া আছে। পোস্টটি ভালো করে পড়ুন কারণ আপনার সবগুলো পয়েন্টের উত্তর পোস্টে দেওয়া আছে। আসলে জিহাদ করতে গেলে আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় হবেই। এই না যে, সম্পদ ব্যয় না করে জিহাদ করবে। হ্যাঁ, আপনি আমার সাথে দুনিয়াবি ইলম নিয়ে মতবিরোধ করতে পারেন। আমি নিজেও দুনিয়াবি ইলমের কপিরাইট আইন মান্য করি কারণ, এটা ব্যক্তিগত সম্পদের মতো। কেউ যদি সারাটি জীবন অংক ইংলিশ প্রচার প্রসার না করে তাহলে তার কোন গুনাহ হবে না কারণ, এটা তার সম্পদ কিন্তু কেউ যদি দ্বীনি ইলমের অধিকারী হয় আর সারা জীবন প্রচার প্রসার না করে তাহলে তার অবশ্যই গুনাহ হবে কারণ, এটা তার নিজের সম্পদ নয় বরং সে শুধু মুসলিমদের সম্পদের সংরক্ষক তার এই কাজ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ বিরোধী। আমি আবার বলছি পোস্টটি ভালো করে পড়ুন। মনে কখনো ঝোঁক নিয়ে মুকাল্লিদদের মত ইলম শিখবেন না। সত্য গ্রহণ করার জন্য মনকে অনঢ় রাখুন। চাই সে সত্যি আমার নিজের বিরুদ্ধে যাক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আপনার সত্য পথে চলতে সাহায্য করুন। আমীন।
 
Last edited:
প্রিয় ভাই, কপিরাইটের বিষয়টি নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে ইখতিলাফ আছে।

বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ফুকাহা, বিশেষ করে যাঁরা বিষয়টি গভীরভাবে বুঝেন; বলা যায় সবাই একমত যে, বহু কারণে কপিরাইট আইন বাধ্যতামূলক এবং এটি মানা ফরজ।

প্রথমত এবং মৌলিক কারণ হলো আমাদের এই যুগে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি, এবং এর যথার্থ মূল্য না দেওয়া হলে সমাজে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান যুগের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় কপিরাইট আইন জ্ঞানের প্রসারকে কোনোভাবে বাঁধা দেয় না; বরং এটি জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করে, কারণ এটি জ্ঞানচর্চাকারীদের তাদের সময় ও পরিশ্রমের ন্যায্য প্রতিদান পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অতীতে আলিমগণ ও লেখকদেরকে শাসকরা অথবা মসজিদ-মাদরাসাভিত্তিক ওয়াকফ ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন, যার ফলে তারা পরিবার ও জীবিকার চিন্তা ছাড়াই জ্ঞানচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারতেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই। উলামাগণ বলেন, “যে ব্যক্তি তার যুগ সম্পর্কে অজ্ঞ, সে প্রকৃত আলিম নয়।”


তৃতীয়ত, এটি একটি প্রচলিত আইন। শরিয়তের স্পষ্ট বিরোধিতা না করলে মুসলিমদের জন্য সে আইন মানা দ্বীনের দিক থেকে আবশ্যক।

চতুর্থত, হালাল-হারামের ব্যাপারে মুসলমানদের উচিত জ্ঞানী আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করা। এবং আলেমগণ একবাক্যে বলেছেন, কপিরাইট একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। আমাদের সময়ের অনেক প্রখ্যাত আলেম যেমন শায়খ আল-বুতি, শায়খ যুহায়লি, শায়খ তাকি উসমানী, শায়খ সুনবুহলি এবং অন্যান্য বড় ফিকহি কাউন্সিলসমূহ একমত যে, কপিরাইট আইন অমান্য করা গুনাহের কাজ।

পঞ্চমত, যারা জানেন, ভালো মানের ইসলামিক বইপত্র, মিডিয়া ও কনটেন্ট তৈরি করতে কত খরচ হয় তারা বুঝবেন যে, এসব প্রকল্প কতটা পরিশ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল। সুতরাং, আমরা যেহেতু মুসলমান হিসেবে সচেতন, আমাদের উচিত সবাইকে; এমনকি আত্মীয়-স্বজনদেরও উৎসাহ দেওয়া যেন তারা এই সব কন্টেন্ট কিনে। আমরা তো ১০ হাজার টাকায় নাইকি জুতা কিনি, কত টাকা দিয়ে জিন্স কিনি… কিন্তু যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ক্ষেত্রে জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এমন কোনো কিছুর জন্য যুক্তিসঙ্গত কোনো মূল্য দিতে চাই না।

আর আপনি কমেন্ট বক্সে শাইখ মতিউর রহমান মাদানির একটি ভিডিও দিয়েছেন যেখানে বইয়ের কপিরাইট বিষয়ে শাইখকে স্পষ্ট করা হয়নি।

এছাড়াও শাইখ নিজেই দাওয়াহ সেন্টারে চাকরি করেন অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে দার্স দিচ্ছেন মাগনা না। এমন কি যে অনুষ্ঠানে শাইখ উক্ত জবাব দিয়েছেন সেটার জন্যেও শাইখকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।

আপনার যদি সময় থাকে এবং ইংরেজি বুঝেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন -
***

মা'আস-সালাম।
আর একটি বিষয়ে বলা হয়নি। শেষে আপনি পারিশ্রমীক এর কথা বলছেন। প্রিয় ভাই এখানে দ্বীনি কাজের বিনিময়ে মজুরি নেওয়া জায়েজ কি জায়েয নয় এটা নিয়ে কোন কিছু উল্লেখ করা হয়নি বরং এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দ্বীনি ইলমের উপর কপিরাইট আইন প্রয়োগ করা যাবে কি যাবে না। অর্থাৎ উভয় ভিন্ন বিষয়। পারিশ্রমিক এর সাথে এই আলোচনার কোন সম্পর্ক নেই । পারিশ্রমিক নিয়ে জানতে চাইলে আপনি কামাল আহমাদ হাফিজাহুল্লাহ সংকলিত এই বিষয়টি পরতে পারেন দীনী কাজের বিনিময় বা মজুরী
 
দেখুন যারা নাজায়েজ বলেছে তারা কি এসব হাদিস সম্পর্কে জানেন না? মূল কথা হচ্ছে কোন দলিল কোথায় খাটবে সেটা ফুকাহাগণ নির্ধারণ করবেন আম মানুষ নয়।
প্রেক্ষাপট ছাড়াই আয়াত ও হাদিস পেলাম আর ফাতাওয়া মেরে দিলাম ব্যাস কাজ শেষ। অবস্থা, পরিস্থিতি, বাস্তবতা সেটা আবার কি?

আমি নিজেও দুনিয়াবি ইলমের কপিরাইট আইন মান্য করি কারণ, এটা ব্যক্তিগত সম্পদের মতো।

শুনুন দ্বীনি জ্ঞানই দুনিয়াবি উত্তম জ্ঞান কেননা এটি আপনার দুনিয়া ও আখিরাতে উভকেই সুন্দর করে উভয়ের জন্যেই গাইডলাইন দ্বীনি জ্ঞান কেবল আখিরাতের জন্য এমনটা ভাবার অবকাশ নেই।

আমাদের সালাফগণ ইলম অর্জনের জন্য তাদের সম্পদ ব্যায় করেছেন তারা কখনোই এ বিষয়ে কৃপনতা করেন নি।
তারা ইলম সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং পারিশ্রমিক ও গ্রহন করেছেন ।

কপিরাইট আইন কেনো করা হয় সম্ভবত আপনি সেটাই জানেন না। প্রকৃতপক্ষে যারা কপিরাইট আইন সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান রাখে তারা কখনোই এই বিরোধিতা করবে না।

দ্বীনি কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েজ আর কপিরাইট আইন সেই পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতেই করা করা হয়ে থাকে।
 
দেখুন যারা নাজায়েজ বলেছে তারা কি এসব হাদিস সম্পর্কে জানেন না? মূল কথা হচ্ছে কোন দলিল কোথায় খাটবে সেটা ফুকাহাগণ নির্ধারণ করবেন আম মানুষ নয়।
প্রেক্ষাপট ছাড়াই আয়াত ও হাদিস পেলাম আর ফাতাওয়া মেরে দিলাম ব্যাস কাজ শেষ। অবস্থা, পরিস্থিতি, বাস্তবতা সেটা আবার কি?



শুনুন দ্বীনি জ্ঞানই দুনিয়াবি উত্তম জ্ঞান কেননা এটি আপনার দুনিয়া ও আখিরাতে উভকেই সুন্দর করে উভয়ের জন্যেই গাইডলাইন দ্বীনি জ্ঞান কেবল আখিরাতের জন্য এমনটা ভাবার অবকাশ নেই।

আমাদের সালাফগণ ইলম অর্জনের জন্য তাদের সম্পদ ব্যায় করেছেন তারা কখনোই এ বিষয়ে কৃপনতা করেন নি।
তারা ইলম সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং পারিশ্রমিক ও গ্রহন করেছেন ।

কপিরাইট আইন কেনো করা হয় সম্ভবত আপনি সেটাই জানেন না। প্রকৃতপক্ষে যারা কপিরাইট আইন সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান রাখে তারা কখনোই এই বিরোধিতা করবে না।

দ্বীনি কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েজ আর কপিরাইট আইন সেই পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতেই করা করা হয়ে থাকে।
প্রিয় ভাই। মুকাল্লিদ ভাইয়েরা বলেন যে, যেসব তবেঈন, তাবে তাবেঈন রা এভাবে নামাজ পরেছেন, এভাবে যাকাত আদায় করেছেন, এভাবে হজ্জ করেছেন, এভাবে পবিত্রতা অর্জন করেছেন। আপনি কি সেই কথা মেনে নেন নাকি সহীহ হাদীস মোতাবেক আমল করেন? দয়া করে জানাবেন। বা! বা! কত বড় বড় তাবেঈ গত হয়েছে যাহারা এভাবে নামাজ পরেছেন, এভাবে যাকাত আদায় করেছেন, এভাবে হজ্জ করেছেন, এভাবে পবিত্রতা অর্জন করেছেন তারা কি হাদীস জানতোনা? তাহারা কি ভুল আমল করেছেন?। এসব তাদের কথা যাদের কাছে কোন ইলম নেই বললাম একটা দলিল দিতে আপনি বলছেন অমুক তমুক। আপনি নিজেই জানেন এই কপিরাইট আইন বিষয় নিয়ে আলেমদের মতোবিরোধ আছে আর আমি সেই সকল আলেমদের পক্ষ থেকে দলিল দিয়েছি আপনি যদি কপিরাইট আইন এর পক্ষে হন তাহলে দলিল দেন। বিনা দলিল ছাড়া বক্তব্যের কোন মূল্যে নেই । আপনার কথা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি কোন আলেমের কাছে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করেন তাহলে সেই আলেমের এটা বলার অধিকার আছে যে, দ্বীনি কাজের বিনিময়ে মজুরি নেওয়া জায়েজ তাই আগে টাকা দিন তারপর ফতোয়া নিন? তাই না? নাকি সেই আলম ফতোয়া দিতে বা সহজ পদ্ধতি বাতলে দিতে বাধ্য? দয়াকরে উত্তর দিবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইলম শিক্ষা ও প্রচার করতে বলেছেন এবং এটাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তখন আপনি কি করে বাঁধা দিবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ইলমের কোন কপিরাইট হয়না যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করতে চাইবে সেই অর্জন করতে পারবে আর আপনি বলছেন দুনিয়ার আইন বলছে কপিরাইট আইন মান্য করা হবে। আসলে আপনার কাছে যদি কোন ইলম থাকতো আপনি সেই ইলম পেশ করতেন। দলিল দিয়ে কথা বলতেন। এর পর কোন কমেন্ট করার পূর্বে দলিল দিবেন। অযথা দলিল ছাড়া কমেন্ট করবেন না।
 
আপনার দেওয়া সকল যুক্তি ও দলিল খোঁড়া দলিল যার সাথে কপিরাইটের কোনো সম্পর্ক নেই।

ভাই আপনার চৌর্যবৃত্তিকে সহজ করার জন্য আপনার মতোই খোঁড়া একটি দলিল দিচ্ছি - আল্লাহ তায়ালা বলেন,

"যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান" সুরা বাকারাহ: ২৮৪

এর মানে দুনিয়ায় সবকিছুই আল্লাহর। নেন এবার লুটপাট শুরু করেন।

ইলম কিংবা সবকিছুই অর্জন করে নিতে হয়। আপনি যা অর্জন করবেন সেটা আপনার। পৃথিবীতে সবকিছুই এক্সিটিং কোনো কিছুই নতুন নয়, নতুন বলতে আমরা এক্সিস্টিং জিনিস দিয়ে বানানো বা রুপান্তরকে বুঝি।

ইলম সবার জন্য উন্মুক্ত এর মানে এই নয় যে কেউ বইয়ের মালিক হতে পারবে না।

কপিরাইট আইন ইসলামের সাথে কখনোই সাংঘর্ষিক নয়। বরং এটি মালিকানা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বর্গের পারিশ্রমিক নিশ্চিত করে।

নিজের চৌর্যবৃত্তিকে বৈধতা দিতে আপনি যথেষ্ট জ্ঞানের অভাবে ইন্টিলেকচুয়াল সম্পদের মানে বুঝতে পারছেন না তাই তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন এবং খোঁড়া যুক্তি ও দলিল পেশ করে যাচ্ছেন আর আমাকে মুকাল্লিদ বলে অপমান করতে চাচ্ছেন।

পরিশেষে বলতে চাই আমি আপনার সাথে তর্ক করতে আগ্রহী নই।

আমি নিজেকে ও আপনাকে একটি হাদিস স্বরণ করিয়ে বিদায় নিচ্ছি - সালাম।

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ উভয়ের মধ্যে এমন অনেক সন্দেহভাজন বিষয় বা বস্ত্ত আছে, যে ব্যাপারে অনেক মানুষই এগুলো হালাল, কি হারাম- এ বিষয়ে অবগত নয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় হতে বিরত থাকবে, তার দীন ও মান-মর্যাদা পুত-পবিত্র থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহে পতিত থাকবে, সে সহসাই হারামে জড়িয়ে পড়বে। বিষয়টি সেই রাখালের ন্যায়, যে রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার কাছাকাছি নিয়ে চরালো, তার পাল অজান্তেই নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) : ২৭৬২
 
আপনার দেওয়া সকল যুক্তি ও দলিল খোঁড়া দলিল যার সাথে কপিরাইটের কোনো সম্পর্ক নেই।

ভাই আপনার চৌর্যবৃত্তিকে সহজ করার জন্য আপনার মতোই খোঁড়া একটি দলিল দিচ্ছি - আল্লাহ তায়ালা বলেন,

"যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান" সুরা বাকারাহ: ২৮৪

এর মানে দুনিয়ায় সবকিছুই আল্লাহর। নেন এবার লুটপাট শুরু করেন।

ইলম কিংবা সবকিছুই অর্জন করে নিতে হয়। আপনি যা অর্জন করবেন সেটা আপনার। পৃথিবীতে সবকিছুই এক্সিটিং কোনো কিছুই নতুন নয়, নতুন বলতে আমরা এক্সিস্টিং জিনিস দিয়ে বানানো বা রুপান্তরকে বুঝি।

ইলম সবার জন্য উন্মুক্ত এর মানে এই নয় যে কেউ বইয়ের মালিক হতে পারবে না।

কপিরাইট আইন ইসলামের সাথে কখনোই সাংঘর্ষিক নয়। বরং এটি মালিকানা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বর্গের পারিশ্রমিক নিশ্চিত করে।

নিজের চৌর্যবৃত্তিকে বৈধতা দিতে আপনি যথেষ্ট জ্ঞানের অভাবে ইন্টিলেকচুয়াল সম্পদের মানে বুঝতে পারছেন না তাই তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন এবং খোঁড়া যুক্তি ও দলিল পেশ করে যাচ্ছেন আর আমাকে মুকাল্লিদ বলে অপমান করতে চাচ্ছেন।

পরিশেষে বলতে চাই আমি আপনার সাথে তর্ক করতে আগ্রহী নই।

আমি নিজেকে ও আপনাকে একটি হাদিস স্বরণ করিয়ে বিদায় নিচ্ছি - সালাম।

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ উভয়ের মধ্যে এমন অনেক সন্দেহভাজন বিষয় বা বস্ত্ত আছে, যে ব্যাপারে অনেক মানুষই এগুলো হালাল, কি হারাম- এ বিষয়ে অবগত নয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় হতে বিরত থাকবে, তার দীন ও মান-মর্যাদা পুত-পবিত্র থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহে পতিত থাকবে, সে সহসাই হারামে জড়িয়ে পড়বে। বিষয়টি সেই রাখালের ন্যায়, যে রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার কাছাকাছি নিয়ে চরালো, তার পাল অজান্তেই নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) : ২৭৬২
আপনি দলিল দিয়েছেন সবকিছুই আল্লাহর আর সেই আল্লাহ অপরকে তার সম্পদের মালিক বানিয়েছে। সেই আল্লাহ সেই সম্পদ চুরি করতে নিষেধ করেছেন এবং এই কার্যক্রম এর জন্য শাস্তির বিধান দিয়েছেন। যদি আল্লাহ নিষেধ না করতেন তাহলে আপনার কামনা সত্যি হতে। কিন্তু ইলম এই বস্তু নয়। ইলম যেখানে পাবেন সেখানে থেকেই গ্রহণ করবেন।

আমি জানতাম যে, কিছু লোক থাকবে যারা সত্য গ্রহণ করার জন্য খোঁড়া এই যুক্তি দিবে যে এখন বই লুটপাট শুরু করে দিক। তাদের জন্য আমি এই পোস্ট করার সময় আরো দুইটি লাইন লিখেছিলাম কিন্তু একটি কারণে আমি এই লাইন দুটো দেইনি কিন্তু আমার কাছে সংরক্ষিত আছে যা আপনার মতো ইলম ছাড়া লোকদের বাঝানোর জন্য দেওয়া হল:-

আব্দুর রহমান:- তাহলে আপনি বলছেন যে, ইলম কোন সম্পদ নয় এবং যে কেউ এখানে ভাগ বসাতে পারে তাহলে, সমস্ত লাইব্রেরী বইয়ের দোকান থেকে বই চুরি করাও কি জায়েয নয়? কারণ ইলমের ওয়ারিশ তো সকলেই। তাই না!

আব্দুল্লাহ:- এখানে আপনি দুটি বিষয়কে একত্র করছেন। ইলমের ওয়ারিশ সকলেই কিন্তু সম্পদের ওয়ারিশ তার মালিক এটি তার ব্যক্তিগত সম্পদ। বিষয়টি আরো স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে বলছি নিম্নের উদাহরণটির প্রতি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। উদাহরণ স্বরূপ:- মগজ/অন্তর মানুষের নিজস্ব সম্পত্তি কিন্তু মানুষ সেই মগজ/অন্তরের মধ্যে দ্বীনি ইলম সংরক্ষিত করে । সংরক্ষিত দ্বীনি ইলমের ওয়ারিশ সকলেই। কেউ যদি কোন ইলম ওয়ালার কাছে কোন মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করে তাহলে তাকে তা জানিয়ে দেওয়া বা জানার সহজ পদ্ধতি তাকে জানিয়ে দেওয়া সেই ইলম ওয়ালার জন্য ফরজ। কারণ আপনার কাছে সংরক্ষিত ইলমের ওয়ারিশ সকলেই কিন্তু, আপনার মগজ/অন্তরের ওয়ারিশ সকলেই নয়। মগজ/অন্তর আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ। মগজ/অন্তর কোন ইলম নয় বরং এটা ইলম সংরক্ষিত করার যন্ত্র। কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় কারো ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন করা। তাই কোন ব্যক্তি যদি কোন ব্যক্তির মাথা/বুক ফাটিয়ে মগজ/অন্তর নিয়ে বলে যে, ইলমের ওয়ারিশ সকলেই তাই আমি তা নিয়েছি। তাহলে তাকে বলা হবে ইলমের ওয়ারিশ সকলেই এটা সঠিক কিন্তু মগজ/অন্তর তো আর ইলম নয় এটা ইলম সংরক্ষিত করার যন্ত্র এবং ব্যক্তিগত সম্পদ। সুতরাং তোমরা উপর এখন ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন করার জন্য সমপরিমাণ বদলা নেওয়া হবে।

সুতরাং ইলমের ওয়ারিশ তো সকলেই কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পদের ওয়ারিশ সকলেই নয়। তাই ইলম অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন করা যাবেনা।

ঠিক অনুরূপ ভাবেই, বইয়ের কভার, মলাট কাগজ এগুলো হলো ইলম সংরক্ষিত করার যন্ত্র ও ব্যক্তিগত সম্পদ। আর এগুলোর ভিতরে রয়েছে ইলম এবং ইলমের ওয়ারিশ সকলেই। তাই তুমি ইলম অর্জনের জন্য বই চুরি করতে পারো না কারণ বই হলো ব্যক্তিগত সম্পদ আর বইয়ের মধ্যে সংরক্ষিত হয় ইলম। তুমি ইলম অর্জন করার জন্য বইয়ের কোন ক্ষতিসাধন না করে যা তোমার মনে ইচ্ছা করে তাই করতে পারো কারণ ইলমের ওয়ারিশ তুমিও। তুমি বইয়ের ক্ষতিসাধন না করে বই থেকে নিজের খাতায় অনুলিপি করতে পারো আবার বইয়ের ক্ষতিসাধন না করে তুমি ইলম গুলোর স্ক্যান করে বা ছবি তুলে নিতে পারো কারণ, দ্বীনি ইলমের ওয়ারিশ সকলেই। তাই তুমি লাইব্রেরী ও বইয়ের দোকান দোকান থেকে বই চুরি করতে পারবেনা কারণ, তাহলে তুমি তোমার সম্পদের (ইলম) সাথে ব্যক্তিগত সম্পদের (বই) চুরি করছো কিন্তু তুমি লাইব্রেরী ও বইয়ের দোকানে গিয়ে ব্যক্তিগত সম্পদের (বই) কোন ক্ষতিসাধন না করে তোমার সম্পদের (ইলম) তুমি অনুলিপি করতে পারো আবার মুখস্থও করতে পারো আবার স্ক্যান ও ছবিও তুলতে পারো। এখানে বাঁধা প্রদান করার কারো কোন অধিকার নেই। আশা করি আব্দুর রহমান ভাই, আমি আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।


আশা করি আপনিও বুঝবেন। আপনি বই বেচতে পারেন কিন্তু আপনি বইয়ের মধ্যে ইলমের উপর কপিরাইট আইন লাগাতে পারবেন না। কাউকে তা পড়তে অনুলিপি করতে স্কান করতে বাধা দিবেন না। আপনি বই ১০০০০০ কোটি ডলারের বিপরীতে বিক্রি করুন তাতে কি যায় আসে। শুধু ইলমের উপর কপিরাইট আইন প্রয়োগ করা বন্ধ করুন যে, বই না কিনলে পড়তে দেব না অনুলিপি করতে দেব না এটা হারাম কারণ আপনি কাউকে ইলম অর্জন করতে বাঁধা প্রদান করতে পারবেন না। আশা করি আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই বলবেন আমি আপনার সংশয় দুর করে দিব।
 
Last edited:
আপনি আমাকে ইন্টেকচুয়াল সম্পদ কি সেটা একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে দিবেন।

আর সুস্থ মস্তিষ্কে এই ভিডিওগুলো নিবেন।







এগুলো দেখার পর আমি কি আপনার মতো লেইম্যানের যুক্তি ফলো করবো নাকি আহালুল ইলমদের ফলো করবো।

আপনার খোঁড়া যুক্তির মাধ্যমে আপনি হাওয়ার অনুসরণ করছেন আর আমি আলেমদের।

খালাস আর না ভাই।
 
আপনি আমাকে ইন্টেকচুয়াল সম্পদ কি সেটা একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে দিবেন।

আর সুস্থ মস্তিষ্কে এই ভিডিওগুলো নিবেন।






***

এগুলো দেখার পর আমি কি আপনার মতো লেইম্যানের যুক্তি ফলো করবো নাকি আহালুল ইলমদের ফলো করবো।

আপনার খোঁড়া যুক্তির মাধ্যমে আপনি হাওয়ার অনুসরণ করছেন আর আমি আলেমদের।

খালাস আর না ভাই।
আমি এগুলো ভিডিও দেখেছি। আমি যখন নতুন খুঁজতে শুরু করি যে, পিডিএফ বই পড়া জায়েয কি জায়েয নয়। আর এই বিষয়টি নিয়ে তিন রকম আলেমদের বক্তব্যের বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছি। একদল বলে এটা হারাম একদল বলে এটা ব্যক্তিগত ভাবে বৈধ আর একদল এটাকে জায়েয বলেছেন। আমি কোন ফতোয়া বাজি করি না। আমি আলেমদের মতোবিরোধ আছে এমন মাসায়েলে দলিলের মাধ্যমে প্রাধান্য দিয়ে একটি মত গ্রহণ করি। আপনি একজন ক্ষিয়ানত কারি লোক। আপনি নিজেও জানেন এবং লেখেছেন যে এই বিষয়টি নিয়ে আলেমদের মতোবিরোধ আছে। সকল আলেম এই বিষয়টি নিয়ে একমত নয় । আর আপনি আমায় বলছেন আপনার কথা মানবো না। আমি কি আপনাকে আমার কথা মানতে বলেছি? বরং আপনি সেই সকল আলেমদের কথা মানুন যারা বলে ইলমের উপর কোন কপিরাইট আইন প্রয়োগ করা হবে না। কিন্তু আপনি বারবার পাশ কাটিয়ে বলছেন আমি ফতোয়া মারছি। আমি জীবনে কখনো ফতোয়া মারি নি আর জীবনে মারবও না। আমি সবসময় আলেমদের ইজমা আঁকড়ে ধরি তাদের মতো বিরোধে কোন মত গ্রহণ যোগ্য তা দলিল সহ গ্রহণ করি। আমি আপনার মত নয় যে যা বললো মেনে নিলাম। এই পর্যন্ত কত কমেন্ট এখনো একটি দলিল দিতে পারলেন না যে, হাদীসে এসেছে মানুষ দ্বীনি ইলমের স্বত্ব পায় কিন্তু আমি ঠিকই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত করেছি মানুষ দ্বীনি ইলমের কোন স্বত্ব পায় না। তাই আপনাকে আমার চেনা হয়ে গেছে যে, আপনি কেমন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনি আমাদের সকলকে হিফাজত করুন।
 
আপনি আমাকে ইন্টেকচুয়াল সম্পদ কি সেটা একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে দিবেন।

আর সুস্থ মস্তিষ্কে এই ভিডিওগুলো নিবেন।







এগুলো দেখার পর আমি কি আপনার মতো লেইম্যানের যুক্তি ফলো করবো নাকি আহালুল ইলমদের ফলো করবো।

আপনার খোঁড়া যুক্তির মাধ্যমে আপনি হাওয়ার অনুসরণ করছেন আর আমি আলেমদের।

খালাস আর না ভাই।
জাযাকাল্লাহু খাইর।

আর ভাই আপনি এই আতেলের সাথে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন এ নিজে মুকাল্লিদ না এটা প্রমাণের জন্য নিজের হাওয়ার অনুসরণ করে মানে আলেমদের মত মানবে না নিজে নিজে দলিল খুঁজে বুজে কিংবা না বুজে নিজের পক্ষে ফিট করবে আর আলেদের যারা অনুসরণ করে তাদের মুকাল্লিদ বলবে অথচ আমদের দলিল বুজার মতো জ্ঞান উনার আছে কিনা সেটাও সন্দেহ কেনোনা এর কমনসেন্সের অভাব সেটা অনেক পোস্টে লক্ষ্য করেছি।
 
জাযাকাল্লাহু খাইর।

আর ভাই আপনি এই আতেলের সাথে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন এ নিজে মুকাল্লিদ না এটা প্রমাণের জন্য নিজের হাওয়ার অনুসরণ করে মানে আলেমদের মত মানবে না নিজে নিজে দলিল খুঁজে বুজে কিংবা না বুজে নিজের পক্ষে ফিট করবে আর আলেদের যারা অনুসরণ করে তাদের মুকাল্লিদ বলবে অথচ আমদের দলিল বুজার মতো জ্ঞান উনার আছে কিনা সেটাও সন্দেহ কেনোনা এর কমনসেন্সের অভাব সেটা অনেক পোস্টে লক্ষ্য করেছি।
আপনি কেন এর মধ্যে আসলেন আসেই
জাযাকাল্লাহু খাইর।

আর ভাই আপনি এই আতেলের সাথে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন এ নিজে মুকাল্লিদ না এটা প্রমাণের জন্য নিজের হাওয়ার অনুসরণ করে মানে আলেমদের মত মানবে না নিজে নিজে দলিল খুঁজে বুজে কিংবা না বুজে নিজের পক্ষে ফিট করবে আর আলেদের যারা অনুসরণ করে তাদের মুকাল্লিদ বলবে অথচ আমদের দলিল বুজার মতো জ্ঞান উনার আছে কিনা সেটাও সন্দেহ কেনোনা এর কমনসেন্সের অভাব সেটা অনেক পোস্টে লক্ষ্য করেছি।
যে ব্যাক্তি কখনো এই আলেমের কখনো ওই আলেমের যেমন:- কেউ কোন সময় শাইখ মতিউর রহমান মাদানীর অনুসরণ করে আবার শাইখ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া এর অনুসরণ করে অথচ সে জানে না যে, সে কিসের ভিত্তিতে এই আলেমের কথা গ্রহণ করে আবার কেউ বায়াতপন্থী আলেমদের অনুসরণ করে আবার কেউ এর বিরুদ্ধের আলেমদের গ্রহণ করে অথচ এই ব্যক্তি জানেনা যে, সে কি কারণে শাইখ আবু বকর যাকারিয়ার কথা ছেড়ে দিয়ে শাইখ মতিউর রহমান মাদানীর কথা গ্রহণ করে, শাইখ আসাদুল্লাহ আল গালিব এর কথা ছেড়ে দিয়ে শাইখ আব্দুল্লাহ/ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর কথা গ্রহণ করে, অথবা সে জানেনা যে, সে কেন শাইখ নাসিরউদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহর কথা ছেড়ে দিয়ে শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ এর কথা শাইখ কিফায়াতুল্লাহ সানাবীলীর কথা গ্রহণ করে। এই ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে নাকি ঐ ব্যক্তি যে ব্যক্তি আলেমদের ইজমা আঁকড়ে ধরে আলেমরা মতভেদ করলে সে তার পুর্ণাঙ্গ চেষ্টা চালিয়ে দলিলের মাধ্যমে সেই আলেমদের মতামতের মধ্যে হতে একটি মতকে প্রাধান্য দেয় নিজে কোন নতুন মতবাদ প্রচার করে না , যে ব্যক্তি প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যম বানিয়েছে দলিল কে এই ব্যক্তি প্রবৃত্তির অনুসরণ করে নাকি সে যে জানেনা কেন তিনি একজনকে মানে আরেকজনকে ছাড়ে। বাকি আল্লাহ সবাইকে জানেন এবং তার প্রচেষ্টাকে দেখেন । কে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে আর কে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালয় সত্য জানার জন্য। আমারা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানায় তিনি যেন আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আমীন।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top