সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সালাত ইমামের সাথে নামায শেষ করার মাহাত্ম্য

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,259
Credits
6,304
যে ব্যক্তি জামাআতের ইমামের পিছনে রাতের কিছু অংশ তারাবীহ পড়বে এবং ইমাম শেষ করলে সেও শেষ করবে (অর্থাৎ, তাঁর আগে বা পরে শেষ করবে না), তার নেকীর খাতায় পূর্ণ রাত নামায পড়ার সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায পড়ে এবং তার নামায শেষ করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকে (ইক্তিদা করে), সেই ব্যক্তির জন্য সারা রাত্রি কিয়াম করার সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।’’[1]

এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, যদি কোন লোক ইমামের সাথে ৮ রাকআত নামায পড়ে এবং বিতর না পড়ে ইমামের সাথে নামায শেষ করে না, সে লোক উক্ত ফযীলত পাওয়ার অধিকারী নয়।

তদনুরূপ যদি কোন ইমাম ২১ রাকআত তারাবীহ পড়েন এবং তাঁর পশ্চাতে কেউ ১০ বা ১২ রাকআত পড়ে পৃথক হয়ে একাকী বিতর পড়ে নেয়, (কারণ তার মতে তার থেকে বেশী রাকআত পড়া বৈধ নয় তাই) তাহলে সে ব্যক্তিও উক্ত মাহাত্ম্য পাওয়ার হকদার নয়।

পক্ষান্তরে কোন মুসলিমের জন্য সাগ্রহে সুন্নত পালন করতে গিয়ে জামাআতের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা এবং জামাআত ত্যাগ করে চলে যাওয়া উচিৎ নয়। উচিৎ হল, তাঁর সাথে যখন ১০ বা ১২ রাকআত পড়ল, তখন বাকী নামাযটাও তাঁর সাথেই শেষ করা। আর এই বেশী নামায পড়াটা (সুন্নত না হলেও) কোন অবৈধ বা আপত্তিকর কাজ নয়। (নফল নামায বেশী পড়া বিদআত তো নয়; কারণ তা বৈধ হওয়ার কিছু দলীল তো রয়েছে। আর এ কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে।) অতএব বড়জোর তা ভালোর পরিপন্থী অথবা সুন্নাহর খিলাপ; যাতে ইজতিহাদী মতভেদ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাহলে তা নিয়ে আমাদের আপোসের মাঝে অনৈক্য ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং এমন ইজতিহাদী মাসআলাকে কেন্দ্র করে নিজ মতের বিরোধী পক্ষকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা আদৌ বৈধ নয়। আমাদের উচিৎ, যথাসম্ভব আমাদের মাঝে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা।[2]


[1] (আহমাদ, মুসনাদ, সহীহ আবূ দাঊদ ১২২৭, সহীহ তিরমিযী, আলবানী ৬৪৬, সহীহ নাসাঈ, আলবানী ১৫১৪, সহীহ ইবনে মাজাহ, আলবানী ১৩২৭নং)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৮৩-৮৭ দ্রঃ)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW
Top