‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️
S

সালাত আয়নার সামনে নামায আদায় প্রসঙ্গ

shipa

Inquisitive

Q&A Master
Salafi User
Threads
347
Comments
400
Reactions
1,810
Credits
2,125
প্রশ্ন: আয়না সামনে রেখে নামায আদায়ের হুকুম কি? অনেকে বলেন, আয়না সামনে রেখে নামায বৈধ হবে না। আবার কেউ কেউ বলেন, কাপড় দিয়ে আয়না ঢেকে নেয়া জরুরী। সঠিকটি জানালে উপকৃত হব।

উত্তর: নামায হল গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামায অবস্থায় নামাযীর অবস্থা কেমন হবে এ বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহতে যথার্থ দিকনির্দেশনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
﴿قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ. الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ ﴾ (سورة المؤمنون:1-2)
““মু’মিনরা সফলকাম হয়েছে। যারা নামাযে বিনয় নম্র” (সূরা মু’মিনুন:১-২)
এ মর্মে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَمِيصَةٍ لَهُ لَهَا أَعْلاَمٌ، فَنَظَرَ إِلَى أَعْلاَمِهَا نَظْرَةً، فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ: «اذْهَبُوا بِخَمِيصَتِي هَذِهِ إِلَى أَبِي جَهْمٍ، فَإِنَّهَا أَلْهَتْنِي آنِفًا عَنْ صَلاَتِي، وَأْتُونِي بِأَنْبِجَانِيَّةِ أَبِي جَهْمِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ غَانِمٍ، مِنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা একটি চাদরে নামায আদায় করেন,যাতে নকশা ছিল। তিনি উক্ত নকশার দিকে একবার দৃষ্টি দেন। যখন তিনি নামায শেষ করলেন তখন বললেন: ‘তোমরা আমার এই চাদরটি আবু জাহামের নিকট নিয়ে যাও কেননা ইহা আমাকে এখনই নামায থেকে অন্যমনস্ক করে দিয়েছে। এবং আবু জাহাম বিন হুজাইফা বিন গানেমের আম্বেজানিয়াহ কাপড়টি নিয়ে এসো, যিনি ছিলেন আদী বিন কা’ব গোত্রের’। (সহীহ বুখারী)
অন্য বর্ণনায় এসেছে,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
«كُنْتُ أَنْظُرُ إِلَى عَلَمِهَا وَأَنَا فِى الصَّلاَةِ فَأَخَافُ أَنْ تَفْتِنَنِىْ»(بخاري)
‘আমি সলাত অবস্থায় এর নকশার দিকে তাকাচ্ছিলাম। আর আমি ভয় করছিলাম উহা আমাকে ফেৎনার মধ্যে ফেলে দিবে’’।
عَنْ أَنَسٍ كَانَ قِرَامٌ لِعَائِشَةَ سَتَرَتْ بِهِ جَانِبَ بَيْتِهَا فَقَالَ النَّبِىُّ «أَمِيْطِىْ عَنَّا قِرَامَكِ هَذَا فَإِنَّهُ لاَ تَزَالُ تَصَاوِيْرُهُ تَعْرِضُ فِى صَلاَتِىْ»
আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন,আয়েশা (রাঃ)-এর একটি পর্দা ছিল। তিনি সেটা দ্বারা তার ঘরের এক পার্শ্ব ঢেকে রেখেছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: ‘আমার সামনে থেকে তোমার এই পর্দাটা সরিয়ে নাও কেননা ঐ ছবিগুলো আমার নামাযের মধ্যে আমার সামনে বারবার ভাসে’। (বুখারী)

*শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ বিন আল উসাইমীন (রহ.) বলেন: *
‘যে ব্যক্তি আয়না সামনে করে নামায পড়ে সে তার নিজেকে ঐ দিকে ব্যস্ত রাখে কেননা নামাযের রুকু, সেজদা, উঠা-বসা সবকিছু তার দৃষ্টিগোচর হয় যা স্বাভাবিকভাবে তার চিন্তা বা মনস্ক্যের একাগ্রতাকে নষ্ট করে। এজন্য বলব, ব্যক্তির উচিত যাতে তার নামাযের একাগ্রতা বিনষ্ট হবে তা না করা বা সাথে না রাখা...’।
সর্বপরি কথা হচ্ছে, কেউ যদি আয়নার সামনে নামায আদায় করে তাহলে তার নামায বিশুদ্ধ হবে, তবে তার একাগ্রতা বিনষ্টের ফলে নামাযের সওয়াবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর কেউ যদি একান্ত অপারগ হয়ে যায়, তাহলে তার উচিত যেভাবে নামাযের একাগ্রতা রক্ষা করা যায় তা চেষ্টা-প্রচেষ্টা করবে। যদিও চোখ বন্ধ করেও হয়। যাতে করে নামাযের বিনয় নম্রতা নষ্ট না হয়। আল্লাহু আ’লাম।


উত্তর প্রদানে: কাসেম বিন আব্বাস মাদানী
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
 

Share this page