- Joined
- Jun 16, 2023
- Threads
- 42
- Comments
- 61
- Reactions
- 727
- Thread Author
- #1
'আহলে হাদিস' পরিভাষাটি নিয়ে যাদের আপত্তি তাদের নিকট প্রশ্ন:
আহলুল হাদিস পরিভাষাটি শুধু মুহাদ্দিসীনদের জন্য খাস নাকি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করতে পারবে সেটা ভিন্ন আলাপ। তবে বর্তমানে কিছু মানুষ বলছে, আপনি মুসলিম পরিচয় না দিয়ে আহলে হাদিস পরিচয় দেন কেন? এখন তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই আহলে হাদিস লকবটি কি ধর্মের নাম নাকি একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম? আর কুরআন হাদিসে মুসলিম পরিভাষার বাইরেও অনেক পরিভাষা এসেছে।
যেমন: আহলে কুরআন।
রাসূল ﷺ বলেছেন,
يا أهل القرآن أوتروا فإن الله وتر يحب الوتر
হে আহলে কুরআন! তোমরা বিতর সালাত পড়, কেননা আল্লাহ বিতর (বিজোড়) এবং তিনি বিতর (বিজড় সংখ্যাকে) ভালোবাসেন। (আবু দাউদ ১৪১৬, সনদ সহীহ)
রাসূল ﷺ আরো বলেছেন,
«قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " إن لله أهلين من الناس " قال: قيل: من هم يا رسول الله؟ قال: " أهل القرآن، هم أهل الله وخاصته»
কতক লোক আল্লাহর পরিজন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তিনি বললেন, আহলে কুরআন আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর খাস বান্দা।
ইবনে মাজাহ ২১৫, মুসনাদে আহমাদ ১২২৯২, শায়েখ শুয়াইব আরনাউত আল হানাফি এর সনদকে হাসান বলেছেন - তার তাহকীক কৃত মুসনাদে আহমাদ ১৯/৩০৫।
আহলে কুরআন কারা এই এর ব্যাখায় আল্লামা আবুল হাসান আস সিন্ধি আল হানাফি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
নবীজির এই ভাষ্য (আহলে কুরআন আল্লাহর পরিজন) দ্বারা কুরআনের হাফিযদের বুঝানো হচ্ছে, যারা রাতের আধারে এবং দিনের শেষাংশে তা তিলাওয়াত করে।
«حاشية السندي على سنن ابن ماجه» (1/ 93):
«قوله (هم أهل القرآن) أي حفظة القرآن يقرأ آناء الليل وأطراف النهار»
হাশ্যিয়াহ আস-সিন্ধি আলা সুনান ইবন মাজাহ, ১/৯৩
হাসান বিন আলি আল ফায়ুমি (মৃত্যু ৮৭০ হিজরি) রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
«فتح القريب المجيب على الترغيب والترهيب» (7/ 62):
«وسئل أبو بكر الوراق عنه فقال: أهل القرآن من يحوطه القرآن ولا يسلمه الشيطان ولا يسلك به غير طريق الرحمن»
আহলে কুরআন হলো তারাই যারা কুরআন নিয়ে মগ্ন থাকে এবং যারা শয়তানের নিকট আত্মসমর্পণ করে না। আর রহমানের পথ ছাড়া অন্য কোনো পথে অগ্রসর হয় না।
ফাতহুল কারিবিল মুজিব আলাত-তারগিব ওয়াত-তাহরিব, ৭/৬২।
অতএব, হাদিসের হাফিযদের ও কুরআনের ক্বারীদের সম্বোধন করতে রাসূল ﷺ আহলে কুরআন পরিভাষাটা ব্যবহার করেছেন। এখন তার মানে কি এই যে তারা মুসলিম নয়? তারা মুসলিম এবং আহলুল কুরআন তাদের একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম। তেমনি আহলুল হাদিস পরিভাষাটিও মুহাদ্দিসীন এবং তাদের অনুসারীদের একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম। যদি মুসলিম ব্যতীত অন্য বৈশিষ্ট্যগত নামে সম্বোধন জায়েজ না হতো তাহলে রাসূল ﷺ আহলুল কুরআন বলে সম্বোধন করতেন না। এছাড়াও কুরআন হাদিসে একাধিক বৈশিষ্ট্যগত সমার্থক পরিভাষা মুসলিমদের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। তবে যাদের আহলে হাদিস পরিভাষা নিয়ে আপত্তি তারা কেন এই সমস্ত পরিভাষা নিয়ে আপত্তি তুলেন না?
জ্ঞাতব্য: পূর্বে কুরআনের হাফিয ও ক্বারীদের ক্ষেত্রে আহলে কুরআন লকবটি ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমানে হাদিস অস্বীকারকারী (মুনকীরিনে হাদিস) কাফির গোষ্ঠীকে আহলে কুরআন বলা হয়, যা একটা মারাত্মক ভুল। কারণ, আহলে কুরআন একটি সম্মানজনক লকব।
সাফিন চৌধুরী
facebook.com/shafinchowdhury721
আহলুল হাদিস পরিভাষাটি শুধু মুহাদ্দিসীনদের জন্য খাস নাকি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করতে পারবে সেটা ভিন্ন আলাপ। তবে বর্তমানে কিছু মানুষ বলছে, আপনি মুসলিম পরিচয় না দিয়ে আহলে হাদিস পরিচয় দেন কেন? এখন তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই আহলে হাদিস লকবটি কি ধর্মের নাম নাকি একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম? আর কুরআন হাদিসে মুসলিম পরিভাষার বাইরেও অনেক পরিভাষা এসেছে।
যেমন: আহলে কুরআন।
রাসূল ﷺ বলেছেন,
يا أهل القرآن أوتروا فإن الله وتر يحب الوتر
হে আহলে কুরআন! তোমরা বিতর সালাত পড়, কেননা আল্লাহ বিতর (বিজোড়) এবং তিনি বিতর (বিজড় সংখ্যাকে) ভালোবাসেন। (আবু দাউদ ১৪১৬, সনদ সহীহ)
রাসূল ﷺ আরো বলেছেন,
«قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " إن لله أهلين من الناس " قال: قيل: من هم يا رسول الله؟ قال: " أهل القرآن، هم أهل الله وخاصته»
কতক লোক আল্লাহর পরিজন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তিনি বললেন, আহলে কুরআন আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর খাস বান্দা।
ইবনে মাজাহ ২১৫, মুসনাদে আহমাদ ১২২৯২, শায়েখ শুয়াইব আরনাউত আল হানাফি এর সনদকে হাসান বলেছেন - তার তাহকীক কৃত মুসনাদে আহমাদ ১৯/৩০৫।
আহলে কুরআন কারা এই এর ব্যাখায় আল্লামা আবুল হাসান আস সিন্ধি আল হানাফি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
নবীজির এই ভাষ্য (আহলে কুরআন আল্লাহর পরিজন) দ্বারা কুরআনের হাফিযদের বুঝানো হচ্ছে, যারা রাতের আধারে এবং দিনের শেষাংশে তা তিলাওয়াত করে।
«حاشية السندي على سنن ابن ماجه» (1/ 93):
«قوله (هم أهل القرآن) أي حفظة القرآن يقرأ آناء الليل وأطراف النهار»
হাশ্যিয়াহ আস-সিন্ধি আলা সুনান ইবন মাজাহ, ১/৯৩
হাসান বিন আলি আল ফায়ুমি (মৃত্যু ৮৭০ হিজরি) রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
«فتح القريب المجيب على الترغيب والترهيب» (7/ 62):
«وسئل أبو بكر الوراق عنه فقال: أهل القرآن من يحوطه القرآن ولا يسلمه الشيطان ولا يسلك به غير طريق الرحمن»
আহলে কুরআন হলো তারাই যারা কুরআন নিয়ে মগ্ন থাকে এবং যারা শয়তানের নিকট আত্মসমর্পণ করে না। আর রহমানের পথ ছাড়া অন্য কোনো পথে অগ্রসর হয় না।
ফাতহুল কারিবিল মুজিব আলাত-তারগিব ওয়াত-তাহরিব, ৭/৬২।
অতএব, হাদিসের হাফিযদের ও কুরআনের ক্বারীদের সম্বোধন করতে রাসূল ﷺ আহলে কুরআন পরিভাষাটা ব্যবহার করেছেন। এখন তার মানে কি এই যে তারা মুসলিম নয়? তারা মুসলিম এবং আহলুল কুরআন তাদের একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম। তেমনি আহলুল হাদিস পরিভাষাটিও মুহাদ্দিসীন এবং তাদের অনুসারীদের একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম। যদি মুসলিম ব্যতীত অন্য বৈশিষ্ট্যগত নামে সম্বোধন জায়েজ না হতো তাহলে রাসূল ﷺ আহলুল কুরআন বলে সম্বোধন করতেন না। এছাড়াও কুরআন হাদিসে একাধিক বৈশিষ্ট্যগত সমার্থক পরিভাষা মুসলিমদের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। তবে যাদের আহলে হাদিস পরিভাষা নিয়ে আপত্তি তারা কেন এই সমস্ত পরিভাষা নিয়ে আপত্তি তুলেন না?
জ্ঞাতব্য: পূর্বে কুরআনের হাফিয ও ক্বারীদের ক্ষেত্রে আহলে কুরআন লকবটি ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমানে হাদিস অস্বীকারকারী (মুনকীরিনে হাদিস) কাফির গোষ্ঠীকে আহলে কুরআন বলা হয়, যা একটা মারাত্মক ভুল। কারণ, আহলে কুরআন একটি সম্মানজনক লকব।
সাফিন চৌধুরী
facebook.com/shafinchowdhury721