সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Golam Rabby

সালাত আসরের সালাত তাড়াতাড়ি পড়ার বিধান কী?

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
LV
12
 
Awards
22
Credit
3,124
প্রথম মত: আসরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে পড়া মুস্তাহাব। এটা অধিকাংশ বিদ্বানের মত। তাদের দলীল: লেখক জাবের ও আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুমার হাদীস উল্লেখ করেন। জাবের রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য আলোকময় ছিল।
আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন। এরপর আমাদের কেউ তার বাড়িতে মদিনার শেষ প্রান্তে ফিরে আসে আর ওই সময় সূর্য আলোকময়ই ছিল। অনুরূপভাবে তারা আনাস রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীস দিয়ে দলীল দিয়েছেন, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য উপরে আলোকময় ছিল। তারপর কোনো ব্যক্তি মদিনার শেষ প্রান্ত থেকে ফিরে আসতো আর ওই সময় সূর্য উপরে থাকতো। (বুখারী, হা/৫৫০, মুসলিম, হা/৬২১,) তাদের আরো দলীল আছে।
দ্বিতীয় মত: আসরের শেষ সময় পর্যন্ত সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার আগে পড়া উত্তম। এটা ইবরাহীম নাখাঈ, ছাওরী, ইবনু শুবরুমা,আবু কিলাবা, আবু হানিফা ও তাঁর ছাত্রদের মত। এ মতটি আলী, ইবনু মাসউদ ও আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুম থেকে বর্ণিত হয়েছে। আবু কিলাবা ও ইবনু শুবরুমা রহিমাহুমা বলেন, আসরকে আসর বলা হয় সময়কে নিংড়ানোর ফলে। অর্থাৎ বিলম্ব করে পড়া। আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ বলেন, আসর সালাত একেবারে শেষ সময়ে উত্তম সময় পড়া উত্তম। তাদের দলীল:
আলী ইবনু শাইবান রহিমাহুল্লাহর হাদীস, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যাই। তিনি সূর্য পরিষ্কার থাকা পর্যন্ত আসরের সালাতকে বিলম্ব করে পড়েন। এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেন, এই হাদীসটি বাতিল। কারণ এ হাদীস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আমি বলছি, রাফে ইবনু খাদিজ রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের আসরের সালাত বিলম্ব করে পড়ার আদেশ করেন। হাদীসটি দারাকুতনী ও বাইহাকী রহিমাহুমা নিয়ে এসে দুর্বল বলেন। (দারাকুতনী, ১/২৫১, বাইহাকী, ১/৪৪৩)
দারাকুতনী রহিমাহুল্লাহ বলেন, বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে এ বিষয়ে রাফে ইবনু খাদিজ ও অন্যান্য সাহাবী থেকে এর বিপরীত মত বর্ণিত হয়েছে। আর সেটা হচ্ছে আসরের সালাতকে তাড়াতাড়ি পড়া। তিনি আরো বলেন, আসরের সালাত বিলম্বে পড়ার হাদীস প্রমাণিত নয়। এই হাদীস যদি সঠিকও হয় তাহলে এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অনিচ্ছাকৃকভাবে কারো যদি বিলম্ব হয়ে যায়।

প্রাধান্যযোগ্য মত: প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে প্রথম মত। আল্লাহ ভালো জানেন। (ইশরাফ, ১/৩০৭, মুগনী, ১/২৯১, মাজমু, ৩/৫৭, ইবনু রজব, ৪/২৯১)।

[মিসকুল খিতাম ১/২৮৮]
 

MD SADIKUR RAHMAN

Member

LV
1
 
Awards
10
Credit
18
প্রথম মত: আসরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে পড়া মুস্তাহাব। এটা অধিকাংশ বিদ্বানের মত। তাদের দলীল: লেখক জাবের ও আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুমার হাদীস উল্লেখ করেন। জাবের রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য আলোকময় ছিল।
আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন। এরপর আমাদের কেউ তার বাড়িতে মদিনার শেষ প্রান্তে ফিরে আসে আর ওই সময় সূর্য আলোকময়ই ছিল। অনুরূপভাবে তারা আনাস রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীস দিয়ে দলীল দিয়েছেন, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য উপরে আলোকময় ছিল। তারপর কোনো ব্যক্তি মদিনার শেষ প্রান্ত থেকে ফিরে আসতো আর ওই সময় সূর্য উপরে থাকতো। (বুখারী, হা/৫৫০, মুসলিম, হা/৬২১,) তাদের আরো দলীল আছে।
দ্বিতীয় মত: আসরের শেষ সময় পর্যন্ত সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার আগে পড়া উত্তম। এটা ইবরাহীম নাখাঈ, ছাওরী, ইবনু শুবরুমা,আবু কিলাবা, আবু হানিফা ও তাঁর ছাত্রদের মত। এ মতটি আলী, ইবনু মাসউদ ও আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুম থেকে বর্ণিত হয়েছে। আবু কিলাবা ও ইবনু শুবরুমা রহিমাহুমা বলেন, আসরকে আসর বলা হয় সময়কে নিংড়ানোর ফলে। অর্থাৎ বিলম্ব করে পড়া। আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ বলেন, আসর সালাত একেবারে শেষ সময়ে উত্তম সময় পড়া উত্তম। তাদের দলীল:
আলী ইবনু শাইবান রহিমাহুল্লাহর হাদীস, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যাই। তিনি সূর্য পরিষ্কার থাকা পর্যন্ত আসরের সালাতকে বিলম্ব করে পড়েন। এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেন, এই হাদীসটি বাতিল। কারণ এ হাদীস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আমি বলছি, রাফে ইবনু খাদিজ রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের আসরের সালাত বিলম্ব করে পড়ার আদেশ করেন। হাদীসটি দারাকুতনী ও বাইহাকী রহিমাহুমা নিয়ে এসে দুর্বল বলেন। (দারাকুতনী, ১/২৫১, বাইহাকী, ১/৪৪৩)
দারাকুতনী রহিমাহুল্লাহ বলেন, বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে এ বিষয়ে রাফে ইবনু খাদিজ ও অন্যান্য সাহাবী থেকে এর বিপরীত মত বর্ণিত হয়েছে। আর সেটা হচ্ছে আসরের সালাতকে তাড়াতাড়ি পড়া। তিনি আরো বলেন, আসরের সালাত বিলম্বে পড়ার হাদীস প্রমাণিত নয়। এই হাদীস যদি সঠিকও হয় তাহলে এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অনিচ্ছাকৃকভাবে কারো যদি বিলম্ব হয়ে যায়।

প্রাধান্যযোগ্য মত: প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে প্রথম মত। আল্লাহ ভালো জানেন। (ইশরাফ, ১/৩০৭, মুগনী, ১/২৯১, মাজমু, ৩/৫৭, ইবনু রজব, ৪/২৯১)।

[মিসকুল খিতাম ১/২৮৮]
বারাকাল্লাহু ফিক্
 

Ariful Islam 02

New member

LV
0
 
Awards
5
Credit
38
জাযাকাল্লাহু খয়রান সন্মানিত ভাই অনেক উপকৃত হলাম।
 

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Total Threads
13,349Threads
Total Messages
17,209Comments
Total Members
3,678Members
Latest Messages
Md. Nur HabibLatest member
Top