সালাত আসরের সালাত তাড়াতাড়ি পড়ার বিধান কী?

Joined
Jan 3, 2023
Threads
891
Comments
1,062
Reactions
9,564
প্রথম মত: আসরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে পড়া মুস্তাহাব। এটা অধিকাংশ বিদ্বানের মত। তাদের দলীল: লেখক জাবের ও আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুমার হাদীস উল্লেখ করেন। জাবের রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য আলোকময় ছিল।
আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন। এরপর আমাদের কেউ তার বাড়িতে মদিনার শেষ প্রান্তে ফিরে আসে আর ওই সময় সূর্য আলোকময়ই ছিল। অনুরূপভাবে তারা আনাস রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীস দিয়ে দলীল দিয়েছেন, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য উপরে আলোকময় ছিল। তারপর কোনো ব্যক্তি মদিনার শেষ প্রান্ত থেকে ফিরে আসতো আর ওই সময় সূর্য উপরে থাকতো। (বুখারী, হা/৫৫০, মুসলিম, হা/৬২১,) তাদের আরো দলীল আছে।
দ্বিতীয় মত: আসরের শেষ সময় পর্যন্ত সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার আগে পড়া উত্তম। এটা ইবরাহীম নাখাঈ, ছাওরী, ইবনু শুবরুমা,আবু কিলাবা, আবু হানিফা ও তাঁর ছাত্রদের মত। এ মতটি আলী, ইবনু মাসউদ ও আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুম থেকে বর্ণিত হয়েছে। আবু কিলাবা ও ইবনু শুবরুমা রহিমাহুমা বলেন, আসরকে আসর বলা হয় সময়কে নিংড়ানোর ফলে। অর্থাৎ বিলম্ব করে পড়া। আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ বলেন, আসর সালাত একেবারে শেষ সময়ে উত্তম সময় পড়া উত্তম। তাদের দলীল:
আলী ইবনু শাইবান রহিমাহুল্লাহর হাদীস, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যাই। তিনি সূর্য পরিষ্কার থাকা পর্যন্ত আসরের সালাতকে বিলম্ব করে পড়েন। এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেন, এই হাদীসটি বাতিল। কারণ এ হাদীস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আমি বলছি, রাফে ইবনু খাদিজ রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের আসরের সালাত বিলম্ব করে পড়ার আদেশ করেন। হাদীসটি দারাকুতনী ও বাইহাকী রহিমাহুমা নিয়ে এসে দুর্বল বলেন। (দারাকুতনী, ১/২৫১, বাইহাকী, ১/৪৪৩)
দারাকুতনী রহিমাহুল্লাহ বলেন, বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে এ বিষয়ে রাফে ইবনু খাদিজ ও অন্যান্য সাহাবী থেকে এর বিপরীত মত বর্ণিত হয়েছে। আর সেটা হচ্ছে আসরের সালাতকে তাড়াতাড়ি পড়া। তিনি আরো বলেন, আসরের সালাত বিলম্বে পড়ার হাদীস প্রমাণিত নয়। এই হাদীস যদি সঠিকও হয় তাহলে এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অনিচ্ছাকৃকভাবে কারো যদি বিলম্ব হয়ে যায়।

প্রাধান্যযোগ্য মত: প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে প্রথম মত। আল্লাহ ভালো জানেন। (ইশরাফ, ১/৩০৭, মুগনী, ১/২৯১, মাজমু, ৩/৫৭, ইবনু রজব, ৪/২৯১)।

[মিসকুল খিতাম ১/২৮৮]
 
প্রথম মত: আসরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে পড়া মুস্তাহাব। এটা অধিকাংশ বিদ্বানের মত। তাদের দলীল: লেখক জাবের ও আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুমার হাদীস উল্লেখ করেন। জাবের রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য আলোকময় ছিল।
আবু বারযা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন। এরপর আমাদের কেউ তার বাড়িতে মদিনার শেষ প্রান্তে ফিরে আসে আর ওই সময় সূর্য আলোকময়ই ছিল। অনুরূপভাবে তারা আনাস রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীস দিয়ে দলীল দিয়েছেন, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের সালাত পড়েন আর ওই সময় সূর্য উপরে আলোকময় ছিল। তারপর কোনো ব্যক্তি মদিনার শেষ প্রান্ত থেকে ফিরে আসতো আর ওই সময় সূর্য উপরে থাকতো। (বুখারী, হা/৫৫০, মুসলিম, হা/৬২১,) তাদের আরো দলীল আছে।
দ্বিতীয় মত: আসরের শেষ সময় পর্যন্ত সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার আগে পড়া উত্তম। এটা ইবরাহীম নাখাঈ, ছাওরী, ইবনু শুবরুমা,আবু কিলাবা, আবু হানিফা ও তাঁর ছাত্রদের মত। এ মতটি আলী, ইবনু মাসউদ ও আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুম থেকে বর্ণিত হয়েছে। আবু কিলাবা ও ইবনু শুবরুমা রহিমাহুমা বলেন, আসরকে আসর বলা হয় সময়কে নিংড়ানোর ফলে। অর্থাৎ বিলম্ব করে পড়া। আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ বলেন, আসর সালাত একেবারে শেষ সময়ে উত্তম সময় পড়া উত্তম। তাদের দলীল:
আলী ইবনু শাইবান রহিমাহুল্লাহর হাদীস, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যাই। তিনি সূর্য পরিষ্কার থাকা পর্যন্ত আসরের সালাতকে বিলম্ব করে পড়েন। এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেন, এই হাদীসটি বাতিল। কারণ এ হাদীস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আমি বলছি, রাফে ইবনু খাদিজ রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীসে আছে, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের আসরের সালাত বিলম্ব করে পড়ার আদেশ করেন। হাদীসটি দারাকুতনী ও বাইহাকী রহিমাহুমা নিয়ে এসে দুর্বল বলেন। (দারাকুতনী, ১/২৫১, বাইহাকী, ১/৪৪৩)
দারাকুতনী রহিমাহুল্লাহ বলেন, বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে এ বিষয়ে রাফে ইবনু খাদিজ ও অন্যান্য সাহাবী থেকে এর বিপরীত মত বর্ণিত হয়েছে। আর সেটা হচ্ছে আসরের সালাতকে তাড়াতাড়ি পড়া। তিনি আরো বলেন, আসরের সালাত বিলম্বে পড়ার হাদীস প্রমাণিত নয়। এই হাদীস যদি সঠিকও হয় তাহলে এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অনিচ্ছাকৃকভাবে কারো যদি বিলম্ব হয়ে যায়।

প্রাধান্যযোগ্য মত: প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে প্রথম মত। আল্লাহ ভালো জানেন। (ইশরাফ, ১/৩০৭, মুগনী, ১/২৯১, মাজমু, ৩/৫৭, ইবনু রজব, ৪/২৯১)।

[মিসকুল খিতাম ১/২৮৮]
বারাকাল্লাহু ফিক্
 
জাযাকাল্লাহু খয়রান সন্মানিত ভাই অনেক উপকৃত হলাম।
 
This user is banned.
Interaction with this account is disabled until the ban ends.
Right
 
This user is banned.
Interaction with this account is disabled until the ban ends.
Sundor
 
Similar threads Most view View more
Back
Top