উমাইয়া খলীফাদের সঙ্গে তাবেয়ী ইমাম রজা ইবনে হাওয়াহর এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, ইতিহাস যেগুলোকে লিপিবদ্ধ করে রেখেছে তার সোনালী পাতায়।
যে কাহিনীগুলো লোকে বর্ণনা করবে যুগপরম্পরায়।
যেমন, একদিন তিনি খলীফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের মজলিসে বসা ছিলেন। সেখানে এক ব্যক্তির সমালোচনা হচ্ছিল, লোকটি বনী উমাইয়াদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী।
খলীফাকে বলা হল-
'লোকটি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইরের ভক্ত এবং তারই সহযোগী।'
এভাবে খলীফার কাছে লোকটির এমন সব কথা ও কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরা হল যা তাকে ক্রুদ্ধ ও উত্তেজিত করে তুলল।
তিনি বললেন-
'আল্লাহর শপথ তিনি যদি লোকটিকে আমার হাতের মুঠোয় এনে দেন তবে আমার তরবারি দিয়ে ওর গর্দান উড়িয়ে দেব।'
অল্প কিছুকালের মধ্যেই আল্লাহ খলীফার ইচ্ছা পূরণ করলেন। লোকটিকে টেনে হিঁচড়ে তার সামনে হাজির করা হল...
তার ওপর দৃষ্টি পড়তেই তিনি যেন রাগে ফেটে পড়লেন। তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার অভিপ্রায় পূরণের আয়োজন করতে যাবেন...
এমনি মুহূর্তে রজা ইবনে হাইওয়াহ তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং বললেন-
'হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার অভিপ্রায় ছিল ওকে হাতের মুঠোয় পাওয়া। সেটা আল্লাহ পূরণ করেছেন। আল্লাহর অভিপ্রায় হল ক্ষমা, সেটা আপনি পূরণ করুন... ক্ষমা করে দিন ওকে।'
এ কথায় খলীফার অন্তর শান্ত হয়ে গেল, তার ক্রোধ নিভে গেল...
লোকটিকে ক্ষমা করে দিলেন। তাকে মুক্ত করলেন। তার সঙ্গে সদাচরণ করলেন...
[সুওয়ারুম মিন হায়াতিত্তাবিঈন, ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা]
যে কাহিনীগুলো লোকে বর্ণনা করবে যুগপরম্পরায়।
যেমন, একদিন তিনি খলীফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের মজলিসে বসা ছিলেন। সেখানে এক ব্যক্তির সমালোচনা হচ্ছিল, লোকটি বনী উমাইয়াদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী।
খলীফাকে বলা হল-
'লোকটি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইরের ভক্ত এবং তারই সহযোগী।'
এভাবে খলীফার কাছে লোকটির এমন সব কথা ও কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরা হল যা তাকে ক্রুদ্ধ ও উত্তেজিত করে তুলল।
তিনি বললেন-
'আল্লাহর শপথ তিনি যদি লোকটিকে আমার হাতের মুঠোয় এনে দেন তবে আমার তরবারি দিয়ে ওর গর্দান উড়িয়ে দেব।'
অল্প কিছুকালের মধ্যেই আল্লাহ খলীফার ইচ্ছা পূরণ করলেন। লোকটিকে টেনে হিঁচড়ে তার সামনে হাজির করা হল...
তার ওপর দৃষ্টি পড়তেই তিনি যেন রাগে ফেটে পড়লেন। তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার অভিপ্রায় পূরণের আয়োজন করতে যাবেন...
এমনি মুহূর্তে রজা ইবনে হাইওয়াহ তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং বললেন-
'হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার অভিপ্রায় ছিল ওকে হাতের মুঠোয় পাওয়া। সেটা আল্লাহ পূরণ করেছেন। আল্লাহর অভিপ্রায় হল ক্ষমা, সেটা আপনি পূরণ করুন... ক্ষমা করে দিন ওকে।'
এ কথায় খলীফার অন্তর শান্ত হয়ে গেল, তার ক্রোধ নিভে গেল...
লোকটিকে ক্ষমা করে দিলেন। তাকে মুক্ত করলেন। তার সঙ্গে সদাচরণ করলেন...
[সুওয়ারুম মিন হায়াতিত্তাবিঈন, ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা]