- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 653
- Comments
- 796
- Reactions
- 6,949
- Thread Author
- #1
আত্মহত্যা করা কোনো মুসলিমের জন্য শোভনীয় নয়। কোনো প্রকৃত ঈমানদার এরূপ নোংরা কাজ করতে পারে না। এরূপ ব্যক্তি মহা সুখের জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে।
হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহ.) বলেন, জারীর ইবনু হাযিম (রহ.) আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন হাসান (রহ.) হতে, তিনি বলেন, জুনদাব (রাঃ) এই মসজিদে আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন, আর তা আমরা ভুলে যাইনি এবং আমরা এ আশঙ্কাও করিনি যে, জুনদাব (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামে মিথ্যা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তির (দেহে) যখম ছিল, সে আত্মহত্যা করল। তখন আল্লাহ্ তা‘আলা বললেন, আমার বান্দা তার প্রাণ নিয়ে আমার সাথে তাড়াহুড়া করল। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম। [বুখারী, হা. ১৩৬৪]
শায়বান রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি হাসান রাদিআল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, 'পূর্বের যুগের এক ব্যক্তির ফোঁড়া হয়েছিল। ফোঁড়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তার তূণ থেকে একটি তীর বের করল। আর তা দিয়ে আঘাত করে ফোঁড়াটি চিরে ফেলল। তখন তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সে মারা গেল। তোমাদের প্রতিপালক বলেন, আমি তার উপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছি'। [মুসলিম; ইবনু হিব্বান, হা. ৫৯৮৯; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৪৫৬]
আত্মহত্যাকারীর শেষ পরিণাম বিবরণ দিয়ে আল্লাহ বলেন,
হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না। তবে তোমাদের পরস্পর সম্মতিক্রমে ব্যবসার মাধ্যমে (গ্রহণ করলে তা বৈধ)। আর নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে আত্মহত্যা করবে আমি তাকে অচিরেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। [সূরা নিসা, আয়াত ২৯-৩০]
সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একবার আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও মুশ্রিকদের মধ্যে মুকাবিলা হয় এবং উভয়পক্ষ ভীষণ যুদ্ধ লিপ্ত হয়। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ সৈন্যদলের নিকট ফিরে এলেন, মুশ্রিকরাও নিজ সৈন্যদলে ফিরে গেল। সেই যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গীদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি ছিল, যে কোন মুশরিককে একাকী দেখলেই তার পশ্চাতে ছুটত এবং তাকে তলোয়ার দিয়ে আক্রমণ করত। বর্ণনাকারী (সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) বলেন, আজ আমাদের কেউ অমুকের মত যুদ্ধ করতে পারেনি। তা শুনে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সে তো জাহান্নামের অধিবাসী হবে। একজন সাহাবী বলে উঠলেন, আমি তার সঙ্গী হব। অতঃপর তিনি তার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লেন, সে দাঁড়ালে তিনিও দাঁড়াতেন এবং সে শীঘ্র চললে তিনিও দ্রুত চলতেন। তিনি বললেন, এক সময় সে মারাত্মকভাবে আহত হলো এবং সে দ্রুত মৃত্যু কামনা করতে লাগল। এক সময় তলোয়ারের বাঁট মাটিতে রাখল এবং এর তীক্ষ্ণ দিক বুকে চেপে ধরে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করল। অনুসরণকারী ব্যক্তিটি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আসলেন এবং বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কী ব্যাপার? তিনি বললেন, যে ব্যক্তিটি সম্পর্কে আপনি কিছুক্ষণ আগেই বলেছিলেন যে, সে জাহান্নামী হবে, তা শুনে সাহাবীগণ বিষয়টিকে অস্বাভাবিক মনে করলেন। আমি তাদের বললাম যে, আমি ব্যক্তিটির সম্পর্কে খবর তোমাদের জানাব। অতঃপর আমি তার পিছু পিছু বের হলাম। এক সময় লোকটি মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং সে শীঘ্র মৃত্যু কামনা করতে থাকে। অতঃপর তার তলোয়ারের বাট মাটিতে রেখে এর তীক্ষ্ণধার বুকে চেপে ধরল এবং তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করল। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন বললেন, ‘মানুষের বাহ্যিক বিচারে অনেক সময় কোন ব্যক্তি জান্নাতবাসীর মত ‘আমল করতে থাকে, আসলে সে জাহান্নামী হয় এবং তেমনি মানুষের বাহ্যিক বিচারে কোন ব্যক্তি জাহান্নামীর মত ‘আমল করলেও প্রকৃতপক্ষে সে জান্নাতী হয়।’ [বুখারী, হা. ২৮৯৮; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৪৫৯]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হাদীছে এসেছে ‘কেউ আত্মহত্যা করলে সে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করবে’। [মুসলিম, হা. ১০৯] ছহীহ মুসলিমের ভাষ্যকার ইমাম নববী (রহঃ) উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, এখানে خالدًا مخلدًا এর মর্ম হ’ল সুদীর্ঘকাল ও অধিককাল, চিরস্থায়ী নয়।[মুসলিম শারহ নববী ২/১২৫, হা. ১১৩-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ]
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ফক্বীহগণ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করবে, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে না। তার উপর সালাত আদায় করা হবে এবং তার পাপ তার উপর বর্তাবে। তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা হবে। [ইবনু বাত্তাল, শারহু সহীহিল বুখারী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৯]
মুহাল্লিব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আলেমগণ বলেছেন, ‘আল্লাহ চাইলে তাঁর অঙ্গীকার তথা শাস্তি প্রদান বাস্তবায়ন করতে পারেন। কেননা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হল, পাপীদের শাস্তি প্রদান করার ক্ষেত্রে আল্লাহর ইখতিয়ার রয়েছে। আল্লাহ চাইলে তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন, আবার শাস্তিও দিতে পারেন। যদি তিনি শাস্তি প্রদান করেন, তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শাস্তি প্রদান করার পর তাঁর ঈমানের কারণে তাকে জান্নাত দিবেন এবং তার উপর থেকে চিরস্থায়ী জাহান্নামের শাস্তি তুলে নিবেন।[ইবনু বাত্তাল,শারহু সহীহিল বুখারী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৫০]
কৃতজ্ঞতায়- 'অপরাধ' বই (আত তাজদীদ প্রকাশনী), মাসিক আত তাহরীক এবং ইসলামকিউএবিডি
হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহ.) বলেন, জারীর ইবনু হাযিম (রহ.) আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন হাসান (রহ.) হতে, তিনি বলেন, জুনদাব (রাঃ) এই মসজিদে আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন, আর তা আমরা ভুলে যাইনি এবং আমরা এ আশঙ্কাও করিনি যে, জুনদাব (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামে মিথ্যা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তির (দেহে) যখম ছিল, সে আত্মহত্যা করল। তখন আল্লাহ্ তা‘আলা বললেন, আমার বান্দা তার প্রাণ নিয়ে আমার সাথে তাড়াহুড়া করল। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম। [বুখারী, হা. ১৩৬৪]
শায়বান রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি হাসান রাদিআল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, 'পূর্বের যুগের এক ব্যক্তির ফোঁড়া হয়েছিল। ফোঁড়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তার তূণ থেকে একটি তীর বের করল। আর তা দিয়ে আঘাত করে ফোঁড়াটি চিরে ফেলল। তখন তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সে মারা গেল। তোমাদের প্রতিপালক বলেন, আমি তার উপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছি'। [মুসলিম; ইবনু হিব্বান, হা. ৫৯৮৯; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৪৫৬]
আত্মহত্যাকারীর শেষ পরিণাম বিবরণ দিয়ে আল্লাহ বলেন,
হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না। তবে তোমাদের পরস্পর সম্মতিক্রমে ব্যবসার মাধ্যমে (গ্রহণ করলে তা বৈধ)। আর নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে আত্মহত্যা করবে আমি তাকে অচিরেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। [সূরা নিসা, আয়াত ২৯-৩০]
সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একবার আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও মুশ্রিকদের মধ্যে মুকাবিলা হয় এবং উভয়পক্ষ ভীষণ যুদ্ধ লিপ্ত হয়। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ সৈন্যদলের নিকট ফিরে এলেন, মুশ্রিকরাও নিজ সৈন্যদলে ফিরে গেল। সেই যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গীদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি ছিল, যে কোন মুশরিককে একাকী দেখলেই তার পশ্চাতে ছুটত এবং তাকে তলোয়ার দিয়ে আক্রমণ করত। বর্ণনাকারী (সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) বলেন, আজ আমাদের কেউ অমুকের মত যুদ্ধ করতে পারেনি। তা শুনে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সে তো জাহান্নামের অধিবাসী হবে। একজন সাহাবী বলে উঠলেন, আমি তার সঙ্গী হব। অতঃপর তিনি তার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লেন, সে দাঁড়ালে তিনিও দাঁড়াতেন এবং সে শীঘ্র চললে তিনিও দ্রুত চলতেন। তিনি বললেন, এক সময় সে মারাত্মকভাবে আহত হলো এবং সে দ্রুত মৃত্যু কামনা করতে লাগল। এক সময় তলোয়ারের বাঁট মাটিতে রাখল এবং এর তীক্ষ্ণ দিক বুকে চেপে ধরে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করল। অনুসরণকারী ব্যক্তিটি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আসলেন এবং বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কী ব্যাপার? তিনি বললেন, যে ব্যক্তিটি সম্পর্কে আপনি কিছুক্ষণ আগেই বলেছিলেন যে, সে জাহান্নামী হবে, তা শুনে সাহাবীগণ বিষয়টিকে অস্বাভাবিক মনে করলেন। আমি তাদের বললাম যে, আমি ব্যক্তিটির সম্পর্কে খবর তোমাদের জানাব। অতঃপর আমি তার পিছু পিছু বের হলাম। এক সময় লোকটি মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং সে শীঘ্র মৃত্যু কামনা করতে থাকে। অতঃপর তার তলোয়ারের বাট মাটিতে রেখে এর তীক্ষ্ণধার বুকে চেপে ধরল এবং তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করল। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন বললেন, ‘মানুষের বাহ্যিক বিচারে অনেক সময় কোন ব্যক্তি জান্নাতবাসীর মত ‘আমল করতে থাকে, আসলে সে জাহান্নামী হয় এবং তেমনি মানুষের বাহ্যিক বিচারে কোন ব্যক্তি জাহান্নামীর মত ‘আমল করলেও প্রকৃতপক্ষে সে জান্নাতী হয়।’ [বুখারী, হা. ২৮৯৮; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৪৫৯]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হাদীছে এসেছে ‘কেউ আত্মহত্যা করলে সে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করবে’। [মুসলিম, হা. ১০৯] ছহীহ মুসলিমের ভাষ্যকার ইমাম নববী (রহঃ) উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, এখানে خالدًا مخلدًا এর মর্ম হ’ল সুদীর্ঘকাল ও অধিককাল, চিরস্থায়ী নয়।[মুসলিম শারহ নববী ২/১২৫, হা. ১১৩-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ]
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ফক্বীহগণ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করবে, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে না। তার উপর সালাত আদায় করা হবে এবং তার পাপ তার উপর বর্তাবে। তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা হবে। [ইবনু বাত্তাল, শারহু সহীহিল বুখারী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৯]
মুহাল্লিব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আলেমগণ বলেছেন, ‘আল্লাহ চাইলে তাঁর অঙ্গীকার তথা শাস্তি প্রদান বাস্তবায়ন করতে পারেন। কেননা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হল, পাপীদের শাস্তি প্রদান করার ক্ষেত্রে আল্লাহর ইখতিয়ার রয়েছে। আল্লাহ চাইলে তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন, আবার শাস্তিও দিতে পারেন। যদি তিনি শাস্তি প্রদান করেন, তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শাস্তি প্রদান করার পর তাঁর ঈমানের কারণে তাকে জান্নাত দিবেন এবং তার উপর থেকে চিরস্থায়ী জাহান্নামের শাস্তি তুলে নিবেন।[ইবনু বাত্তাল,শারহু সহীহিল বুখারী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৫০]
কৃতজ্ঞতায়- 'অপরাধ' বই (আত তাজদীদ প্রকাশনী), মাসিক আত তাহরীক এবং ইসলামকিউএবিডি
Last edited: