এই অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ লিস্ট:
- বিষাক্ত দংশন-এর দুআ
- কোনো কিছুর উপর নিজের চোখ লাগার ভয় থাকলে দুআ
- বিভিন্ন রোগে ঝাড়-ফুঁকের দুআ
- অসুস্থতার মাসনূন দুআ
- অসুস্থতা, ক্ষত ও ব্যথার দুআ
- নিজের ব্যাথার জন্য দুআ
- ব্যাথার জন্য দুআ
- ব্যাথার জন্য দুআ
- নিজের ও অন্যের রোগমুক্তির দুআ
- অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার ফযীলত
- অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দুআ
- রোগীর জন্য দুআ
- মুমূর্ষ রোগীর দুআ
- মুমূর্ষ ব্যক্তিকে যে দুআ পড়তে উদ্বুদ্ধ করা উচিত
- দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে
- জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া রোগীর দুআ
- বিপদ-মুসিবতের মুখোমুখি হলে
- অসুস্থ ও মৃতব্যক্তির পাশে
- ফিতরাত’ তথা দীন ইসলামের উপর মৃত্যু কামনা
- শহিদি মৃত্যু ও মদিনায় মৃত্যু চাওয়ার দুআ
- মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ সমূহ
- মহিলা মৃতব্যক্তির চোখ বন্ধ করার সময় দুআ
- বদনজর সম্পর্কিত দুআ সমূহ
- বদনজর থেকে হিফাযত
- অসুস্থতা ও বদনজরের মাসনূন দুআ
- নজর লাগার আশঙ্কা হলে
- নিজের কোন কিছু দেখে পছন্দ হলে
- যখন কেউ কোন প্রীতিকর কিছু দেখে এবং বদনজর দিয়ে ক্ষতি না করতে চায় তখন তার জন্য পঠিতব্য দুআ
- দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে
নিজের ও অন্যের রোগমুক্তির দুআ
সূরা ইখলাসبِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। (২) আল্লা-হুস্ সামাদ। (৩) লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। (৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ
অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, তিনিই আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। (২) আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। (৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। (৪) আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই। (সূরা ইখলাসঃ ১-৪)
সূরা ফালাক
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। (২) মিন শাররি মা- খালাক্ব। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা- ওয়াক্বাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি 'হা-সিদিন ইযা- 'হাসাদ
অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, (২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, (৩) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, (৪) আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে, (৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। (সূরা ফালাকঃ ১-৫)
সূরা নাস
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ إِلَـٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ إِلَـٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। (২) মালিকিন্না-স, (৩) ইলা-হিন্না-স, (৪) মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, (৫) আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন্না-স, (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স
অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, (২) মানুষের অধিপতি, (৩) মানুষের ইলাহ-এর কাছে, (৪) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। (৫) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। (৬) জিন ও মানুষ থেকে। (সূরা নাসঃ ১-৬)
আয়েশা (রাঃ) বলেন: “রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অসুস্থ হলে তিনি মুআওয়িযাত সূরাগুলো (ইখলাস, ফালাক ও নাস) পাঠ করে নিজের দেহে ফুঁক দিতেন এবং নিজের হাত নিজ দেহে বুলাতেন। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাঁর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তিনি এ সূরাগুলো পাঠ করে তাকে ফুঁক দিতেন এবং নিজ হাত তার দেহে বুলাতেন। তিনি তাঁর ওফাতের পূর্বে যখন অসুস্থ হলেন তখন আমি নিজে সূরাগুলো পড়ে তাকে ফুঁক দিতাম এবং তাঁর নিজের হাত দিয়ে তাঁর দেহ মাসহ’ করতাম (বুলাতাম)।” আমরা ইতোপূর্বে রাত্রে বিছানায় শয়নের সময় নিয়মিত জিকিরের মধ্যেও এভাবে সূরাগুলো পাঠ করার কথা জেনেছি।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৫৭৩৫