আসসালামু আলাইকুম,
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
(১). হাম্বলীর মাযহাবের একজন মহান পণ্ডিত, 'আলা আদ-দ্বীন' আলী ইবনে সুলেমান ইবনে আহমদ আল- মারদাভি(رَحِمَهُ ٱللَّٰهُ)[মৃত্যু: ৮৮৫ হিজরী/১৪৮০ খ্রিস্টাব্দ] তিনি বলেছেন, ❝মাযহাবের সঠিক মতানুযায়ী,একক- ভাবে ১০ তারিখ রোযা রাখা মাকরুহ নয়।শাইখ তাকী উদ্দিন (ইবনে তাইমিয়া) ও একমত পোষণ করেছেন যে, মাকরুহ হবে...
আল্লাহ তা‘আলা এই মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য। তিনি বলেন, وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ. ‘আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই’ (আয-যারিয়াত ৫১/৫৬)। তাঁর ইবাদত সমূহের মধ্যে অন্যতম ইবাদত ছিয়াম। ছিয়ামকে আধ্যাত্মিক ও...
আমি শাওয়ালের রোজা এমনভাবে শুরু করেছি যে মাঝখানে শুক্রবারেও রোজা রাখতে হচ্ছে । আমি আগে জানতাম শুক্রবারে রোজা রাখা যায় না । এখন কি ৬টা রোজা বিরতিহীন রাখতে গেলে শুক্রবারে রোজা থাকতে পারব ?
মহান আল্লাহর হারামকৃত জিনিস দেখা হতে বিরত থেকে রোযাদারের চোখ রোযা রাখে। হারাম কিছু চোখে পড়লে সে তার চক্ষুকে অবনত করে নেয়, অশ্লীল কিছু দেখা হতে দৃষ্টিকে ঝুঁকিয়ে রাখে। যেমন, সে নোংরা ফিল¹ এবং শ্লীলতাহীন টিভি সিরিজ ইত্যাদি দেখা হতে বিরত থাকে। যেহেতু মহান আল্লাহ মুমিন পুরুষদেরকে সম্বোধন করে বলেন...
আযান সঠিক সময়ে হয়ে থাকলে এবং সে আযান হয়ে গেছে—এ কথা না জানলে তাঁর রোযা শুদ্ধ। কারণ অজান্তে বা ভুলে অনিচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করে ফেললে রোযার ক্ষতি হয় না। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “যে রোযাদার ভুলে গিয়ে পানাহার করে ফেলে, সে যেন তাঁর রোযা পূর্ণ করে নেয়। এ পানাহার তাকে আল্লাহ্ই করিয়েছেন।” (বুখারি ১৯৩৩...
বর্ণনাটি দুর্বল। এর সনদে আরীফ আল-কুরাশী নামক একজন রাবী রয়েছে, যে অপরিচিত। এছাড়া হিলাল ইবনু খাব্বাব নামক আরেকজন রাবী রয়েছে, যার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, সে শেষ বয়সে হাদীসের মধ্যে সংমিশ্রণ করত এবং সন্দেহের বশবর্তী হয়ে হাদীস বর্ণনা করত। ফলে তার থেকে এককভাবে বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ বৈধ নয়...
উত্তর: “যে রক্ত নেয়া হয়েছে সেটা যদি প্রচলিত প্রথায় যৎসামান্য হয় তাহলে তার উপর সেই দিনের রোযা কাযার পালন করা ওয়াজিব নয়। আর যদি প্রচলিত প্রথায় বেশি হয় তাহলে আলেমদের মতভেদের ঊর্ধ্বে থাকার নিমিত্তে, সতর্কতা গ্রহণার্থে ও দায়মুক্তির লক্ষ্যে সেই দিনের রোযাটি কাযা পালন করবে।”[ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা...
উত্তর: কিছু কিছু রোগীদেরকে যে অক্সিজেন দেয়া হয় সেটা রোযাকে নষ্ট করবে না। যেহেতু এই অক্সিজেনের সাথে অন্য কোন উপাদান যোগ করা হয় না। তাই এর হুকুম প্রাকৃতিক বাতাস গ্রহণ করার মত।
এ কারণে ‘ইসলামী ফিকাহ একাডেমীর’ সিদ্ধান্তে এসেছে: যে জিনিসগুলো রোযা ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবে না: ... অক্সিজেন...
উত্তর: যদি কোন নারীর সূর্য ডোবার পূর্বে হায়েযের স্রাব নির্গত হয়; এমনকি এক মূহূর্ত পূর্বে হলেও; তার রোযাটি নষ্ট হয়ে যাবে এবং এই দিনের রোযাটি কাযা পালন করা তার উপর ওয়াজিব হবে।
শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) ‘মাজালিসু শাহরি রামাদান’ (পৃষ্ঠা-৩৯) বলেন:
“যদি রোযা অবস্থায় হায়েয শুরু হয়, এমনকি সেটা সূর্য...
ঋতুবতী নারীর পক্ষে ফরয-নফল সর্ব প্রকার সাওম রাখা হারাম এবং সাওম রাখাও তার জন্য জায়েয হবে না। কিন্তু ফরয সাওমের কাযা তার ওপর ওয়াজিব। কেননা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
»كَانَ يُصِيْبُنَا ذَلِكَ, تَعْنِيْ الْحَيْضَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ...
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ اَنۡ تَصُوۡمُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
‘আর সিয়াম তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৪)।
অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও নারী, মুমিন পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও...
উত্তর : ইফতারের পর ও সাহারীর পূর্বে ইনসুলিন নেওয়াই উত্তম। যদি এরপরেও প্রয়োজন হয়, সেটা দিনের বেলায় সিয়াম অবস্থায় নিতে পারে। কেননা ইনসুলিন গ্রহণ করা সিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। আর এটি কোন খাদ্য নয়। অনুরূপ হাঁপানী রোগের জন্য সিয়াম অবস্থায় ‘ইনহেলার’ নেওয়া যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৫/২৪৫...
উত্তর : সূর্য ডোবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও বাড়তি সতর্কতার দোহাই দিয়ে তারা এটা করেন। যা সুন্নাত পরিপন্থী।
কেননা রাসূল (ﷺ) বলেন, সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বুখারী হা/১৯৫৪; মুসলিম হা/১১০০; মিশকাত হা/১৯৮৫)। শুধু তাই নয়, দেরী করে ইফতার করাকে নিন্দা করে তিনি বলেন, ইহূদী-নাছারারা ইফতার...
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আললাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়।
ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুললাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায়...
ছিয়াম আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা লাভের অতুলনীয় একটি মাধ্যম। মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদীর উপরে রামাযানের মাসব্যাপী ছিয়ামকে ফরয করেছেন। পাশাপাশি বছরের অন্যান্য মাসগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের নফল ছিয়াম বিধিবদ্ধ করেছেন। তন্মধ্যে রয়েছে মাসিক, সাপ্তাহিক ও বিশেষ দিনের ছিয়াম। জান্নাত পিয়াসী বান্দাগণ এসব...
কিডনি যে পদ্ধতিতেই ডায়ালাইসিস করা হোক এতে ছিয়াম ভেঙ্গে যাবে। কারণ এ পদ্ধতিতে শরীরকে বিশুদ্ধ রক্ত এবং পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর এই দু’টি জিনিস-ই ছিয়াম ভঙ্গ করে। যেহেতু কিডনী ডায়ালাইসিস বা পরিষ্কার করার জন্য রক্ত বের করে তা কেমিক্যাল পদার্থ, পুষ্টি দানকারী উপাদান যেমন চিনি, লবণ...
রমযানের দিনের বেলায় হাঁপানির ইনহেলার নিলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
(হাঁপানির ইনহেলার রোযা ভঙ্গ করবে না। কেননা সেটি সংকুচিত গ্যাস যা ফুসফুসে চলে যায়; খাদ্য নয়। রোগীর এটা সব সময় প্রয়োজন; রমযানে ও অন্য সময়ে। [বিন বাযের ফাতাওয়াদ দাওয়াহ; সংখ্যা- ৯৭৯] এবং দেখুন: "রোযার সত্তরটি মাসয়ালা" শীর্ষক পুস্তিকা।...