কুরবানী

  1. Habib Bin Tofajjal

    কুরবানী কোরবানীর গরুর সাথে ভাগে আকীকা দেয়া কি বৈধ?

    ভূমিকাঃ المقدمة সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের জন্য দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। দরূদ ও শান্তির অবিরাম ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণী মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত সাথীদের উপর। ইসলাম একটি শান্তিময় জীবন বিধান। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মৃত্যু বরণ করার পূর্বেই...
  2. Golam Rabby

    কুরবানী ইদের নামাজের আগে কুরবানির পশু জবেহ করা কি জায়েজ?

    সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটি (আল-লাজনাতুদ দা’ইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) প্রদত্ত ফাতওয়া— প্রশ্ন: “ইদের দিন ফজর নামাজের সময় কুরবানির পশু জবেহ করা কি জায়েজ?” উত্তর: “ইদের দিন ফজর নামাজের সময় কুরবানির পশু জবেহ করা জায়েজ নয়। জবেহ করার সময় হলো ইদের দিন ইদের...
  3. কাইফ মেহেদী

    কুরবানী ভাগে কুরবানী করার বিধান

    উট ও গরুতে শরীক হওয়া নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একাধিক বিশুদ্ধ হাদীস ও সালাফে সালেহীনের বাণী দ্বারা সূপ্রমানিত। নিম্নে সে সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কতিপয় হাদীস ও সালাফে ছালেহীনের বাণী পেশ করা হলঃ (ক) নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)র হাদীস দ্বারা...
  4. Golam Rabby

    কুরবানী কুরবানির গোশত তিনভাগে বণ্টন করা কি ওয়াজিব?

    মদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আচার্য, বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ আল-বাদর (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৩ হি./১৯৩৪ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া— প্রশ্ন: “যে ব্যক্তি কুরবানির গোশত তিনভাগে বণ্টন করতে বলে, তার দলিল কী? আর এটি কি...
  5. Abdul Qayyoom

    কুরবানী কুরবানীর চামড়া বিক্রয় করা

    উল্লেখ্য যে, কুরবানীর পশুর সব কিছুই আল্লাহর উদ্দেশ্যে, তাই তার কোনো অংশ বিক্রয় নিষেধ। যেমন তার গোশত বিক্রয় নিষেধ তেমন তার চামড়া বিক্রি করাও নিষেধ। আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা কুরবানীর উটের দায়িত্ব দেন এবং আদেশ করেন, যেন আমি সেই উটের গোশত...
  6. Abdul Qayyoom

    কুরবানী কুরবানীর গোশত জরুরি ভিত্তিক তিন ভাগে বিভক্ত করে সমাজকে বিতরণ করতে দেওয়া

    কিছু সমাজে জরুরি ভিত্তিক এমন নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে যে, তাদের গ্রামে বা সমাজে যারাই কুরবানী দিবে, তাদেরকে অবশ্যই তাদের কুরবানীর গোশত তিন ভাগে বিভক্ত করতে হবে। অতঃপর এক ভাগ যতক্ষণ সামাজে জমা না দেওয়া হয় ততক্ষণ তারা বাড়িতে গোশত নিয়ে যেতে পারবে না বা এই ধরণের অন্য নিয়ম। প্রথমতঃ শরীয়া কুরবানীর...
  7. Abdul Qayyoom

    কুরবানী কুরবানী জবাই করা সংক্রান্ত ভুল সমূহ

    নিজে যবাই না করে অন্যের মাধ্যমে যবাই করা; অথচ কুরবানী একটি ইবাদত আর ইবাদত নিজে করা বেশী ভাল। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে কুরবানী করতেন। তবে কেউ যদি যবাই করতে ভয় পায় বা ছুরি চালাতে না জনে তাহলে তার বিধান ভিন্ন। অযু ছাড়া যবাই না করা; অথচ যবাই করার জন্য অযু না তো জরুরি আর না...
  8. Abdul Qayyoom

    কুরবানী মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা

    মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা এই প্রসঙ্গটির কয়েকটি দিক রয়েছেঃ ক। কোনো মৃতের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্ররূপে একটি আলাদাই কুরবানী দেওয়া। যেমন, একটি ছাগল বা গরু বা গরু কিংবা উটের কোনো বিশেষ এক-দুই ভাগ মৃতের জন্য দেয়া। মৃতের জন্য এমন স্বতন্ত্র কুরবানী বৈধ নয়। সত্যিকারে কুরবানীর সুন্নতটি জীবিতদের জন্য এটা...
  9. Abdul Qayyoom

    কুরবানী এমন মনে করা যে, একটি ছাগল কিংবা একটি ভেড়ার কুরবানী কেবল এক জনের পক্ষ থেকে হয়; একটি পরিবারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হয় না

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ছাগল কুরবানী দিয়েছেন এবং সাহাবাগণও একটি ছাগল নিজ ও নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে যবাই করতেন, তাতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা যাই হোক না কেন। আবু আইয়্যুব আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মানুষ...
  10. Abdul Qayyoom

    কুরবানী উট কিংবা গরু কুরবানী দেওয়ার সময় সাত ভাগের কোনো ভাগে আক্বীকা উদ্দেশ্য করা

    আক্বীকা একটি এমন ইবাদত, যার সময় নির্ধারিত আর তা হচ্ছে বাচ্চার জন্মের সপ্তম দিন। আর এক হাসান হাদীস অনুযায়ী সাত তারিখে না পারলে ১৪ তারিখে আর তাতেও সম্ভব না হলে ২১ তারিখে। [স্বাহীহুল জামি আস্ স্বগীর ৪০১১] এই ভাবে কুরবানীর সময়ও নির্ধারিত আর তা হল, যিল হজ্জ মাসের ১০ তারিখ এবং ১১, ১২ ও ১৩ তরিখ। যে সব...
  11. Abdul Qayyoom

    কুরবানী গরু বা উটে ভাগে কুরবানী করাকে সফরের সাথে নির্দিষ্ট মনে করা

    عن جابر بن عبد الله، قال: حججنا مع رسول الله صلى الله عليه و سلم، فنحرنا البعير عن سبعة، والبقرة عن سبعة. رواه مسلم আবদুল্লার পুত্র জাবির থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হজ্জ করলাম। অতঃপর সাত জনের পক্ষে একটি উট নহর করলাম এবং সাত জনের পক্ষে একটি গাভী।...
  12. Abdul Qayyoom

    কুরবানী যে ব্যক্তি কুরবানী করার নিয়ত করেছে এবং যিল হজ্জ মাসের চাঁদ দেখা দিয়েছে এমন ব্যক্তির কুরবানী না করা পর্যন্ত চুল, চামড়া ও নোখ কাটা থেকে বিরত থাকা

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “যখন (যিল হজ্জ মাসের) দশক শুরু হবে এবং তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন তার চুল, চামড়া ও নোখের কোনো কিছু না কাটে”। [মুসলিম, আযাহী অধ্যায়, নং ১৯৭৭] তাই যে ভাই কুরবানী করতে চায়, সে যেন উপরে বর্ণিত কোনো কিছু না কাটে। কিন্তু যে নিজে...
  13. Abdul Qayyoom

    কুরবানী কুরবানীর ভুল উদ্দেশ্যে

    কুরবানী একটি ইবাদত কারণ মহান আল্লাহ তা পছন্দ করেন এবং আমাদের তা করার আদেশ দেন। আল্লাহ বলেন: (তাই তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে স্বলাত পড় এবং কুরবানী কর।) [সূরা কাউসার/২] এই রকম প্রত্যেক ইবাদত কবুলের প্রথম শর্ত হল, ইবাদতে ইখলাস থাকা। অর্থাৎ ইবাদতটি খাঁটি ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে...
  14. Abdul Qayyoom

    কুরবানী যিলহজ্জ তথা কুরবানীর মাসের প্রথম দশকের বিভিন্ন ফযীলত উপেক্ষা করে শুধু কুরবানী করতে আগ্রহী হওয়া

    যিল হজ্জ তথা কুরবানীর মাসের প্রথম দশকের বিভিন্ন ফযীলত উপেক্ষা করে শুধু কুরবানী করতে আগ্রহী হওয়াঃ উল্লেখ্য যে, যিল হজ্জ মাসের ১ম দশক খুবই ফযীলতপূর্ণ দশক। অনেক উলামার মতে, আল্লাহর নিকট যিল হজ্জ মাসের প্রথম দশকের দিনের সৎ আমল সমূহ রামাযানের শেষ দশকের দিনের ইবাদতের থেকেও উত্তম। [শারহুল্ মুমতি, ইবনু...
  15. Rifat Jahan

    প্রবন্ধ জিলহজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কুরবানী করবে তার জন্য চুল, নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা জরুরী

    প্রিয় ভাই ও বোনেরা, জিলহজ্জ মাস শুরু হলে শরীরের অতিরিক্ত পশম, যেমন, মাথার চুল, নাভির নিচের বা বোগলের পশম কাটা জায়েজ নাই। কারণ, উম্মে সালামা রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সা. বলেন: إذا دخل شهر ذي الحجة وأراد أن يضحي فلا يأخذ من شعره ولا من أظفاره شيئاً ‘জিল হজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কুরবানী করতে...
  16. fazlul haque

    কুরবানী কুরবানী করা জীবিত ব্যক্তিদের দায়িত্ব ও মৃত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা বৈধ

    কুরবানী করা জীবিত ব্যক্তিদের দায়িত্ব। যেভাবে রাসূল (সা.) এবং সাহাবাগণ নিজের পক্ষ ও পরিবারের পক্ষ থেকে করেছেন। তবে হ্যাঁ যদি কোন ব্যক্তি ওয়াসিত করে মারা যান, তা পূরণ করা দরকার। অথবা জীবিত ব্যক্তির সাথে মৃতদের নাম দেওয়া যেতে পারে। এভাবে নিয়ত করবে যে, এই কুরবানী পরিবারের সকল জীবিত ও মৃত...
  17. fazlul haque

    কুরবানী কুরবানীর উদ্দেশ্য বা তাৎপর্য

    কুরবানীর উদ্দেশ্য বা তাৎপর্য হলো- আল্লাহর দাসত্ব স্বীকার করা, যার নির্দেশ মহান আল্লাহ দিয়েছেন। এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। (সূরা হাজ্জ: ৩৭) ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নাতকে জীবিত রাখা। আল্লাহর বিভিন্ন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। তন্মধ্যে...
  18. fazlul haque

    কুরবানী কুরবানী করতে অক্ষম ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা মুস্তাহাব।

    কুরবানী করতে অক্ষম ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা মুস্তাহাব। অর্থাৎ পশু ক্রয় করতে আর্থিক সহযোগিতা করা বা ভেড়া কিংবা ছাগল হাদিয়া দেওয়া যেনো সে কুরবানী করতে পারে। “উকবাহ ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে কতগুলো কুরবানীর পশু বণ্টন...
  19. fazlul haque

    কুরবানী কুরবানী কি সুন্নাত নাকি ওয়াজিব?

    কুরবানী জামহূর উলামাদের মতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। কারো কারো মতে সামর্থবানদের উপর ওয়াজিব। এটি ইমাম আবু হানীফার মাযহাব ও ইমাম মালেক ও আহমদেরও মত। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) এটি গ্রহণ করেছেন। সুতরাং যার সামর্থ আছে তার উচিত কুরবানী করা। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ...
  20. fazlul haque

    কুরবানী কুরবানী কি ও আমাদের জন্য কবে শুরু হয়?

    কুরবানীকে আরবী ভাষায় উদহিয়া বলা হয়। উদহিয়া- যা ঈদের দিনগুলোতে চতুষ্পদ জন্তু (উট, গরু, ভেড়া) এ জাতীয় পশু আল্লাহর সন্তুষ্টি লক্ষ্যে যবাহ করা হয়। আর দাহওয়া অর্থ হলো, সূর্য উপরের দিকে উঠা। আর কুরবানী করার সময় তখনই শুরু হয় যখন সূর্য উপরের দিকে উঠা শুরু হয়। হিজরী দ্বিতীয় সালে কুরবানীর...
Back
Top