Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম।
জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন।
আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
You are using an out of date browser. It may not display this or other websites correctly. You should upgrade or use an alternative browser.
অনেক সময় মানুষের বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, অন্যায়, অবিচার ইত্যাদি দেখে বলা হয়, ‘যুগটাই খারাপ হয়ে গেছে’, ‘যুগের দোষ’, ‘যুগটা গাদ্দার হয়ে গেছে’ ইত্যাদি এমন আরও কথা বলা হয়ে থাকে। সময়ের ব্যাপারে এ ধরনের কথা বলা ইসলামে নিষিদ্ধ। কেননা, সময় বা যুগের কোনো শক্তি নেই। সময় বা যুগ কোনো কিছু ঘটাতে পারে না। সব কিছু...
কোনো কিছু নষ্ট হয়ে গেলে বা ক্ষতি হলে আফসোস করে বলে, ‘যদি ওটা না করতাম তবে এমনটা হতো না, বা যদি সে-কাজটা করতাম তবে এমনটা ঘটত না।’
ভাগ্যের ওপর সন্তুষ্ট না থেকে ঘটে যাওয়া কোনো জিনিসের ব্যাপারে আক্ষেপ, আফসোস বা হায়হুতাশ করে এধরনের কথা বলা নিষিদ্ধ। কেননা, এর মাধ্যমে আল্লাহর ফয়সালা ও নির্ধারণে...
বঙ্গালমূলকের অনেকের মুখেই ‘মূসার জাদুর লাঠি’ বাক্যটি শোনা যায়। এটি কুরআনের একাধিক আয়াতের পরিপন্থি কথা। মূসা আলাইহিস সালামের লাঠি নিয়ে আল্লাহ তাআলা একাধিক আয়াতে আলোচনা করেছেন। তিনি অনেক আয়াতে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, "তার লাঠি কোনো জাদু ছিল না; বরং তা ছিল এক মুজিযা"। মূসা আলাইহিস সালামের লাঠিকে...
আমরা যখন অন্যের কল্যাণ কামনা করে বলি অথবা বিদায় মুহূর্তে বলি ‘ভালো থাকো’। মুসলিম হিসেবে এ বাক্যের পরিবর্তে ‘আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন’ বলা উচিত। কেননা, মানুষ নিজেকে ভালো রাখতে পারে না। মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ যা কিছু ঘটে সব আল্লাহর ইচ্ছায় ও অনুমতিতেই ঘটে। আল্লাহ তাআলা বলেন, "তোমরা যেসব নেয়ামত ভোগ...
কোনো কাফিরকে জনাব বা মিস্টার বা সাইয়েদ বা নেতা বা সম্মানজনক কোনো শব্দ বলা যাবে না। আল্লামা বিন বায রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হয়, অনেকে জানা সত্ত্বেও কাফিরের মেমো বা চালানে ‘মিস্টার অমুক’ লিখে থাকে। এভাবে লিখা কতটুকু বৈধ? জবাবে তিনি বলেন, কোনো কাফিরকে সাইয়েদ বা মিস্টার বলা যাবে না। রাসূলুল্লাহ...
কারো কাজ ও সিদ্ধান্তের অতিরঞ্জিত প্রশংসা করতে গিয়ে বলা হয়, ‘আপনার কী আর ভুল হয়!’ এটি একটি বেমালুম ভুল ও ইসলামী আকীদাহ পরিপন্থি কথা। কারণ, নির্ভুলতার গুণ একমাত্র আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য। আল্লাহ কোনোই ভুল করেন না। আল্লাহ ছাড়া সকল সৃষ্টি ভুল করতে পারে। আর প্রত্যেক মানুষ ভুল করে। এমন কোনো মানুষ নেই যে...
অনেকে কারো রূপের প্রশংসা করতে গিয়ে আবেগের আতিশয্যে বলে ফেলে, ‘আল্লাহ তোমাকে তাঁর নিজ হাতে এমন নিখুঁত করে বানিয়েছেন।’ অনেকে তো আবার এক কাঠি সরের হয়ে বলে, 'আল্লাহ তোমাকে অনেক ভেবে চিন্তে সময় নিয়ে সৃষ্টি করেছেন'। উভয় উক্তির কোনোটাই সঠিক নয়; বরং ইসলামি বিশ্বাস পরিপন্থী। আল্লাহ তা'আলা চারটি বস্তু...
কেউ অত্যাচার ও বে-ইনসাফির মাত্রা বাড়িয়ে দিলে বা কারো জুলম ও অন্যায্যতা সীমাতিক্রম করলে বলা হয়ে থাকে, 'তার জুলম আল্লাহরও সহ্য হবে না'।
সহনশীলতা একটি ভালো গুণ। অসহনশীলতা একটি খারাপ গুণ এবং এক প্রকার দুর্বলতা। আর আল্লাহ তাআলা যাবতীয় খারাপ গুণ ও দুর্বলতা থেকে পবিত্র। কোনো অবস্থাতেই আল্লাহর সাথে...
মা-বাবার জন্য সন্তানের বিয়োগ-বেদনা অসহনীয়। ফলে সন্তানের মৃত্যুতে কোনো কোনো মা-বাবার মুখ থেকে এমন কথা বের হয়ে যায়, যা কুফরী কথা। যেমন সন্তানের মৃত্যুতে কোনো কোনো মা-বাবাকে বলতে শোনা যায়, 'আল্লাহ আমার সন্তান ছাড়া আর কাউকে দেখল না।'
মুমিন মাত্রই এমন কোনো কথা বলতে পারে না। দ্বীনের বিশুদ্ধ...
বলেন, 'অমুক কাজ করলে বা না-করলে আমি কাফির।' কেউ কেউ আবার সরাসরি ধর্মের নাম নেন, যেমন, আমি মুশরিক বা হিন্দু বা খ্রিস্টান বা ইহুদী।
কোনো কাজ করা বা না-করার সাথে এভাবে কুফরীকে জড়িত করা খুবই খারাপ ও জঘন্য একটি অভ্যাস। এ ধরনের কথা বলা মোটেও জায়েয নয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম...
'অন্ধকার ও সংকীর্ণ কবর' একথা সর্বক্ষেত্রে সঠিক নয়। সবার কবরের পরিস্থিতি এক হবে না। যারা সত্যিকার ঈমান নিয়ে মারা যাবেন তাদের কবর অন্ধকার ও সংকীর্ণ থাকবে না; বরং তাদের কবর হবে আলোকিত ও প্রশস্ত। হাদীসে এসেছে, যারা কবরে তিনটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দেবেন, তাদের দৃষ্টি যতদূর যাবে ততদূর অব্দি কবরকে...
কিছু অবিবেচক ও অশ্লীলভাষী লোক সামান্য রাগের বশে কী বলে আর কী করে সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপই থাকে না। মুখে যা আসে তাই বলে আর যা মন চায় তাই করে। প্রতিপক্ষকে 'অবৈধ সন্তান', 'হারামির বাচ্চা', 'জারজ সন্তান', 'যেনার সন্তান' এর মতো অতি জঘন্য সব শব্দে গালি দেয়।
একজন মুসলিম কখনো উল্লিখিত শব্দ তো দূরে থাক...
কেউ নওজোয়ান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার ক্ষেত্রে বলা হয় ‘লোকটির অকাল মৃত্যু' হল। অনেকে তো আবার ভালোবাসার আতিশয্যে আবেগতাড়িত হয়ে বলেই ফেলে ‘তার এহেন অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না'।
প্রথমত, ‘অকাল মৃত্যু' শব্দটির ব্যবহারই ঠিক নয়। কারণ, অকাল বলতে বোঝায় অসময়কে। অর্থাৎ এ বাক্যের অর্থ...
ইসলাম সাংঘর্ষিক কিংবা মন্দ কথা বলার পর কেউ যদি বলে, আপনার একথা ইসলামের দৃষ্টিতে ভুল ও আপত্তিকর। তখন জবাব আসে, আমি তো তা ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই বলেছি। আমার তো কোনো খারাপ অভিপ্রায় ছিল না। আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘অনেক মানুষ বলে, অন্তর ও উদ্দেশ্য ঠিক...
আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নই তাই আমাদের ফোরামে কোনো ভুল ত্রুটি (ছোট কিংবা বড়) চোখে পড়লে সেটাকে প্রচার করার পূর্বে আমাদের জানানোর অনুরোধ করছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন: নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। সে তার ওপরে জুলুম করে না।