ই-বুক

  1. Abu Abdullah

    তাওহীদের কিছু ফযিলত বর্ণনা করুন?

    উত্তর: (ক) যে তাওহীদ বজায় রাখবে সে অন্যান্য দোষত্রুটির কারণে জাহান্নামে গেলেও ত্রুটি অনুযায়ী শাস্তি ভোগের পর তা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে। চিরকাল জাহান্নামে থাকতে হবে না। (খ) তাওহীদের মানদণ্ডে বান্দার সমস্ত কাজ বিচার-বিশ্লেষণ করে সওয়াব দেওয়া হবে। (গ) কেবলমাত্র তাওহীদপন্থীরাই আল্লাহর সাহায্য ও...
  2. Abu Abdullah

    বান্দার উপরে আল্লাহর হক এবং আল্লাহর উপরে বান্দার হক এদূয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

    মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: বান্দার উপরে আল্লাহর হক হলো: তারা আল্লাহর ইবাদাত করবে কিন্তু তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর কর্তব্য হলো যে বান্দা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবে না তাকে আযাব বা শাস্তি না দেওয়া’’। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)...
  3. Abu Abdullah

    আপনার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারোই ইবাদাত করবে না, আর মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে - এ আয়াতের ব্যাখ্যা করুন?

    উত্তর: ‘‘আপনার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারোই ইবাদাত করবে না, আর মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে’’। (সূরা বানী ইসরাঈল:২৩) উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, আদেশ দেওয়া হয়েছে একমাত্র তারই ইবাদাত করার জন্য এবং তাঁর কোনো শরীক নেই। আর মাতা-পিতার সাথে বিনয়-নম্র আচরণ করতে হবে, কেননা...
  4. Abu Abdullah

    ইবাদাতের পারিভাষিক অর্থ কি?

    উত্তর: ‘ইবাদাত’ ব্যাপক অর্থবোধক একটি শব্দ। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসার সমম্বয়ে অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য ও গোপনীয় যাবতীয় কথা ও কাজকে ইবাদাত বলে[1]। [1] (মা লাবুদ্দা মিন মারেফাতিহি আনিল ইসলাম আক্বিদাহ, ঈবাদাহও আখলাক লিশ-শায়খ মুহাম্মাদ ইবন আলি আল আরফাজ: পৃ: ২৭)
  5. Abu Abdullah

    আল্লাহ সমস্ত বান্দাদের উপর কি ফরয করে দিয়েছেন?

    উত্তর: সকল তাগুতকে অস্বীকার ও অমান্য করা এবং মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনাকে ফরয করে দেওয়া হয়েছে। সুমহান আল্লাহ বলেন: فَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤۡمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسۡتَمۡسَكَ بِٱلۡعُرۡوَةِ ٱلۡوُثۡقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ [البقرة: ٢٥٦] ‘‘যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান...
  6. Abu Abdullah

    তাগুত কয়টি ও কী কী?

    উত্তর: তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে এর মধ্যে প্রধানতম পাঁচটি হলো: (ক) আল্লাহর লা‘নতপ্রাপ্ত ইবলিস। (খ) আল্লাহর সাথে অথবা আল্লাহ ব্যতীত অন্য যাদের ইবাদাত উপাসনা পারস্পরিক সন্তুষ্টির সাথে হয়ে থাকে। (গ) যে ব্যক্তি নিজের পূজা-উপাসনার আহ্বান জানাবে। আর যে সীমালংঘন করে যথোপযুক্ত সম্মান-মর্যাদার অধিক...
  7. Abu Abdullah

    তাগুতের পরিচয় কী?

    উত্তর: তাগুত হলো; বান্দা কর্তৃক কোনো মা‘বুদ বা আনুগত্যকৃত কিংবা অনুসরণকৃতের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘনমূলক আচরণ করা[1]। [1] হাশিয়াতু সালাসাতু উসূল ইবনে কাসেম পৃ: ১৩
  8. Abu Abdullah

    প্রত্যেক জাতির মধ্যেই কি রাসূল মনোনীত করা হয়েছে? এবং কেন?

    উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা নূহ আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত প্রত্যেক জাতির মধ্যে নির্দিষ্ট রাসূল মনোনীত করে দিয়েছেন। তারা উম্মতের লোকদেরকে এক আল্লাহর ইবাদাত করার আদেশ দিয়েছেন এবং তাগুতসমূহের ইবাদাত উপাসনা করতে বারণ করেছেন। আর এ রিসালাতের বাণী সতর্ককারীগণ...
  9. Abu Abdullah

    আল্লাহ রসূলগণকে কেন পাঠিয়েছেন? তাঁদের মধ্যে প্রথম এবং শেষ রাসূল কে?

    উত্তর: আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের কাছে রাসূলগণকে সুসংবাদ প্রদান ও সতর্ক করার জন্যে প্রেরণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন: رُّسُلٗا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى ٱللَّهِ حُجَّةُۢ بَعۡدَ ٱلرُّسُلِۚ ( [النساء: ١٦٥] ‘‘প্রেরিত রসূলগণ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী। রাসূল প্রেরণের পর যেন...
  10. Abu Abdullah

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর প্রমাণ কী?

    উত্তর: মহান আল্লাহ বলেন: إِنَّكَ مَيِّتٞ وَإِنَّهُم مَّيِّتُونَ ٣٠ [الزمر: ٣٠] ‘‘নিশ্চয়ই আপনার মৃত্যু হবে এবং তাদেরও সবার মৃত্যু হবে’’। (সূরা আয-যুমার: ৩০)
  11. Abu Abdullah

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যে কল্যাণের পথ দেখিয়ে গেছেন এবং যে অকল্যাণ বা ক্ষতির ব্যাপারে সাবধান করেছেন তা কী?

    উত্তর: কল্যাণের পথ হলো: তাওহীদ বা একত্ববাদ ও আল্লাহ যা কিছু সন্তুষ্টির সাথে পছন্দ করেন এবং ভালবাসেন। আর ক্ষতিকর বিষয় হলো: শির্ক ও যা কিছু অপছন্দনীয় এবং প্রত্যাখ্যাত। যাবতীয় কল্যাণের কথা ও কাজের শ্রেষ্ঠতম বিষয় হলো তাওহীদ বা একত্ববাদ। তা সবই উপস্থাপিত এবং প্রমাণিত। ক্ষতিকর বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে...
  12. Abu Abdullah

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুতে ইসলামের উপর কোনো প্রভাব পড়েছে কি?

    উত্তর: তাঁর মৃত্যুতে দীনে ইসলামের উপর কোনো প্রভাব পড়ে নি। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছেন কিন্তু দীন ইসলাম পূর্ণাঙ্গরূপে দুনিয়াবাসীর জন্যে রেখে গেছেন। তিনি উম্মতকে যাবতীয় কল্যাণের পথ দেখিয়ে গেছেন এবং সকল অকল্যাণের ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন।
  13. Abu Abdullah

    ইসলামী জিন্দেগীর অন্যান্য বিধি-বিধান যেমন: যাকাত, হজ্জ, জিহাদ, আযান এবং সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ ইত্যাদি বিষয়ে কখন নির্দেশ জারী করা হয়?

    উত্তর: এসব নির্দেশ জারী করা হয় মাদানী যুগে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় দশ বছর সময়কালে তাওহীদ বা একত্ববাদের দিকে দাওয়াতী অভিযান পরিচালনা করেন। আর মক্কী যুগের দশ বছর পরে (শেষদিকে) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়।[1] [1]. হাশিয়াতু ইবনে কাসেম পৃষ্ঠা: ৮৩।
  14. Abu Abdullah

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন পর্যায়ে ও কখন হিজরতের আদেশ পান এবং হিজরত অর্থ কি?

    উত্তর: মুশরিকদের মাত্রাতিরিক্ত নিষ্ঠুরতা ও চাপের মুখে হিজরতের অনুমতি আসে নবুওয়ত প্রাপ্তির ত্রয়োদশ বর্ষের রবিউল আউয়াল মাসে। হিজরতের আভিধানিক অর্থ হলো: পরিত্যাগ বা প্রস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো: শির্ক প্রাধান্য দেশ বা জনপদ ত্যাগ করে ইসলামী দেশ বা জনপদে প্রস্থান করা। শির্ক প্রধান দেশে বা...
  15. Abu Abdullah

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উর্ধ্বাকাশে (মি‘রাজে) গমন করেন কখন এবং কীভাবে?

    উত্তর: কতিপয় বিদ্বান ব্যক্তি বলেন যে, তিনি নবুওয়ত প্রাপ্তির দশ বৎসর পরে উর্ধ্বাকাশে মিরাজে গমন করেন। বস্তুত মি‘রাজের সঠিক সময়কাল নিয়ে বিভিন্নজন যে মতামত ব্যক্ত করেছেন তা দশের অধিক। তবে কেউই জোর দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলতে পারেন নি সুষ্পষ্ট দলিল প্রমাণের অভাবে। আর যেভাবে গমন করেন তা হলো...
  16. Abu Abdullah

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিচয় কী?

    উত্তর: তিনি হলেন, মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল-মুত্তালিব, ইবন হাশিম আল-কুরাশি আল-আরাবী ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম আল- খলীলের বংশধর। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ ও সালাম বর্ষিত হউক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়ত পেয়েছেন ৪০ বৎসর বয়সে, আর নবুওয়তের পর ২৩ বছর...
  17. Abu Abdullah

    ইহসান কাকে বলে?

    উত্তর: ইহসান হলো: ‘‘আল্লাহর ইবাদাত করার সময় মনে করতে হবে যে, তুমি আল্লাহকে দেখছো, আর যদি তুমি দেখতে না পাও তবে নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন’’। (সহীহ আল-বুখারী) মহান আল্লাহ বলেন: إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَواْ وَّٱلَّذِينَ هُم مُّحۡسِنُونَ ١٢٨ [النحل: ١٢٨] “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাথে...
  18. Abu Abdullah

    ঈমান কাকে বলে? ঈমানের শাখা-প্রশাখা এবং রুকন কয়টি ও কী কী?

    উত্তর: ঈমানের আভিধানিক অর্থ হলো: স্বীকার করা। আর পারিভাষিক অর্থ হলো: মুখের স্বীকৃতি (ঘোষণা), অন্তরের বিশ্বাস এবং অংগ-প্রত্যংগ দিয়ে বাস্তবে কাজ করা। সৎ কাজের মাধ্যমে ঈমান বৃদ্ধি পায়, আর পাপ কাজ করলে ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঈমানের শাখা-প্রশাখা সত্তরটিরও অধিক: এর সর্বোচ্চ শাখা হলো: ‘লা ইলাহা...
  19. Abu Abdullah

    ইসলামের রুকন (স্তম্ভ) কয়টি ও কী কী?

    উত্তর: ইসলামের রুকন পাঁচটি; (ক) ঘোষণা দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ (মা‘বুদ) নেই; আর এ ঘোষণা দেওয়া যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দাহ ও রাসূল। (খ) সালাত (নামায) কায়েম করা (গ) যাকাত আদায় করা (ঘ) রমযান মাসে সওম (রোযা) পালন করা (ঙ) আল্লাহর ঘরে গিয়ে হজ্জ...
  20. Abu Abdullah

    দীনের স্তর কয়টি ও কী কী?

    উত্তর: দীনের স্তর তিনটি (১) ইসলাম (২) ঈমান (৩) ইহসান (উত্তম পন্থা অবলম্বন ও সদ্বব্যবহার)[1]। [1] হাশিয়াতু ইবনে কাসেম, পৃষ্ঠা: ৪৭।
Back
Top