- Author
- ড. আব্দুল কারীম যাইদান
- Translator
- মুহাম্মদ বুরহানুদ্দিন
- Editor
- আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
- Publisher
- Islamhouse.com
ইসলামী শরীয়তে শাস্তির বিধান pdf বই ডাউনলোড। ইসলামী শরীয়াতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর ব্যাপ্তি ও বিস্তৃতি। যা মানব জীবনের বিভিন্ন দিককে সুবিন্যস্ত করে। মানুষের সকল কাজের যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করে। জীবন পরিচালনার পথ-পদ্ধতি সুস্পষ্টভাবে বলে দেয় এবং আল্লাহর সাথে ও অন্যান্য মানুষের সাথে সম্পর্কের সীমানা নির্ধারণ করে। ফলে মানুষের কোন কিছুই শরীয়াতের নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে না
ইসলামি শরীয়াতের বিধি-ব্যবস্থা মেনে চললে, তার নির্ধারিত সীমার মধ্যে অবস্থান করলে এবং তার বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করলে দুনিয়া ও আখিরাতের সৌভাগ্য-সফলতা নিশ্চিতভাবে লাভ হবে। কেননা, সঠিক পথের সন্ধান কেবল এখানেই আছে। অন্য কোথাও এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, إِنْ هِيَ إِلَّا أَسْمَاء سَمَّيْتُمُوهَا أَنتُمْ وَآبَاؤُكُم مَّا أَنزَلَ اللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَانٍ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَمَا تَهْوَى الْأَنفُسُ وَلَقَدْ جَاءهُم مِّن رَّبِّهِمُ الْهُدَى
অর্থঃ এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে। (আন নাজম)
সুতরাং ইসলামী শরীয়াতের মূলভিত্তি কুরআনই সমগ্র মানবজাতির হিদায়াত তথা পথ নির্দেশনা দানকারী। তবে কুরআনের কতিপয় আয়াতে হিদায়াত বা সঠিক পথ প্রদর্শন কেবল মুমিন ও মুত্তাকীদের জন্য নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
অর্থঃ হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। (ইউনুস-৫৭)
এ আয়াতের অর্থ এ নয় যে, কুরআন কেবল মুমিনদের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাদের জন্যই এর হিদায়াত সংরক্ষিত। বস্তুতঃ মুমিন-মুত্তাকিরা ছাড়া যেহেতু অন্য কেউই এর নির্দেশনা মেনে চলে না। এবং এর দ্বারা উপকৃত হয় না। তাই আয়াতে শুধু তাদের হিদায়াতের কথাই বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসলামি শরীয়াতের বিধি-ব্যবস্থা মেনে চললে, তার নির্ধারিত সীমার মধ্যে অবস্থান করলে এবং তার বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করলে দুনিয়া ও আখিরাতের সৌভাগ্য-সফলতা নিশ্চিতভাবে লাভ হবে। কেননা, সঠিক পথের সন্ধান কেবল এখানেই আছে। অন্য কোথাও এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, إِنْ هِيَ إِلَّا أَسْمَاء سَمَّيْتُمُوهَا أَنتُمْ وَآبَاؤُكُم مَّا أَنزَلَ اللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَانٍ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَمَا تَهْوَى الْأَنفُسُ وَلَقَدْ جَاءهُم مِّن رَّبِّهِمُ الْهُدَى
অর্থঃ এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে। (আন নাজম)
সুতরাং ইসলামী শরীয়াতের মূলভিত্তি কুরআনই সমগ্র মানবজাতির হিদায়াত তথা পথ নির্দেশনা দানকারী। তবে কুরআনের কতিপয় আয়াতে হিদায়াত বা সঠিক পথ প্রদর্শন কেবল মুমিন ও মুত্তাকীদের জন্য নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
অর্থঃ হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। (ইউনুস-৫৭)
এ আয়াতের অর্থ এ নয় যে, কুরআন কেবল মুমিনদের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাদের জন্যই এর হিদায়াত সংরক্ষিত। বস্তুতঃ মুমিন-মুত্তাকিরা ছাড়া যেহেতু অন্য কেউই এর নির্দেশনা মেনে চলে না। এবং এর দ্বারা উপকৃত হয় না। তাই আয়াতে শুধু তাদের হিদায়াতের কথাই বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।