- Author
- ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
- Publisher
- হাদীছ ফাউণ্ডেশন
ইসলামী শরী'আত ও জীবনব্যবস্থার বুনিয়াদী দুই উৎস হ'ল পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ, যা অহী হিসাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে। এ দু'টি উৎসের মাধ্যমে আল্লাহ মানবজাতিকে পথপ্রদর্শন করেছেন, যা ক্বিয়ামত অবধি অব্যাহত থাকবে। এই উৎসদ্বয়ের মধ্যে প্রথম উৎস তথা পবিত্র কুরআন ইসলামী শরী'আতের সাধারণ মূলনীতিসমূহ নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা মানবজাতির জন্য চিরন্তন হেদায়াতবাণী।
আর সুন্নাহ হল কুরআনের এই মূলনীতিসমূহের ব্যাখ্যা, যা রাসূলুল্লাহ (ছা.) কর্তৃক বর্ণিত এবং তাঁর কর্ম ও স্বীকৃতি দ্বারা প্রমাণিত পথনির্দেশিকা। এতদুভয়ের সমন্বয়েই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ইসলাম। মুসলিম উম্মাহ প্রাথমিক যুগ থেকে এই দুই মূল উৎসের ওপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও তাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিশৃংখলার সূত্র ধরে কিছু বিভ্রান্ত মতবাদপুষ্ট দল ও উপদলের জন্ম হয়। এদের মধ্যে একটি অংশ রাসূল (ছা.)-এর সুন্নাহ সম্পর্কে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সুন্নাহকে অস্বীকারের প্রবণতা দেখিয়েছে। খারিজী, শীআ, মুতাযিলা প্রভৃতি সম্প্রদায় সর্বপ্রথম এই ভ্রান্ত নীতি গ্রহণ করে।
অতঃপর আধুনিক যুগেও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণকারী কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, উদারতাবাদ, আধুনিকতাবাদ কিংবা তথাকথিত মুক্তবুদ্ধি -এর নামে হাদীছ অস্বীকারের নীতি অবলম্বন করেছেন। এদের কেউ রাসূল (ছা.)-এর হাদীছকে পুরোপুরিভাবে অস্বীকার করেছেন, কেউ অংশবিশেষকে অস্বীকার করেছেন, আবার কেউ সরাসরি অস্বীকার না করলেও সন্দেহ সৃষ্টি করেছেন।
অপরদিকে বিগত শতাব্দীর শুরু থেকে প্রাচ্যবিদগণ ইসলামী আইনে হাদীছের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়ে আসছেন এবং হাদীছ শাস্ত্ৰ প্ৰকৃতই রাসূল (ছা.)-এর বাণীর প্রতিনিধিত্বকারী কি না এবং এর উৎপত্তিকাল কখন- তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক উত্থাপন করেছেন। দুঃখজনক হ'ল প্রাচ্যবিদদের উপস্থাপিত এই বিতর্কে মুসলিম সমাজের অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিই প্রভাবিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা প্রাচ্যবাদী গবেষণার ভ্রান্তিসমূহ খণ্ডন না করে বরং তাঁদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্বে নিজেদের আবদ্ধ করেছেন।
এর কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে সিরীয় বিদ্বান ড. মুছত্বফা আস-সিবাঈ (১৯৬৪খ্রি.) বলেন, হাদীছ তাদের মুক্তবুদ্ধি চর্চার পথে প্রধান বাধা। তাই তাঁদের ভিতরকার প্রবৃত্তিগত ইচ্ছার সাথে প্রাচ্যবাদী গবেষণার ফলাফল একবিন্দুতে মিলিত
আর সুন্নাহ হল কুরআনের এই মূলনীতিসমূহের ব্যাখ্যা, যা রাসূলুল্লাহ (ছা.) কর্তৃক বর্ণিত এবং তাঁর কর্ম ও স্বীকৃতি দ্বারা প্রমাণিত পথনির্দেশিকা। এতদুভয়ের সমন্বয়েই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ইসলাম। মুসলিম উম্মাহ প্রাথমিক যুগ থেকে এই দুই মূল উৎসের ওপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও তাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিশৃংখলার সূত্র ধরে কিছু বিভ্রান্ত মতবাদপুষ্ট দল ও উপদলের জন্ম হয়। এদের মধ্যে একটি অংশ রাসূল (ছা.)-এর সুন্নাহ সম্পর্কে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সুন্নাহকে অস্বীকারের প্রবণতা দেখিয়েছে। খারিজী, শীআ, মুতাযিলা প্রভৃতি সম্প্রদায় সর্বপ্রথম এই ভ্রান্ত নীতি গ্রহণ করে।
অতঃপর আধুনিক যুগেও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণকারী কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, উদারতাবাদ, আধুনিকতাবাদ কিংবা তথাকথিত মুক্তবুদ্ধি -এর নামে হাদীছ অস্বীকারের নীতি অবলম্বন করেছেন। এদের কেউ রাসূল (ছা.)-এর হাদীছকে পুরোপুরিভাবে অস্বীকার করেছেন, কেউ অংশবিশেষকে অস্বীকার করেছেন, আবার কেউ সরাসরি অস্বীকার না করলেও সন্দেহ সৃষ্টি করেছেন।
অপরদিকে বিগত শতাব্দীর শুরু থেকে প্রাচ্যবিদগণ ইসলামী আইনে হাদীছের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়ে আসছেন এবং হাদীছ শাস্ত্ৰ প্ৰকৃতই রাসূল (ছা.)-এর বাণীর প্রতিনিধিত্বকারী কি না এবং এর উৎপত্তিকাল কখন- তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক উত্থাপন করেছেন। দুঃখজনক হ'ল প্রাচ্যবিদদের উপস্থাপিত এই বিতর্কে মুসলিম সমাজের অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিই প্রভাবিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা প্রাচ্যবাদী গবেষণার ভ্রান্তিসমূহ খণ্ডন না করে বরং তাঁদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্বে নিজেদের আবদ্ধ করেছেন।
এর কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে সিরীয় বিদ্বান ড. মুছত্বফা আস-সিবাঈ (১৯৬৪খ্রি.) বলেন, হাদীছ তাদের মুক্তবুদ্ধি চর্চার পথে প্রধান বাধা। তাই তাঁদের ভিতরকার প্রবৃত্তিগত ইচ্ছার সাথে প্রাচ্যবাদী গবেষণার ফলাফল একবিন্দুতে মিলিত
- Purchase Link
- Click Here to BUY NOW!
বইটি ক্রয় করে লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করুন।