‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

সূরা আত-তাওবাহ এর ৬৫, ৬৬ আয়াতের অর্থ, ব্যাখ্যা এবং শিক্ষণীয় বিষয়গুলি কী?

মহান আল্লাহ বলেন:

وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ ٦٦ [التوبة: ٦٥، ٦٦]

এ আয়াতের অর্থ, ব্যাখ্যা এবং শিক্ষণীয় বিষয়গুলি কী?

উত্তর: ‘‘(৬৫) আর যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে তারা বলে যে; আমরাতো কথার কথা বলছিলাম এবং ক্রিয়া-কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর হুকুম-আহকাম এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? (৬৬) অপরাধ এড়ানোর জন্য বাহানার চেষ্টা করো না; তোমরা ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছ’’। (সূরা আত-তাওবাহ)

অর্থাৎ মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন যে, আল্লাহ সম্পর্কে, তাঁর বিধান সম্পর্কে, অতঃপর রাসূল সম্পর্কে এবং সাহাবাদের সম্পর্কে, ঐ সব মুনাফিক সম্প্রদায়ের অসংলগ্ন কথাবার্তা, ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও তিরস্কার প্রসঙ্গে আপনি যদি প্রশ্ন করেন: তখন তারা আপনাকে বলে থাকে যে; ‘হে মুহাম্মাদ, আমরা দোষনীয় কিছু করি নি বরং আমরা নিজেরা হাসি তামাসা ও কথার কথা বলে পথে-ঘাটে সময় অতিবাহিত করেছি মাত্র কিন্তু ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়’।

তবে তারা যত প্রকারই ওযর পেশ করুক না কেন তাতে আল্লাহর আযাব থেকে পরিত্রান পাবে না। বরং তাদের কার্যকলাপ গর্হিত, অমর্যাদাকর এবং বিদ্রূপ-উপহাসের অন্তর্ভুক্ত; অতএব তারা ঈমান আনার পরে কাফের হয়ে গেছে।

আয়াতের শিক্ষা: সত্য দীন আল-ইসলাম এবং ইসলামের অনুসারীদের সাথে কোনো প্রকার খেল-তামাসা, বিদ্রূপ করা কুফরী।
 

Share this page