একদল লোক সালাফী মানহাজের নাম শুনলেই মনে করে, এটি একটি নতুন ফিরকা ও দল। তারা মনে করে, আশআরী,
মাতুরিদী, শিআ,
মুতাযিলা ইত্যাদি যেমন ফিরকা, সালাফীরাও তেমন একটি ফিরকা।
যারা এমনটি মনে করে তারা মূলত সালাফী মানহাজ সম্পর্কে অজ্ঞাত অথবা অহংকার ও জিদবশত এমন কথা বলে। অথচ সালাফী মানহাজ কোনো ফিরকা ও দল নয়।
বরং সালাফী মানহাজ সর্বদা সকল ফিরকা ও দলাদলি ছুড়ে ফেলে সালাফদের বুঝ অনুযায়ী কুরআন ও সুন্নাহর দিকে আহ্বান জানায় এবং এর মাধ্যমে উম্মাতকে ঐক্যবদ্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। তারা সঠিক ও নির্ভেজাল ইসলামের দাওয়াত দেয়। আর ইসলামে কোনো দলাদলি ও ফিরকাবাজির স্থান নেই। তাই তারা এসবের বিরুদ্ধে সবসময় সিদ্ধহস্ত।
তবে হ্যাঁ, কেউ যদি সালাফী মানহাজের নাম নিয়ে দলাদলি করে, তাহলে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর দোষ সালাফী মানহাজের ওপর বর্তাবে না এবং এর মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে না যে, সালাফী মানহাজ একটি ফিরকা।
দলাদলির ব্যাপারে ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে ও প্রকাশ্যে দলাদলি ও হিযবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। কারণ, দলাদলির ব্যাপারে আল্লাহর নিম্নের আয়াতটি শতভাগ প্রযোজ্য। আল্লাহ বলেন,
كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ
প্রত্যেক দল তাদের কাছে যা আছে তা নিয়েই আনন্দিত।
[1]
ইসলামে কোনো দলাদলি নেই। কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্য অনুযায়ী দল হবে একটি। আল্লাহ বলেন, ‘জেনে রেখো, নিঃসন্দেহে আল্লাহর দল সফলকাম।’
[2]
আর আল্লাহর দল হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর দল। অতএব, সবার কর্তব্য সাহাবীদের মানহাজের ওপর অবিচল থাকা। কিতাব ও সুন্নাহর জ্ঞানের দাবিও কিন্তু এটাই।’
[3]
মানহাজুস সালাফ
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন
আলবানী (রাহি.)
অনুবাদ: উস্তায আবদুল্লাহ মাহমুদ।
[1] সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫৩
[2] সূরা মুজাদালাহ, আয়াত: ২২
[3] আল-মানহাজুল সালাফী ইনদাশ শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী, পৃ. ১৫