‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

হাদিস ও হাদিসের ব্যাখ্যা সালাত আদায় করা অবস্থায় তন্দ্রা আসলে

rasikulindia

Salafi

Salafi User
Threads
37
Comments
46
Reactions
570
Credits
150
যখন সালাত আদায় করা অবস্থায় তোমাদের কারো তন্দ্রা আসবে, তখন তার উচিত ঘুমিয়ে যাওয়া, যতক্ষণ না তার ঘুম চলে যাবে।

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ يُصَلِّي فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَا يدْرِي لَعَلَّه يسْتَغْفر فيسب نَفسه»​

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে মারফূ‘ সনদে বর্ণিত, “যখন সালাত আদায় করা অবস্থায় তোমাদের কারো তন্দ্রা আসবে, তখন তার উচিত ঘুমিয়ে যাওয়া, যতক্ষণ না তার ঘুম চলে যাবে। কারণ, তোমাদের কেউ যদি তন্দ্রা অবস্থায় সালাত আদায় করে তাহলে দেখা যাবে যে সে হয়ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে গিয়ে নিজেকে গালি দিচ্ছে।” [ সহীহ বুখারী ২১২, মুসলিম ৭৮৬]

ব্যাখ্যা: হাদীসের আলোচ্য বিষয়, ইবাদতে আত্মার ওপর কষ্ট চাপিয়ে দেওয়া অপছন্দ করা।

যখন কোনো সালাত আদায়কারী সালাত আদায় অবস্থায় নিজের ওপর ঘুমের প্রচণ্ড চাপ অনুভব করে, তখন তার জন্য উচিত, সালাত ভেঙ্গে ফেলা বা সম্পন্ন করে ঘুমিয়ে পড়া এবং আত্মাকে কিছু সময় বিশ্রাম দেওয়া, যাতে ক্লান্ত থাকা অবস্থায় তার থেকে তার বিপক্ষে দো‘আ করা প্রকাশ না পায়।

এই অবস্থায় তন্দ্রা অথবা ঝিমুনী আসলে সালাত ত্যাগ করে নিদ্রা দূর না হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকবে। কেননা ঝিমুনী, তন্দ্রা ইত্যাদি অবস্থায় মানুষের স্বাভাবিক অবস্থা থাকে না।

এ অবস্থায় সালাত আদায় করতে হয়তো সে নিজের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে কিন্তু নিজের অজান্তে সেটা তার মুখ থেকে বদ্দু‘আর শব্দ বেরিয়ে আসছে।
 

Share this page