- Awards
- 15
- Credit
- 297
- Thread starter
- #1
আমরা আমাদের জীবনের চলার পথে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জিনিসের জন্য সময় ও শ্রম ব্যয় করে থাকি, কোথাও প্রয়োজনের অধিক সময় ও শ্রম ব্যয় করি আবার কোথাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।এই কম বেশি হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে যার জন্য শ্রম ও সময় ব্যয় করা হয় তার প্রকৃত গুরুত্ব বুঝতে অক্ষম বলেই এই অবস্থা।জীবনে চলার পথে যার যতটা গুরুত্ব আছে সে হিসেবে তাকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং তার জন্য সময় ও শ্রম ব্যয় করা উচিত।এটা নাহলে জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং সফলতার পথে বাধা সৃষ্টি হয়ে যায়। কোন জিনিসের পিছনে কতটা ছুটতে হবে এর দৃষ্টান্ত মহা গ্রন্থ আল কুরআন থেকেই দেখা যাক, সুবহান আল্লাহ্! কি চমৎকার কুরআনী অলংকার।। আল্লাহ্ তা'আলা জিনিসের গুরুত্ব হিসেবে তার চলার ভঙ্গিমাকে বুঝানোর জন্য চার রকম শব্দ ব্যবহার করেছে সেটা পর্যায়ক্রমে দেওয়া উল্লেখ করা হলো।
যেমন:-
ক) مَشىٰ হাঁটা, বিচরণ করা শব্দ ব্যবহার করেছে সাধারণ জিনিসের জন্য যেভাবে চলতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
هُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ ذَلُوۡلًا فَامۡشُوۡا فِیۡ مَنَاکِبِهَا وَ کُلُوۡا مِنۡ رِّزۡقِهٖ ؕ وَ اِلَیۡهِ النُّشُوۡرُ
তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন; অতএব তোমরা এর দিক-দিগন্তে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক থেকে তোমরা আহার কর; আর পুনরুত্থান তো তাঁরই কাছে। (সূরা মুলক্ 15)
খ) سَعىٰ ছুটে যাওয়া, ধাবিত হওয়া শব্দ ব্যবহার করেছে নামাযের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব বুঝানোর জন্য।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
হে ঈমানদারগণ! জুমুআর দিনে যখন সালাতের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনা-বেচা ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুম'আ 09)
গ) َسَارَع দ্রুত ছুটে যাওয়া শব্দ ব্যবহার করেছে প্রতিযোগিতামূলক কোনো জিনিসের প্রতি গুরুত্ব বুঝানোর জন্য।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَ سَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ جَنَّۃٍ عَرۡضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ ۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِیۡنَ
আর তোমরা তীব্র গতিতে চল নিজেদের রবের ক্ষমার দিকে এবং সে জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য।(সূরা আলে ইমরান 133)
ঘ) فَرَّ পলায়ন করা শব্দ ব্যবহার করেছে কোনো জিনিসের ভয়ে পালিয়ে আশ্রয়স্থল খোঁজার জন্য।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
فَفِرُّوۡۤا اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنِّیۡ لَکُمۡ مِّنۡهُ نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ
অতএব তোমরা আল্লাহর দিকে ধাবিত হও, নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা যারিয়াত 50)
উপরোক্ত আয়াত সমূহ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সব জিনিসের গুরুত্ব একই নয় বরং সময় ও পরিস্থিতি বুঝে তার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে নাহলে ভবিষ্যতের ফলাফল ভালো হওয়ার আশা করা যায় না।
এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে,
যেখানে হেঁটে যাওয়া যাবে সেখানে দৌড়ে যেও না কারণ সত্যিই যেখানে দৌড়াতে হবে সেখানে হাঁটতেও পারবে না
(فَاعۡتَبِرُوۡا یٰۤاُولِی الۡاَبۡصَارِ)
(অতএব হে চক্ষুষ্মান ব্যাক্তিগন তোমরা উপদেশ গ্ৰহণ কর)
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝার তাওফীক দান করুক আমীন।
- তাওহীদুর রহমান সালাফী
যেমন:-
ক) مَشىٰ হাঁটা, বিচরণ করা শব্দ ব্যবহার করেছে সাধারণ জিনিসের জন্য যেভাবে চলতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
هُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ ذَلُوۡلًا فَامۡشُوۡا فِیۡ مَنَاکِبِهَا وَ کُلُوۡا مِنۡ رِّزۡقِهٖ ؕ وَ اِلَیۡهِ النُّشُوۡرُ
তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন; অতএব তোমরা এর দিক-দিগন্তে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক থেকে তোমরা আহার কর; আর পুনরুত্থান তো তাঁরই কাছে। (সূরা মুলক্ 15)
খ) سَعىٰ ছুটে যাওয়া, ধাবিত হওয়া শব্দ ব্যবহার করেছে নামাযের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব বুঝানোর জন্য।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
হে ঈমানদারগণ! জুমুআর দিনে যখন সালাতের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনা-বেচা ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুম'আ 09)
গ) َسَارَع দ্রুত ছুটে যাওয়া শব্দ ব্যবহার করেছে প্রতিযোগিতামূলক কোনো জিনিসের প্রতি গুরুত্ব বুঝানোর জন্য।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَ سَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ جَنَّۃٍ عَرۡضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ ۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِیۡنَ
আর তোমরা তীব্র গতিতে চল নিজেদের রবের ক্ষমার দিকে এবং সে জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য।(সূরা আলে ইমরান 133)
ঘ) فَرَّ পলায়ন করা শব্দ ব্যবহার করেছে কোনো জিনিসের ভয়ে পালিয়ে আশ্রয়স্থল খোঁজার জন্য।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
فَفِرُّوۡۤا اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنِّیۡ لَکُمۡ مِّنۡهُ نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ
অতএব তোমরা আল্লাহর দিকে ধাবিত হও, নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা যারিয়াত 50)
উপরোক্ত আয়াত সমূহ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সব জিনিসের গুরুত্ব একই নয় বরং সময় ও পরিস্থিতি বুঝে তার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে নাহলে ভবিষ্যতের ফলাফল ভালো হওয়ার আশা করা যায় না।
এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে,
যেখানে হেঁটে যাওয়া যাবে সেখানে দৌড়ে যেও না কারণ সত্যিই যেখানে দৌড়াতে হবে সেখানে হাঁটতেও পারবে না
(فَاعۡتَبِرُوۡا یٰۤاُولِی الۡاَبۡصَارِ)
(অতএব হে চক্ষুষ্মান ব্যাক্তিগন তোমরা উপদেশ গ্ৰহণ কর)
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝার তাওফীক দান করুক আমীন।
- তাওহীদুর রহমান সালাফী