Joynal Bin Tofajjal
Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 344
- Comments
- 475
- Reactions
- 5,289
- Thread Author
- #1
‘আর বেশিদিন সময় নাই, একদম লাস্ট স্টেজে আছি আমরা, অল্প কিছুদিন পরেই শুরু হবে কেয়ামত।’ কথাগুলো আমাদের একদল ভাইয়ের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভ্রান্ত বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে তাঁরা ‘শেষ-জামানা’ ‘শেষ-জামানা’ আওড়াচ্ছেন। অথচ ‘শেষ জামানা’ কথাটির বাস্তবতা বুঝতে তাঁরা ভুল করেছেন। আবু ত্বহা আদনান এক বক্তব্যে বলেছে, “এরা যে স্বপ্ন দেখায়, ভিশন টুয়েন্টি, থার্টি, হানড্রেড — এগুলো সব বোগাস। এতদিন পর্যন্ত এই ওয়ার্ল্ড আর সারভাইভ করবে বলে আমরা মনে করি না। আল্লাহু আলাম বিস সাওয়াব, আল্লাহ পাক ভালো জানেন। আমাদের রিসার্চ হচ্ছে, এতদিন পর্যন্ত এই ওয়ার্ল্ড আর সারভাইভ নাও করতে পারে। না করার সম্ভাবনা নাইন্টি ফাইভ পারসেন্ট।” [দেখুন: https://youtu.be/LaoZHhtGhbM (৬:২৪ মিনিট থেকে ৬:৪৩ মিনিট পর্যন্ত)]
আরেক বক্তব্যে বলেছে, “আপনি এখনও মনে করছেন, সামনে হাজার-হাজার বছর পড়ে আছে? আপনি ভুল করছেন!” [দেখুন: https://youtu.be/cILy9Valw6o (১:২৪ মিনিট থেকে ১:৩১ মিনিট পর্যন্ত)]
এছাড়াও ‘কেয়ামতের বেশিরভাগ আলামত প্রকাশিত হয়ে গেছে’ বলে বক্তা আদনান শেষ জামানাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেন অনেক বক্তব্যে। আমাদের সংগ্রহে এই লিংকে ‘https://youtu.be/0edNWTDGcbM’ – এরকম একটি বক্তব্য ছিল। কিন্তু ভিডিয়োটি ইউটিউব থেকে রিমুভ করা হয়েছে।
কেয়ামতের সময়কাল নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে বক্তা আবু ত্বহা আদনান ইসরাইল-আমেরিকা-ব্রিটেনের সাথে কেয়ামতের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন! মানে ইসরাইল কর্তৃক বিশ্বশাসন হবে, যেমনভাবে একসময় ব্রিটেন একসময় বিশ্বশাসন করেছে, তাদের পরে বর্তমানে আমেরিকা শাসন করছে। আর ইসরাইলের এই ইহুদিদের সাথেই মুসলিমদের ফাইট হবে! আদনানের বিভিন্ন বক্তব্যের সারাংশ বললাম আমি। তারমধ্যে একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিচ্ছি। আবু ত্বহা আদনান বলছে, “ইন্ড অফ হিস্ট্রির সাথে ইহুদি, ক্রিশ্চিয়ান, ইসরাইল, ব্রিটেন, আমেরিকা এবং মুসলিমদের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ইতিহাসের শেষ পার্টটা বুঝতে হলে আপনাকে এই সবকিছু নলেজের সাথে ইসলামিক এই কুরআন এবং সুন্নাহর নলেজগুলোকে একসাথে মিলাতে হবে।” [দেখুন: https://youtu.be/TAnt5NNHXMk (২:৫৪ মিনিট থেকে ৩:১৩ মিনিট পর্যন্ত)]
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, শেষ জামানা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে একটি যুগান্তকারী কথা আমাদের সবসময় মনে রাখা দরকার। কেয়ামতের কোনো আলামত প্রকাশিত হওয়ার মানেই এটা নয় যে, অল্প কিছুদিন পরেই কেয়ামত হবে। এক্ষেত্রে অনুমান করে বলার সুযোগ নেই যে, আর একবছর বা দুবছর বাকি আছে, কিংবা আবু ত্বহা আদনানের মতো বললে ‘পঞ্চাশ-ষাট’ বছর বাকি আছে। কারণ এমনও হতে পারে, একটি আলামত প্রকাশিত হওয়ার লম্বা একটি সময়কালের পরে কেয়ামত হবে।
কেয়ামতের আলামত নিয়ে আলোচনা করতে যেয়ে শুরুর দিকেই সু্ন্নাহপন্থি মুফাসসির ও ইতিহাসবেত্তা ইমাম ইবনু কাসির রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৭৭৪ হি.) বলেছেন—
দেখুন, একটি হাদিস ভূমিকায় বলেছিলাম। আমাদের প্রিয় নবিজি জাল হাদিস রচনাকারীদের ব্যাপারে বলেছেন, يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ يَأْتُونَكُمْ مِنَ الأَحَادِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلاَ آبَاؤُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ لاَ يُضِلُّونَكُمْ وَلاَ يَفْتِنُونَكُمْ “শেষ জামানায় কিছুসংখ্যক মিথ্যুক ও দাজ্জাল (প্রতারক) লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমনসব হাদিস নিয়ে আসবে, যা কখনো তোমরাও শোননি এবং তোমাদের বাপদাদারাও শোনেনি। সুতরাং নিজেরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরকেও তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে না পারে এবং তোমাদেরকে ফিতনায় ফেলতে না পারে।” [সহিহ মুসলিম, হা: ৭; সহিহ মুসলিমের ভূমিকা দ্রষ্টব্য]
অথচ জাল হাদিস রচনার বিষয়টি কিন্তু সাহাবিদের আমলেই সংঘটিত হয়েছিল। যার দরুন প্রখ্যাত সাহাবি ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা অপরিচিত লোকদের থেকে হাদিস শুনতেন না! সহিহ মুসলিমের ভূমিকাতেই এ বিষয়ক ঘটনা আছে, পড়ে দেখুন। [সহিহ মুসলিমের ভূমিকা, পরিচ্ছেদ: ৪] পরবর্তীতে তাবেয়িদের যুগে জালিয়াতদের প্রসার ঘটে। তাহলে বলুন, সেটাও তো শেষ জামানা। শরিয়তে শেষ জামানা মানেই একশো-দুশো বছরের কোনো ব্যাপার নয়। শরিয়তে বর্ণিত শেষ জামানা হাজার বছরের বেশি সময় অতিক্রম করেছে এবং আগামীতে কতবছর করবে, আল্লাহ ভালো জানেন।
আর কেয়ামতের সাথে আমেরিকা-ব্রিটেন-ইসরাইলের সম্পর্ক খুঁজে বের করার ব্যাপারে বলি। এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। বাস্তবে কুরআন-সুন্নাহর কোথাও আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরাইলের কথা বলা হয়নি। অপব্যাখ্যা ছাড়া এগুলোর সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। এসব বিষয় বাস্তবিক অর্থে শরিয়তে থাকলে আমাদের যুগশ্রেষ্ঠ উলামাগণ তা বলে যেতেন। আধুনিক যুগের উলামাদের মধ্যে ইমাম আলবানি, ইমাম ইবনু বায, ইমাম ইবনু উসাইমিন, ইমাম সালিহ আল-ফাওযান, ইমাম লুহাইদান, ইমাম আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদের মতো বড়ো বড়ো উলামা এই উম্মতে ছিলেন এবং এখনও আছেন। তাঁরা কেউই এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলেননি। এসবের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করে কেয়ামতের সময়কালও তাঁরা নির্ধারণ করে যাননি। অবশ্য তাঁরা খুঁজে পাবেনই বা কীভাবে? আবু ত্বহা আদনানের মতে স্কলাররা তো সবাই হালুয়া-রুটি আর বিরিয়ানি খেয়েছেন! ভোগবিলাসে মত্ত থাকায় ইসরাইল আর ব্রিটেন-আমেরিকা নিয়ে গবেষণার সময় পাননি! যত গবেষণা সব করেছেন আবু ত্বহা আদনান এবং তার মতো অখ্যাত লোকজন, ইলমি পরিবেশে যাদেরকে গোনার মধ্যেও ধরা হয় না! আল্লাহুল মুস্তাআন।
আরেক বক্তব্যে বলেছে, “আপনি এখনও মনে করছেন, সামনে হাজার-হাজার বছর পড়ে আছে? আপনি ভুল করছেন!” [দেখুন: https://youtu.be/cILy9Valw6o (১:২৪ মিনিট থেকে ১:৩১ মিনিট পর্যন্ত)]
এছাড়াও ‘কেয়ামতের বেশিরভাগ আলামত প্রকাশিত হয়ে গেছে’ বলে বক্তা আদনান শেষ জামানাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেন অনেক বক্তব্যে। আমাদের সংগ্রহে এই লিংকে ‘https://youtu.be/0edNWTDGcbM’ – এরকম একটি বক্তব্য ছিল। কিন্তু ভিডিয়োটি ইউটিউব থেকে রিমুভ করা হয়েছে।
কেয়ামতের সময়কাল নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে বক্তা আবু ত্বহা আদনান ইসরাইল-আমেরিকা-ব্রিটেনের সাথে কেয়ামতের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন! মানে ইসরাইল কর্তৃক বিশ্বশাসন হবে, যেমনভাবে একসময় ব্রিটেন একসময় বিশ্বশাসন করেছে, তাদের পরে বর্তমানে আমেরিকা শাসন করছে। আর ইসরাইলের এই ইহুদিদের সাথেই মুসলিমদের ফাইট হবে! আদনানের বিভিন্ন বক্তব্যের সারাংশ বললাম আমি। তারমধ্যে একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিচ্ছি। আবু ত্বহা আদনান বলছে, “ইন্ড অফ হিস্ট্রির সাথে ইহুদি, ক্রিশ্চিয়ান, ইসরাইল, ব্রিটেন, আমেরিকা এবং মুসলিমদের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ইতিহাসের শেষ পার্টটা বুঝতে হলে আপনাকে এই সবকিছু নলেজের সাথে ইসলামিক এই কুরআন এবং সুন্নাহর নলেজগুলোকে একসাথে মিলাতে হবে।” [দেখুন: https://youtu.be/TAnt5NNHXMk (২:৫৪ মিনিট থেকে ৩:১৩ মিনিট পর্যন্ত)]
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, শেষ জামানা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে একটি যুগান্তকারী কথা আমাদের সবসময় মনে রাখা দরকার। কেয়ামতের কোনো আলামত প্রকাশিত হওয়ার মানেই এটা নয় যে, অল্প কিছুদিন পরেই কেয়ামত হবে। এক্ষেত্রে অনুমান করে বলার সুযোগ নেই যে, আর একবছর বা দুবছর বাকি আছে, কিংবা আবু ত্বহা আদনানের মতো বললে ‘পঞ্চাশ-ষাট’ বছর বাকি আছে। কারণ এমনও হতে পারে, একটি আলামত প্রকাশিত হওয়ার লম্বা একটি সময়কালের পরে কেয়ামত হবে।
কেয়ামতের আলামত নিয়ে আলোচনা করতে যেয়ে শুরুর দিকেই সু্ন্নাহপন্থি মুফাসসির ও ইতিহাসবেত্তা ইমাম ইবনু কাসির রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৭৭৪ হি.) বলেছেন—
والمقصود؛ أن الترك قاتلهم الصحابة فهزموهم، وغنموهم، وسبوا نساءهم وأبناءهم. وظاهر هذا الحديث يقتضي أن هذا يكون من أشراط الساعة. فإن كانت أشراط الساعة لا تكون إلا بين يديها قريبا، فقد يكون هذا واقعًا مرة أخرى عظيمة بين المسلمين وبين الترك، حتى يكون آخر ذلك خروج يأجوج ومأجوج، كما سيأتي ذكر أمرهم، وإن كان أشراط الساعة أعم من أن يكون بين يديها قريبًا منها فإنها تكون مما يقع في الجملة، حتى ولو تقدم قبلها بدهر طويل؛ إلا أنه مما وقع بعد زمن النبي ﷺ، وهذا هو الذي يظهر بعد تأمل الأحاديث الواردة في هذا الباب.
“উক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায়, এরা সেই তুর্কি, যাদের সাথে সাহাবিগণ যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করেছেন, তাদের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ নিয়েছেন এবং তাদের নারী ও শিশুদের করেছেন বন্দী। হাদিসের প্রকাশ্য অর্থের দাবি অনুযায়ী এটা কেয়ামতের আলামতের অন্তর্গত। যদি ধরা হয়, কেয়ামতের আলামতগুলো কেবল কেয়ামতের একদম নিকটেই প্রকাশিত হবে, তাহলে এই যুদ্ধ আরেকবার প্রলয়ংকরীভাবে মুসলিম ও তুর্কিদের মাঝে সংঘটিত হবে; যার শেষে প্রকাশিত হবে ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব, যাদের বিবরণ সামনে আসবে। পক্ষান্তরে কেয়ামতের আলামতগুলো যদি কেয়ামতের অতি-নিকটবর্তী হওয়ার চেয়েও ব্যাপক হয়ে থাকে, তাহলে এগুলো সার্বিকভাবে (যে কোনো সময়) সংঘটিত হতে পারে, যদিও তা সমুপস্থিত হয় কেয়ামতের লম্বা একটি সময়কালের পূর্বে। তবে এই যুদ্ধটি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগের পরেই সংঘটিত হয়েছে। এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদিসগুলো গবেষণা করলে এ বিষয়টিই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে।” [ইবনু কাসির কৃত আন-নিহায়া ফিল ফিতানি ওয়াল মালাহিম, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ১৫; তাহকিক: ইসামুদ্দিন আস-সাবাবিতি; দারুল হাদিস কর্তৃক প্রকাশিত]
দেখুন, একটি হাদিস ভূমিকায় বলেছিলাম। আমাদের প্রিয় নবিজি জাল হাদিস রচনাকারীদের ব্যাপারে বলেছেন, يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ يَأْتُونَكُمْ مِنَ الأَحَادِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلاَ آبَاؤُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ لاَ يُضِلُّونَكُمْ وَلاَ يَفْتِنُونَكُمْ “শেষ জামানায় কিছুসংখ্যক মিথ্যুক ও দাজ্জাল (প্রতারক) লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমনসব হাদিস নিয়ে আসবে, যা কখনো তোমরাও শোননি এবং তোমাদের বাপদাদারাও শোনেনি। সুতরাং নিজেরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরকেও তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে না পারে এবং তোমাদেরকে ফিতনায় ফেলতে না পারে।” [সহিহ মুসলিম, হা: ৭; সহিহ মুসলিমের ভূমিকা দ্রষ্টব্য]
অথচ জাল হাদিস রচনার বিষয়টি কিন্তু সাহাবিদের আমলেই সংঘটিত হয়েছিল। যার দরুন প্রখ্যাত সাহাবি ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা অপরিচিত লোকদের থেকে হাদিস শুনতেন না! সহিহ মুসলিমের ভূমিকাতেই এ বিষয়ক ঘটনা আছে, পড়ে দেখুন। [সহিহ মুসলিমের ভূমিকা, পরিচ্ছেদ: ৪] পরবর্তীতে তাবেয়িদের যুগে জালিয়াতদের প্রসার ঘটে। তাহলে বলুন, সেটাও তো শেষ জামানা। শরিয়তে শেষ জামানা মানেই একশো-দুশো বছরের কোনো ব্যাপার নয়। শরিয়তে বর্ণিত শেষ জামানা হাজার বছরের বেশি সময় অতিক্রম করেছে এবং আগামীতে কতবছর করবে, আল্লাহ ভালো জানেন।
আর কেয়ামতের সাথে আমেরিকা-ব্রিটেন-ইসরাইলের সম্পর্ক খুঁজে বের করার ব্যাপারে বলি। এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। বাস্তবে কুরআন-সুন্নাহর কোথাও আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরাইলের কথা বলা হয়নি। অপব্যাখ্যা ছাড়া এগুলোর সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। এসব বিষয় বাস্তবিক অর্থে শরিয়তে থাকলে আমাদের যুগশ্রেষ্ঠ উলামাগণ তা বলে যেতেন। আধুনিক যুগের উলামাদের মধ্যে ইমাম আলবানি, ইমাম ইবনু বায, ইমাম ইবনু উসাইমিন, ইমাম সালিহ আল-ফাওযান, ইমাম লুহাইদান, ইমাম আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদের মতো বড়ো বড়ো উলামা এই উম্মতে ছিলেন এবং এখনও আছেন। তাঁরা কেউই এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলেননি। এসবের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করে কেয়ামতের সময়কালও তাঁরা নির্ধারণ করে যাননি। অবশ্য তাঁরা খুঁজে পাবেনই বা কীভাবে? আবু ত্বহা আদনানের মতে স্কলাররা তো সবাই হালুয়া-রুটি আর বিরিয়ানি খেয়েছেন! ভোগবিলাসে মত্ত থাকায় ইসরাইল আর ব্রিটেন-আমেরিকা নিয়ে গবেষণার সময় পাননি! যত গবেষণা সব করেছেন আবু ত্বহা আদনান এবং তার মতো অখ্যাত লোকজন, ইলমি পরিবেশে যাদেরকে গোনার মধ্যেও ধরা হয় না! আল্লাহুল মুস্তাআন।
লিখেছেন: মুহাম্মাদ আব্দুল্ললাহ মৃধা।
Last edited: