কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে?
"প্রশ্নকর্তাঃ মুসলিম দেশে কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে? যদি তাই হয়, তাহলে সামর্থবানদের, যেমন-সেনাবাহিনী, পক্ষ থেকে তার সাথে তরবারি (মানে অস্ত্র) দিয়ে মোকাবেলায় নামা যাবে? আর যারা এগুলো মানুষের বানানো বিধান চালু করে তাদের হুকুম কি?
শায়খঃ প্রথমত একটা একটা করে প্রশ্ন বলো।
প্রশ্নকর্তাঃ মুসলিম দেশে কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে?
শায়খঃ কুফরে বাওয়াহ তথা স্পষ্ট কুফরী আমলের পাশাপাশি আকীদাকেও শামিল করে, যে বিশ্বাসে কাজটি করা হয়। এরকম না হলে সব শরীয়ত বিরোধী কাজই কুফরে বাওয়াহ হয়ে যাবে!! যেমন, সুদখোর, সুদী কারবারকারী সবাই তো বেশক কাবীরা গুনাহে লিপ্ত; তাহলে এধরনের গতানুগতিক প্রশ্ন কেন তাদের সম্পর্কে করা হয় না?!! উদাহরণত, ব্যাংক পরিচালক, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কি কাফের বলা যাবে? না, বলা যাবে না। সুদখোর ও সুদী লেনদেনে জড়িত সবাই এক নয়; চাই তারা কুফরে বাওয়াহ করুক বা না করুক। তবে যদি কারো আলাদা কিছু প্রকাশ পায়, যেমন- অন্তঃকরণে কেউ যদি (হালাল) বিশ্বাস করে নেয়, তাহলে সে আল্লাহর নাফরমানিতে অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা হবে; এটাই হচ্ছে আকীদা।
সুতরাং কেউ যদি মনেপ্রাণে সুদকে হালাল মনে করে, তাহলে সে কাফের মুরতাদ। এর উপরই আমার বলা গুনাহের কাজগুলো তুলনা করো, পাশাপাশি তুমি যেসব মা'সিয়াত নিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছ প্রশ্নে, সেগুলোও তুলনা করো। সেটা হলো, আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যের বিধান দিয়ে বিচার করা। অতএব যারাই আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যের বিধান দিয়ে বিচার করবে, সেটা শুধু শাসক নয়, বরং তাদের অধীনস্থ দায়িত্বশীল -যেমন, ব্যাংকের পরিচালক সহ অন্যান্যরা- সবাই তো এই পাপে জড়িত। তাহলে কি সবাই কাফের হয়ে যাবে? উত্তর আগেই বলা হয়েছে যে, যারা অন্তঃকরণে এটাকে হালাল মনে করবে, তারা কাফের।
একইভাবে যেসব রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের নিম্ন পদস্থ কর্মকর্তারা এই সমস্ত অধুনা আইন দিয়ে বিচার ফয়সালা করে -তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা-, এটা নিশ্চিতভাবে গুনাহ এবং স্পষ্ট শরীয়ত বিরোধী কাজ। কিন্তু এটা কি কুফরে বাওয়াহ? উত্তর হলো: যারাই এটাকে অন্তর থেকে হালাল জ্ঞান করবে, তারাই কাফের মুরতাদ হয়ে যাবে। এটা তোমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর। দ্বিতীয় প্রশ্ন কি?
উপস্থাপকঃ যদি তাই হয়, তাহলে সামর্থবানদের, যেমন-সেনাবাহিনী, পক্ষ থেকে তার সাথে তরবারি (মানে অস্ত্র) দিয়ে মোকাবেলায় নামা যাবে?
শায়খঃ এটা কিছুক্ষণ আগের কাগুজে নোটের বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে আলোচিত হয়েছে মনে হচ্ছে। এধরনের প্রশ্ন সম্পূর্ণ কপোলকল্পিত। তুমি কিভাবে ভাবতে পার যে, এমন সেনাবাহিনী কিভাবে আল্লাহ ছাড়া অন্যের বিধান দিয়ে বিচারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে, অথচ এই সেনাবাহিনী ঐ সরকারের অধীন। এটা সম্পূর্ণ কল্পনা। সুতরাং তুমি কল্পনাপ্রবণ হয়ো না, বরং বাস্তববাদী হও। তৃতীয় প্রশ্ন কি?
উপস্থাপকঃ আর যারা এগুলো মানুষের বানানো বিধান চালু করে তাদের হুকুম কি?
শায়খঃ জবাব আগে দেওয়া হয়েছে।"
ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী রহিমাহুল্লাহ।
সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর।
গৃহীত,
জামি'উ তুরাসিল আলবানী ফীল আকীদাতি ওয়াল মানহাজ, ২/২৭৬-৭৭।
"প্রশ্নকর্তাঃ মুসলিম দেশে কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে? যদি তাই হয়, তাহলে সামর্থবানদের, যেমন-সেনাবাহিনী, পক্ষ থেকে তার সাথে তরবারি (মানে অস্ত্র) দিয়ে মোকাবেলায় নামা যাবে? আর যারা এগুলো মানুষের বানানো বিধান চালু করে তাদের হুকুম কি?
শায়খঃ প্রথমত একটা একটা করে প্রশ্ন বলো।
প্রশ্নকর্তাঃ মুসলিম দেশে কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে?
শায়খঃ কুফরে বাওয়াহ তথা স্পষ্ট কুফরী আমলের পাশাপাশি আকীদাকেও শামিল করে, যে বিশ্বাসে কাজটি করা হয়। এরকম না হলে সব শরীয়ত বিরোধী কাজই কুফরে বাওয়াহ হয়ে যাবে!! যেমন, সুদখোর, সুদী কারবারকারী সবাই তো বেশক কাবীরা গুনাহে লিপ্ত; তাহলে এধরনের গতানুগতিক প্রশ্ন কেন তাদের সম্পর্কে করা হয় না?!! উদাহরণত, ব্যাংক পরিচালক, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কি কাফের বলা যাবে? না, বলা যাবে না। সুদখোর ও সুদী লেনদেনে জড়িত সবাই এক নয়; চাই তারা কুফরে বাওয়াহ করুক বা না করুক। তবে যদি কারো আলাদা কিছু প্রকাশ পায়, যেমন- অন্তঃকরণে কেউ যদি (হালাল) বিশ্বাস করে নেয়, তাহলে সে আল্লাহর নাফরমানিতে অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা হবে; এটাই হচ্ছে আকীদা।
সুতরাং কেউ যদি মনেপ্রাণে সুদকে হালাল মনে করে, তাহলে সে কাফের মুরতাদ। এর উপরই আমার বলা গুনাহের কাজগুলো তুলনা করো, পাশাপাশি তুমি যেসব মা'সিয়াত নিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছ প্রশ্নে, সেগুলোও তুলনা করো। সেটা হলো, আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যের বিধান দিয়ে বিচার করা। অতএব যারাই আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যের বিধান দিয়ে বিচার করবে, সেটা শুধু শাসক নয়, বরং তাদের অধীনস্থ দায়িত্বশীল -যেমন, ব্যাংকের পরিচালক সহ অন্যান্যরা- সবাই তো এই পাপে জড়িত। তাহলে কি সবাই কাফের হয়ে যাবে? উত্তর আগেই বলা হয়েছে যে, যারা অন্তঃকরণে এটাকে হালাল মনে করবে, তারা কাফের।
একইভাবে যেসব রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের নিম্ন পদস্থ কর্মকর্তারা এই সমস্ত অধুনা আইন দিয়ে বিচার ফয়সালা করে -তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা-, এটা নিশ্চিতভাবে গুনাহ এবং স্পষ্ট শরীয়ত বিরোধী কাজ। কিন্তু এটা কি কুফরে বাওয়াহ? উত্তর হলো: যারাই এটাকে অন্তর থেকে হালাল জ্ঞান করবে, তারাই কাফের মুরতাদ হয়ে যাবে। এটা তোমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর। দ্বিতীয় প্রশ্ন কি?
উপস্থাপকঃ যদি তাই হয়, তাহলে সামর্থবানদের, যেমন-সেনাবাহিনী, পক্ষ থেকে তার সাথে তরবারি (মানে অস্ত্র) দিয়ে মোকাবেলায় নামা যাবে?
শায়খঃ এটা কিছুক্ষণ আগের কাগুজে নোটের বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে আলোচিত হয়েছে মনে হচ্ছে। এধরনের প্রশ্ন সম্পূর্ণ কপোলকল্পিত। তুমি কিভাবে ভাবতে পার যে, এমন সেনাবাহিনী কিভাবে আল্লাহ ছাড়া অন্যের বিধান দিয়ে বিচারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে, অথচ এই সেনাবাহিনী ঐ সরকারের অধীন। এটা সম্পূর্ণ কল্পনা। সুতরাং তুমি কল্পনাপ্রবণ হয়ো না, বরং বাস্তববাদী হও। তৃতীয় প্রশ্ন কি?
উপস্থাপকঃ আর যারা এগুলো মানুষের বানানো বিধান চালু করে তাদের হুকুম কি?
শায়খঃ জবাব আগে দেওয়া হয়েছে।"
ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী রহিমাহুল্লাহ।
সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর।
গৃহীত,
জামি'উ তুরাসিল আলবানী ফীল আকীদাতি ওয়াল মানহাজ, ২/২৭৬-৭৭।