If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
কুরআন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত এবং বৈপরীত্যহীন (মতপার্থক্য মুক্ত)।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:
রাসূলের বাণী তথা হাদীসও আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন:
উপরুক্ত কুরআন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত এখানের আয়াত মূল ধরে রাসূলের বাণী তথা হাদীসও আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত শিরনামে বর্ণিত আয়াত দুটির সরল তরজমার দাবি হলো,
ক. কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। এটা অন্য কারো উক্তি নয়।
খ. যেহেতু কুরআন আল্লাহ তাআলার বাণী, সেহেতু রাসূলে কারীমের বাণী বলতে কুরআনকে বোঝানো হয়নি। বরং রাসূলের স্বতন্ত্র বাণী তথা হাদীস আছে। যিনি কবি, গণক কিংবা পাগল নন এবং কেবল দুনিয়াতেই নয় বরং আসমানবাসীদের কাছেও মর্যাদাশীল, মান্যবর ও বিশ্বাসভাজন। এটাও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ।
গ. কুরআনের মধ্যে ইখতিলাফ বা মতানৈক্য নেই। সুতরাং কীভাবে আল্লাহ তাআলার বাণী' ও ‘রাসূলে কারীমের বাণী' উভয় অর্থেই কুরআন হবে?[৫]
কেননা আহলে কিতাব (ইয়াহুদি নাসারা) ও মুশরিকগণ রাসূলকে পাগল, কবি বললেও আল্লাহ তাআলাকে পাগল, কবি বলেছে- এ মর্মে কোনো প্রমাণ কুরআনে নেই ।
১. সূরা নিসা: ৮২
২. সূরা হা-মীম সিজদাহ: ২-৩
৩. সূরা হাক্কাহ: ৪০-৪৩
৪. সূরা তাকবীর: ১৯-২২। মূলত এই আয়াতটিতে বর্ণিত 'রাসূলে কারীম' বলতে জিবরাঈল (আঃ)-কে বোঝানো হয়েছে (দ্র: তাফসীর গ্রন্থসমূহ)। কিন্তু আহলুল কুরআন বা হাদীস অস্বীকারকারীগণ যেহেতু কুরআনের ব্যাখ্যা হিসাবে হাদীস মানেন না, এজন্য তাদের বিপক্ষে হাদীস মানার ক্ষেত্রে শাব্দিক তরজমা হিসাবে উক্ত আয়াতটি উপস্থাপন করা হলো। তা ছাড়া কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসারীদের মতো তাদের এ ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই যে, এখানে 'রাসূলে কারীমের বাণী' বলতে মূলত কুরআনকেই উল্লেখ করা হয়েছে।' কেননা তারা অনুবাদের ক্ষেত্রে যে পন্থা অনুসরণ করেন, সেই রীতি অনুযায়ী রাসূলের বাণী ও আল্লাহর বাণী কখনই এক নয়।
৫. এটা একাধারে প্রশ্ন এবং উত্তর। যা হাদীস অস্বীকারকারীদের চিন্তার খোরাক বৈকি।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْآنَ ، وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوْا فِيْهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا
“তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে নাযিল হতো, তাহলে অবশ্যই এতে ইখতিলাফ বা মতানৈক্য দেখতে পেতে।”[১]تَنْزِيلٌ مِنَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ﴿۲﴾ كِتَبٌ فُصِلَتْ أَيْتُهُ قُرْ أَنَّا عَرَبِيًّا لِقَوْمٍ يَعْلَمُوْنَ
“এটা নাযিল হয়েছে রাহমানুর রাহীমের পক্ষ থেকে । এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবি ‘কুরআন' রূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য।[২]রাসূলের বাণী তথা হাদীসও আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُوْلِ كَرِيمٍ ﴿۴﴾ وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ قَلِيْلًا مَّا تُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۴﴾ وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنِ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ ﴿۲۴﴾ تَنْزِيلٌ مِنْ رَّبِّ الْعَلَمِيْنَ (۳۴)
“নিশ্চয়ই এটা রাসূলে কারীমের বাণী। এটা কোনো কবির কথা নয়, তোমরা কম সংখ্যকই ঈমান আনো। এটা কোনো গণকের বাণী নয়, তোমরা কমই অনুধাবন করো। এটা রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ।”[৩]অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُوْلِ كَرِيْمٍ (۹۱) ذِى قُوَّةٍ عِنْدَ ذِي الْعَرْشِ مَكِيْنٍ ﴿۲﴾ مُّطَاعٍ ثُمَّ آمِيْنِ - (۱۲) وَمَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُوْنٍ
“নিশ্চয় এটা রাসূলে কারীমের বাণী। যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশীল। সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন। আর তোমাদের সাথি পাগল নন।[৪]উপরুক্ত কুরআন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত এখানের আয়াত মূল ধরে রাসূলের বাণী তথা হাদীসও আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত শিরনামে বর্ণিত আয়াত দুটির সরল তরজমার দাবি হলো,
ক. কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। এটা অন্য কারো উক্তি নয়।
খ. যেহেতু কুরআন আল্লাহ তাআলার বাণী, সেহেতু রাসূলে কারীমের বাণী বলতে কুরআনকে বোঝানো হয়নি। বরং রাসূলের স্বতন্ত্র বাণী তথা হাদীস আছে। যিনি কবি, গণক কিংবা পাগল নন এবং কেবল দুনিয়াতেই নয় বরং আসমানবাসীদের কাছেও মর্যাদাশীল, মান্যবর ও বিশ্বাসভাজন। এটাও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ।
গ. কুরআনের মধ্যে ইখতিলাফ বা মতানৈক্য নেই। সুতরাং কীভাবে আল্লাহ তাআলার বাণী' ও ‘রাসূলে কারীমের বাণী' উভয় অর্থেই কুরআন হবে?[৫]
কেননা আহলে কিতাব (ইয়াহুদি নাসারা) ও মুশরিকগণ রাসূলকে পাগল, কবি বললেও আল্লাহ তাআলাকে পাগল, কবি বলেছে- এ মর্মে কোনো প্রমাণ কুরআনে নেই ।
আরও পড়ুন - হাদীস কেন মানতে হবে?
১. সূরা নিসা: ৮২
২. সূরা হা-মীম সিজদাহ: ২-৩
৩. সূরা হাক্কাহ: ৪০-৪৩
৪. সূরা তাকবীর: ১৯-২২। মূলত এই আয়াতটিতে বর্ণিত 'রাসূলে কারীম' বলতে জিবরাঈল (আঃ)-কে বোঝানো হয়েছে (দ্র: তাফসীর গ্রন্থসমূহ)। কিন্তু আহলুল কুরআন বা হাদীস অস্বীকারকারীগণ যেহেতু কুরআনের ব্যাখ্যা হিসাবে হাদীস মানেন না, এজন্য তাদের বিপক্ষে হাদীস মানার ক্ষেত্রে শাব্দিক তরজমা হিসাবে উক্ত আয়াতটি উপস্থাপন করা হলো। তা ছাড়া কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসারীদের মতো তাদের এ ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই যে, এখানে 'রাসূলে কারীমের বাণী' বলতে মূলত কুরআনকেই উল্লেখ করা হয়েছে।' কেননা তারা অনুবাদের ক্ষেত্রে যে পন্থা অনুসরণ করেন, সেই রীতি অনুযায়ী রাসূলের বাণী ও আল্লাহর বাণী কখনই এক নয়।
৫. এটা একাধারে প্রশ্ন এবং উত্তর। যা হাদীস অস্বীকারকারীদের চিন্তার খোরাক বৈকি।