Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 1,129
- Comments
- 1,321
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,516
- Thread Author
- #1
সালাফ আছু ছুলিহীন এর অনুসরণ করার অর্থ হলো তারা যেই মাসআলায় কোনো মত পেশ করেছেন সেই মাসআলায় তাদের বক্তব্য থেকে বের হওয়া যাবে না।
ইমাম মালেক (তারতীবুল মাদারিক এর বর্ণনানুযায়ী ১/১৯৩) বলেছেন: এই বিষয়ে আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীছ, ছাহাবা ও তাবেঈন এর বক্তব্য এবং তাদের মত বিদ্যমান। আর আমি আমার মত প্রকাশ করেছি ইজতিহাদ এর ভিত্তিতে এবং আমার অঞ্চলের আলেমদেরকে যেই মতের উপরে পেয়েছি সেই মতের ভিত্তিতে, আর আমি তাদের দল থেকে বের হয়ে অন্যকোনো মতের দিকে ধাবিত হইনি।
ইমাম শাফেঈ আল মাদখাল ইলাস সুনানিল কুবরা গ্রন্থের বর্ণনানুযায়ী (১১০ নং পৃষ্ঠা) বলেছেন: যখন তারা (ছাহাবাগণ) কোনো বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন তখন আমরা তাদের ঐকমত্যকে গ্রহণ করি, আর যদি তাদের কেউ কোনো মত দেয় আর অন্যরা তার বিরোধিতা না করে, তাহলে আমরা তার বক্তব্য গ্রহণ করি। আর যদি তারা মতানৈক্য পোষণ করেন, তাহলে আমরা তাদের কোনো একজনের বক্তব্য গ্রহণ করি, আমরা তাদের সকলের বক্তব্য থেকে বের হই না।
আল মুসাওওয়াদাহ গ্রন্থের (২৭৬ নং পৃষ্ঠা) বর্ণনানুযায়ী আহমাদ বিন হাম্বাল বলেছেন: যখন কোনো মাসআলায় আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছাহাবাগণ থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়, তখন আমরা তাদের মতকেই গ্রহণ করি, তাদের মত থেকে বের হয়ে অন্যদের মত গ্রহণ করি না। আর যখন কোনো মাসআলায় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এবং ছাহাবাগণ থেকে কোনো মত পাওয়া যায় না তখন আমরা তাবেঈন এর মত গ্রহণ করি।
খত্বীব আল ফক্বীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ গ্রন্থে (১/১৭৩) বলেছেন: যদি ছাহাবাগণ কোনো মাসআলায় দুইটি মতে বিভক্ত হয়ে যান এবং সেই অবস্থায় তাদের যুগ অতিবাহিত হয়ে যায়, তাহলে তাবেঈন এর জন্য যেকোনো একটি মতের উপরে একমত হওয়া জায়েয হবে না। আর যদি তারা এমনটি করেন, তবুও ছাহাবাগণের মতানৈক্যকে পরিত্যাগ করা যাবে না। এই বিষয়ের দলীল হলো ছাহাবাগণ উভয় মতের প্রত্যেকটি মতকেই গ্রহণ করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন এবং এই মত দুইটি ছাড়া অন্যযেকোনো মত বাত্বিল হওয়ার উপরে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। যদি তাবেঈন উভয়টির কোনো একটিকে হারাম বলেন, তবে তা বলা জায়েয হবে না। বরং এটা তাদের ইজমা'কে ছিদ্র করার নামান্তর হবে, এটা হলো ঐ প্রেক্ষাপটের মত, যেখানে ছাহাবাগণ যদি কোনো মাসআলায় দুইটি মত পোষণ করেন, তাহলে তাবেঈন এর জন্য তৃতীয় আরেকটি মত প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি নেই। কেননা দুইটি মতের উপরে তাদের বিভক্ত হয়ে যাওয়াটা অন্য যেকোনো মত বাত্বিল হওয়ার ব্যাপারে তাদের ইজমা' হয়ে যাওয়া।
– তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ আলা মানাহিজি আহলিল হাদীছ, যাকারিয়া ইবন গুলাম কাদীর পাকিস্তানী; মাকতাবাতুস সুন্নাহ, রাজশাহী
ইমাম মালেক (তারতীবুল মাদারিক এর বর্ণনানুযায়ী ১/১৯৩) বলেছেন: এই বিষয়ে আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীছ, ছাহাবা ও তাবেঈন এর বক্তব্য এবং তাদের মত বিদ্যমান। আর আমি আমার মত প্রকাশ করেছি ইজতিহাদ এর ভিত্তিতে এবং আমার অঞ্চলের আলেমদেরকে যেই মতের উপরে পেয়েছি সেই মতের ভিত্তিতে, আর আমি তাদের দল থেকে বের হয়ে অন্যকোনো মতের দিকে ধাবিত হইনি।
ইমাম শাফেঈ আল মাদখাল ইলাস সুনানিল কুবরা গ্রন্থের বর্ণনানুযায়ী (১১০ নং পৃষ্ঠা) বলেছেন: যখন তারা (ছাহাবাগণ) কোনো বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন তখন আমরা তাদের ঐকমত্যকে গ্রহণ করি, আর যদি তাদের কেউ কোনো মত দেয় আর অন্যরা তার বিরোধিতা না করে, তাহলে আমরা তার বক্তব্য গ্রহণ করি। আর যদি তারা মতানৈক্য পোষণ করেন, তাহলে আমরা তাদের কোনো একজনের বক্তব্য গ্রহণ করি, আমরা তাদের সকলের বক্তব্য থেকে বের হই না।
আল মুসাওওয়াদাহ গ্রন্থের (২৭৬ নং পৃষ্ঠা) বর্ণনানুযায়ী আহমাদ বিন হাম্বাল বলেছেন: যখন কোনো মাসআলায় আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছাহাবাগণ থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়, তখন আমরা তাদের মতকেই গ্রহণ করি, তাদের মত থেকে বের হয়ে অন্যদের মত গ্রহণ করি না। আর যখন কোনো মাসআলায় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এবং ছাহাবাগণ থেকে কোনো মত পাওয়া যায় না তখন আমরা তাবেঈন এর মত গ্রহণ করি।
খত্বীব আল ফক্বীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ গ্রন্থে (১/১৭৩) বলেছেন: যদি ছাহাবাগণ কোনো মাসআলায় দুইটি মতে বিভক্ত হয়ে যান এবং সেই অবস্থায় তাদের যুগ অতিবাহিত হয়ে যায়, তাহলে তাবেঈন এর জন্য যেকোনো একটি মতের উপরে একমত হওয়া জায়েয হবে না। আর যদি তারা এমনটি করেন, তবুও ছাহাবাগণের মতানৈক্যকে পরিত্যাগ করা যাবে না। এই বিষয়ের দলীল হলো ছাহাবাগণ উভয় মতের প্রত্যেকটি মতকেই গ্রহণ করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন এবং এই মত দুইটি ছাড়া অন্যযেকোনো মত বাত্বিল হওয়ার উপরে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। যদি তাবেঈন উভয়টির কোনো একটিকে হারাম বলেন, তবে তা বলা জায়েয হবে না। বরং এটা তাদের ইজমা'কে ছিদ্র করার নামান্তর হবে, এটা হলো ঐ প্রেক্ষাপটের মত, যেখানে ছাহাবাগণ যদি কোনো মাসআলায় দুইটি মত পোষণ করেন, তাহলে তাবেঈন এর জন্য তৃতীয় আরেকটি মত প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি নেই। কেননা দুইটি মতের উপরে তাদের বিভক্ত হয়ে যাওয়াটা অন্য যেকোনো মত বাত্বিল হওয়ার ব্যাপারে তাদের ইজমা' হয়ে যাওয়া।
– তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ আলা মানাহিজি আহলিল হাদীছ, যাকারিয়া ইবন গুলাম কাদীর পাকিস্তানী; মাকতাবাতুস সুন্নাহ, রাজশাহী