সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর যারা আল্লাহর ঘর ধ্বংস করে (মসজিদ ভেঙ্গে দেয় বা আগুনে পুড়িয়ে দেয়) ইসলামী শরী‘আতে তাদের বিধান কী?

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,544
Credits
2,602
মহান আল্লাহ বলেন, আর তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর ঘর মসজিদগুলোতে তাঁর নাম স্বরণ করতে বাধা দেয় এবং এগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করে? অথচ ভীত-সন্ত্রস্ত না হয়ে তাদের সেগুলোতে প্রবেশ করা সঙ্গত ছিল না। দুনিয়াতে তাদের জন্য লাঞ্চনা ও আখেরাতে রয়েছে মহাশাস্তি (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১১৪)।

খৃষ্টানরা ইহুদীদের বায়তুল মুক্বাদ্দাসে সালাত আদায় করতে বাধা দিয়েছিল এবং তা বিনাশ করতে চেয়েছিল। ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, মক্কার মুশরিকরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীদেরকে মক্কা থেকে বের হতে বাধ্য করেছিল এবং পবিত্র কা‘বায় মুসলিমদেরকে ইবাদত করতে বাধা দিয়েছিল। এমনকি হুদায়বিয়ার সন্ধিতেও একমাত্র আল্লাহর ঘর যিয়ারতের উদ্দেশ্যেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় প্রবেশ করতে চাইলে তারা বাধা দেয় (তাফসীর ইবনু কাছীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৭-৩৮৮)।


উপরিউক্ত আয়াত ও তার প্রেক্ষাপটে বুঝা যায়, মসজিদ ভাঙ্গা বা মুছল্লীদের মসজিদে যেতে বাধা দেয়া অমুসলিমদের কাজ। বাবরী মসজিদ হিন্দুরা ভেঙ্গে দিয়েছে। এছাড়া সারা বিশ্বে যারা যেখানে মসজিদ বন্ধ করে দিচ্ছে তারা সব অমুসলিম। তাই যুগে যুগে অমুসলিমরাই মসজিদ ভাঙ্গার কাজ করেছে।

জানা আবশ্যক যে, যখন কোন স্থানকে মসজিদ হিসাবে ঘোষণা করা হয়, তখন তার মালিক হয়ে যান স্বয়ং মহান আল্লাহ। আর আল্লাহর মালিকানায় থাকা কোন স্থাপনা ভাঙ্গা আল্লাহর সাথে যুদ্ধের শামিল (মায়েদাহ ৩৩)। আবার মসজিদ ভাঙ্গার পরে যুক্তি দিয়ে কেউ কেউ সালাফী বা আহলেহাদীস আক্বীদার মসজিদকে ‘মসজিদে যিরার’ সাথে তুলনা করে থাকে এবং হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ায়। এদেরকে মুসলিম বলার কোন সুযোগ নেই।

দ্রুত তওবা করে ফিরে আসা তাদের প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে। ভাঙ্গা মসজিদ নিজ অর্থায়নে তা দ্রুত নির্মাণ করে দিতে হবে (বুখারী, হা/৩৪৩৬)।

ব্যক্তির সাথে শত্রুতা থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু মসজিদের সাথে শত্রুতা কেবল অমুসলিমদের থাকতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে অনুতপ্ত হতে হবে। সুযোগ থাকার পরও যারা তওবা করে ফিরে আসবে না- তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছনা এবং কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে (সূরা আল-ফীল : ১-৫; সহীহ বুখারী, হা/২৪৮২)।




সূত্র: আল-ইখলাছ।​
 
Last edited:
Top