- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 657
- Comments
- 801
- Reactions
- 7,025
- Thread Author
- #1
জিহ্বার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যবান মানুষের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে। আবার যবান মানুষের জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রতিটি কথা হিসাব করে বলা উচিত। এমর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। মহান আল্লাহ বলেন, 'যে কথায় মানুষ উচ্চারণ করে (তা সংরক্ষণের জন্য) তার নিকটে একজন সদা তৎপর প্রহরী নিযুক্ত আছে’ [ক্বাফ : ৫০/১৮]। মানুষের প্রতিটি কথা সংরক্ষণ করা হয়। তাই যবানকে সংযতভাবে ব্যবহার করাই উত্তম। অন্যায় কথা তাকে বিভিন্ন ধরনের বিপদে ফেলতে পারে। যবানকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পরকালেও সুফল পাওয়া যাবে।
আবু হুরায়রা (রাদিঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন জিনিস মানুষকে সবচেয়ে বেশি জান্নাতে প্রবেশ করাবে? তিনি বলেন, তা হচ্ছে- আল্লাহভীতি ও উত্তম চরিত্র। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, মানুষকে কোন জিনিস সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে প্রবেশ করাবে? তিনি বললেন, তা হচ্ছে- মুখ বা জিহ্বা ও অপরটি লজ্জাস্থান'। [ইবনে মাজাহ, হা. ৪২৪৬; মিশকাত, হা. ৯০৮৫]
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় বান্দা কখনও আল্লাহর সন্তুষ্টির কোন কথা বলে অথচ সে কথা সম্পর্কে তার চেতনা নেই। কিন্তু এ কথার দ্বারা আল্লাহ্ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আবার বান্দা কখনও আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে ফেলে যার পরিণতি সম্পর্কে তার ধারণা নেই, অথচ সে কথার কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। [বুখারী, হা. ৬৪৭৮; মিশকাত, হা. ৪৮২৩]
আল্লাহভীতি ও সদাচরণ এই দু'গুণের কারণেই জান্নাতীরা সাধারণত জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। পক্ষান্তরে জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করবে। যবান ভয়ংকর এক বস্তু। যা জাহান্নামে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। ভালো কথার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। অন্যায় ও অশালীন কথায় আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। যার দরুন তাকে জাহান্নামে যেতে হয়।
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জান্নাতের যিম্মাদার। [বুখারী, হা. ৬৪৭৪; মিশকাত, হা. ৪৮১২]
উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মুক্তির উপায় কি? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার জিহবা আয়ত্তে আয়ত্তে রাখো, তোমার বাসস্থান যেন তোমার জন্য প্রশস্ত হয় (অর্থাৎ তুমি তোমার বাড়ীতে অবস্থান কর) এবং তোমার গুনাহের জন্য ক্ৰন্দন কর। [সুনান তিরমিজি, হা. ২৪০৬; সিলসিলাহ সহীহা, হা. ৮৮৮; মিশকাত, হা. ৪৮৩৭]
মানুষের জিহ্বা ও লজ্জাস্থান সকল পাপের জননী। এ দু'য়ের ইন্ধনেই অধিকাংশ পাপ হয়ে থাকে। তাই দু'টির কেউ যিম্মাদরী নিলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার জান্নাতের যিম্মাদারী নিবেন। এ দু'টিকে সৎ পন্থায় ব্যবহার করলে তার জন্য জান্নাতে যাওয়া সহজ। জটিল ফিতনার সময়ও মুখ বন্ধ রাখার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছাহাবীদের নছিহত করেছেন।
সুফিয়ান ইবনু আবদুল্লাহ আস-সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন একটি কথা বলুন, যা আমি ধারণ করতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি বল, আল্লাহই আমার রব (প্রভু) তারপর এতে সুদৃঢ় থাক। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি আবার বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনার দৃষ্টিতে আমার জন্য সর্বাধিক আশংকাজনক বস্তু কোনটি? তিনি স্বীয় জিহ্বা ধরে বললেনঃ এই যে, এটি। [সুনান তিরমিজি, হা. ২৪১০; ইবনু মাজাহ, হা. ৩৯৭২]
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট দিয়ে গমন করছিলেন, তখন তিনি (আবূ বকর সিদ্দীক) তাঁর কোন এক দাসকে ভৎর্সনা করছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেনঃ ভৎর্সনাকারী ও সিদ্দীক- কখনো একই ব্যক্তি হতে পারে না। পবিত্র কা‘বার রবে্র কসম! এটা শুনে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) ঐ দিনই কিছু দাস মুক্ত করে দিলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেনঃ ভবিষ্যতে আমি কখনো এ কাজের পুনরাবৃত্তি করব না। [মিশকাত, হা. ৪৮৬৮; আদাবুল মুফরাদ, হা. ৩১৯]
আসলাম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ‘উমার (রাঃ) আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট আসলেন, তখন আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) নিজের জিহবা টানছিলেন। তখন ‘উমার(রাঃ) বললেনঃ থামুন, দেখি! আপনি কি করছেন? আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন। তখন আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) বললেনঃ এ জিহবাই আমাকে ধ্বংসের স্থানসমূহে নিক্ষেপ করেছে। [মিশকাত, হা. ৪৮৬৯; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৮৭৩; শুআবুল ঈমান, হা. ৪৬৩৬]
জিহ্বা মানুষের জন্য ভয়ংকর ফিতনায় রূপ নিতে পারে। কথায় মানুষের হৃদয় গলানো যায়। কথার দ্বারা কঠিন শত্রুকে বন্ধুতে পরিণত করা যায়। আবার কথার মারপ্যাচে কাছের বন্ধু দূরে সরে যায়। তাই প্রতিটি কথা মেপে বলাতেই কল্যাণ রয়েছে। কথার মাধ্যমে কাউকে দোষারোপ না করে বা কষ্ট না দিয়ে সংযতভাবে কথা বলাই সকলের জন্য ভালো।
কৃতজ্ঞতায়- 'অপরাধ' বই (আত তাজদীদ প্রকাশনী)
আবু হুরায়রা (রাদিঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন জিনিস মানুষকে সবচেয়ে বেশি জান্নাতে প্রবেশ করাবে? তিনি বলেন, তা হচ্ছে- আল্লাহভীতি ও উত্তম চরিত্র। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, মানুষকে কোন জিনিস সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে প্রবেশ করাবে? তিনি বললেন, তা হচ্ছে- মুখ বা জিহ্বা ও অপরটি লজ্জাস্থান'। [ইবনে মাজাহ, হা. ৪২৪৬; মিশকাত, হা. ৯০৮৫]
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় বান্দা কখনও আল্লাহর সন্তুষ্টির কোন কথা বলে অথচ সে কথা সম্পর্কে তার চেতনা নেই। কিন্তু এ কথার দ্বারা আল্লাহ্ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আবার বান্দা কখনও আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে ফেলে যার পরিণতি সম্পর্কে তার ধারণা নেই, অথচ সে কথার কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। [বুখারী, হা. ৬৪৭৮; মিশকাত, হা. ৪৮২৩]
আল্লাহভীতি ও সদাচরণ এই দু'গুণের কারণেই জান্নাতীরা সাধারণত জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। পক্ষান্তরে জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করবে। যবান ভয়ংকর এক বস্তু। যা জাহান্নামে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। ভালো কথার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। অন্যায় ও অশালীন কথায় আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। যার দরুন তাকে জাহান্নামে যেতে হয়।
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জান্নাতের যিম্মাদার। [বুখারী, হা. ৬৪৭৪; মিশকাত, হা. ৪৮১২]
উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মুক্তির উপায় কি? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার জিহবা আয়ত্তে আয়ত্তে রাখো, তোমার বাসস্থান যেন তোমার জন্য প্রশস্ত হয় (অর্থাৎ তুমি তোমার বাড়ীতে অবস্থান কর) এবং তোমার গুনাহের জন্য ক্ৰন্দন কর। [সুনান তিরমিজি, হা. ২৪০৬; সিলসিলাহ সহীহা, হা. ৮৮৮; মিশকাত, হা. ৪৮৩৭]
মানুষের জিহ্বা ও লজ্জাস্থান সকল পাপের জননী। এ দু'য়ের ইন্ধনেই অধিকাংশ পাপ হয়ে থাকে। তাই দু'টির কেউ যিম্মাদরী নিলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার জান্নাতের যিম্মাদারী নিবেন। এ দু'টিকে সৎ পন্থায় ব্যবহার করলে তার জন্য জান্নাতে যাওয়া সহজ। জটিল ফিতনার সময়ও মুখ বন্ধ রাখার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছাহাবীদের নছিহত করেছেন।
সুফিয়ান ইবনু আবদুল্লাহ আস-সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন একটি কথা বলুন, যা আমি ধারণ করতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি বল, আল্লাহই আমার রব (প্রভু) তারপর এতে সুদৃঢ় থাক। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি আবার বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনার দৃষ্টিতে আমার জন্য সর্বাধিক আশংকাজনক বস্তু কোনটি? তিনি স্বীয় জিহ্বা ধরে বললেনঃ এই যে, এটি। [সুনান তিরমিজি, হা. ২৪১০; ইবনু মাজাহ, হা. ৩৯৭২]
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট দিয়ে গমন করছিলেন, তখন তিনি (আবূ বকর সিদ্দীক) তাঁর কোন এক দাসকে ভৎর্সনা করছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেনঃ ভৎর্সনাকারী ও সিদ্দীক- কখনো একই ব্যক্তি হতে পারে না। পবিত্র কা‘বার রবে্র কসম! এটা শুনে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) ঐ দিনই কিছু দাস মুক্ত করে দিলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেনঃ ভবিষ্যতে আমি কখনো এ কাজের পুনরাবৃত্তি করব না। [মিশকাত, হা. ৪৮৬৮; আদাবুল মুফরাদ, হা. ৩১৯]
আসলাম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ‘উমার (রাঃ) আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট আসলেন, তখন আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) নিজের জিহবা টানছিলেন। তখন ‘উমার(রাঃ) বললেনঃ থামুন, দেখি! আপনি কি করছেন? আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন। তখন আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) বললেনঃ এ জিহবাই আমাকে ধ্বংসের স্থানসমূহে নিক্ষেপ করেছে। [মিশকাত, হা. ৪৮৬৯; সহীহ আত তারগীব, হা. ২৮৭৩; শুআবুল ঈমান, হা. ৪৬৩৬]
জিহ্বা মানুষের জন্য ভয়ংকর ফিতনায় রূপ নিতে পারে। কথায় মানুষের হৃদয় গলানো যায়। কথার দ্বারা কঠিন শত্রুকে বন্ধুতে পরিণত করা যায়। আবার কথার মারপ্যাচে কাছের বন্ধু দূরে সরে যায়। তাই প্রতিটি কথা মেপে বলাতেই কল্যাণ রয়েছে। কথার মাধ্যমে কাউকে দোষারোপ না করে বা কষ্ট না দিয়ে সংযতভাবে কথা বলাই সকলের জন্য ভালো।
কৃতজ্ঞতায়- 'অপরাধ' বই (আত তাজদীদ প্রকাশনী)