- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 359
- Comments
- 411
- Reactions
- 2,039
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: গত তিন মাস আগে আমার মেয়ে গর্ভে মারা যায় এবং এক মাস আগে আমার ভাইয়ের একটি ছেলে জন্মের চার দিন পর মারা যায়। এখন শায়খের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, আমার মেয়ের এবং আমার ভাইয়ের সন্তানের আকিকা এবং নাম রাখতে হবে কিনা? যদি আকিকা না দেওয়া হয় তাহলে কি কিয়ামতের মাঠে তাদের সুপারিশ পাওয়া যাবে না?
উত্তর: দুআ করি, মৃত সন্তানগণ যেন কিয়ামতের দিন আপনাদের জান্নাতে প্রবেশের কারণ হয়। আমিন।
অতঃপর—জানা প্রয়োজন যে, আকিকা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা; ফরজ বা ওয়াজিব নয়। কারণ হাদিসে এসেছে:
রসুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকিকা করতে চায় সে যেন তা পালন করে।" [আহমদ ও আবু দাউদ, নাসায়ি-হাসান]
অন্য একটি এসেছে, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
"প্রত্যেক বাচ্চা তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধক থাকে।" [সহিহ ইবনে মাজাহ, অধ্যায়: জবাই, হাদিস: ৩১৬৫; আবু দাউদ; তিরমিজি; নাসাঈ]
শাইখ ইবনে বায রহ. বলেন, উপরোক্ত হাদিসগুলো সব ধরনের ভূমিষ্ঠ সন্তানকে অন্তর্ভুক্ত করে—চাই সে জীবিত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হোক বা মৃত অবস্থায়। অর্থাৎ সন্তান জীবিত থাকলে যেমন তার আকিকা করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা তেমনি যদি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় রূহ ফুঁকার পর (পাঁচ মাস বা তার চেয়ে বেশি বয়সের সন্তান) মারা যায় তার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
"কোনো মুসলিমের তিনটি সন্তান সাবালক হওয়ার আগে মারা গেলে, তাদের প্রতি রহমত স্বরূপ অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।" [সহিহ বুখারি: ১১৭]
২. আরেকটি হাদিসে এসেছে:
"যে মহিলার তিনটি সন্তান মারা যায়, তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে।" তখন এক মহিলা প্রশ্ন করলেন: দু'টি সন্তান মারা গেলে? তিনি (রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, দু টি সন্তান মারা গেলেও।'" [সহিহ বুখারি: ১১৭৭]
আল্লাহু আলাম।
উত্তর: দুআ করি, মৃত সন্তানগণ যেন কিয়ামতের দিন আপনাদের জান্নাতে প্রবেশের কারণ হয়। আমিন।
অতঃপর—জানা প্রয়োজন যে, আকিকা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা; ফরজ বা ওয়াজিব নয়। কারণ হাদিসে এসেছে:
রসুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَن أحَبَّ منكم أنْ يَنسُكَ عن وَلدِه فليفعَلْ
"যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকিকা করতে চায় সে যেন তা পালন করে।" [আহমদ ও আবু দাউদ, নাসায়ি-হাসান]
অন্য একটি এসেছে, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
كلُّ غلامٍ مرتَهَنٌ بعقيقتِهِ
"প্রত্যেক বাচ্চা তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধক থাকে।" [সহিহ ইবনে মাজাহ, অধ্যায়: জবাই, হাদিস: ৩১৬৫; আবু দাউদ; তিরমিজি; নাসাঈ]
শাইখ ইবনে বায রহ. বলেন, উপরোক্ত হাদিসগুলো সব ধরনের ভূমিষ্ঠ সন্তানকে অন্তর্ভুক্ত করে—চাই সে জীবিত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হোক বা মৃত অবস্থায়। অর্থাৎ সন্তান জীবিত থাকলে যেমন তার আকিকা করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা তেমনি যদি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় রূহ ফুঁকার পর (পাঁচ মাস বা তার চেয়ে বেশি বয়সের সন্তান) মারা যায় তার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
গর্ভপাত এবং আকিকার বিধান
সুতরাং রূহ ফুঁকার পর যদি সন্তান মাতৃগর্ভে মারা যায় তাহলে গর্ভপাতের পর তার পক্ষ থেকে আকিকা দেওয়া হলে পিতামাতা একটি সুন্নত পালনের কারণে সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আকিকা না দিলে কোনো গুনাহ হবে না। কারণ এটি ফরজ বা ওয়াজিব নয়।মৃত সন্তানের জন্য করণীয়
মৃত সন্তানের জন্য নাম রাখা, আকিকা দেওয়া, কাফন-দাফন এবং জানাজা সবকিছুই প্রযোজ্য হবে। কারণ এ বিষয়ে বর্ণিত হাদিসগুলো সাধারণভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জীবিত ও মৃত উভয় প্রকার সন্তানই এর অন্তর্ভুক্ত।নাবালক অবস্থায় সন্তান মৃত্যুবরণের ফজিলত
১. আনাস রাহ.থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,مَا مِنَ النَّاسِ مِنْ مُسْلِمٍ يُتَوَفَّى لَهُ ثَلاَثٌ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ، إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ .
"কোনো মুসলিমের তিনটি সন্তান সাবালক হওয়ার আগে মারা গেলে, তাদের প্রতি রহমত স্বরূপ অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।" [সহিহ বুখারি: ১১৭]
২. আরেকটি হাদিসে এসেছে:
أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَ لَهَا ثَلاَثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ كَانُوا حِجَابًا مِنَ النَّارِ ”. قَالَتِ امْرَأَةٌ وَاثْنَانِ. قَالَ ” وَاثْنَانِ.
"যে মহিলার তিনটি সন্তান মারা যায়, তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে।" তখন এক মহিলা প্রশ্ন করলেন: দু'টি সন্তান মারা গেলে? তিনি (রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, দু টি সন্তান মারা গেলেও।'" [সহিহ বুখারি: ১১৭৭]
আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব