বর্তমান সমাজে পিতা-মাতা,দাদা-দাদী সন্তান-সন্ততি ইত্যাদির মৃত্যুবার্ষিকী অত্যন্ত জমজমাট ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। সেখানে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে বিশাল খাবার-দাবারের আয়োজন করা হয়। যদিও গরীব শ্রেণীর চেয়ে অর্থশালীদের মধ্যে এটা পালন করার ব্যাপারটি বেশি চোখে পড়ে, কিন্তু আমরা ক’জনে জানি বা জানার চেষ্টা করি যে, মৃত্যু বার্ষিকী কিংবা কারও মৃত্যু উপলক্ষ্যে শোক দিবস পালন করা জঘন্যতম বিদয়াত? ইসলামের দৃষ্টিতে এ উপলক্ষ্যে শামিয়ানা টাঙ্গানো,ঘর-বাড়ী সাজানো, আলোকসজ্জা করা এবং কুরআন তেলাওয়াত বা বিভিন্ন তাসবীহ-ওযীফা ইত্যাদি পাঠ করে সেগুলোর সওয়াব মৃতব্যক্তির রূহের উদ্দেশ্যে বখশানো বিদয়াত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন,“মৃত ব্যক্তিকে ছায়া দিতে পারে কেবল তার আমল;তাঁবু টানিয়ে ছায়া দেয়া সম্ভব নয়।”
মৃত্যু বার্ষিকী বা জন্ম বার্ষিকী পালন করা মুসলিমদের রীতি নয়। বরং এ সব রীতি ইহুদী-খৃষ্টান থেকে আমাদের মাঝে আমদানি করা হয়েছে। তাই এসব কার্যক্রম বিদয়াত হওয়ার পাশাপাশি বিধর্মীদের অনুসরণও বটে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
"যে ব্যক্তি (ধর্ম বা রীতি-নীতির ক্ষেত্রে) অন্য সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদেরই মধ্যেই গণ্য হবে।" [1]
অনুরূপভাবে জানাযা দিয়ে ফিরে আসার পর জানাযায় অংশগ্রহণকারীদেরকে,যে সমস্ত মানুষ শোক জানাতে আসে তাদেরকে অথবা ফকীর-মিসকীনদের খানা খাওয়ানো, বৃহস্পতিবার,মৃত্যু বরণ করার চল্লিশ দিন পর অথবা মৃত্যু বার্ষিকীতে খাওয়ার অনুষ্ঠান করা,মীলাদ মাহফিল করা, ‘চার ‘কুল’ এর ওযীফা পড়া ইত্যাদি সবই হারাম এবং বিদ’আতী কাজ। কারণ,নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত এবং সাহাবীগণের কার্যক্রমে এ সব কাজের কোন প্রমাণ নেই। এ সব জীবিকা উপার্জন,অর্থ অপচয় এবং ধ্বংসের মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়।
[1] সুনান আবু দাউদ,অনুচ্ছেদ: লোক সমাজের মাঝে অপ্রচলিত পোশাক পরিধান করা।
মৃত্যু বার্ষিকী বা জন্ম বার্ষিকী পালন করা মুসলিমদের রীতি নয়। বরং এ সব রীতি ইহুদী-খৃষ্টান থেকে আমাদের মাঝে আমদানি করা হয়েছে। তাই এসব কার্যক্রম বিদয়াত হওয়ার পাশাপাশি বিধর্মীদের অনুসরণও বটে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
"যে ব্যক্তি (ধর্ম বা রীতি-নীতির ক্ষেত্রে) অন্য সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদেরই মধ্যেই গণ্য হবে।" [1]
অনুরূপভাবে জানাযা দিয়ে ফিরে আসার পর জানাযায় অংশগ্রহণকারীদেরকে,যে সমস্ত মানুষ শোক জানাতে আসে তাদেরকে অথবা ফকীর-মিসকীনদের খানা খাওয়ানো, বৃহস্পতিবার,মৃত্যু বরণ করার চল্লিশ দিন পর অথবা মৃত্যু বার্ষিকীতে খাওয়ার অনুষ্ঠান করা,মীলাদ মাহফিল করা, ‘চার ‘কুল’ এর ওযীফা পড়া ইত্যাদি সবই হারাম এবং বিদ’আতী কাজ। কারণ,নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত এবং সাহাবীগণের কার্যক্রমে এ সব কাজের কোন প্রমাণ নেই। এ সব জীবিকা উপার্জন,অর্থ অপচয় এবং ধ্বংসের মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়।
- শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী
[1] সুনান আবু দাউদ,অনুচ্ছেদ: লোক সমাজের মাঝে অপ্রচলিত পোশাক পরিধান করা।