প্রাক্তন সৌদি গ্রান্ড মুফতি আল্লামা ইবন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, যখন মুসলিমরা শাসকদের মধ্যে এমন স্পষ্ট কুফরী দেখবে, যে-কুফরীর ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রমাণ রয়েছে, তখন রাষ্ট্রপ্রধানকে অপসারণ করার জন্য তার বিপক্ষে বিদ্রোহ করতে সমস্যা নেই। তবে তাদের ক্ষমতা থাকতে হবে। তাদের ক্ষমতা না থাকলে বিদ্রোহ ঘোষণা করবে না। বিদ্রোহের কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হলে, তাদের জন্য বিদ্রোহ করা বৈধ হবে না। কারণ, জনসাধারণের কল্যাণের দিকে যত্নশীল হতে হবে। সবার ঐকমত্যে শরয়ী মূলনীতি হচ্ছে,
ক্ষতি এমন মাধ্যমে দূর করা বৈধ নয়, যা মুসলিমদের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর; বরং ক্ষতিকে এমন মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে, যার মাধ্যমে তা দূর হয়ে যাবে বা কমে যাবে। তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর পদ্ধতির মাধ্যমে দূর করা মুসলিমদের ঐকমত্যে বৈধ নয়। যে-দল স্পষ্ট কুফরীতে লিপ্ত শাসককে অপসারণ করতে চাচ্ছে- তাদের কাছে তাকে অপসারণের ক্ষমতা থাকলে এবং তার স্থানে উত্তম সৎ-নেতাকে বসানোর ক্ষমতা থাকলে, এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে শর্ত হচ্ছে, এ কারণে যেন মুসলানদের মাঝে বিরাট ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে না পড়ে এবং উক্ত শাসকের ক্ষতির তুলনায় তাদের এ কাজ বেশি ক্ষতিকর না হয়। যদি এ কারণে বড়ো ধরনের ফাসাদ ছড়িয়ে পড়ে, শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়, জনগণ অত্যাচারের শিকার হয়, অন্যায়ভাবে হত্যাকান্ড শুরু হয় এবং দেশে বিরাট বিশৃঙ্খল-পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তবে তা
আদৌ বৈধ নয়।
--- মাজমূঊল ফাতওয়া, ৮/২০৩
--- মানহাজুস সালাফ, পৃষ্ঠা: ৩৭৭-৩৭৮; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
ক্ষতি এমন মাধ্যমে দূর করা বৈধ নয়, যা মুসলিমদের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর; বরং ক্ষতিকে এমন মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে, যার মাধ্যমে তা দূর হয়ে যাবে বা কমে যাবে। তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর পদ্ধতির মাধ্যমে দূর করা মুসলিমদের ঐকমত্যে বৈধ নয়। যে-দল স্পষ্ট কুফরীতে লিপ্ত শাসককে অপসারণ করতে চাচ্ছে- তাদের কাছে তাকে অপসারণের ক্ষমতা থাকলে এবং তার স্থানে উত্তম সৎ-নেতাকে বসানোর ক্ষমতা থাকলে, এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে শর্ত হচ্ছে, এ কারণে যেন মুসলানদের মাঝে বিরাট ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে না পড়ে এবং উক্ত শাসকের ক্ষতির তুলনায় তাদের এ কাজ বেশি ক্ষতিকর না হয়। যদি এ কারণে বড়ো ধরনের ফাসাদ ছড়িয়ে পড়ে, শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়, জনগণ অত্যাচারের শিকার হয়, অন্যায়ভাবে হত্যাকান্ড শুরু হয় এবং দেশে বিরাট বিশৃঙ্খল-পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তবে তা
আদৌ বৈধ নয়।
--- মাজমূঊল ফাতওয়া, ৮/২০৩
--- মানহাজুস সালাফ, পৃষ্ঠা: ৩৭৭-৩৭৮; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স