‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

মানহাজ মাওয়ানিউত তাকফীর বা কাফির আখ্যাদানের প্রতিবন্ধক বিষয় - ০২

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
Threads
748
Comments
884
Reactions
8,043
Credits
3,966
অনিচ্ছাকৃত বিচ্যুতি:

কেউ যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে বা মুখ ফসকে কোনো কুফরী কথা বলে ফেলে বা কুফরী কাজ করে ফেলে, তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন, 'নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতি, ভুলভ্রান্তি ও জোর-জবরদস্তি করে যা করানো হয়, তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। (ইবনে মাজাহ, হা. ২০৪৫)

এ সংক্রান্ত আরেকটি হাদীস হলো: আনাস ইবন মালিক বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, বান্দা যখন তাওবা করে তখন আল্লাহ তার তাওবায় ওই ব্যক্তির চেয়েও অধিক আনন্দিত হন, যে ব্যক্তি তার সওয়ারীর ওপর সওয়ার হয়ে কোনো জনমানবহীন প্রান্তরে পৌঁছে যায় এবং সেখানে পৌঁছে তার থেকে তার সওয়ারীটা উধাও হয়ে যায়। অথচ সওয়ারীর পিঠে তার খাদ্য-পানীয়সহ যাবতীয় রসদ রয়ে গেছে। ঐ ব্যক্তি সওয়ারী থেকে নিরাশ হয়ে একটা বৃক্ষের নিকট এসে সেটার ছায়ায় শুয়ে পড়ে। এমন সময় হঠাৎ দেখে তার সওয়ারীটা তারই পাশে দণ্ডায়মান। তখন সে ঝটপট সেটার লাগাম ধরে ফেলে। অতঃপর আনন্দের আতিশয্যে সে বলে ফেলে, 'হে আল্লাহ! তুমি আমার বান্দা আর আমি তোমার রর। (মুসলিম, হা. ৬৮৫৩)

হাদীসে বর্ণিত লোকটি ভয়ানক কথা বলে। প্রথমত সে নিজেকে রব দাবি করে আর দ্বিতীয়ত সে আল্লাহকে নিজের গোলাম বলে আখ্যায়িত করে। এরপরও
আল্লাহর কাছে সে কাফির হয় না। কারণ, সে ইচ্ছাকৃত তা বলেনি; বরং মুখ ফসকে ভুল করে বলে ফেলে।

- মানহাজুস সালাফ, পৃ: ৪১২; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
 

Share this page