Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
যেসব কারণে সালাফগণ তাকফীর থেকে দূরে থাকতেন:
১ সালাফগণ সকল গুনাহকেই কাফির হওয়ার কারণ মনে করতেন না। এ ব্যাপারে যারা সালাফদের বিরোধিতা করে তারা হচ্ছে খারিজি, রাফিজি ও মুতাযিলা সম্প্রদায়। কারণ তাদের নিকট কবীরা গুনাহকারী কাফির হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে সালাফগণ সকল কবীরা গুনাহ দ্বারা কাউকে কাফির বলেন না। তাদের কাছে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুনাহ শির্ক, কুফর ও নিফাকে কেউ পতিত হলেই তাকে কাফির বলা যাবে।
২- সালাফগণ নির্দিষ্ট তাকফীর এবং অনির্দিষ্ট তাকফীরের মধ্যে পার্থক্য করেন।
৩- নির্দিষ্ট তাকফীরের ক্ষেত্রে শর্ত পূরণ ও বাঁধা দূরীকরণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে কাফির বলেন না।
৪- সালাফগণ নির্দিষ্ট কাউকে তাকফীর করলেও সেখানে তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কাজের মধ্যে পার্থক্য করেন। অপ্রকাশ্য কাজ দিয়ে কাউকে তাকফীর করেন না।
অনির্দিষ্টভাবে তাকফীর:
সালাফগণ অনির্দিষ্টভাবে কোন কোন আকীদাহ, আমল বা কথার মাধ্যমে কাফির হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যেমন,
১- অন্তর থেকে আসা যেসব কথা কাফির বানিয়ে দেয়:
তাওহীদ বিষয়ে মুখের যেসব কথায় কাফির হয়ে যায়:
১- তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ অস্বীকার করলে।
২- তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত অস্বীকার করলে।
৩- তাওহীদুল ইবাদাত অস্বীকার করলে।
নবুওয়াত বিষয়ে যা মুখে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায়:
১- নবিদের মানতে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে।
২- আমাদের নবিকে মানতে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে।
৩- নবুওয়াতের দাবি করলে কাফির হয়ে যাবে।
অন্যান্য গায়িবি বিষয়ে যা মুখে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায়:
১- আল্লাহর কিতাবসমূহ ও তাঁর বাণী অস্বীকার করা।
২- ফিরিশতাদের অস্বীকার করা।
৩- জিনদের অস্বীকার করা।
৪- আখিরাতের সাব্যস্ত কোনো বিষয় অস্বীকার করা।
মুখে তাকদীর অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে।
২ অন্তর থেকে হওয়া কাজসমূহ যা কাউকে কাফির বানিয়ে দেয়:
আল্লাহর দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা, তা না শিক্ষা দেওয়া আর না তা শিক্ষা নেওয়া।
আকীদাগত মুনাফিকি। আর তার অধিকাংশই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। [ইবন তাইমিয়্যাহ, আল-ঈমানুল আওসাত, পৃ. ১৮১, আল-ঈমান ২৮৫] আর সেটা বিভিন্নভাবে হতে পারে:
১- রাসূলের ওপর মিথ্যারোপ।
২- রাসূল যা নিয়ে এসেছেন তার কিছুর ওপর মিথ্যারোপ।
৩- রাসূলের সঙ্গে শত্রুতা করা।
৪- রাসূল যা নিয়ে এসেছেন তার সঙ্গে শত্রুতা করা।
৫- রাসূলের দীনের পতনে খুশি হওয়া ও রাসূলের দীনের উন্নতি অপছন্দ হওয়া।
৬- রাসূল যা কিছুর সংবাদ দিয়েছেন সেটার সত্যায়ন করতে হবে বলে বিশ্বাস না করা।
৭- রাসূল যা নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করতে হবে বলে বিশ্বাস না করা।
৮- রাসূল যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত হওয়া লাগবে না বলে বিশ্বাস করা।
৯- রাসূলের আনীত শরীআত মানতে বাধ্য নয় বলে বিশ্বাস করা বা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা।
১০- রাসূলকে কষ্ট দেওয়া ও দোষত্রুটি বের করা, অপমান করা।
১১- রাসূলের দীনের বিরুদ্ধে কাফিরদেরকে সাহায্য করা।
১২- রাসূলের অনুসারীদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা। [দেখুন, ইবন তাইমিয়্যাহ, মাজমূ ফাতাওয়া (২৮/৪৩৪); মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব, মাজমুআতুত তাওহীদ, পৃ. ৭]
অন্তর থেকে অস্বীকার, অহংকার ও অমান্য করা।
অন্তরের আমলের বড়ো শির্কসমূহ। যেমন,
১- আল্লাহর ভালোবাসায় শির্ক।
২- নিয়্যত, ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যে শির্ক।
৩- ভয়, আশা, তাওয়াক্কুল ইত্যাদিতে শির্ক।
৪- কর্মের মাধ্যমে কাফির হওয়া। এর বহু সুরত রয়েছে। যেমন,
১ সালাফগণ সকল গুনাহকেই কাফির হওয়ার কারণ মনে করতেন না। এ ব্যাপারে যারা সালাফদের বিরোধিতা করে তারা হচ্ছে খারিজি, রাফিজি ও মুতাযিলা সম্প্রদায়। কারণ তাদের নিকট কবীরা গুনাহকারী কাফির হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে সালাফগণ সকল কবীরা গুনাহ দ্বারা কাউকে কাফির বলেন না। তাদের কাছে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুনাহ শির্ক, কুফর ও নিফাকে কেউ পতিত হলেই তাকে কাফির বলা যাবে।
২- সালাফগণ নির্দিষ্ট তাকফীর এবং অনির্দিষ্ট তাকফীরের মধ্যে পার্থক্য করেন।
৩- নির্দিষ্ট তাকফীরের ক্ষেত্রে শর্ত পূরণ ও বাঁধা দূরীকরণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে কাফির বলেন না।
৪- সালাফগণ নির্দিষ্ট কাউকে তাকফীর করলেও সেখানে তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কাজের মধ্যে পার্থক্য করেন। অপ্রকাশ্য কাজ দিয়ে কাউকে তাকফীর করেন না।
অনির্দিষ্টভাবে তাকফীর:
সালাফগণ অনির্দিষ্টভাবে কোন কোন আকীদাহ, আমল বা কথার মাধ্যমে কাফির হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যেমন,
১- অন্তর থেকে আসা যেসব কথা কাফির বানিয়ে দেয়:
মুখে ঈমান আনতে অস্বীকার করা।
দীনের মধ্যে যা হারাম তা হালাল বলা বা যা হালাল তা হারাম বলা।
আল্লাহর কোনো বিধানে কিংবা কোনো সংবাদে সন্দেহ প্রকাশ করা।
নবি (ﷺ)-এর অনুসরণ করা লাগবে না বলা।
তাওহীদ বিষয়ে মুখের যেসব কথায় কাফির হয়ে যায়:
১- তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ অস্বীকার করলে।
২- তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত অস্বীকার করলে।
৩- তাওহীদুল ইবাদাত অস্বীকার করলে।
নবুওয়াত বিষয়ে যা মুখে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায়:
১- নবিদের মানতে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে।
২- আমাদের নবিকে মানতে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে।
৩- নবুওয়াতের দাবি করলে কাফির হয়ে যাবে।
অন্যান্য গায়িবি বিষয়ে যা মুখে অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায়:
১- আল্লাহর কিতাবসমূহ ও তাঁর বাণী অস্বীকার করা।
২- ফিরিশতাদের অস্বীকার করা।
৩- জিনদের অস্বীকার করা।
৪- আখিরাতের সাব্যস্ত কোনো বিষয় অস্বীকার করা।
মুখে তাকদীর অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে।
২ অন্তর থেকে হওয়া কাজসমূহ যা কাউকে কাফির বানিয়ে দেয়:
আল্লাহর দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা, তা না শিক্ষা দেওয়া আর না তা শিক্ষা নেওয়া।
আকীদাগত মুনাফিকি। আর তার অধিকাংশই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। [ইবন তাইমিয়্যাহ, আল-ঈমানুল আওসাত, পৃ. ১৮১, আল-ঈমান ২৮৫] আর সেটা বিভিন্নভাবে হতে পারে:
১- রাসূলের ওপর মিথ্যারোপ।
২- রাসূল যা নিয়ে এসেছেন তার কিছুর ওপর মিথ্যারোপ।
৩- রাসূলের সঙ্গে শত্রুতা করা।
৪- রাসূল যা নিয়ে এসেছেন তার সঙ্গে শত্রুতা করা।
৫- রাসূলের দীনের পতনে খুশি হওয়া ও রাসূলের দীনের উন্নতি অপছন্দ হওয়া।
৬- রাসূল যা কিছুর সংবাদ দিয়েছেন সেটার সত্যায়ন করতে হবে বলে বিশ্বাস না করা।
৭- রাসূল যা নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করতে হবে বলে বিশ্বাস না করা।
৮- রাসূল যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত হওয়া লাগবে না বলে বিশ্বাস করা।
৯- রাসূলের আনীত শরীআত মানতে বাধ্য নয় বলে বিশ্বাস করা বা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা।
১০- রাসূলকে কষ্ট দেওয়া ও দোষত্রুটি বের করা, অপমান করা।
১১- রাসূলের দীনের বিরুদ্ধে কাফিরদেরকে সাহায্য করা।
১২- রাসূলের অনুসারীদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা। [দেখুন, ইবন তাইমিয়্যাহ, মাজমূ ফাতাওয়া (২৮/৪৩৪); মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব, মাজমুআতুত তাওহীদ, পৃ. ৭]
অন্তর থেকে অস্বীকার, অহংকার ও অমান্য করা।
অন্তরের আমলের বড়ো শির্কসমূহ। যেমন,
১- আল্লাহর ভালোবাসায় শির্ক।
২- নিয়্যত, ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যে শির্ক।
৩- ভয়, আশা, তাওয়াক্কুল ইত্যাদিতে শির্ক।
৪- কর্মের মাধ্যমে কাফির হওয়া। এর বহু সুরত রয়েছে। যেমন,
- ইবাদাতে শির্ক করা।
- আল্লাহর বিধান ব্যতীত ফয়সালা করা ও ফয়সালা গ্রহণ করা।
- আল্লাহর দীন থেকে কার্যত মুখ ফিরিয়ে থাকা।
- কাফিরদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাহায্য করা।