সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সালাত বিতির সালাতে দোয়া কুনুত না পারলে করণীয়

Farhad Molla

Susceptible

Exposer
Q&A Master
Reporter
Salafi User
Threads
153
Comments
232
Solutions
1
Reactions
1,542
Credits
1,430
উত্তর : বিতির সালাত একটি গুরুত্বপূর্ণ সালাত। এর হুকুম নিয়ে যদিও আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে কেউ ওয়াজিব বলেছেন। আর অধিকাংশই সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন। এই সলাতের যত গুরুত্ব রয়েছে। সেই সলাতে দোয়া কুনুত পড়াটা ততটা গুরুত্ব নেই। গুরুত্ব নেই বলতে বুঝাচ্ছি দোয়া কুনুত পড়াটাকে কেউ ওয়াজিব বলেনি।

কেউ সুন্নাতে ময়াক্কাদাও বলেনি। এই দোয়া কুনুত পড়া এটি বেতের সালাতে একটি সুযোগ রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজেও প্রতিদিন সারা বছরে দোয়া কুনুত পড়তেন এমনটা প্রমাণিত হয়নি। কখনো ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রসিদ্ধ সাহাবীদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু। এই ধরনের যারা শুধু রমাদান মাসে দোয়া গুলো পাঠ করতেন আর কখনো করতেন না। সুতরাং এসব কিছু লক্ষ্য করলে বুঝা যায়। দোয়া কুনুত পড়াটা অপরিহার্য নয়। এটি বেতেরের সলাতে দোয়া কুনুত পড়ার সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি এমন।

সামাজে কিছু মানুষ অপরিহার্য করে দিয়েছে বা অপরিহার্য করে নিয়েছে। দোয়া কুনুত যদি না জানা থাকে তারা বিধান দিয়ে রেখেছে সেখানে সূরা ইখলাস পাঠ করবে। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। এটি একটি বিদআত কোন সন্দেহ নেই। দোয়া কুনুত আপনি জানবেন শিখবেন পাঠ করবেন। জানা থাকলেও শেখা থাকলেও সেটি মাঝে মাঝে ছেড়ে দেয়াটাই হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ।

তাহলে যে ব্যক্তি পারলো না তাকে আপনি বিকল্প একটি সূরা দিয়ে রাখলেন। এই সূরা তো দোয়া নয়। কিভাবে আপনি এটি দিলেন ? সুতরাং ভুলের ওপর ভুল। সুতরাং আমরা বলব বেতের সালাতে দোয়া কুনুত না পারলে কোন অসুবিধা নেই। ইচ্ছা করেও ছেড়ে দিলেও কোন অসুবিধা নেই।

কারণ দোয়া কুনুত বেতের সালাতে অপরিহার্য বিষয় নয়। এটি একটি সুযোগ মাত্র। সেই সুযোগ আপনি অবশ্যই নেবেন। অবশ্যই সেই সুযোগটিকে কাজে লাগাবেন। দোয়া কুনুদ এর জন্য শিখবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ করে যে দোয়া কুনুদ শিক্ষা দিয়েছিলেন হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু কে।

আল্ল-হুম্মাদিনী ফীমান হাদাইত, ওয়া 'আ-ফিনী ফীমান 'আ- ফাইত, ওয়া তাওয়াল্লানী-ফীমাং-তাওয়াল্লাইত, ওয়া বা-রিকলী ফীমা- আ'ত্বাইত, ওয়াক্বিনী-শার মা- কুয়াইত, ফাইন্নাকা তাক্বষী-ওয়ালা-ইউকুয়- 'আলায়ক্, ইন্নাহু লা- ইয়াযিলু মাওঁ-ওলাইতা, ওয়ালা- ইয়া'ইঝু মান 'আ-দায়ত্, তাবা-রক্তা রব্বানা- ওয়া তা 'আ-লায়ত্, ওয়া স্বল্লাল্ল-হু 'আলান্নাবিইয়ি

অর্থ : 'হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হেদায়াত দান করো, যাদের তুমি হেদায়াত করেছো তাদের সাথে।
আমাকে মাফ করে দাও, যাদের মাফ করেছো তাদের সাথে। আমার অভিভাবক হও, যাদের অভিভাবক হয়েছো তাদের সাথে। তুমি যা আমাকে দান করেছো তাতে বরকত দাও।

আর আমাকে ঐ অনিষ্ট হতে বাঁচাও, যা তুমি নির্ধারণ করেছো। তুমি ফায়ছালা করো, কিন্তু তোমার উপরে কেউ ফায়ছালা করতে পারে না। তুমি যার সাথে শত্রুতা রাখ, সে সম্মান লাভ করতে পারে না।

নিশ্চয়ই সে অপমানিত হয় না যাকে তুমি মিত্র হিসেবে গ্রহণ করেছ।

হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি বরকতময়, তুমি উচ্চ এবং নবী করীম-এর উপর রহমত অবতীর্ণ হউক'

(তিরমিযী, হা/৪৬৪; আবু দাউদ, হা/১৪২৫; নাসাঈ, হা/১৭৪৫: মিশকাত, হা/১২৭৩, সনদ ছহীহ)।

এটি শিক্ষা দিয়েছেন। এক হলো অপরিহার্য করে নেয় দ্বিতীয়তঃ যে দোয়া কুনুত পাঠ করে সেটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়। তৃতীয়ত সেটা না পারলে আবার সূরা ইখলাস পড়ার ফতোয়া দেয়। বাতিল ফতোয়া। ভিত্তিহীন ফতোয়া। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বিষয় জেনে সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন।
ওয়াল্লাহু তা'আলা আলাম



উত্তর প্রদানে
শাইখ ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী​

 
Last edited by a moderator:
Top