- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 653
- Comments
- 796
- Reactions
- 6,947
- Thread Author
- #1
৪. নয় রাক'আত আদায় করতেন, অষ্টম রাক'আত ব্যতীত কোথাও বসতেন না, অতঃপর নবম রাকআত পড়তেন।
দলীল- 'আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহা থেকে বর্ণিত, তাতে রয়েছে: “... আমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) জন্য মিসওয়াক ও পানি প্রস্তুত রাখতাম, আল্লাহ যখন তাকে উঠানোর ইচ্ছা করতেন, তাকে উঠাতেন অতঃপর তিনি মিসওয়াক করতেন ও অযু করতেন, অতঃপর নয় রাক'আত সালাত আদায় করতেন, অষ্টম রাক'আত ব্যতীত কোথাও তিনি বসতেন না। অতঃপর তিনি আল্লাহর যিকির করতেন, হামদ্ ও সানা এবং দো'আ করতেন, অতঃপর উঠতেন কিন্তু সালাম ফিরাতেন না এবং নবম রাক'আতের জন্য দণ্ডায়মান হতেন। অতঃপর (অর্থাৎ নবম রাক'আতে সালাম ফিরানোর পর) বসে আল্লাহর যিকির করতেন, তার হামদ্-সানা করতেন ও তাঁর নিকট দো'আ করতেন। অতঃপর তিনি আমাদের শুনিয়ে সালাম ফিরাতেন....”। [মুসলিম : ৭৪৬]
৫. সাত রাক'আত আদায় করা, সেগুলোতে শেষ (সপ্তম) রাক'আত ব্যতীত কোথাও না বসা।
দলীল- (ক) ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে: নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার্ধক্যে উপনীত হলেন ও মুটিয়ে গেলেন, তখন সাত রাক'আত দ্বারা বিতর পড়েছেন...”। [মুসলিম: ৭৪৬]
(খ) অপর বর্ণনায় এসেছে: “সেগুলোতে শেষ রাক'আত ব্যতীত কোথাও বসতেন না”। [নাসায়ী: ১৭১৮]
৬. সাত রাক'আত পড়া, সেগুলোতে ষষ্ঠ রাক'আত ব্যতীত কোথাও না বসা।
দলীল- আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিসওয়াক ও পানি প্রস্তুত রাখতাম, আল্লাহ তাকে উঠিয়ে দিতেন, যখন তাকে উঠাতে চাইতেন, তিনি মিসওয়াক করতেন ও অযু করতেন অতঃপর সাত রাক'আত আদায় করতেন, ষষ্ঠ রাক'আত ব্যতীত কোথাও বসতেন না। অতঃপর (অর্থাৎ সপ্তম রাক'আতে সালাম ফিরানোর পর) বসে আল্লাহর যিকির দো'আ করতেন।” [ইবন হিব্বান : ২৪৪১]
৭. পাঁচ রাক'আত পড়া, শেষ রাক'আত ব্যতীত কোথাও না বসা।
দলীল- (ক) আবু আইয়্যুব আল-আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিতর প্রত্যেক মুসলিমের ওপর একটি হক্ব, যে পাঁচ রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করতে চায়, সে যেন তাই করে। যে তিন রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করতে চায়, সে যেন তাই করে৷ আর যে এক রাক‘আত দ্বারা বিতর আদায় করতে চায়, সে যেন তাই করে।” [আবু দাউদ: ১৪২২]
(খ) “আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহার হাদীস থেকে প্রমাণিত, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাক'আতগুলো বিনা বৈঠকে পড়তেন, পঞ্চম রাক'আত ব্যতীত বসতেন না। তাতে আরো রয়েছে: “...পাঁচ রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করতেন, শেষ রাক'আত ব্যতীত কোথাও বসতেন না।” [মুসলিম: ৭৩৭]
৮. তিন রাক'আত পড়া, দু' রাক'আত পর সালাম ফিরানো, অতঃপর এক রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করা।
দলীল- (ক) আবদুল্লাহ ইবন 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শুনিয়ে সালাম দ্বারা জোড় ও বেজোড় সালাতের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতেন।” [ইবন হিব্বান: ২৪৩৩, ২৪৩৪, ২৪৩৫; মুসনাদে আহমাদ (২/৭৬): ৫৪৬১; তাহাওয়ী, শারহু মাআনিল আছার: ১৬৬৪; ত্বাবারানী ফিল আওসাত্ব: ৭৫৩] শক্তিশালী সনদে।
(খ) আবদুল্লাহ ইবন 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু “আনহুমা থেকে একটি ‘মওকুফ' বর্ণনা রয়েছে, নাফে' বলেছেন, “আব্দুল্লাহ ইবন 'উমার বিতর সালাতে এক রাক'আত ও দু' রাক'আতের মাঝে সালাম ফিরাতেন, কখনও কোনো প্রয়োজনের নির্দেশ করতেন।” [বুখারী: ৯৯১; মুওয়াত্তা মালিক (১/১২৫)] এ ‘মওকুফ' হাদীস দ্বারা পূর্বোক্ত ‘মরফূ’ হাদীস শক্তিশালী হয়। বস্তুত যে তিন রাক'আত বিতর পড়তে চায় তার জন্য এটাই উত্তম। এটা পূর্ণতার নিকটবর্তী।
— উমদাতুল আহকাম (১ম খন্ড), অনুবাদ ও ব্যাখ্যা : ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া; সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
দলীল- 'আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহা থেকে বর্ণিত, তাতে রয়েছে: “... আমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) জন্য মিসওয়াক ও পানি প্রস্তুত রাখতাম, আল্লাহ যখন তাকে উঠানোর ইচ্ছা করতেন, তাকে উঠাতেন অতঃপর তিনি মিসওয়াক করতেন ও অযু করতেন, অতঃপর নয় রাক'আত সালাত আদায় করতেন, অষ্টম রাক'আত ব্যতীত কোথাও তিনি বসতেন না। অতঃপর তিনি আল্লাহর যিকির করতেন, হামদ্ ও সানা এবং দো'আ করতেন, অতঃপর উঠতেন কিন্তু সালাম ফিরাতেন না এবং নবম রাক'আতের জন্য দণ্ডায়মান হতেন। অতঃপর (অর্থাৎ নবম রাক'আতে সালাম ফিরানোর পর) বসে আল্লাহর যিকির করতেন, তার হামদ্-সানা করতেন ও তাঁর নিকট দো'আ করতেন। অতঃপর তিনি আমাদের শুনিয়ে সালাম ফিরাতেন....”। [মুসলিম : ৭৪৬]
৫. সাত রাক'আত আদায় করা, সেগুলোতে শেষ (সপ্তম) রাক'আত ব্যতীত কোথাও না বসা।
দলীল- (ক) ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে: নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার্ধক্যে উপনীত হলেন ও মুটিয়ে গেলেন, তখন সাত রাক'আত দ্বারা বিতর পড়েছেন...”। [মুসলিম: ৭৪৬]
(খ) অপর বর্ণনায় এসেছে: “সেগুলোতে শেষ রাক'আত ব্যতীত কোথাও বসতেন না”। [নাসায়ী: ১৭১৮]
৬. সাত রাক'আত পড়া, সেগুলোতে ষষ্ঠ রাক'আত ব্যতীত কোথাও না বসা।
দলীল- আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিসওয়াক ও পানি প্রস্তুত রাখতাম, আল্লাহ তাকে উঠিয়ে দিতেন, যখন তাকে উঠাতে চাইতেন, তিনি মিসওয়াক করতেন ও অযু করতেন অতঃপর সাত রাক'আত আদায় করতেন, ষষ্ঠ রাক'আত ব্যতীত কোথাও বসতেন না। অতঃপর (অর্থাৎ সপ্তম রাক'আতে সালাম ফিরানোর পর) বসে আল্লাহর যিকির দো'আ করতেন।” [ইবন হিব্বান : ২৪৪১]
৭. পাঁচ রাক'আত পড়া, শেষ রাক'আত ব্যতীত কোথাও না বসা।
দলীল- (ক) আবু আইয়্যুব আল-আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিতর প্রত্যেক মুসলিমের ওপর একটি হক্ব, যে পাঁচ রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করতে চায়, সে যেন তাই করে। যে তিন রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করতে চায়, সে যেন তাই করে৷ আর যে এক রাক‘আত দ্বারা বিতর আদায় করতে চায়, সে যেন তাই করে।” [আবু দাউদ: ১৪২২]
(খ) “আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহার হাদীস থেকে প্রমাণিত, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাক'আতগুলো বিনা বৈঠকে পড়তেন, পঞ্চম রাক'আত ব্যতীত বসতেন না। তাতে আরো রয়েছে: “...পাঁচ রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করতেন, শেষ রাক'আত ব্যতীত কোথাও বসতেন না।” [মুসলিম: ৭৩৭]
৮. তিন রাক'আত পড়া, দু' রাক'আত পর সালাম ফিরানো, অতঃপর এক রাক'আত দ্বারা বিতর আদায় করা।
দলীল- (ক) আবদুল্লাহ ইবন 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শুনিয়ে সালাম দ্বারা জোড় ও বেজোড় সালাতের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতেন।” [ইবন হিব্বান: ২৪৩৩, ২৪৩৪, ২৪৩৫; মুসনাদে আহমাদ (২/৭৬): ৫৪৬১; তাহাওয়ী, শারহু মাআনিল আছার: ১৬৬৪; ত্বাবারানী ফিল আওসাত্ব: ৭৫৩] শক্তিশালী সনদে।
(খ) আবদুল্লাহ ইবন 'উমার রাদ্বিয়াল্লাহু “আনহুমা থেকে একটি ‘মওকুফ' বর্ণনা রয়েছে, নাফে' বলেছেন, “আব্দুল্লাহ ইবন 'উমার বিতর সালাতে এক রাক'আত ও দু' রাক'আতের মাঝে সালাম ফিরাতেন, কখনও কোনো প্রয়োজনের নির্দেশ করতেন।” [বুখারী: ৯৯১; মুওয়াত্তা মালিক (১/১২৫)] এ ‘মওকুফ' হাদীস দ্বারা পূর্বোক্ত ‘মরফূ’ হাদীস শক্তিশালী হয়। বস্তুত যে তিন রাক'আত বিতর পড়তে চায় তার জন্য এটাই উত্তম। এটা পূর্ণতার নিকটবর্তী।
— উমদাতুল আহকাম (১ম খন্ড), অনুবাদ ও ব্যাখ্যা : ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া; সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
Last edited: