প্রশ্ন: লাইলাতুল কদরের ফজিলত পেতে হলে কি মসজিদে গিয়ে সারা রাত ইবাদত করা শর্ত নাকি যে যেখানে থাকে সেখানে ইবাদত করলে হবে? অনুরূপভাবে এ জন্য কি সারা রাত জেগে ইবাদত করা জরুরি না কি কিছু ঘুমানো যাবে?
উত্তর: লাইলাতুল কদর ফজিলত পেতে হলে মসজিদে গিয়ে সারা রাত ইবাদত করা শর্ত নয়। অর্থাৎ পুরুষরা যদি ইশা এবং ফজরের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করে এবং রাতের বাকি অংশ ঘরে নফল সালাত আদায় ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগি করে তাহলেও ইনশাআল্লাহ এ রাতের মর্যাদা লাভ করা সম্ভব। তদ্রূপ মহিলারাও বাড়িতে ইবাদত করে এ মর্যাদা লাভ করতে পারে। এমনকি কোনও ব্যক্তি যদি নিজস্ব কাজকর্ম, দোকানদারী বা ডিউটি পালন রত অবস্থায়ও এ রাতের মর্যাদা লাভের নিয়তে মুখে তাসবীহ-তাহলীল, জিকির-আজকার, দুআ, ইস্তিগফার, লাইলাতুল কদরের বিশেষ দুআ (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন....) পাঠ করে, দেখে বা মুখস্থ কুরআন তিলাওয়াত করে বা তাফসীর-হাদিস পাঠ করে, দীনী ইলম চর্চা করে এবং সময় পেলে মাঝে-মধ্যে কিছু নফল সালাত আদায় করে তাহলেও এ মর্যাদা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
অনুরূপভাবে এ রাতের মর্যাদা লাভ করার জন্য পুরো রাত জাগাও শর্ত নয়। কেউ যদি শারীরিক ও মানসিক শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে রাতের কিয়দংশ ঘুমায় বা প্রয়োজনীয় কাজ করে আর বাকি অংশ সাধ্যানুযায়ী ইবাদতে কাটায় তাহলেও এ রাতের মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ। (আল মুনাবী, ফয়যুল কাদীর)
মোটকথা, এ রাতে প্রত্যেকেই তার সাধ্যানুযায়ী ইবাদত-বন্দেগি করার চেষ্টা করবে। যে যতটুকু করতে সক্ষম হবে সে ততটুকেই প্রতিদান পাবে। তবে এ জন্য কেবল একটি রাত জাগাই যথেষ্ট নয় বরং শেষ দশকের কমপক্ষে ৫টি বেজোড় রাত তথা ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ জেগে ইবাদত করার চেষ্টা করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা যেন, আমাদেরকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এ মহিমান্বিত রাতে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করে তার সৌভাগ্যবান ও মুক্তিপ্রাপ্ত প্রিয় বান্দাদের দলভুক্ত করে নেন। আমীন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
উত্তর: লাইলাতুল কদর ফজিলত পেতে হলে মসজিদে গিয়ে সারা রাত ইবাদত করা শর্ত নয়। অর্থাৎ পুরুষরা যদি ইশা এবং ফজরের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করে এবং রাতের বাকি অংশ ঘরে নফল সালাত আদায় ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগি করে তাহলেও ইনশাআল্লাহ এ রাতের মর্যাদা লাভ করা সম্ভব। তদ্রূপ মহিলারাও বাড়িতে ইবাদত করে এ মর্যাদা লাভ করতে পারে। এমনকি কোনও ব্যক্তি যদি নিজস্ব কাজকর্ম, দোকানদারী বা ডিউটি পালন রত অবস্থায়ও এ রাতের মর্যাদা লাভের নিয়তে মুখে তাসবীহ-তাহলীল, জিকির-আজকার, দুআ, ইস্তিগফার, লাইলাতুল কদরের বিশেষ দুআ (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন....) পাঠ করে, দেখে বা মুখস্থ কুরআন তিলাওয়াত করে বা তাফসীর-হাদিস পাঠ করে, দীনী ইলম চর্চা করে এবং সময় পেলে মাঝে-মধ্যে কিছু নফল সালাত আদায় করে তাহলেও এ মর্যাদা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
অনুরূপভাবে এ রাতের মর্যাদা লাভ করার জন্য পুরো রাত জাগাও শর্ত নয়। কেউ যদি শারীরিক ও মানসিক শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে রাতের কিয়দংশ ঘুমায় বা প্রয়োজনীয় কাজ করে আর বাকি অংশ সাধ্যানুযায়ী ইবাদতে কাটায় তাহলেও এ রাতের মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ। (আল মুনাবী, ফয়যুল কাদীর)
মোটকথা, এ রাতে প্রত্যেকেই তার সাধ্যানুযায়ী ইবাদত-বন্দেগি করার চেষ্টা করবে। যে যতটুকু করতে সক্ষম হবে সে ততটুকেই প্রতিদান পাবে। তবে এ জন্য কেবল একটি রাত জাগাই যথেষ্ট নয় বরং শেষ দশকের কমপক্ষে ৫টি বেজোড় রাত তথা ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ জেগে ইবাদত করার চেষ্টা করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা যেন, আমাদেরকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এ মহিমান্বিত রাতে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করে তার সৌভাগ্যবান ও মুক্তিপ্রাপ্ত প্রিয় বান্দাদের দলভুক্ত করে নেন। আমীন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল