If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
১. ডা. মতিয়ার রহমান: তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামের জন্মগ্রহন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন চিকিৎসক ও সমাজসেবক হিসেবেই পরিচিত। তিনি তার অপব্যাখ্যা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য "ক্বুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন" প্রতিষ্ঠা করেন, যার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিজে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অন্যতম স্লোগান হল “কুরআন, হাদীস, আক্বল” অর্থাৎ ক্বুরআন হাদীসের পাশাপাশি নিজের আক্বল দিয়েও বিচার, বিবেচনা করতে হবে! তারমানে আওয়ামকে (জনসাধারণ) এই মেসেজ দিচ্ছেন যে, তারা যেন আক্বল দিয়ে হাদীস নির্ণয় করে।
মোটকথা তিনি একজন হাদিস অস্বীকারকারির লিডার হিসেবে এদেশে দায়িত্ব পালন করছেন।
২. মুরাদ বিন আমজাদ: তিনি একজন তথাকথিত শাইখ এবং বক্তা যিনি আগাগোড়া একজন হাদিস অস্বীকারকারী ব্যক্তি। তিনি অনেক বই লিখেছেন এবং নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে হাদিস অস্বীকারকারী ফিতনার ধারক এবং বাহকের ভুমিকা পালন করছেন।
৩. সজল রোশন: তিনি একজন হাদিস অস্বীকারকারী বেশ ধারণ করে মোটিভেশনাল বক্তব্য প্রচার করেন। তিনি প্রতিনিয়ত ফেসবুকে, ইউটিউবে সরব থেকে এবং পাশাপাশি বই লিখে হাদিস বিষয়ে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
৪. মাহবুবুর রহমান যশোরী: অনলাইনে তিনি বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। একিসাথে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের অপব্যাখ্যা করে। তেনার বক্তব্য থেকে প্রতিয়মান হয় যে তিনি একজন হাদিস অস্বীকারকারী আলেম।
৫. অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক: তিনি রাজশাহীতে একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন এবং তিনি একটি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একটি বিভ্রান্তিকর তাফসীর লেখার পাশাপাশি, অনলাইনে বিভিন্ন হাদিস অস্বীকারকারি বক্তব্য দিয়ে নিয়মিত হাদিস অস্বীকারকারি ফিতনার বিষবাষ্প মানুষের অন্তরে সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
হাদীসের প্রামাণিকতাকে অস্বীকারকারী নিঃসন্দেহে কাফের এবং ইসলামের গন্ডি বহির্ভূত। কেননা যে হাদীসকে অস্বীকার করে, সে মূলতঃ কুরআনকেই অস্বীকার করে। হাদীস ব্যতীত দ্বীনের ওপর আমল করা অসম্ভব। এজন্য মুসলিম বিদ্বানগণ সর্বসম্মতভাবে হাদীস অস্বীকারকারীকে কাফের আখ্যা দিয়েছেন। অর্থাৎ যারা গোটা হাদীসশাস্ত্রকে অস্বীকার করে তারা স্পষ্ট কাফের, কেননা তা রাসূল (ﷺ)-এর রিসালাতকেই অস্বীকার করার শামিল। অনুরূপভাবে যারা কোন হাদীসকে ছহীহ হিসাবে জানার পরও কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়া তা সরাসরি অস্বীকার করবে সেও কুফরী করবে।
তাই আমাদের এসকল হাদিস অস্বীকারকারী ব্যক্তির বই পড়া, ভিডিও দেখা এবং ফেসবুক পোস্ট থেকে সবসময় থেকে দূরে থাকতে হবে।
এবং কুরআন এবং সুন্নাহ এর অনুসারী আলেমদের সোহবতে আমাদেরকে যেতে হবে।
হাদিস অস্বীকারকারী ব্যক্তি সম্পর্কে ইমামদের মতামত-
(১) খ্যাতনামা তাবেঈ আইয়ূব আস-সাখতিয়ানী (১৩১হি.) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তিকে তুমি হাদীস শোনাও এবং সে বলে এসব ছাড়ো, আমাদেরকে কুরআন থেকে শোনাও, তবে জেনে রেখ সে একজন পথভ্রষ্ট’ (সুয়ূত্বী, মিফতাহুল জান্নাহ, পৃ. ৩৫)।
(২) ইসহাক ইবনু রাহওয়াইহ (২৩৮হি.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির নিকট রাসূল (ﷺ)-এর কোন হাদীস পৌঁছেছে যাকে সে সত্য বলে স্বীকার করেছে, অতঃপর প্রকাশ্যে তা পরিত্যাগ করেছে, সে কাফের (ইবনু হাযম, আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ১/৯৯)।
(৩) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (২৪১হি.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসকে অস্বীকার করল, সে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিপতিত হ’ল (ইবনুল জাওযী, মানাক্বিবুল ইমাম আহমাদ, পৃ. ২৪৯)।’
(৪) ইমাম আল-বারবাহারী (৩২৯হি.) বলেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসের ব্যাপারে কটূক্তি করবে, তখন তার ইসলামের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হবে। কেননা সে নিকৃষ্ট বক্তব্য এবং নিকৃষ্ট পথের অনুসারী। সে মূলতঃ রাসূল (ﷺ) ও তার ছাহাবীদের উপরই কটূক্তি করেছে (শারহুস সুন্নাহ, পৃ. ৮৯)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াত অস্বীকার করে, সে যেন পুরো কিতাবকেই অস্বীকার করে। যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর কোন একটি হাদীসকে অস্বীকার করে, সে যেন পুরো হাদীস সম্ভারকেই অস্বীকার করে (শারহুস সুন্নাহ, পৃ. ১০১-১০২)।
(৫) ইমাম আল-আজুর্রী (৩৬০হি.) বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর কিতাবে যে সকল বিষয় ফরয করেছেন, তার কোনটিরই হুকুম জানার সুযোগ নেই রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাহ ব্যতীত। এটিই মুসলিম বিদ্বানগণের অভিমত। সুতরাং যে ব্যক্তি এর বাইরে অন্য কোন কথা বলবে, সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে এবং অবিশ্বাসী নাস্তিকদের দলভুক্ত হবে (আশ-শারী‘আহ, ১/৪১২)।’
(৬) ইবনু হাযম (৪৫৬হি.) বলেন, ‘কোন মুসলিম যে তাওহীদকে স্বীকৃতি দিয়েছে তার পক্ষে বিতর্কের সময় কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। তাতে যা পেয়েছে তা অস্বীকার করারও কোন সুযোগ নেই। যদি সে তার নিকট দলীল স্পষ্ট হওয়ার পরও অস্বীকার করে তবে সে ফাসিক। আর যে ব্যক্তি কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম থেকে বেরিয়ে যাওয়া হালাল মনে করে এবং এ দু’টির যে কোন একটির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করে, সে কাফির। এ বিষয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই (আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ১/ ৯৯)।
(৭) তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি বলে যে কুরআনে যা পাব তা ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করব না, তবে সে মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে কাফির।... আর যদি কেউ কেবল মুসলিম উম্মাহর ইজমা‘কৃত বিষয়কে স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের মধ্যে কুরআন ও হাদীস থেকে উৎসারিত সকল মতভেদ পূর্ণ বিষয়গুলো পরিত্যাগ করে, তবে সে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমতে ফাসিক (আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ২/৮০)।
(৮) ইবনু তায়মিয়াহ (৭২৮ হি.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসূল (ﷺ) তাঁর প্রভুর পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন, তার ওপর ঈমান আনা ওয়াজিব। তার অর্থ আমরা বুঝি আর না বুঝি। কেননা তিনি সত্যবাদী এবং সত্যায়িত ব্যক্তি। কিতাব ও সুন্নাহে যা কিছু তিনি নিয়ে এসেছেন প্রত্যেক মুমিনের জন্য তার ওপর ঈমান আনা ওয়াজিব, যদিও সে তার অর্থ না বোঝে। এটাই সালাফে ছালেহীন এবং ইমামগণের ঐক্যমত দ্বারা সাব্যস্ত (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, ৩/৪১)।
(৯) শাত্বেবী (৭৯০হি.) বলেন, ‘একটি দল রয়েছে যারা কেবলমাত্র কুরআনকে যথেষ্ট মনে করে, তারা চরম দুর্ভাগা। তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত থেকে বহির্ভূত (আল-মুওয়াফাক্বাত, ৪/৩২৫-৩২৬)।’
(১০) ইবনু ওয়াযীর (৮৪০ হি.) বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর হাদীস প্রমাণিত হওয়ার পরও যারা তা অস্বীকার করে, তারা সুস্পষ্ট কাফের (আল-‘আওয়াছিম মিনাল ক্বাওয়াছিম ২/২৭৪)।
(১১) সুয়ূত্বী (৯১১হি.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর কোন ভাষ্য বা কর্মগত হাদীস অস্বীকার করে এবং সে জানে যে হাদীস হ’ল ইসলামের মৌলিক দলীল, সে ব্যক্তি কুফরী করল এবং ইসলামের গন্ডী থেকে বেরিয়ে গেল এবং তার হাশর হবে ইহূদী এবং নাছারাদের সাথে অথবা আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কোন কাফের দলের সাথে (সুয়ূত্বী, মিফতাহুল জান্নাহ, পৃ. ৬)।
(১২) শাওকানী (১২৫০হি.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই পবিত্র সুন্নাহর প্রামাণিকতা এবং শরী‘আতের আহকাম প্রণয়নে তাঁর একচ্ছত্র দ্বীনের অবধারিত জ্ঞান। এ বিষয়ে কেউই মতভেদ করে না, ইসলাম থেকে বহির্ভূত ব্যক্তি ব্যতীত’ (ইরশাদুল ফুহূল, ১/৯৭)।
(১৩) বর্তমান যুগের সকল বিদ্বানের ঐক্যমতে, হাদীস অস্বীকারকারীরা মুরতাদ ও কাফির। কেননা তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর মিথ্যারোপ করে। এদের সাথে কোন প্রকার ধর্মীয় ও সামাজিক সম্পর্ক রাখা বৈধ নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৩/১৯৪, মাজমু ফাতাওয়া বিন বায ২/৪০৩, ৩/২৭৩)। [source: at-tahreek.com]
হাদিস অস্বীকারকারী ফেতনা সম্পর্কে জানতে এবং হাদিসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের বাংলাভাষায় সালাফী আলেমদের বই সমূহ:
মোটকথা তিনি একজন হাদিস অস্বীকারকারির লিডার হিসেবে এদেশে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা. মতিয়ার রহমান সম্পর্কে ড. আবু বকর জাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ
২. মুরাদ বিন আমজাদ: তিনি একজন তথাকথিত শাইখ এবং বক্তা যিনি আগাগোড়া একজন হাদিস অস্বীকারকারী ব্যক্তি। তিনি অনেক বই লিখেছেন এবং নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে হাদিস অস্বীকারকারী ফিতনার ধারক এবং বাহকের ভুমিকা পালন করছেন।
মুরাদ বিন আমজাদ সম্পর্কে ড. শহীদুল্লাহ্ খান মাদানী (হাফিজাহুল্লাহ)
শাইখ আখতারুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম (হাফিযাহুল্লাহ)
শাইখ আখতারুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম (হাফিযাহুল্লাহ)
৩. সজল রোশন: তিনি একজন হাদিস অস্বীকারকারী বেশ ধারণ করে মোটিভেশনাল বক্তব্য প্রচার করেন। তিনি প্রতিনিয়ত ফেসবুকে, ইউটিউবে সরব থেকে এবং পাশাপাশি বই লিখে হাদিস বিষয়ে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
সজল রোশন এর সাথে ডিবেট এ আবুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক (হাফিযাহুল্লাহ)
৪. মাহবুবুর রহমান যশোরী: অনলাইনে তিনি বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। একিসাথে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের অপব্যাখ্যা করে। তেনার বক্তব্য থেকে প্রতিয়মান হয় যে তিনি একজন হাদিস অস্বীকারকারী আলেম।
৫. অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক: তিনি রাজশাহীতে একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন এবং তিনি একটি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একটি বিভ্রান্তিকর তাফসীর লেখার পাশাপাশি, অনলাইনে বিভিন্ন হাদিস অস্বীকারকারি বক্তব্য দিয়ে নিয়মিত হাদিস অস্বীকারকারি ফিতনার বিষবাষ্প মানুষের অন্তরে সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
হাদিস অস্বীকারকারী ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদের করণীয়:
হাদীসের প্রামাণিকতাকে অস্বীকারকারী নিঃসন্দেহে কাফের এবং ইসলামের গন্ডি বহির্ভূত। কেননা যে হাদীসকে অস্বীকার করে, সে মূলতঃ কুরআনকেই অস্বীকার করে। হাদীস ব্যতীত দ্বীনের ওপর আমল করা অসম্ভব। এজন্য মুসলিম বিদ্বানগণ সর্বসম্মতভাবে হাদীস অস্বীকারকারীকে কাফের আখ্যা দিয়েছেন। অর্থাৎ যারা গোটা হাদীসশাস্ত্রকে অস্বীকার করে তারা স্পষ্ট কাফের, কেননা তা রাসূল (ﷺ)-এর রিসালাতকেই অস্বীকার করার শামিল। অনুরূপভাবে যারা কোন হাদীসকে ছহীহ হিসাবে জানার পরও কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়া তা সরাসরি অস্বীকার করবে সেও কুফরী করবে।
তাই আমাদের এসকল হাদিস অস্বীকারকারী ব্যক্তির বই পড়া, ভিডিও দেখা এবং ফেসবুক পোস্ট থেকে সবসময় থেকে দূরে থাকতে হবে।
এবং কুরআন এবং সুন্নাহ এর অনুসারী আলেমদের সোহবতে আমাদেরকে যেতে হবে।
হাদিস অস্বীকারকারী ব্যক্তি সম্পর্কে ইমামদের মতামত-
(১) খ্যাতনামা তাবেঈ আইয়ূব আস-সাখতিয়ানী (১৩১হি.) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তিকে তুমি হাদীস শোনাও এবং সে বলে এসব ছাড়ো, আমাদেরকে কুরআন থেকে শোনাও, তবে জেনে রেখ সে একজন পথভ্রষ্ট’ (সুয়ূত্বী, মিফতাহুল জান্নাহ, পৃ. ৩৫)।
(২) ইসহাক ইবনু রাহওয়াইহ (২৩৮হি.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির নিকট রাসূল (ﷺ)-এর কোন হাদীস পৌঁছেছে যাকে সে সত্য বলে স্বীকার করেছে, অতঃপর প্রকাশ্যে তা পরিত্যাগ করেছে, সে কাফের (ইবনু হাযম, আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ১/৯৯)।
(৩) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (২৪১হি.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসকে অস্বীকার করল, সে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিপতিত হ’ল (ইবনুল জাওযী, মানাক্বিবুল ইমাম আহমাদ, পৃ. ২৪৯)।’
(৪) ইমাম আল-বারবাহারী (৩২৯হি.) বলেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসের ব্যাপারে কটূক্তি করবে, তখন তার ইসলামের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হবে। কেননা সে নিকৃষ্ট বক্তব্য এবং নিকৃষ্ট পথের অনুসারী। সে মূলতঃ রাসূল (ﷺ) ও তার ছাহাবীদের উপরই কটূক্তি করেছে (শারহুস সুন্নাহ, পৃ. ৮৯)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াত অস্বীকার করে, সে যেন পুরো কিতাবকেই অস্বীকার করে। যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর কোন একটি হাদীসকে অস্বীকার করে, সে যেন পুরো হাদীস সম্ভারকেই অস্বীকার করে (শারহুস সুন্নাহ, পৃ. ১০১-১০২)।
(৫) ইমাম আল-আজুর্রী (৩৬০হি.) বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর কিতাবে যে সকল বিষয় ফরয করেছেন, তার কোনটিরই হুকুম জানার সুযোগ নেই রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাহ ব্যতীত। এটিই মুসলিম বিদ্বানগণের অভিমত। সুতরাং যে ব্যক্তি এর বাইরে অন্য কোন কথা বলবে, সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে এবং অবিশ্বাসী নাস্তিকদের দলভুক্ত হবে (আশ-শারী‘আহ, ১/৪১২)।’
(৬) ইবনু হাযম (৪৫৬হি.) বলেন, ‘কোন মুসলিম যে তাওহীদকে স্বীকৃতি দিয়েছে তার পক্ষে বিতর্কের সময় কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। তাতে যা পেয়েছে তা অস্বীকার করারও কোন সুযোগ নেই। যদি সে তার নিকট দলীল স্পষ্ট হওয়ার পরও অস্বীকার করে তবে সে ফাসিক। আর যে ব্যক্তি কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম থেকে বেরিয়ে যাওয়া হালাল মনে করে এবং এ দু’টির যে কোন একটির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করে, সে কাফির। এ বিষয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই (আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ১/ ৯৯)।
(৭) তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি বলে যে কুরআনে যা পাব তা ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করব না, তবে সে মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে কাফির।... আর যদি কেউ কেবল মুসলিম উম্মাহর ইজমা‘কৃত বিষয়কে স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের মধ্যে কুরআন ও হাদীস থেকে উৎসারিত সকল মতভেদ পূর্ণ বিষয়গুলো পরিত্যাগ করে, তবে সে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমতে ফাসিক (আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ২/৮০)।
(৮) ইবনু তায়মিয়াহ (৭২৮ হি.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসূল (ﷺ) তাঁর প্রভুর পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন, তার ওপর ঈমান আনা ওয়াজিব। তার অর্থ আমরা বুঝি আর না বুঝি। কেননা তিনি সত্যবাদী এবং সত্যায়িত ব্যক্তি। কিতাব ও সুন্নাহে যা কিছু তিনি নিয়ে এসেছেন প্রত্যেক মুমিনের জন্য তার ওপর ঈমান আনা ওয়াজিব, যদিও সে তার অর্থ না বোঝে। এটাই সালাফে ছালেহীন এবং ইমামগণের ঐক্যমত দ্বারা সাব্যস্ত (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, ৩/৪১)।
(৯) শাত্বেবী (৭৯০হি.) বলেন, ‘একটি দল রয়েছে যারা কেবলমাত্র কুরআনকে যথেষ্ট মনে করে, তারা চরম দুর্ভাগা। তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত থেকে বহির্ভূত (আল-মুওয়াফাক্বাত, ৪/৩২৫-৩২৬)।’
(১০) ইবনু ওয়াযীর (৮৪০ হি.) বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর হাদীস প্রমাণিত হওয়ার পরও যারা তা অস্বীকার করে, তারা সুস্পষ্ট কাফের (আল-‘আওয়াছিম মিনাল ক্বাওয়াছিম ২/২৭৪)।
(১১) সুয়ূত্বী (৯১১হি.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর কোন ভাষ্য বা কর্মগত হাদীস অস্বীকার করে এবং সে জানে যে হাদীস হ’ল ইসলামের মৌলিক দলীল, সে ব্যক্তি কুফরী করল এবং ইসলামের গন্ডী থেকে বেরিয়ে গেল এবং তার হাশর হবে ইহূদী এবং নাছারাদের সাথে অথবা আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কোন কাফের দলের সাথে (সুয়ূত্বী, মিফতাহুল জান্নাহ, পৃ. ৬)।
(১২) শাওকানী (১২৫০হি.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই পবিত্র সুন্নাহর প্রামাণিকতা এবং শরী‘আতের আহকাম প্রণয়নে তাঁর একচ্ছত্র দ্বীনের অবধারিত জ্ঞান। এ বিষয়ে কেউই মতভেদ করে না, ইসলাম থেকে বহির্ভূত ব্যক্তি ব্যতীত’ (ইরশাদুল ফুহূল, ১/৯৭)।
(১৩) বর্তমান যুগের সকল বিদ্বানের ঐক্যমতে, হাদীস অস্বীকারকারীরা মুরতাদ ও কাফির। কেননা তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর মিথ্যারোপ করে। এদের সাথে কোন প্রকার ধর্মীয় ও সামাজিক সম্পর্ক রাখা বৈধ নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৩/১৯৪, মাজমু ফাতাওয়া বিন বায ২/৪০৩, ৩/২৭৩)। [source: at-tahreek.com]
হাদিস অস্বীকারকারী ফেতনা সম্পর্কে জানতে এবং হাদিসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের বাংলাভাষায় সালাফী আলেমদের বই সমূহ:
- আমরা হাদীস মানতে বাধ্য - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক
- হাদিস অস্বীকারকারীদের সংশয় নিরসন, আহমদ আব্দুল্লাহ সাকিব।
- হাদীস সংকলনের ইতিহাস - মওলানা আব্দুর রহীম রহিমাহুল্লাহ.
- হাদিস কেন মানতে হবে, কামাল আহমদ
- হাদিস কি আল্লাহর অহী -মুহাম্মদ ইকবাল ফাখরুল।
- হাদীস কেন মানতে হবে – কামাল আহমাদ
- হাদীসের প্রামাণিকতা – সানাউল্লাহ নজির আহমদ
- হাদীসের প্রামাণিকতা – মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
- সহীহ হাদিস বিশ্বকোষ- ড. আবু বকর জাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ
কৃতজ্ঞতায়: Omar Faruq Arabi