‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: ১ মহান আল্লাহ বলেন:﴿ إِنَّمَا يَعۡمُرُ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰ

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,135
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর: উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর ইবাদাত বন্দেগীর জন্য মসজিদ ঘর প্রতিষ্ঠা তত্ত্বাবধান ও সেটার রক্ষণাবেক্ষণ কাজে সংশ্লিষ্টদের যে সব মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে তারই উল্লেখ করেছেন। আর তাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে; একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টিকর্তা, তিনিই সর্বময় মালিক, তিনিই হুকুমদাতা, বিধানদাতা এবং তিনি ব্যতীত ইবাদাতের যোগ্য কিছুই নেই।
আরো বিশ্বাস করতে হবে যে, মৃত্যুর পরে পূনরুত্থান ঘটবেই। অতঃপর ভালো কিংবা মন্দ কাজের হিসাব নিয়ে যথোপযুক্ত প্রতিফল দেওয়া হবে। তাদের অন্তরসমূহ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাহ্যিক কাজে-কর্মে ঈমানদার-মুসলিম হতে হবে। তারা সালাত কায়েম করবে এবং সেটাকে শর্ত, রুকন, ওয়াজিব ও সুন্নাত অনুযায়ী আদায় করতে হবে। আর এ ব্যাপারে অবহেলা, গাফলতী করার কোনো অবকাশ নেই। যাদের উপর যাকাত ফরয তারা অবশ্যই যাকাতের হকদারদের কাছে যাকাত পৌছে দিবে। তারা একক আল্লাহকেই ভয় করবে এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকেই ভয় করবে না। সর্বপ্রকার ওয়াজিব পালন করবে এবং সর্বপ্রকার হারাম বা নিষিদ্ধ কাজ পরিত্যাগ করবে।
আর ‘ভয়’ শব্দের ভাবার্থ ও দাবী হচ্ছে: আল্লাহর তাজীম (মর্যাদার) ইবাদাত ও আনুগত্যে ক্রটি-বিচ্যুতি হওয়ার ভয় করা।
মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও তত্ত্বাবধানের উদ্দেশ্যে হচ্ছে: মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ-কর্ম, যেমন; নির্মাণ-পুননির্মাণ, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সালাত-যিকির ইত্যাদি আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক ইবাদাত অব্যাহত রাখা।


[রিসালাতুল আহকালিম মাসজিদ ফিশ-শারিয়াহ, লেখক: আল-খুদাইরি পৃ: ৩৪৭, তাফসির ইবনে কাসীর ৪/৬১-৬৩, হাশিয়াতুল হামাল আলাল জালালাইন ২/২৭১)।]


সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী
 

Share this page